TheDg Marketing

TheDg Marketing ডিজিটাল মার্কেটিং

গ্রাফিক ডিজাইনে ক্যারিয়ারআপনি যদি আঁকাআঁকি পছন্দ করেন, তাহলে গ্রাফিক ডিজাইনে ক্যারিয়ার গড়ার কথা একবার হলেও হয়তো ভেবেছেন।...
18/04/2023

গ্রাফিক ডিজাইনে ক্যারিয়ার
আপনি যদি আঁকাআঁকি পছন্দ করেন, তাহলে গ্রাফিক ডিজাইনে ক্যারিয়ার গড়ার কথা একবার হলেও হয়তো ভেবেছেন। ক্রিয়েটিভ এ ফিল্ডে কাজের সুযোগ অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন বেশি।

গ্রাফিক ডিজাইনকে ক্যারিয়ার হিসাবে নিতে প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য জেনে নিন আজ।

গ্রাফিক ডিজাইন কী?
গ্রাফিক ডিজাইন হচ্ছে কোনো বিষয় বা ধারণাকে একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুযায়ী ভিজ্যুয়াল কন্টেন্টের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা।

গ্রাফিক ডিজাইনার হতে কী যোগ্যতা থাকা দরকার?
গ্রাফিক ডিজাইনে সাধারণত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার চেয়ে কাজের মানের উপর জোর দেয়া হয়। তবে আপনি চাইলে নিচের বিষয়গুলোর উপর ডিগ্রি নিতে পারেনঃ

ফাইন আর্টস
মিডিয়া স্টাডিজ
আবার শুধু গ্রাফিক ডিজাইনের উপর দেশের বহু প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট কোর্স করার ব্যবস্থা রয়েছে।

প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি থাকুক বা না থাকুক, আপনার কাজের পোর্টফোলিও থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

গ্রাফিক ডিজাইনার হতে কী কী স্কিল দরকার?
আপনি যদি গ্রাফিক ডিজাইনার হিসাবে ক্যারিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে সবার আগে আপনার দরকার হবেঃ

যেকোনো ধারণাকে ডিজাইনের মাধ্যমে পরিষ্কারভাবে ফুটিয়ে তোলার দক্ষতা
সূক্ষ্ম বিষয়ে মনোযোগ দেবার ক্ষমতা
একই সময়ে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইনের উপর কাজ করতে পারা
প্রতিনিয়ত শিখতে পারার মানসিকতা ও ধৈর্য
ডিজাইন সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ের উপর আপনার কিছুটা হলেও তাত্ত্বিক ধারণা থাকা জরুরি। যেমনঃ

কালার থিওরি ও কালার প্যালেট
টাইপোগ্রাফি
ডিজাইনের সফটওয়্যারে আপনাকে অবশ্যই স্কিল বাড়িয়ে নিতে হবে। জনপ্রিয় কয়েকটি টুলের মধ্যে রয়েছেঃ

Adobe Photoshop
Adobe Illustrator
Adobe InDesign
GIMP
Inkspace
CorelDRAW
QuarkXPress
গ্রাফিক ডিজাইনারের কাজ কী?
আপনার ক্লায়েন্ট বা প্রতিষ্ঠান ঠিক কোন ধরনের ডিজাইন চাইছেন, সে ব্যাপারে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নেয়া
ডিজাইনের প্রাথমিক লেআউট বানানো
প্রজেক্টের জন্য গ্রাফিক্স বা ডিজিটাল ফটোগ্রাফি ডিজাইন করা
ক্লায়েন্ট বা প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রাথমিক ডিজাইন উপস্থাপন করা
ক্লায়েন্ট বা প্রতিষ্ঠানের ফিডব্যাক অনুযায়ী ডিজাইন এডিট করা
কাজ শেষ হবার পর ক্লায়েন্ট বা প্রতিষ্ঠানের কাছে মূল ডিজাইন জমা দেয়া
ঠিক কোন ধরনের প্রজেক্ট নিয়ে আপনাকে কাজ করতে হবে, সেটা নির্ভর করবে আপনার প্রতিষ্ঠান বা ক্লায়েন্টের উপর। যেমনঃ

লোগো
ভিজিটিং কার্ড
স্টেশনারি (উদাহরণঃ নোটবুক)
ব্রোশার ও লিফলেট
মেমো বা ভাউচার
প্রোডাক্ট প্যাকেজিং
বই, অ্যালবাম আর ম্যাগাজিনের কাভার
সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ও ব্যানার
প্রিন্ট অ্যাডভার্টাইজমেন্টের ভিজ্যুয়াল
ওয়েবসাইটে ব্যবহারের জন্য আইকন ও অন্যান্য ছবি
সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যবহারের জন্য গ্রাফিকস
অনলাইন অ্যাডের জন্য গ্রাফিকস
গ্রাফিক ডিজাইনে চাকরির বাজার ও আয়ের সুযোগ
একজন গ্রাফিক ডিজাইনার হিসাবে যেকোনো ইন্ডাস্ট্রির যেকোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ রয়েছে আপনার জন্য। তবে সাধারণত কয়েক ধরনের প্রতিষ্ঠানে এ কাজের চাহিদা বেশি। যেমনঃ

মার্কেটিং ও অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সি
মাল্টিমিডিয়া প্রোডাকশন কোম্পানি
টেলিভিশন ও ব্রডক্যাস্টিং কোম্পানি
প্রিন্টিং হাউস
প্রকাশনী সংস্থা
এন্ট্রি লেভেলে সাধারণত মাসিক বেতন ৳১০,০০০ – ৳১৫,০০০ হয়ে থাকে। বড় এজেন্সিগুলোতে সিনিয়র কোনো গ্রাফিক ডিজাইনারের সাথে আপনাকে ১ – ২ বছর কাজ করতে হতে পারে। ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হতে পারবেন। সেক্ষেত্রে বেতন লক্ষ টাকার উপরে হবে। অবশ্য এর জন্য ১০ – ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা দরকার হয়।

আপনি চাইলে ওয়েব ডিজাইনের কাজ শিখে ইউজার এক্সপেরিয়েন্স (UX) বা ইউজার ইন্টারফেস (UI) ডিজাইনার হিসাবেও কাজ করার সুযোগ বানিয়ে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে আয় তুলনামূলকভাবে বেশি।

গ্রাফিক ডিজাইনে ফ্রিল্যান্সিং ও আয়ের সুযোগ
আপনি যদি অধিকাংশ সময় নিজে নিজে কাজ করা পছন্দ করেন, তাহলে গ্রাফিক ডিজাইনে ফ্রিল্যান্সিং করার কথা বিবেচনা করতে পারেন। এক্ষেত্রে কাজ বাছাই করার স্বাধীনতা পাবেন।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয়ের পরিমাণ নির্দিষ্ট নয়। বিশেষ করে শুরুর দিকে কাজ পাওয়া কঠিন হয় বলে অনেকে কম পারিশ্রমিকে কাজ নেন। আপনার জন্য পরামর্শ হলো, ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলোতে অ্যাকাউন্ট খোলার আগেই ভালোভাবে কাজ শিখুন আর পোর্টফোলিও বানিয়ে নিন। তাহলে কাজ পাওয়া যেমন তুলনামূলকভাবে সহজ হবে, তেমনি ভালো পরিমাণ পারিশ্রমিকও দাবি করতে পারবেন।

গ্রাফিক ডিজাইন ক্যারিয়ার নিয়ে আপনি কী ভাবছেন?
প্রতিযোগিতামূলক এ ফিল্ডে নিজেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করার বিকল্প নেই। কিন্তু ভালো স্কিল আর পোর্টফোলিও থাকলে আপনি খুব চমৎকার একটি ক্যারিয়ার বানাতে পারবেন গ্রাফিক ডিজাইনের উপর। কীভাবে কী করবেন? সিদ্ধান্তটা আপনার উপর!

এসইও কী?সার্চ ইঞ্জিনে আমরা যখন কোন কিছুর খোঁজ করি, তখন ফলাফলের একটি তালিকা দেখানো হয়। অধিকাংশ সময় তালিকার উপরের লিংকগুলো...
10/04/2023

এসইও কী?
সার্চ ইঞ্জিনে আমরা যখন কোন কিছুর খোঁজ করি, তখন ফলাফলের একটি তালিকা দেখানো হয়। অধিকাংশ সময় তালিকার উপরের লিংকগুলোর দিকে আমাদের মনোযোগ যায়। সেগুলোতে ক্লিক করার সম্ভাবনাও থাকে বেশি। অবশ্য এসব লিংকের মধ্যে কয়েকটি হতে পারে বিজ্ঞাপন। বাকিগুলো সাধারণ লিংক।

কোনো প্রকার বিজ্ঞাপন ব্যবহার না করে সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলে কোনো ওয়েবসাইট, অ্যাপ্লিকেশন ও কন্টেন্টের র‍্যাঙ্কিং ভালো করার সামগ্রিক প্রক্রিয়াকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization) বা এসইও (SEO) বলা হয়। উল্লেখ্য যে, যিনি এ অপটিমাইজেশনের কাজ করেন, তিনিও একজন এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার হিসাবে পরিচিত। অর্থাৎ, এক্ষেত্রে কাজ আর কাজির একই নাম!
এসইও বলতে অনেকে বোঝেন সার্চ ইঞ্জিনে বিজ্ঞাপন দেয়া। কিন্তু ব্যাপারটা তা নয়। এসইওর মূল উদ্দেশ্য হলো, সার্চ ফলাফলে আপনার ওয়েবসাইট বা কন্টেন্টের র‍্যাঙ্কিং এমনভাবে বাড়ানো যেন সঠিক ইউজাররা তা খুঁজে পেয়ে আপনার সাইটে চলে আসে। অর্থাৎ, অর্গানিক সার্চ ফলাফলের (Organic Search Results) যথাসম্ভব উপরের দিকে জায়গা করে নেয়া। অন্যদিকে সার্চ ইঞ্জিনে সরাসরি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রোডাক্ট, সার্ভিস ও ওয়েবসাইটের প্রচারণা চালানোকে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (Search Engine Marketing) বা এসইএম (SEM) বলে। ফলাফলের পেইজে “বিজ্ঞাপন” বা “Ad” ট্যাগ লাগানো থাকে এমন লিংকে। তবে সার্চ র‍্যাঙ্কিংয়ের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
এসইওর মাধ্যমে রাতারাতি সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলে পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। এর জন্য দরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও কৌশল। আপনার টার্গেট অডিয়েন্স বা কাস্টমারদের প্রয়োজন অনুযায়ী সে পরিকল্পনা আর কৌশলে নিয়মিত পরিবর্তন নিয়ে আসবেন আপনি।

এসইও কেন গুরুত্বপূর্ণ?
ধরা যাক, আপনি মোবাইল ফোন বিক্রি করেন। আপনি চান যে, মানুষ ইন্টারনেটে ফোন কেনার জন্য সার্চ করলে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে জানুক। কিন্তু অন্যান্য ফোন বিক্রেতাও একই জিনিস চান। সেক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলে কার ব্যবসার ব্যাপারে ইউজাররা আগে জানবেন, সেটা একটা প্রতিযোগিতার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এ প্রতিযোগিতায় অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকার জন্য এসইও হতে পারে খুব ভালো একটি উপায়।

এসইও গুরুত্বপূর্ণ হবার কারণ হলো, এর মাধ্যমে:

তুলনামূলকভাবে কম বিনিয়োগ করেও দীর্ঘ মেয়াদে প্রোডাক্ট, সার্ভিস বা প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা চালাতে পারবেন,
সম্ভাব্য কাস্টমারদের আস্থা অর্জন করা সহজ হয়,
ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়াতে পারবেন।

এসইও (SEO) গাইড: বিগিনারদের জন্যইন্টারনেটে তথ্য খোঁজার যে প্রবণতা আপনার-আমার-সবার মধ্যে রয়েছে, সেখান থেকে গড়ে উঠেছে মা...
10/04/2023

এসইও (SEO) গাইড: বিগিনারদের জন্য

ইন্টারনেটে তথ্য খোঁজার যে প্রবণতা আপনার-আমার-সবার মধ্যে রয়েছে, সেখান থেকে গড়ে উঠেছে মার্কেটিংয়ের পুরো একটি সাবইন্ডাস্ট্রি। গালভরা ভাষায় এটি এসইও (SEO) নামে পরিচিত। আপনি হয়তো এর উপর কাজ করতে চাইলেও শুরুটা কোথায় করবেন, তা বুঝতে পারছেন না। এ গাইড থেকে ধাপে ধাপে জেনে নিন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের গুরুত্বপূর্ণ আর প্রাথমিক সব বিষয় সম্পর্কে। এরপর নিজে থেকে এ বিষয়গুলো নিয়ে আরো ভালোভাবে শেখার চেষ্টা করতে পারবেন।
কাদের জন্য এসইও শেখার এ গাইড কাজে দেবে?
এ গাইড আপনার জন্য, যদি আপনি:

ডিজিটাল মার্কেটার হবার ট্রেনিং নিতে চান।
এসইও নিয়ে প্রাথমিক ধারণা পেতে চান।
এসইওর মাধ্যমে নিজের অনলাইন ব্যবসা, প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের কাস্টমার বাড়াতে চান।
এসইও শেখার এ গাইড কীভাবে আপনাকে সাহায্য করবে?
এ গাইড পড়ার পর আপনি:

জানবেন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কী ও কেন গুরুত্বপূর্ণ।
জানবেন সার্চ ইঞ্জিনগুলো সাধারণত কীভাবে কাজ করে।
মানসম্মত বা কোয়ালিটি কন্টেন্ট তৈরির প্রাথমিক পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করতে পারবেন।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের টেকনিক্যাল কয়েকটি পদ্ধতি প্রয়োগ করতে শিখবেন।
অন্য ওয়েবসাইট থেকে লিংক অর্জনের উপায় সম্পর্কে জানবেন।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের উপর কীভাবে আরো কাজ করা যায়, তা নিয়ে পরিষ্কার ধারণা পাবেন।
আপনি কি প্রস্তুত? শুরু করা যাক তাহলে!

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে নতুনদের জন্য পরামর্শশিখতে নতুনদের জন্য পরামর্শ:কী কারণে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান – চাকরির জন্...
09/04/2023

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে নতুনদের জন্য পরামর্শ

শিখতে নতুনদের জন্য পরামর্শ:
কী কারণে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান – চাকরির জন্য নাকি ব্যবসার জন্য নাকি ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য, সেটা ঠিক করুন।
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কী কী শিখতে হয়, সে ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা নিন।
কোন ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং দিয়ে শুরু করবেন, তা ঠিক করুন।
নিজে নিজে শিখবেন নাকি কোনো ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করবেন, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিন।
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য আপনি আসলেই সময় দিতে পারবেন কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হোন।
ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে নিজেকে আপডেটেড রাখুন।
কী কারণে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান – চাকরির জন্য নাকি ব্যবসার জন্য নাকি ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য, সেটা ঠিক করুন।
একেক জায়গায় ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কাজ আর শেখার সুযোগ একেক রকম। আপনার উদ্দেশ্য অনুযায়ী তাই শেখার ধরনও আলাদা হবে।

আপনি যদি নিজের ব্যবসার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং করতে চান, তাহলে আপনার এক্সপেরিমেন্ট করার স্বাধীনতা বেশি থাকে। তাই কোনো স্কিল একবারে আয়ত্ত না করলেও চলে। দরকার অনুযায়ী নিজের স্কিল ডেভেলপ করতে পারবেন।

আবার ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে আপনাকে খুব নির্দিষ্ট প্রজেক্টে ফোকাস করতে হয়। ভুল করলে সেটা তাৎক্ষণিকভাবে ইনকাম কমিয়ে দিতে পারে। তাই নির্দিষ্ট স্কিল ভালোভাবে আয়ত্ত করে তবেই অন্য স্কিলে সময় দেয়া উচিত।

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কী কী শিখতে হয়, সে ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা নিন।
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কী কী শেখা দরকার, সে ব্যাপারে একদমই জানা না থাকলে স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য সময় বেশি লাগবে। আবার কোন স্কিল কতটুকু আয়ত্ত করা যথেষ্ট, সেটাও জানা জরুরি।

কোন ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং দিয়ে শুরু করবেন, তা ঠিক করুন।
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সব কাজ আপনি একবারে শিখতে পারবেন না। আবার একেক কাজ থেকে ইনকামের সুযোগও আলাদা। তাই যে ক্যাটাগরির স্কিল সবচেয়ে কম সময়ে আয়ত্ত করে ইনকাম নিশ্চিত করতে পারবেন, সে ক্যাটাগরি দিয়েই শুরু করুন।

নিজে নিজে শিখবেন নাকি কোনো ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করবেন, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিন।
আপনাকেই ঠিক করতে হবে কীভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখলে আপনার সুবিধা হবে। নিজে নিজে শিখলে হয়তো টাকা খরচ করতে হবে না তেমন। কিন্তু লার্নিং ম্যাটেরিয়াল নিয়ে অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করতে হবে। আবার কোর্স করলে সময়ে বাঁচলেও খরচের ব্যাপার আছে। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার আগে নিজের পরিস্থিতি নিয়ে ভাবুন।

ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য আপনি আসলেই সময় দিতে পারবেন কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হোন।
নিজে নিজে শিখুন বা কোর্স করুন, আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের উপর নিয়মিত সময় দিতে হবে। অন্তত প্রথম কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আয়ত্ত করতে হবে। তাই প্রতিদিন যদি কমপক্ষে ২-৩ ঘণ্টা সময় ম্যানেজ করতে না পারেন, তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা কঠিন হয়ে যাবে আপনার জন্য।

ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে নিজেকে আপডেটেড রাখুন।
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে সাফল্য পাবার উপায় নিয়ে আপনাকে প্রতিনিয়ত ভাবতে হবে। সারা বিশ্বের কোম্পানি আর ব্র্যান্ডগুলো কীভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং কাজে লাগাচ্ছে, সেটা জানা থাকলে আপনার প্রোমোশনে নতুনত্ব নিয়ে আসতে পারবেন। তাই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ব্লগ, ভিডিও, সেমিনার, কেস স্টাডিসহ বিভিন্ন রিসোর্স নিয়মিত ব্যবহার করুন।

ডিজিটাল মার্কেটিং গাইড: বিগিনারদের জন্যআপনার ডিজিটাল মার্কেটিং জার্নি শুরু করার জন্য সম্পূর্ণ গাইডলাইন এটি। এ গাইডলাইন থ...
09/04/2023

ডিজিটাল মার্কেটিং গাইড: বিগিনারদের জন্য

আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং জার্নি শুরু করার জন্য সম্পূর্ণ গাইডলাইন এটি। এ গাইডলাইন থেকে আপনি:

ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত সবচেয়ে বেসিক ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো পাবেন
ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে আয় করার উপায় জানবেন
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় নিয়ে ধারণা পাবেন
আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে একেবারে নতুন হয়ে থাকেন, তাহলে কিছু পরামর্শও থাকবে আপনার জন্য।

তাহলে শুরু করা যাক।

ফেসবুক পেইজ গুরুত্বপূর্ণ কেন? আপনি যদি ফেসবুকে মার্কেটিং করতে চান, তাহলে আপনার বিজনেস পেইজ থাকা জরুরি। কিন্তু কী কারণে? ...
09/04/2023

ফেসবুক পেইজ গুরুত্বপূর্ণ কেন?

আপনি যদি ফেসবুকে মার্কেটিং করতে চান, তাহলে আপনার বিজনেস পেইজ থাকা জরুরি। কিন্তু কী কারণে? জেনে নিন এ ভিডিওতে। আপনার সুবিধার্থে ভিডিওর নিচে মূল পয়েন্টগুলো যোগ করে দিয়েছি আমরা।

ধরুন, আপনার অরিগ্যামির (Origami) শখ আছে। বা আপনি গান গাইতে ভালোবাসেন। বা রান্না করতে পছন্দ করেন। অথবা ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ আপনার। এসব শখ সবার সাথে শেয়ার করতে চাইছেন। কীভাবে গান করেন বা রান্না করেন বা অরিগ্যামি বানান, তা দেখাতে চাইছেন। কিন্তু সবাইকে তো আর ফ্রেন্ড লিস্টে রাখতে পারবেন না। লিমিট ৫০০০। আবার যত্রতত্র সবাইকে ফেসবুক ফ্রেন্ড লিস্টে রাখতে চাইছেনও না।

তাহলে সবচেয়ে সহজ উপায় কী?

একটা ফেসবুক পেইজ খুলে সেখানে এসব নিয়ে পোস্ট দেয়া। সে পেইজে ছবি-ভিডিও আপলোড করলে তা সবাই দেখতে পাবেন, আপনাকে তাদের মতামত জানাতে পারবেন, তাদের ভালো লাগা বা মন্দ লাগাও জানাতে পারবেন।

ফেসবুক সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
প্রতিদিন ইউজাররা ৪.৭৫ বিলিয়ন আইটেম শেয়ার করছেন।
প্রতিদিন ৩৫০ মিলিয়ন ফটো আপলোড হচ্ছে।
প্রতিদিন ১০০ মিলিয়ন ঘণ্টার ভিডিও দেখা হচ্ছে ফেসবুকে।
৬০ মিলিয়ন স্ট্যাটাস আপডেট করা হয় প্রতিদিন।
প্রতিদিন ফেসবুক সাইট বা অ্যাপে গড়ে ৮ বার করে ঢোকা হয়।
প্রতিদিন গড়ে ৪০ মিনিট সময় আমরা দিই ফেসবুকে।
৪০ মিলিয়ন বাংলাদেশি ইউজার রয়েছেন ফেসবুকে।
ফেসবুক পেইজ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
একজন ফেসবুক ইউজার গড়ে ৭০টা পেইজ লাইক করে বা ফলো করেন।
৭০ মিলিয়ন অ্যাক্টিভ বিজনেস পেইজ আছে ফেসবুকে।
প্রায় ৫০ হাজার অ্যাক্টিভ বাংলাদেশি বিজনেস পেইজ আছে।
৩৯% ইউজার বলেন যে, কোনো বিশেষ অফার পাবার জন্য তারা ফেসবুক পেইজ ফলো করেন।
ফেসবুক প্রোফাইল ও পেইজের মধ্যে পার্থক্য কী?
ফেসবুক প্রোফাইল ফেসবুকে আপনার একটি ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট। এখানে আপনি আপনার নিজের বা পরিবার ও বন্ধুবান্ধব সম্পর্কে কথাবার্তা বলেন। সাথে ব্যক্তিগত আপডেট শেয়ার করেন। আপনার যদি কোনো ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান নিয়ে আগ্রহ থাকে, সেসবের আপডেট থাকতে পারে সেখানে। প্রোফাইলের এসব আপডেট আপনার ফ্রেন্ড লিস্টের লোকজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। আবার আপনি ৫০০০ জনের বেশি ফ্রেন্ড রাখতেও পারবেন না লিস্টে।

অন্যদিকে পেইজের রীচ অনেক বেশি। যারা আপনার পেইজে লাইক দেবেন এবং ফলো করবেন – সবাই আপনার আপডেট পাবেন। লাখ-লাখ, মিলিয়ন-মিলিয়ন রীচ হওয়াও সম্ভব এখানে। পেইজের মাধ্যমে লোকে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে জানবে।

যেকোনো কিছু সম্পর্কে ফেসবুক পেইজ রয়েছে। যেমন, বিখ্যাত লেখক থেকে শুরু করে বুটিক শপ।

ফেসবুক পেইজ দিয়ে কী কী করা যায়?
যারা পেইজে লাইক দেবেন, তাদের সাথে কানেক্ট হতে পারবেন ও ব্যবসা সম্পর্কিত তথ্য শেয়ার করতে পারবেন। তাদের সাথে বিভিন্ন পোস্ট শেয়ার করতে পারবেন।
নিজের পেইজ থেকে কমেন্ট করতে পারবেন।
কেউ পেইজের ইনবক্সে মেসেজ পাঠালে উত্তর দিতে পারবেন।
আপনার প্রোডাক্ট শোকেস করতে পারবেন। প্রোডাক্টের দাম ও অফার জানাতে পারবেন কাস্টমারদেরকে। প্রোডাক্ট অর্ডার নিতে পারবেন।
চাকরির বিজ্ঞপ্তি দিতে পারবেন।
পেইজ থেকে অ্যাডভার্টাইজিং ক্যাম্পেইনও রান করতে পারবেন।
পেইজের ইউজার ও ফলোয়ারদের সম্পর্কে ডেটা পাবেন। যেমন, তারা পেইজে এসে কী কী করেন বা কোন বিষয়ে তাদের আগ্রহ রয়েছে।
ব্যবসার শুরুর দিকে ওয়েবসাইট বানানো ও চালানো সম্ভব নাও হতে পারে অনেকের জন্য। এক্ষেত্রে ফেসবুক পেইজ বিনা মূল্যে ব্যবহার করে ব্যবসার প্রসারে কাজে লাগানো সম্ভব।

ফেসবুক পেইজ মনিটাইজ করার সহজ উপায় ২০২২ফেসবুক পেইজ মনিটাইজ (page Monetization) করে ইউটিউবের চেয়ে বেশি অর্থোপার্...
08/04/2023

ফেসবুক পেইজ মনিটাইজ করার সহজ উপায় ২০২২

ফেসবুক পেইজ মনিটাইজ (page Monetization) করে ইউটিউবের চেয়ে বেশি অর্থোপার্জন করা যায়। ইউটিউব ক্রিয়েটরদের যত শতাংশ পেমেন্ট করেন তার চেয়ে বেশি ফেসবুকে পেমেন্ট করে থাকেন। বলা যায় ইউটিউবের চেয়ে ফেসবুকের শর্ত অনেক সহজ। অপর দিকে ফেসবুকের ভিডিও মার্কেটিংয়ের একাধিক উপায় থাকায় সহজে ফেসবুক পেইজ মনিটাইজেশন পাওয়া যায়।

সহজ বলতে বিষয়টা এমন না যে, আপনি একটা পেইজ তৈরি করলেন আর ফেসবুক পেইজ মনিটাইজেশন (page Monetization) দিয়ে দিল৷ আসলে পৃথিবীতে অথোপার্জনের কোনো উপায় সহজ নয়। তবে যারা চেষ্টা করে তারা যা ইচ্ছে তা করে উপার্জন করতে পারেন।

ফেসবুক পেইজ মনিটাইজেশন (page Monetization) করার পদ্ধতি:
আপনার ফেসবুক পেজটি মনিটাইজেশন এর জন্য এভেলেবেল আছে কিনা সেটি সেট করতে হবে। আপনি যখন শর্ত নিয়ে চিন্তা করবেন, তখন হাজার হাজার শর্ত খোঁজে পাবেন। শর্ত তারাই খোঁজেন যারা কাজের জন্য অযোগ্য। সুতরাং আপনি যদি ক্রিয়েটিভ এবং পরিশ্রমী হয়ে থাকেন, তাহলে সাধারণ কয়েকটি শর্ত পূরণ করে আপনি ফেসবুক থেকে আয় করতে পারেন। চলুন আলোচনা করা যাক, ফেসবুক পেইজ মরিটাইজেশন করার জন্য আপনাকে কাজ করতে হবে তা নিয়ে।
১। 10000 ফলোয়ার সংগ্রহ করা:
ফেসবুকের দেওয়া শর্তানুযায়ী আপনাকে প্রথমে দশ হাজার ফলোয়ার সংগ্রহ করতে হবে। আপনার পেইজে যদি দশ হাজার ফলোয়ার হয়ে যায় তাহলে আপনি ফেসবুক পেইজ মনিটাইজেশন (page Monetization) পাবেন। তবে দশ হাজার ফলোয়ার ছাড়াও আপনাকে আরও কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। সবার জন্য প্রথম দশ হাজার ফলোয়ার সংগ্রহ করার কাজটা খুবই কঠিন হয়ে থাকে। এজন্যই অনেকেই এই কাজে ব্যর্থ হয়ে থাকে। প্রকৃতপক্ষে আপনি যদি একটু কৌশল অনুসরণ করতে পারেন, তাহলে এটা একদম কঠিন কাজ নয়।

ফলোয়ার পাওয়ার জন্য আপনাকে ফেসবুক মার্কেটিংয়ের বেসিক শিখতে হবে। আপনি যদি বেসিক মার্কেটিং শিখে যান, তাহলে সহজে দশ হাজার ফলোয়ার সংগ্রহ করতে পারবেন। কোয়ালিটি কন্টেন্ট হচ্ছে ফেসবুক মার্কেটিংয়ের পাওয়ার। ফেসবুকে আপনি প্রতিদিন ছোট ছোট কিছু কন্টেন্ট বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে শেয়ার করতে পারেন। গ্রুপ হয়ে দশ হাজার ফলোয়ার সংগ্রহ করার উপযুক্ত প্লাটফর্ম।
২। নিয়মিত ভিডিও কন্টেন্ট আপলোড করা:
একটু আগেই বলেছিলাম। কন্টেন্ট হচ্ছে অনলাইন জগতে রাজত্ব করার মূল শক্তি। আপনি যত ভালো কন্টেন্ট তৈরি করতে পারবেন ততই দ্রুত আপনি সফলতা পাবেন। ফেসবুক পেইজ মনিটাইজেশন (page Monetization) করতে চাইলে আপনাকে তিন মিনিট বা তিন মিনিটের থেকে বড় ভিডিও আপলোড করতে হবে। তিন মিনিটের চেয়ে ছোট ভিডিওগুলোর ভিউ গণনা করা হবে না। সুতরাং ভিডিও ভিউ বৃদ্ধি করতে ও বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য উপযুক্ত করতে প্রতিটি ভিডিও তিন মিনিটের চেয়ে বড় হতে হবে।
৩। 3 মাসের মধ্যে 600,000 মিনিট ভিডিও দেখতে হবে:
আপনি যে ভিডিও কন্টেন্ট আপলোড করবেন সেগুলো যখন ভিউয়াররা দেখবে, তখন ভিডিও ওয়াচ টাইম গণনা করা হবে। এক মিনিটের কম সময় দেখা ভিডিওর ওয়াচ টাইম গণনা করা হবে না। যে ভিউয়ার কোনো ভিডিও এক মিনিটের বেশি সময় ধরে দেখবে শুধুমাত্র তার ওয়াচ টাইম গণনা করা হবে। এভাবে আপনাকে ৩ মাসের মধ্যে 600,000 মিনিট ওয়াচ টাইম সংগ্রহ করতে হবে। এভাবেই আপনাকে ফেসবুক পেইজ মনিটাইজেশন করতে চাইলে শর্ত সমূহ পূরণ করতে হবে।

কিভাবে বুঝবেন page Monetization এর সকল শর্ত পূরণ করেছেন কি-না?
এটা একদম সহজ। আপনি যখন ফেসবুক ক্রিয়েটর পেইজে যাবেন, তখন সবকিছুর এনালাইটিকস দেখতে পাবেন। আপনার সকল বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন হলে অটোমেটিক ফেসবুক আপনাকে মনিটাইজেশন সেট-আপ করার মেসেজ দিবে। ফেসবুকের কাছ থেকে জানানো হলেই আপনি ফেসবুক পেইজ মনিটাইজেশন করে অর্থোপার্জন করতে পারবেন।

কিভাবে উপার্জিত টাকা হাতে পাবেন?
বর্তমানে একাধিক উপায়ে ফেসবুক ক্রিয়েটরদের টাকা প্রদান করে যাচ্ছে। আপনি নিজের দেশের যেকোনো লোকাল বা জাতীয় ব্যাংকের মাধ্যমে উপার্জিত টাকা উঠাতে পারবেন। এ বিষয়ে আরো জানার থাকলে কমেন্ট করতে থাকুন, আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে।

ফেসবুক পেজ মনিটাইজ করার উপায়বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এখন শুধু যোগাযোগের জন্যই ব্যবহৃত হয় এমন ...
08/04/2023

ফেসবুক পেজ মনিটাইজ করার উপায়

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এখন শুধু যোগাযোগের জন্যই ব্যবহৃত হয় এমন নয়। ফেসবুক থেকে নানাভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়। বিভিন্ন কনটেন্ট তৈরি করে সেটি আপলোড দিলে ভিউ-এর ওপর ভিত্তি করে ফেসবুক টাকা দেয়। তবে এজন্য অবশ্যই ফেসবুকের পেজ মনিটাইজ হতে হবে।
মূলত মনিটাইজ করার অর্থ হচ্ছে, আপনার পেজটি ফেসবুক নিয়মিত দেখাশোনা করবে। সেই সঙ্গে আপনাকে ফেসবুকের শর্ত মেনে পেজ চালাতে হবে। পেজের পোস্ট থেকে শুরু করে কনটেন্ট আপলোড সব কিছু কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড মেনে করতে হবে। এটি অনেক ঝামেলার মনে হলেও মনিটাইজ পেজে আয় হবে অনেক বেশি।

পেজ মনিটাইজ করতে যে শর্ত পূরণ করতে হয়

* যে পেজটি মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করবেন শর্তানুযায়ী প্রথমে সেই পেজে ১০ হাজার ফলোয়ার সংগ্রহ করতে হবে। ১০ হাজার ফলোয়ার হয়ে গেলেই আপনি ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

* নিয়মিত ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করতে হবে। ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন করতে চাইলে আপনাকে তিন মিনিট বা তিন মিনিটের থেকে বড় ভিডিও আপলোড করতে হবে। তিন মিনিটের চেয়ে ছোট ভিডিওগুলোর ভিউ গণনা করা হয় না। সুতরাং ভিডিও ভিউ বাড়াতে ও বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য প্রতিটি ভিডিও কমপক্ষে তিন মিনিটের হতে হবে।

* ৩ মাসের মধ্যে ৩০ হাজার মিনিট ভিডিও দেখতে হবে আপনাকে। এক মিনিটের কম সময় দেখা ভিডিওর ওয়াচ টাইম গণনা করা হয় না। যে ভিউয়ার কোনো ভিডিও এক মিনিটের বেশি সময় ধরে দেখবে শুধু তার ওয়াচ টাইম গণনা করা হয়। এভাবে আপনাকে ৩ মাসের মধ্যে ৩০ হাজার মিনিট ওয়াচ টাইম সংগ্রহ করতে হবে।

* যে কনটেন্ট আপলোড করছেন সেটি অবশ্যই ফেসবুকের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী হতে হবে।

যেভাবে পেজ মনিটাইজ করার আবেদন করবেন-

* প্রথমে ফেসবুক পেজের হোমে গিয়ে সেখানে মনিটাইজ অপশন দেখতে পাবেন। মনিটাইজে ক্লিক করে পেজটি মনিটাইজ করার যোগ্য কিনা তা দেখে নিন।

* পেজটি যদি মনিটাইজ করার যোগ্য হয়, তাহলে পাশের সবুজ বৃত্তটি বড় করে দেখাবে এবং লেখা থাকবে
Congratulations! Your Page is read to earn money.

* যদি আপনার পেজে সামান্য কিছু সমস্যা থাকে, তাহলে পাশে থাকা হলুদ বৃত্তটি বড় করে দেখাবে। সেই সঙ্গে যদি আপনার পেজটি কোনোভাবেই মনিটাইজের জন্য প্রস্তুত না থাকে, তবে পাশে থাকা লাল চিহ্নটি বড় করে দেখাবে।

* এরপর আপনাকে আরও কিছু ধাপ পার করতে হবে। সেখানে আপনার ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য দিতে হবে। নাম, ঠিকানা, ই-মেইলের ঠিকানাসহ আরও কিছু তথ্য। পুরো প্রক্রিয়া শেষ হলে আপনার পেজ মনিটাইজ হবে ফেসবুকের দ্বারা।

ফেসবুক মার্কেটিং কি? কিভাবে করবেন ফেসবুক মার্কেটিং?সময়ের সাথে সাথে সবকিছুই পরিবর্তনশীল। কার্ড, লিফলেট, পোস্টার, রেডিও টি...
08/04/2023

ফেসবুক মার্কেটিং কি? কিভাবে করবেন ফেসবুক মার্কেটিং?

সময়ের সাথে সাথে সবকিছুই পরিবর্তনশীল। কার্ড, লিফলেট, পোস্টার, রেডিও টিভিতে বিজ্ঞাপন থেকে আজকের পৃথিবী ডিজিটাল মার্কেটিং এর দিকে ধাবিত হয়েছে। তারাই এগিয়ে থাকে যারা সময়ের চাহিদা অনুযায়ী নিজেদের উন্নতির ধারা অব্যাহত রাখে। তেমনি বর্তমান ডিজিটাল পৃথিবীতে ফেসবুক মার্কেটিং বিষয়ে সম্যক ধারণা থাকা খুবই প্রয়োজনীয় একটি দক্ষতা।

যেকোন ধরণের ছোট-বড় ব্যবসার উন্নতির জন্য বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ফেসবুক মার্কেটিং। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় আটকোটি লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। তারমধ্যে ফেসবুক ব্যবহার করে প্রায় তিনকোটি আশি লাখ। তাই এই সময়ের মার্কেটিং তথা ব্যবসা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অন্যতম মাধ্যম হলো ফেসবুক মার্কেটিং।

শুরুর দিকে ফেসবুক মার্কেটিং ধীরগতিতে চালু হলেও বর্তমানে তা ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেছে। ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে বর্তমানে প্রচুর ছোট-বড় প্রতিষ্ঠান সাফল্যের সাথে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছে।

আজকের আলোচনা- ফেসবুক মার্কেটিং কি? ফেসবুক মার্কেটিং কিভাবে করা হয়? ফেসবুক মার্কেটিং কেন জরুরী? ফেসবুক মার্কেটিং থেকে কিভাবে সর্বোচ্চ পরিমাণ আয় করা যায় তা আলোকপাত করা হবে।

ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে জানার আগে আমাদের ডিজিটাল মার্কের্টিং সম্পর্কে জানতে হবে। অন্যথায় এটা শুধু একমুখী আলোচনা হয়ে থাকবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং/ অনলাইন মার্কেটিং/ ইন্টারনেট মার্কেটিং যেটাই বলে থাকি, অনলাইন এর মাধ্যমে যেকোন কোম্পানী বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রচার-প্রচারণা, প্রসার ও সর্বোচ্চ পরিমাণে মানুষের সাথে যোগাযোগ এবং পণ্য বিক্রি করার জন্য যে মাধ্যম ব্যবহার করা হয় তাই ডিজিটাল মার্কেটিং। যেমন ফেসবুক, ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার, ব্লগ, ইমেল ইত্যাদি।

এখন আমরা জানবো ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে।


ফেসবুক মার্কেটিং কি?
ফেসবুক মার্কেটিং হলো এমন একটি যোগাযোগ মাধ্যম যার দ্বারা ব্যবসার পণ্য এবং সেবার ব্যাপারে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে জানান দেয়া হয়ে থাকে। ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে বেশি সংখ্যক লোকের কাছে পণ্য সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয় এবং বেশি পরিমাণ পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করা হয়।


ফেসবুক মার্কেটিং কত প্রকার?
ফেসবুক মার্কেটিং সাধারণত ২ প্রকারে হয়ে থাকে। আর তা হলো ফ্রি ফেসবুক মার্কের্টিং এবং পেইড ফেসবুক মার্কের্টিং। ব্যবসার ধরণ অনুযায়ী ফ্রি এবং পেইড ফেসবুক মার্কের্টিং ব্যবহার করা হয়।


ফ্রি ফেসবুক মার্কের্টিং
সোজা কথায় বলা যায়, যে মার্কেটিং এর কোন পর্যায়ে অর্থ ব্যয় করতে হয় না তাই ফ্রি মার্কেটিং। অনলাইন তথা ডিজিটাল মার্কেটিং এ কোন অর্থব্যয় ছাড়া মার্কেটিং করা যায়। তারই ধারাবহিকতায় ফেসবুক মার্কেটিংও ফ্রি হয়ে থাকে। সেখানে ব্যবসা বা সেবা প্রদানের জন্য নির্দিষ্ট কিছু পন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং হয়ে থাকে। তাই বলা যায়, বিনা অর্থ ব্যয়ে ফেসবুকে যে মার্কেটিং করা হয় তাই ফ্রি ফেসবুক মার্কের্টিং। উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টা আরো সহজ হয়ে যাবে।

প্রথমে আমরা একটা ফেসবুক পেজ খুলতে পারি। প্রতিষ্ঠানের ধরণ অনুযায়ী পেজ এর নাম, কভার পিকচার, প্রোপাইল পিকচার দিয়ে সাজাতে পারি। তারপর যে পণ্য বিক্রি করতে চাই তার পরিপূর্ণ তথ্য দিয়ে পোস্ট দিতে পারি। সেটা ইমেজ আকারেও হতে পারে। অতপর আমাদের পরিচিত সবাইকে এই পেজ ফলো করার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে পারি। তারপর ফেসবুক পেজ এর পোস্টগুলো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে পারি। আমাদের পরিচিত ফেসবুক বন্ধুদেরকে শেয়ার দেয়ার জন্য অনুরোধ করতে পারি। এই প্রক্রিয়া অনুসরণের মাধ্যমে আমরা অধিক সংখ্যক লোকের কাছে আমাদের পণ্যের প্রচার বাড়াতে পারি কোন ধরণের অর্থ ব্যয় করা ছাড়াই। ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ এ যোগদান করে আমাদের পেজ ও পণ্যের পোস্ট দিতে পারি। আর এটাই হলো ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং।


পেইড ফেসবুক মার্কেটিং
সাধারণত ফেসবুক নিউজ ফিডে যে পোস্টগুলো স্পনসরড লেখা থাকে সে সব পোস্টই হলো পেইড ফেসবুক মার্কেটিং। ছোট বড় সকল ব্যবসার প্রতিষ্ঠান এই মার্কেটিং ব্যবহার করে কাঙ্ক্ষিত গ্রাহকের কাছে পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পারে।

এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ব্যয়ের মাধ্যমে ফেসবুক এ মার্কেটিং করার নাম হলো পেইড ফেসবুক মার্কেটিং।

পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে একেবারে সিলেক্টিভ গ্রাহকের কাছে পৌছনো সম্ভব। যদি আমরা চাই আমাদের পণ্য শুধুমাত্র ঢাকা শহরের উত্তরায় বসবাসকারী নারী অথবা পুরুষরা দেখতে পাবে, পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে এটা সম্ভব। পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এর জন্য ফেসবুক পেজ এবং পোস্টকে প্রমোট করা হয়। ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে অর্থ প্রদানের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন আকারে পেজ এবং পোস্ট নির্ধারিত গ্রাহকের কাছে উপস্থাপন করে ফেসবুক। এটি ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে সম্ভব হয় না।


ফেসবুক মার্কেটিং করার নিয়ম
প্রত্যেক বিষয়ে সবচেয়ে বেশি ও ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করা দরকার। অন্যথায় কাঙ্ক্ষিত ফলাফল লাভ করা সম্ভব নয়। তেমনিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের উপযোগিতা পেতে ফেসবুক মার্কেটিং এর সঠিক নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।

প্রথমেই আপনার ব্যবসায়িক পেজ খুলতে হবে। যাতে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে সবিস্তারে দেয়া থাকবে। যেমন পণ্যের তালিকা, ছবি, কি ধরণের সার্ভিস পাওয়া যাবে, পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে কাস্টমার এর চাহিদা অনুযায়ী কেমন অফার দেয়া হবে ইত্যাদি।

আপনার পেজটি সুন্দরভাবে সাজাতে হবে। আপনার ব্যবসার সাথে সম্পর্ক রেখে একটা নাম দিতে হবে।

ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের লোগো ব্যবহার করে কভার পিকচার দিতে হবে। তেমনি ভাবে প্রোপাইল পিকচার ব্যবহার করতে পারেন।

অতপর আপনার পণ্য অথবা সেবার ব্যাপারে জানিয়ে পোস্ট দিতে হবে।

তারপর আপনার পণ্য বা সেবার গ্রাহকের কথা চিন্তা করে আপনাকে ফেসবুক মার্কেটিং শুরু করতে হবে।

কোন বয়সের, কোন ধরণের গ্রাহক আপনার পণ্য বা সেবা পেতে আগ্রহী তাদের চিহ্নিত করে আপনার পোস্ট সাজাতে হবে। সেটা লেখা অথবা পিকচারের মাধ্যমে হতে পারে। নিয়মিত আপনার পেজ এ পণ্য বা সেবার ব্যাপারে আপডেট থাকতে হবে। কমেন্ট ও ম্যাসেজ এ গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে। যেকোন ধরণের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।


ফেসবুক মার্কেটিং টিপস
ফেসবুক মার্কেটিং এ ভালো করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস রয়েছে যা ফেসবুক মার্কেটিং টিপস নামে পরিচিত। এই ফেসবুক মার্কেটিং টিপসগুলো সঠিক ভাবে অনুকরণের ফলে আমরা লাভবান হতে পারি।

দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য স্থির করতে হবে। কোন কিছুই যেন শর্টকাট আকারে না হয়। যেহেতু ব্যবসা একটা চলমান প্রক্রিয়া তাই এর জন্য দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। আপনার সকল প্রকার কনটেন্ট, পোস্ট, ব্র্যান্ড প্রমোশন যাতে লম্বা সময় ধরে আউটপুট দিয়ে থাকে সে অনুযায়ী হতে হবে।

ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি করতে হবে যার রেশ দীর্ঘদিন ধরে থাকে। কনটেন্ট হচ্ছে যেকোন মার্কেটিং এর প্রাণ। এমনভাবে কনটেন্ট বানাতে হবে যাতে পরবর্তী সময়ে পুনরায় পোস্ট দেয়া হলেও গ্রাহকের আগ্রহ আগের মতোই সমানভাবে সক্রিয় থাকে।

ফেসবুক মার্কেটিং পুরোটাই আপনি কিভাবে উপস্থাপন করছেন তার উপর নির্ভর করে। আপনার পণ্য বা সেবার মাধ্যমে গ্রাহক কিভাবে উপকার পেতে পারে তার ধারণা দিয়ে ভিডিও ব্যবহার করে পোস্ট দেয়া যেতে পারে।

আপনি যদি ফেসবুক মার্কেটিং এ ভালো করতে চান তাহলে আপনার পেজ, পোস্ট, অফার এর ক্ষেত্রে সবসময় ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। এমন যাতে না হয়, এক সপ্তাহে খুব একটিভ কিন্তু পরের দুই সপ্তাহে কোন আপডেট নেই। বিরতি হলে গ্রাহকের আগ্রহ নষ্ট হয়ে যাবে, যা কোন ভাবেই কাম্য হতে পারে না।

মোটকথা আপনার পণ্য বা সেবা গ্রহীতার সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে হবে। কোনভাবেই কোন গ্রাহকের প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। গ্রাহকের সকল ধরণের জিজ্ঞাসার ব্যাপারে সক্রিয় থাকতে হবে। তাহলে গ্রাহক আপনার পণ্য তথা সেবা গ্রহণের ব্যাপারে দীর্ঘমেয়াদে আগ্রহী থাকবে।


ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করার উপায়
ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করার নানা উপায় রয়েছে। বর্তমান অনলাইন দুনিয়ায় আয় করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক। আপনি চাইলে আপনার পছন্দ ও দক্ষতা অনুযায়ী ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন অনায়াসে। ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করার কয়েকটি উপায় আপনাদের জন্য তুলে ধরা হলো।

ফেসবুক মার্কেটিং থেকে আয় করার প্রথম ধাপ হলো আপনার পেজ এর প্রচুর পরিমাণে ফলোয়ার থাকতে হবে। বেশি ফলোয়ার মানে আপনার পোস্টটি বেশি সংখ্যক গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ ও পণ্যের প্রচারে সহায়তা করবে।

ফেসবুক পোস্ট এর ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করা যায়। আমরা সকলেই কোন না কোন সেলিব্রেটির ফেসবুক পেজ ফলো করে থাকি। তাদের পেজ এ পণ্যের প্রচারের জন্য মাঝে মাঝে পোস্ট দেয়া হয়। যেমন মেসি, রোনালদোর পেসবুক পেজ থেকে অ্যাডিডাস অথবা নাইকির নতুন কোন জুতো নিয়ে পোস্ট দেয়া হয়। প্রতিটি পোস্টের বিনিময়ে তারা লাখ লাখ টাকা পেয়ে থাকে। তেমনি ভাবে আপনার ফেসবুক পেজ থেকে কোন কোম্পানির পণ্যের পোস্ট দেয়ার বিনিময়ে আপনি কোম্পানি থেকে টাকা আয় করতে পারেন।

ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করার অন্যতম আরেকটি উপায় হলো অনলাইন স্টোর এর প্রমোশন। কোন কোম্পানির অনলাইন প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য আপনি তাদের পেজ নিয়ে পোস্ট শেয়ার দিতে পারেন। যেমন আড়ং অথবা ইয়েলো পেজ এর প্রচারের মাধ্যমে আপনি ফেসবুক মার্কেটিং করে টাকা আয় করতে পারেন।

ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করেও টাকা আয় করা যায়। আপনার ভিডিও কনটেন্ট থেকে আপনি ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন। সম্প্রতি ফেসবুক ভিডিও কনটেন্ট থেকে আয় করার সার্ভিস চালু করেছে। তবে তার জন্য নিদির্ষ্ট পরিমাণ ভিউয়ার এবং নির্দিষ্ট সময় ভিডিওটি দেখা লাগবে।

ফেসবুক পেজ বিক্রির মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়। আপনার পেজ এ যদি লাখের উপরে ফলোয়ার হয় অনায়াসে ভালো দামে আপনার পেজটি বিক্রি করতে পারবেন।

আপনার ব্যবসা অথবা সেবার প্রচারণা করে ব্যাপকভাবে সেল বৃদ্ধি করতে পারেন, যাতে আপনি সরাসরি লাভবান হবেন। আপনার ব্র্যান্ড ভ্যালু ও পণ্যের বিক্রি বৃদ্ধি পাবে।


ফেসবুক মার্কেটিং কোর্স
এতক্ষণ আমরা ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে ধারণা লাভ করলাম। এর পাশাপাশি ফেসবুক মার্কেটিং কোর্স এর মাধ্যমে হাতে কলমে আমরা ফেসবুক মার্কেটিং শিখতে পারি।

বেসিক ফেসবুক মার্কেটিং শেখার আগে আপনি ইউটিউব এ বিভিন্ন টিউটোরিয়াল থেকে ধারণা নিতে পারেন। তারপর যাচাই বাছাই করে যেকোন প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক মার্কেটিং কোর্স এ ভর্তি হতে পারেন।


উপসংহার
ডিজিটাল মার্কেটিং জগতে ফেসবুক মার্কেটিং খুবই কার্যকরী একটি মাধ্যম। কিছু না করে বসে আছেন মানে আপনি অন্যদের থেকে পিছিয়ে আছেন। তাই দেরি না করে দ্রুত ফেসবুক মার্কেটিং শুরু করুন।

Address

Rajshahi
Rajshahi

Telephone

+8801717055708

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when TheDg Marketing posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to TheDg Marketing:

Share