গল্প-কবিতার শহর

গল্প-কবিতার শহর ~মন ভাঙার হুইসেলে
বিষন্ন প্রেমের জোয়ারে
এই গল্প-কবিতার-শহরে।~
(13)

এক বাংলাদেশী ডাক্তার চাকরি না পেয়ে লন্ডনে --- তাঁবু টেনে অস্থায়ী ক্লিনিক খুলে বসল।তাঁবুর বাইরে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে লিখে দিল...
01/09/2025

এক বাংলাদেশী ডাক্তার চাকরি না পেয়ে লন্ডনে --- তাঁবু টেনে অস্থায়ী ক্লিনিক খুলে বসল।
তাঁবুর বাইরে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে লিখে দিল --- 'GET TREATMENT FOR £20 - IF NOT CURED GET BACK £100.'
সহজ বাংলা -- বিফলে মূল্য ফেরত।

এক ব্রিটিশ আইনজীবী চিন্তা করল ১০০ পাউন্ড ধান্ধা করার এই সুযোগ।

উকিল গিয়ে ডাক্তারকে বলল- আমার জিহ্বায় কোন কিছুর স্বাদ পাইনা, আমি কোন স্বাদ পরখ করতে পারিনা, আমার চিকিৎসা করুন।

ডাক্তার তার এসিস্ট্যান্টকে হাঁক দিয়ে বলল--- একে ৪২০ নম্বর ডিব্বা থেকে তিন ফোটা খাইয়ে দাও।

ঔষধ খাওয়ানোর পর উকিল চেঁচিয়ে উঠল- এটা তো কেরোসিন!

ডাক্তার: গুড, আপনার জিহ্বা কাজ করা শুরু করেছে, ২০ পাউন্ড দিন।

২০ পাউন্ড হারিয়ে অনেক ভেবেচিন্তে উকিল দ্বিতীয় দিন আবার আসল ডাক্তারের কাছে।

উকিল: আমার স্মৃতি কাজ করছেনা, আপনি আমার চিকিৎসা করুন।

ডাক্তার আবার তার এসিস্ট্যান্টকে হাঁক দিয়ে বলল- একে ৪২০ নম্বর ডিব্বা থেকে তিন ফোটা খাইয়ে দাও।

খাওয়ানোর পর উকিল রেগেমেগে একাকার। বলল: এই কেরোসিন তো জিহ্বায় স্বাদ ফেরানোর জন্য খাইয়েছিলেন গতকাল!

ডাক্তার: এই তো স্মৃতি ফিরে এসেছে। বিশ পাউন্ড দিন।

টাকা উদ্ধারের আশায় + প্রতিশোধের নেশায় -- পরের সপ্তাহে আবার এল উকিল ডাক্তারের তাঁবুতে। এবার চোখে কালো চশমা, হাতে সাদা ছড়ি।

উকিল: আমি কিছু দেখতে পাচ্ছিনা, আমার চোখ ভালো করে দিন।

ডাক্তার: এই চিকিৎসা আমার আওতার বাইরে, এই নিন ১০০ পাউন্ড, বলে একটা নোট বাড়িয়ে দিল।

উকিল খেয়াল করে দেখলো -- সেটা ৫ পাউন্ডের নোট। উকিল চেঁচিয়ে বলল: এটা তো পাঁচ পাউন্ডের নোট!
ডাক্তার নোটখানা ফিরিয়ে নিয়ে বলল: আপনার দৃষ্টি ফিরে এসেছে -- বিশ পাউন্ড দিন !!

জঘন্য ভাইরাসপরকীয়া মধুর এক প্রেমের নাম (যতক্ষন ধরা পরবেন না, ততক্ষন)আমার একজন পরিচিত আছে বিবাহিত , চাকুরীজী মহিলা। এক সন...
27/08/2025

জঘন্য ভাইরাস

পরকীয়া মধুর এক প্রেমের নাম (যতক্ষন ধরা পরবেন না, ততক্ষন)

আমার একজন পরিচিত আছে বিবাহিত , চাকুরীজী মহিলা। এক সন্তান মৃত , দুই বাচ্চা বেঁচে আছে।ছেলের বয়স ২৪/২৫। মেয়ের বয়স ১৭/১৮।

মহিলা আহামরি সুন্দর না , খারাপ ও না। একসাথে দুইজনের সাথে পরকীয়া চালাতো, মন দেয়া-নেয়া , শরীর দেয়া-নেয়া , আবার স্বামীর সাথে সংসার, বাচ্চা মানুষ , চাকরি সবই ব্যালেন্সড।

বিপত্তি বাধলো যে দুইজনের সাথে পরকীয়া চলতেছিল তার মধ্যে একজনের বাচ্চা সে কন্সিভ করে ফেললো।অগত্যা দীর্ঘদিনের সংসার, স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে পরকীয়ার দুই প্রেমিকের একজন কে ঘটা করে বিয়ে করলো। যাকে বিয়ে করলো সেও বাচ্চাদের রেখে , স্ত্রীকে ডিভোর্স দিলো।

এরপর শুরু হলো মধুর সংসার , খালি প্রেম আর প্রেম। টানা ৪ বছর খুব ধুমছে প্রেম , বাচ্চার জন্ম সব চললো।

৪বছর পর ভাটা পড়তে শুরু করলো এই বিশ্রী মধুর সম্পর্কে, শুরু হলো সেপারেশন , কোর্ট কাচারি, বাচ্চার কাস্টোডি, খরচ পাতি আদায়ের চেষ্টা... যা হয় আরকি।

মহিলার তখন মনে হলো আরেকজন পরকিয়ার মানুষ তো আছে, সে ইমোশনালি সেই আগের আরেকজন প্রেমিক কে ফোন, মেসেজ দিয়ে কান্নাকাটি শুরু করতে থাকলো..

বর্তমানে মহিলা আগের স্বামী , বর্তমান স্বামী এবং আগের প্রেমিক সবাইকেই চাচ্ছে। একেকজনকে একেকভাবে চাচ্ছে🙃। সবচেয়ে মজার বিষয় তার কাছে সব কিছুর রেকর্ড আছে যেন ব্ল্যাক মেইল করা সহজ হয়। তার বাইরের গেট আপ সবসময় হেজাবি।

আমরা শুধু সেইসব ঘটনা দেখি যা সামনে আসে, সমাজে অনেক শিক্ষিত ,বড়লোক ,রিচ ,পশ অন্ধকার আছে। ভেতরে ভেতরে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে.. নিজের বাচ্চাদের ও সেই সবের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। হয়ত মা নতুবা বাবার অভাবে মানুষ হচ্ছে সেসকল সন্তান, কতটা অমানবিক জীবন তৈরি হচ্ছে ভাবতে পারেন?? অসুস্থ কিছু সন্তান যার পুরোটাই বাবা-মায়ের জীবন যাপন থেকে নেয়া নির্যাস।
এইসব ভাইরাসের কি করা উচিত???
#পরকীয়া

“ঘরে ঘরে এমন অজস্র আবু জাহেল আছে”ছেলে ইমুতে মেসেজ পাঠিয়েছে-“বাবা আপনার নামে ২০ হাজার টাকা পাঠিয়েছি, এ টাকা দিয়ে আপনি ডাক...
22/08/2025

“ঘরে ঘরে এমন অজস্র আবু জাহেল আছে”

ছেলে ইমুতে মেসেজ পাঠিয়েছে-
“বাবা আপনার নামে ২০ হাজার টাকা পাঠিয়েছি, এ টাকা দিয়ে আপনি ডাক্তার দেখাবেন, ফল কিনে খাবেন। গোপন নাম্বারে পাঠিয়েছি, আপনি আইডি কার্ড নিয়ে জনতা ব‍্যাংকে গেলেই টাকা পেয়ে যাবেন”।
(গোপনীয়তার স্বার্থে পিন নাম্বারটি শেয়ার করলাম না)।

ছেলের কথা মতো বাবা আজ জনতা ব‍্যাংক গৌরীপুর শাখায় এসেছেন টাকা তোলার জন‍্য। বেশ অসুস্থ শরীর তাঁর। কোনমতে লাঠিতে ভর করে চলাফেরা করেন। বললাম- এই শরীর নিয়ে একা একা আসা ঠিক হয়নি আপনার।
তিনি জানালেন- সাথে আসার মতো কাউকে পাননি বলে কষ্ট করে একাই এসেছেন। টাকা তুলে ডাক্তার দেখিয়ে তারপর বাড়ি ফিরবেন।

মুরুব্বিকে আমার রুমে বসিয়ে সহকর্মীকে বললাম ওনার টাকাটা পে-আউট করে দেয়ার জন‍্য। কিছুক্ষণ পর আমার সহকর্মী জানালো, এই টাকার বেনিফিসিয়ারী তিনি নন, অন‍্য আরেকজন। পরবর্তীতে গোপন পিন নাম্বারটি আমি নিজে কয়েক বার মিলিয়ে দেখলাম, সহকর্মীর কথাই সত‍্যি। পরে ভদ্রলোকের কাছে জানতে চাইলাম উল্লেখিত ব‍্যাক্তিকে আপনি চিনেন কিনা। নাম শোনতেই তাঁর দু’চোখে অশ্রু মাখা জলের ঝর্ণা দেখলাম!
অভাগা বাবা কাঁদতে কাঁদতে লাঠিতে ভর দিয়ে চলে গেলেন।
বুঝতে পারলাম, ছেলে তার শ্বশুরকে পাঠানো মেসেজটি ভুলক্রমে বাবার মোবাইলে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ঘন্টা দেড়েক পর একজন তড়তাজা ভদ্রলোক এসে সে টাকা উঠিয়ে নিয়ে গেলেন। তারঁ সাথেও কথা হল। জানতে চাইলাম কে টাকা পাঠিয়েছেন।
মাঝ বয়োসী ভদ্রলোক জানালো - “আমার জামাই, নবীর দেশে থাকে। খুব ভালো ছেলে, কয়েক মাস পর পর শরীর চেকআপের জন‍্য টাকা পাঠায়। পাগল একটা জামাই!নিজের বাবার থেকেও আমার খেয়াল রাখে বেশি।
দোয়া করবেন স‍্যার।

আমি কিছুক্ষণের জন‍্য স্তব্ধ হয়ে গেলাম। ভাবলাম বাবা ছেলেকে বড় করে নবীর দেশে পাঠিয়েছিলেন ঠিকই, এখন সে আবু জাহেলের দেশে বাস করে……

মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন ভাই
ব‍্যবস্থাপক,জনতা ব‍্যাংক পিএলসি.গৌরীপুর শাখা।

#সংগৃহীত

তখন শব্দের দাম ছিলো। ১১ টাকার কার্ড scratch করে রিচার্জ করলে ১০০ টা sms পাওয়া যেতো।প্রতিটা sms এ শব্দ সংখ্যার limitation...
21/08/2025

তখন শব্দের দাম ছিলো। ১১ টাকার কার্ড scratch করে রিচার্জ করলে ১০০ টা sms পাওয়া যেতো।

প্রতিটা sms এ শব্দ সংখ্যার limitation ও ছিলো। কথা বলতে বলতে ফুরিয়ে গেলেও অনলাইনে recharge করার সুযোগ হতনা। তাই প্রতিটা শব্দ খুব ভাবনা চিন্তা করে লিখতে হত। তখন একটা 's' লেখার জন্য keypad টাকে বার চারেক press করতে হত। তবু কেও বিরক্ত হতনা। SMS বড় হয়ে গেলে তাকে কেটে কুটে ছোট করে পাঠাতে হত। তখন green tick নিয়ে ঝামেলা হতনা। অনলাইন না অফলাইন দেখার সুযোগও ছিলো না। ছিলো প্রতিটা sms এর পর দুই তিন মিনিটের অপেক্ষা। রাতের good night আর সকালের good morning বলার জন্য আলাদা করে sms বাঁচিয়ে রাখা।

তখন emoji ছিলো না। আবেগ গুলোকে অনুভবে বুঝে নিতে হত। তখন শব্দের দাম ছিলো, আবেগের দাম ছিলো, অপেক্ষার দাম ছিলো, efforts এর দাম ছিলো।
হ্যাঁ আমারই সেই শেষ জেনারেশন।
কপি পোস্ট
#কালেক্টেড

17/08/2025

‘তখন রাত আটটা কি সোয়া আটটা হবে। বার্ন ইউনিটে মাহরীনের সঙ্গে আমার শেষ কথা হয়। বললাম, তোমার বাচ্চা দুইটার দিকে তাকিয়ে য...
26/07/2025

‘তখন রাত আটটা কি সোয়া আটটা হবে। বার্ন ইউনিটে মাহরীনের সঙ্গে আমার শেষ কথা হয়।

বললাম, তোমার বাচ্চা দুইটার দিকে তাকিয়ে যদি একটু স্বার্থপর হতা।

ও বলল, “এগুলো তো আমার বাচ্চা, সব বাচ্চাই তো আমার বাচ্চা।”

এই যে তার মানসিকতা। সে একটু স্বার্থপর হইলে আমাদের সন্তানদের এই অবস্থা হয় না।

তার চিন্তা হয়তো ওপরের লেভেলের ছিল। তার যে শরীরের ভাষা, তাতে তার জীবনের শ্রেষ্ঠ সিদ্ধান্তটাই সে নিয়েছে।'

স্ত্রী মাহরীন চৌধুরীর আত্মত্যাগের কথা এভাবেই বর্ণনা করলেন মনসুর হেলাল।

মাহরীন চৌধুরী উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ছিলেন।

গত সোমবার যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গিয়ে তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।

মাহরীনের বাবার বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকার বগুলাগাড়ি চৌধুরীপাড়ায়।

চার ভাইবোনের মধ্যে বড় ছিলেন মাহরীন।

মঙ্গলবার তাঁকে পারিবারকি কবরস্থানে দাফন করা হয়।

বুধবার চৌধুরীপাড়ায় গিয়ে কথা হয় মনসুরের সঙ্গে।

তিনি জানালেন, তাঁরা দুজন ছিলেন ঢাকার শাহীন স্কুলের শিক্ষার্থী।

১৯৯২ সালে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় তাঁদের বন্ধুত্ব হয়। ২০০৮ সালে তাঁরা বিয়ে করেন।

মনসুর বলেন, 'তার (মাহরীন) চিন্তাচেতনা, ধ্যানধারণা—সবকিছুতে দৃঢ়তা ছিল।'

ঘটনার দিন বার্ন ইউনিটে গিয়ে মাহরীনকে পান উল্লেখ করে মনসুর বলেন,

'সে আমাকে দেখার পর বলে, “তুমি আসছো।”

আমি বললাম, আসছি। বলে, “আমি থাকব না। আমাকে তুমি আমার বাবা- মায়ের কাছে নিয়ে যাও।”

এরপর স্তব্ধ হলো। আমরা সবাই মিলে আইসিইউতে নিয়ে গেলাম।

ও “আমি আর বেশিক্ষণ নেই” বলে আমার ডান হাত শক্ত করে ধরে তার বুকের ওপর রেখে বলল,

“আমি চলে যাচ্ছি, জীবনে তোমার সঙ্গে আর কখনো দেখা হবে না।'

মনসুর আরও বলেন, 'আরেকটা জিনিস সে চাইছিল,

বলে, “আমার খুব খিদা লাগছে। আমাকে কিছু খাবার দাও।"

শুধু তিন ফোঁটা পানি দিতে পারছিলাম। অন্য কোনো খাবার তাঁকে দিতে পারি নাই।

চিকিৎসক বলেছিলেন, কিছু খেতে দিলে শ্বাসনালিতে আটকে যেতে পারে। এই কষ্ট সারা জীবন থাকবে।'

এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন মনসুর।

দুই ছেলে আয়ান রশিদ (১৬) ও আদিল রশিদ (১৪) পাশে নির্বাক দাঁড়িয়ে ছিল।

পরিবারের চাওয়া, রাষ্ট্র যেন মাহরীনের আত্মত্যাগের মূল্য দেয়।

লেখা: সংগৃহিত

গল্প: “স্বপ্নে ফিরে আসে”পর্ব - ১৩একটা নিমন্ত্রণপত্র হাতে নিয়ে নীরা কিছুক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে।"সানজিদার মেয়ের আকিকা" ...
23/07/2025

গল্প: “স্বপ্নে ফিরে আসে”

পর্ব - ১৩

একটা নিমন্ত্রণপত্র হাতে নিয়ে নীরা কিছুক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে।

"সানজিদার মেয়ের আকিকা" — সেই সানজিদা, কলেজ জীবনের একসময়ের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী, যাকে বহু বছর দেখা হয়নি।

তানভীর বলে,

— “চলো না, দুজনেই যাই। অনেকদিন পর তো এমন একটা অনুষ্ঠান পড়লো!”

নীরা মাথা নাড়লেও ভেতরে একটা অস্বস্তি কাজ করছিল।

একটা অদ্ভুত অনুভূতি…

কে যেন বলছে, আজ পুরোনো কেউ মুখোমুখি হবে।

---

সন্ধ্যায় তারা দুজনে চলে আসে আয়োজনে। ছোট্ট একটা বাড়ির ছাদে আয়োজন। বাতাসে হালকা আতরের গন্ধ, হাসির শব্দ, মানুষের ভিড়, আর পুরনো দিনের কিছু পরিচিত মুখ।

সানজিদা দৌঁড়ে এসে নীরাকে জড়িয়ে ধরে—

“তুই আসবি ভাবতেই পারিনি রে! তুই একদম আগের মতোই আছিস!”

সঙ্গে সঙ্গে পেছন থেকে আরেকটা কণ্ঠ ভেসে এলো—

“নীরা…?”

নীরার ভেতরটা মুচড়ে ওঠে, পরিচিত এক কন্ঠ !! কাঁধ ঘুরিয়ে তাকায়।

রেদোয়ান।

হালকা দাড়ি, চোখে ক্লান্তি, পরনে সাদা পাঞ্জাবি।

একটা মুহূর্তে সময় থমকে যায়।

চারপাশের শব্দ যেন থেমে যায়, কেবল চোখের মধ্যে কথোপকথন।

— “তুই… এখনো আমার নাম ধরে ডাকিস?”

নীরার ঠোঁট কাঁপে।

— “তুমি তো আমার নাম ভুলেই গিয়েছিলে… মনে পড়লো এখন?”

রেদোয়ান এক চুলও চোখ সরায় না।

— “ভুলিনি। কোনোদিন না। তোমার ব্লক করেও প্রতিদিন তোমার খোঁজ নিয়েছি।

তোমার ছবি দেখতাম অন্যের প্রোফাইলে। স্বপ্নে তোমার মুখ খুঁজতাম।”

নীরার মুখ কঠিন হয়ে ওঠে।

— “স্বপ্ন আর বাস্তবের মধ্যে অনেক পার্থক্য রেদোয়ান।

স্বপ্নে তুমি এখনো আমার হাত ধরতে চাও, কিন্তু বাস্তবে তো আমি একা অপেক্ষা করেছিলাম… আর তুমি পালিয়ে গিয়েছিলে।”

— “ভুল করেছিলাম। মানছি। কিন্তু তুমি জানো না, আমি কীভাবে ভুগেছি, এখনও কতটা ভুগি…”

— “ভোগা মানেই ভালোবাসা না রেদোয়ান।

আমি ভালোবেসেছিলাম বলে তুমি ভোগো। আমি মাফ করে দিয়েছি, কারণ আজ আমি জানি—

ভালোবাসা মানে কেবল প্রেমিক নয়, ভালোবাসা মানে একজন দায়িত্ববান মানুষ।

তানভীর সেই মানুষ।

তনু-তূর্জ সেই ভালোবাসার সবচেয়ে সুন্দর ফল।”

রেদোয়ান এক ফোঁটা জল আটকে রাখতে পারে না।

— “তুমি এখনো আগের মতোই… কিন্তু আমার জায়গা আর নেই, তাই তো?”

— “স্বপ্নে থাকতে পারো, বাস্তবে নয়।

তুমি একটা অধ্যায়, রেদোয়ান।

পড়েছি, কেঁদেছি, শেষ করেছি।

আর আমি এখন নতুন অধ্যায়ে, যেখানে কষ্টের পৃষ্ঠা নেই।”

---

সেদিন রাতে বাড়ি ফিরে তানভীর জিজ্ঞেস করে,

— “ওই লোকটা কি তোমার পুরনো পরিচিত?”

নীরা হেসে বলে,

— “হ্যাঁ। খুব চেনা একটা অধ্যায়… কিন্তু পুরোনো।

তুমি এখন আমার জীবনের সবকিছু।”

তানভীর কিছু না বলে হাতটা ধরে রাখে শক্ত করে।

—-------

#চলবে …..

📝গল্প-কবিতার শহর

#স্বপ্ন_ও_বাস্তবতা #ভালোবাসার_মূল্য

আবারও শোকের জুলাই😭😥
21/07/2025

আবারও শোকের জুলাই😭😥

একটা বোতাম চাপলেই ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ফিরে যেতে পারতেন পরিবারে, জীবনের কাছে। নিজেকে বাঁচানোর সুযোগ ছিল তাঁর হাতে। ...
21/07/2025

একটা বোতাম চাপলেই ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ফিরে যেতে পারতেন পরিবারে, জীবনের কাছে। নিজেকে বাঁচানোর সুযোগ ছিল তাঁর হাতে। জরুরি পরিস্থিতিতে বিমানের নিয়ন্ত্রণ সিট ত্যাগ করে প্যারাসুট নিয়ে নিজের প্রা*ণ রক্ষায় লাফ দেননি তিনি। বি*ধ্ব*স্ত হওয়ার আগে ফাঁকা জায়গায় নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।

তাঁর যে বিমানটি, সেটি ছিল পুরনো এক F-7। একটা যুদ্ধবিমান, যার জায়গা ২০২৫ সালের আকাশে থাকার কথা না। তবু সেটিই উড়ছিল— কারণ দুর্নীতি এখনও উড়ছে এই দেশের আকাশে, আর সেই দুর্নীতির ভার বইছে এই প্রজন্মের সাহসীরা।

তৌকির আকাশে মারা যাননি। তিনি ম*রে গিয়েছিলেন অনেক আগেই— যেদিন বাজেট চু*রি হয়েছিল, যেদিন সিদ্ধান্ত হয়েছিল ১৯৭৬ সালের বাতিল বিমান দিয়েই চলবে আধুনিক যুগের প্রশিক্ষণ।

এই সিস্টেম তাঁর জন্য কিছুই রাখেনি— না কোনো নিরাপত্তা, না কোনো বিকল্প। রেখে গেছে কেবল ঝুঁকি, মরচে ধরা লোহা, আর এক তরুণ অফিসারের নিশ্চিত মৃত্যু।

উত্তরায় বিমান বি*ধ্ব*স্তে*র এই ভ*য়া*বহ ঘটনায় শুধু তৌকির নন, প্রাণ হা*রি*য়েছে*ন আরও অনেকে। তাঁদের সবার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তাঁদের পরিবার-পরিজনের প্রতি জানাই আন্তরিক সমবেদনা।

আহত যারা হয়েছেন, আল্লাহ যেন তাঁদের দ্রুত সুস্থতা দান করেন।

আর যেন কোনো তরুণ তৌকিরকে,একটা মরচে ধরা বিমানের সঙ্গে জীবন বিসর্জন দিতে না হয়।
#লেখা সংগৃহিত

গল্প: “স্বপ্নে ফিরে আসে সে”পর্ব - ১২রাত তখন একটায় গড়িয়ে দুটোর দিক ছুঁই ছুঁই। বৃষ্টি থেমে গেছে, কিন্তু ছাদে টুপটাপ শব্দ এ...
19/07/2025

গল্প: “স্বপ্নে ফিরে আসে সে”
পর্ব - ১২

রাত তখন একটায় গড়িয়ে দুটোর দিক ছুঁই ছুঁই। বৃষ্টি থেমে গেছে, কিন্তু ছাদে টুপটাপ শব্দ এখনো কানে বাজে। নীরা বিছানায় ঘুমোতে পারছে না। বুকের ভেতরে একটা চেপে থাকা অনুভূতি—অজানা, অজস্র, অপূর্ণ।

হঠাৎ মনে পড়ে, ক্লাউড ব্যাকআপে সে একসময় কিছু ভয়েস নোট সংরক্ষণ করে রেখেছিল। ফোনের সেটিংসে গিয়ে খুঁজে বের করতেই শুনতে পেল সেই ভয়েস ক্লিপটি—

“তুমি জানো, আমি হয়তো ভালোবাসতে জানতাম না… কিন্তু আমি তোমাকে ছাড়া কল্পনাও করতাম না, নীরা…”

রেদোয়ান।

তার কণ্ঠ, তার স্বর… এই শব্দগুলো কত বছর বাদে আজ আবার শোনা গেল, অথচ স্মৃতি কখনো পুরনো হয় না। আবার মনে পড়ল সেই বিকেল, যেখানে নীরা একা বসে কাঁদছিল রেলস্টেশনে। তখনো জানত না, রেদোয়ান আর আসবে না। সে তখন এক ধনীর মেয়েকে বিয়ে করে ফেলেছিল।

নীরা সেইদিন একা কেবল স্টেশনে অপেক্ষা করেনি—সেইদিন সে তার সমস্ত নির্ভরতা হারিয়ে ফেলেছিল।

---

সকালে নীরার ঘুম ভাঙল তনুর ডাকে।

“আম্মু, আমার রং শেষ হয়ে গেছে, স্কুলে নিয়ে যাব কী করে?”

“আম্মু, তূর্জ আমার বোতল নিয়ে নিচ্ছে!”

এই দুই কণ্ঠই যেন বাস্তবের হাতছানি। নীরা ঘুম জড়ানো চোখে জেগে উঠে পড়ে।

দুটো ছেলেমেয়ের মুখে যেন তার পৃথিবী গঠিত।

তানভীর দ্রুত অফিসের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। যাওয়ার সময় হঠাৎ থেমে বলে,

“আজ অনেকদিন পর তোমাকে একটু হাসতে দেখলাম, জানো?”

নীরা অবাক হয়ে তাকায়।

তানভীর হেসে বলে, “সকালে তোমার হাতের এক কাপ চা না খেলে কেমন যেনো অপূর্ণ থেকে যায় সারাটাদিন

তানভীর সবসময় এমন নয়। সে কখনো রোমান্টিক কিছু বলে না, ফুল আনে না, ‘ভালোবাসি’ বলেনা।

তবুও তার আচরণে এক ধরনের নির্ভরতা থাকে।

---

বাচ্চাদের স্কুলে দিয়ে ফিরে এসে নীরা বসে থাকে জানালার পাশে। হঠাৎ তার মন চায়, পুরনো ডায়েরিগুলো পড়বে।

আলমারির নিচ থেকে বের করে, পাতাগুলো উল্টাতে উল্টাতে সে দেখে এক পৃষ্ঠা যেখানে লেখা—

> “রেদোয়ান, আমি জানি, তুমি কোনোদিন আমায় ফিরে চাইবে না।

কিন্তু আমি সবসময় চাইবো, তোমার ভালো হোক।

আমি তোমাকে অভিশাপ দিইনি কোনোদিন, কেবল প্রতিদিন একটু করে মরেছি তোমার অভাবে।”

নীরা ডায়েরি বন্ধ করে। চোখ ভিজে ওঠে। কিন্তু সেই ভিজে থাকা চোখে এখন আর অপেক্ষা নেই, নেই প্রার্থনা।

শুধুই স্মৃতি।

---

একটু পর ফোনে মেসেজ আসে—সাইফ।

“তুমি আজ কি লেখনি কিছু? আজকাল তোমার পোস্ট না দেখলে মনে হয়, তুমি ঠিক আছো কিনা জানি না।”

নীরা পড়ে, কিন্তু উত্তর দেয় না।

এই ছেলেটার একরকম নীরব উপস্থিতি আছে নীরার জীবনে। সে ভালোবাসে, কিন্তু দাবি করে না।

একটা সময় ছিল, সাইফ ক্লাসে নীরাকে এক পলক দেখেই সারাদিন চুপ থাকত। বলতো না কিছু, কিন্তু বুঝিয়ে দিত অনেক কিছু।

এখনো তার কথায় সেই শ্রদ্ধা আছে।

নীরা সাইফকে ভালোবাসে না, কিন্তু সম্মান করে।

---

বিকেলে তানভীর হঠাৎ অফিস থেকে ফোন করে।

“আজ কি তুমি আমার সঙ্গে একটু হাঁটতে যাবে?

নীরা চমকে যায়। “তুমি তো হাঁটতে চাও না কখনো!”

তানভীর বলে, “আজ চেয়েছি। কারণ আমি বুঝেছি, তোমার পাশে থাকা মানে কেবল ঘরের চার দেয়ালে বাঁচা নয়।”

এই কথাটুকু যেন অনেক বছরের অবহেলার জবাব।

সেই রাতে তারা ছাদে গিয়ে দাঁড়ায়। হালকা বাতাস, আকাশে ভাসমান মেঘ।

তানভীর বলে, “আমি হয়তো ভুল করেছি অনেকবার। তোমাকে সময় দিইনি, বোঝার চেষ্টা করিনি। কিন্তু আমি চাই এখন থেকে শিখি, কিভাবে পাশে থাকা যায়।”

নীরার চোখে পানি আসে। সে শুধু একটা কথা বলে—

“তুমি পাশে থাকলেই হয়, বাকি সব আমি ঠিক করে নিবো।”

---

রাতে নীরা ডায়েরির শেষ পাতায় লেখে—

> “রেদোয়ান, তুমি কষ্ট পাও—জানি।

তুমি হয়তো এখনো ভালোবাসো—জানি।

কিন্তু আমি আজ জানি, তুমি আর আমার জীবনের কেউ নও।

সাইফ, তুমি শ্রদ্ধার এক নাম।

কিন্তু তানভীর, তুমি আমার সময়ের বাস্তবতা।

আর তনু আর তূর্জ—তারা আমার ভবিষ্যৎ।

অতীত আমাকে কাঁদায়, বর্তমান আমাকে গড়ায়।”

#চলবে ……

🪡গল্প-কবিতার শহর

#বাংলা_গল্প #ফেসবুক_গল্প

গল্প: “স্বপ্নে ফিরে আসে সে” পর্ব - ১২রাত তখন একটায় গড়িয়ে দুটোর দিক ছুঁই ছুঁই। বৃষ্টি থেমে গেছে, কিন্তু ছাদে টুপটাপ শব্দ ...
15/07/2025

গল্প: “স্বপ্নে ফিরে আসে সে”
পর্ব - ১২

রাত তখন একটায় গড়িয়ে দুটোর দিক ছুঁই ছুঁই। বৃষ্টি থেমে গেছে, কিন্তু ছাদে টুপটাপ শব্দ এখনো কানে বাজে। নীরা বিছানায় ঘুমোতে পারছে না। বুকের ভেতরে একটা চেপে থাকা অনুভূতি—অজানা, অজস্র, অপূর্ণ।

হঠাৎ মনে পড়ে, ক্লাউড ব্যাকআপে সে একসময় কিছু ভয়েস নোট সংরক্ষণ করে রেখেছিল। ফোনের সেটিংসে গিয়ে খুঁজে বের করতেই শুনতে পেল সেই ভয়েস ক্লিপটি—

“তুমি জানো, আমি হয়তো ভালোবাসতে জানতাম না… কিন্তু আমি তোমাকে ছাড়া কল্পনাও করতাম না, নীরা…”

রেদোয়ান।

তার কণ্ঠ, তার স্বর… এই শব্দগুলো কত বছর বাদে আজ আবার শোনা গেল, অথচ স্মৃতি কখনো পুরনো হয় না। আবার মনে পড়ল সেই বিকেল, যেখানে নীরা একা বসে কাঁদছিল রেলস্টেশনে। তখনো জানত না, রেদোয়ান আর আসবে না। সে তখন এক ধনীর মেয়েকে বিয়ে করে ফেলেছিল।

নীরা সেইদিন একা কেবল স্টেশনে অপেক্ষা করেনি—সেইদিন সে তার সমস্ত নির্ভরতা হারিয়ে ফেলেছিল।

---

সকালে নীরার ঘুম ভাঙল তনুর ডাকে।

“আম্মু, আমার রং শেষ হয়ে গেছে, স্কুলে নিয়ে যাব কী করে?”

“আম্মু, তূর্জ আমার বোতল নিয়ে নিচ্ছে!”

এই দুই কণ্ঠই যেন বাস্তবের হাতছানি। নীরা ঘুম জড়ানো চোখে জেগে উঠে পড়ে।

দুটো ছেলেমেয়ের মুখে যেন তার পৃথিবী গঠিত।

তানভীর দ্রুত অফিসের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। যাওয়ার সময় হঠাৎ থেমে বলে,

“আজ অনেকদিন পর তোমাকে একটু হাসতে দেখলাম, জানো?”

নীরা অবাক হয়ে তাকায়।

তানভীর হেসে বলে, “সকালে তোমার হাতের এক কাপ চা না খেলে কেমন যেনো অপূর্ণ থেকে যায় সারাটাদিন

তানভীর সবসময় এমন নয়। সে কখনো রোমান্টিক কিছু বলে না, ফুল আনে না, ‘ভালোবাসি’ বলেনা।

তবুও তার আচরণে এক ধরনের নির্ভরতা থাকে।

---

বাচ্চাদের স্কুলে দিয়ে ফিরে এসে নীরা বসে থাকে জানালার পাশে। হঠাৎ তার মন চায়, পুরনো ডায়েরিগুলো পড়বে।

আলমারির নিচ থেকে বের করে, পাতাগুলো উল্টাতে উল্টাতে সে দেখে এক পৃষ্ঠা যেখানে লেখা—

> “রেদোয়ান, আমি জানি, তুমি কোনোদিন আমায় ফিরে চাইবে না।

কিন্তু আমি সবসময় চাইবো, তোমার ভালো হোক।

আমি তোমাকে অভিশাপ দিইনি কোনোদিন, কেবল প্রতিদিন একটু করে মরেছি তোমার অভাবে।”

নীরা ডায়েরি বন্ধ করে। চোখ ভিজে ওঠে। কিন্তু সেই ভিজে থাকা চোখে এখন আর অপেক্ষা নেই, নেই প্রার্থনা।

শুধুই স্মৃতি।

---

একটু পর ফোনে মেসেজ আসে—সাইফ।

“তুমি আজ কি লেখনি কিছু? আজকাল তোমার পোস্ট না দেখলে মনে হয়, তুমি ঠিক আছো কিনা জানি না।”

নীরা পড়ে, কিন্তু উত্তর দেয় না।

এই ছেলেটার একরকম নীরব উপস্থিতি আছে নীরার জীবনে। সে ভালোবাসে, কিন্তু দাবি করে না।

একটা সময় ছিল, সাইফ ক্লাসে নীরাকে এক পলক দেখেই সারাদিন চুপ থাকত। বলতো না কিছু, কিন্তু বুঝিয়ে দিত অনেক কিছু।

এখনো তার কথায় সেই শ্রদ্ধা আছে।

নীরা সাইফকে ভালোবাসে না, কিন্তু সম্মান করে।

---

বিকেলে তানভীর হঠাৎ অফিস থেকে ফোন করে।

“আজ কি তুমি আমার সঙ্গে একটু হাঁটতে যাবে?

নীরা চমকে যায়। “তুমি তো হাঁটতে চাও না কখনো!”

তানভীর বলে, “আজ চেয়েছি। কারণ আমি বুঝেছি, তোমার পাশে থাকা মানে কেবল ঘরের চার দেয়ালে বাঁচা নয়।”

এই কথাটুকু যেন অনেক বছরের অবহেলার জবাব।

সেই রাতে তারা ছাদে গিয়ে দাঁড়ায়। হালকা বাতাস, আকাশে ভাসমান মেঘ।

তানভীর বলে, “আমি হয়তো ভুল করেছি অনেকবার। তোমাকে সময় দিইনি, বোঝার চেষ্টা করিনি। কিন্তু আমি চাই এখন থেকে শিখি, কিভাবে পাশে থাকা যায়।”

নীরার চোখে পানি আসে। সে শুধু একটা কথা বলে—

“তুমি পাশে থাকলেই হয়, বাকি সব আমি ঠিক করে নিবো।”

---

রাতে নীরা ডায়েরির শেষ পাতায় লেখে—

> “রেদোয়ান, তুমি কষ্ট পাও—জানি।

তুমি হয়তো এখনো ভালোবাসো—জানি।

কিন্তু আমি আজ জানি, তুমি আর আমার জীবনের কেউ নও।

সাইফ, তুমি শ্রদ্ধার এক নাম।

কিন্তু তানভীর, তুমি আমার সময়ের বাস্তবতা।

আর তনু আর তূর্জ—তারা আমার ভবিষ্যৎ।

অতীত আমাকে কাঁদায়, বর্তমান আমাকে গড়ায়।”

#চলবে .........

🪡 #গল্প-কবিতার শহর
#বাংলা_গল্প #ফেসবুক_গল্প

সন্তান যখন আপনার কোলে থাকে, যতটা পারেন আদর করেন। কিছু ভেঙে গেলেও বকা দিয়েন না,পড়তে না চাইলেও বকা দিয়েন না ।আদর করবেন শু...
14/07/2025

সন্তান যখন আপনার কোলে থাকে, যতটা পারেন আদর করেন। কিছু ভেঙে গেলেও বকা দিয়েন না,পড়তে না চাইলেও বকা দিয়েন না ।আদর করবেন শুধু।গায়ে হাত তুলবেন না কখনো। এই যে ফুটফুটে মুখটা, ছোট্ট হাতটা , একটা দিন আসবে, এই হাত আপনার হাতের নাগালের বাইরে চলে যাবে।সন্তান চিরোকাল মায়ের কাছে থাকে না। ওদেরও তো জীবন আছে, স্বপ্ন আছে। ক্যারিয়ার গড়বে।কেউ চলে যাবে অন্য দেশে, কেউ উড়ে যাবে দূরের শহরে।তখন আপনি পড়েই থাকবেন এই বাড়িতে। এক কোণে।কখনো কখনো ফোন আসবে।কথা হবে, ‘মা ভালো আছো?’ আপনি বলবেন, ‘ভালো আছি বাবা।’মনের ভেতর হাজারটা কথা জমা থাকবে, বলতে পারবেন না। কারণ ওদের যে ব্যস্ত জীবন।তখন মনে পড়বে, যখন ও ছিল আপনার কোলে,তখন কেনো যে একটু বেশী আদর করেন নাই! কেনো যে বকা দিয়েছিলেন! তখন যে মেরেছিলেন,বকা দিয়েছিলেন, তার জন্য আপনাকে কাঁদতে হবে।

কাঁদতে কাঁদতে চোখ শুকিয়ে যাবে। তবুও সন্তানকে আদর করতে পারবেননা,কারণ সে তো থাকে আপনার থেকে কোটি কোটি মাইল দূরে।সন্তানকে কখনো মারবেন না। কখনো রাগের মাথায় কটু কথা বলবেন না।শুধু দোয়া করবেন।কারণ, ৫০ বছর আগেই তো লেখা হয়ে গেছে কে কি হবে। কার জীবনে কী আছে, ভাগ্য কোথায় নিয়ে যাবে।আপনি শুধু আল্লাহর কাছে বলো —
‘হে আল্লাহ, আমার সন্তান যেন ভালো মানুষ হয়।
সুন্দর জীবন পায়। ঈমানের সাথে জীবন কাটায়।’

লেখা- সংগৃহীত

Address

Rajshahi

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when গল্প-কবিতার শহর posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share