20/10/2025
ইউনিভার্সিটিতে পড়াকালীন মধ্যবিত্ত পরিবারের সব ছেলেমেয়েরাই মোটামুটি টিউশনি করে হাতখরচ চালায়, এটা স্বাভাবিক। আমরা বন্ধুরা অনেকেই বাচ্চাদের পড়াতাম, আমাদের এক বন্ধু দেখতে ছোট খাট তাই অনেকদিন থেকে খুঁজেও স্টুডেন্ট পাচ্ছিলো না, ফাইনালি ক্লাস এইট না যেনো নাইনের একটা স্টুডেন্ট পেলো।
আমাদের সে বন্ধু ভিষণ আনন্দের সাথে আমাদের জানিয়েছিলো ব্যাপারটা কিন্তু মাস দুয়েক পর তাকে টিউশনিটা ছেড়ে দিতে দেখে অবাক হয়েছিলাম তারপর একদিন জানালো তার স্টুডেন্ট একটা মেয়ে। বারিধারায় এক ফ্ল্যাটে মা আর মেয়ে থাকে, মেয়ের বাবাকে দুমাসে একবারও দেখেনি কারন উনি ব্যস্ত থাকেন। আমাদের বন্ধু সপ্তাহে ৩ দিন পড়াতে যেতো সময় ২ঘন্টা দেয়ার কথা থাকলেও ৩ ঘন্টা পেরিয়ে যেতো আর এই সময়টুকু মেয়ের মা টিচারের সাথে মেয়েকে বাসায় একা রেখে তার অন্যান্য কাজকর্ম করতে বাইরে চলে যেতো কারন অন্য সময় মেয়েকে বাসায় একা রেখে যেতে চান না।
কিন্তু মেয়েটার মা চলে যেতেই মেয়েটা নানানরকম আহ্লাদী শুরু করে, না পড়ার বাহানা করে, তার পিছনে কত কত ছেলে লাইন দিয়ে আছে এসব গল্প করতে শুরু করে এরপর একদিন এক ছেলের সাথে কথা বলিয়ে দেয়, সে ছেলেটা মেয়েটাকে ভালোবাসে কিন্তু মেয়েটা বাসেনা তাই ছেলেটাকে বুঝিয়ে বলতে বলে তারপর একদিন সেই ছেলে কল দিয়ে হুমকি ধামকি দিতে থাকে এবং তখন আমাদের বন্ধু জানতে পারে যে মেয়েটা ওই ছেলেকে বলেছে টিচার তাকে ভালোবাসে এবং মেয়েটা নাকি ডিসিশন নিতে পারছে না দুইজনের মাঝে কাকে ভালোবাসবে। অথচ এর কিছুই বেচারা টিচার জানতো না কিন্তু ভেবেচিন্তে সেদিনই সে টিউশনি ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো এবং নিসন্দেহে ভালো সিদ্ধান্ত ছিলো সেটা।
এখন কথা হলো ক্লাস ৯/১০ বা কলেজের মেয়েগুলোকে কেনো ইউনিভার্সিটির ইয়াং ছেলে টিচার দিয়েই বাসায় নিরিবিলি পরিবেশে পড়াইতে হবে???
এই যে মেয়েটার আবেগের কারনে একটা জীবন চলে গেলো, আরেকটা জীবন জেলে পঁচবে অন্যদিকে মেয়েটা ঠিকই কিছুদিন পর নিজের জীবন গুছিয়ে নিবে।
মাঝে যে বেচারা মরলো সে হয়তো নিজেও জানে না সে কেন মরলো।
Collect