09/09/2025
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয়ই কোনো ব্যক্তি মানুষের সামনে জান্নাতবাসীর আমল করে, অথচ সে জাহান্নামবাসীর অন্তর্ভুক্ত। আর কোনো ব্যক্তি মানুষের সামনে জাহান্নামবাসীর আমল করে, অথচ সে জান্নাতবাসীর অন্তর্ভুক্ত (তিরমিযী, হা/২১৩৭)। বুখারীর এক বর্ণনায় আরো বর্ণিত হয়েছে যে, নিশ্চয়ই আমলসমূহ তার শেষ পরিণতির উপর নির্ভরশীল (সহীহ বুখারী, হা/৬৪৯৩)।
ইবনু রজব রহিমাহুল্লাহ বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী, যা মানুষের সামনে প্রকাশিত হয়: এটি ইঙ্গিত করে যে, ভেতরের বিষয়টি বাহ্যিকতার সম্পূর্ণ বিপরীত হতে পারে। আর খারাপ পরিণতি হয় বান্দার ভেতরকার গোপন কোনো ত্রুটি ও পাপের কারণে, যা মানুষজন জানতে পারে না। সেই গোপন স্বভাবটিই মৃত্যুর সময় খারাপ পরিণতির কারণ হয়। (আমরা আল্লাহর নিকট তা থেকে আশ্রয় চাই)। অনুরূপভাবে, কোনো ব্যক্তি জাহান্নামবাসীর আমল করে, অথচ তার ভেতরে কল্যাণের কোনো গোপন গুণ থাকে। জীবনের শেষ মুহূর্তে সেই গুণটিই তার উপর প্রবল হয় এবং তার জন্য উত্তম পরিণতির কারণ হয়।
আব্দুল আযীয ইবনু আবি রাওয়াদ রহিমাহুল্লাহ বলেন, আমি জনৈক ব্যক্তির মৃত্যুর সময় তার পাশে উপস্থিত ছিলাম। তাকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর তালকীন দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু সে তার শেষ কথায় বলল, তুমি যা বলছ, আমি তা অস্বীকার করছি (আমরা আল্লাহর নিকট তা থেকে আশ্রয় চাই)। এরপর সে সেই অবস্থাতেই মারা গেল। বর্ণনাকারী বলেন, আমি তার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। জানা গেল যে, সে ছিল একজন নিয়মিত মদপানকারী। তারপর থেকে আব্দুল আযীয রহিমাহুল্লাহ বলতেন, তোমরা পাপ থেকে বেঁচে থাকো, কারণ এই পাপই তাকে এমন পরিণতির দিকে ঠেলে দিয়েছে (ইবনু রজব, জামিউল উলুমি ওয়াল হিকাম, ১/১৭২-১৭৩)।