SafArt

SafArt ফেলনা থেকে নতুন কিছু

 #রহস্যময়_মুন্ডঅস্টারবি ম্যান, যা কিনা আর্কিওলজিস্ট মহলে 'অস্টারবি হেড' নামেও পরিচিত প্রথমবার আবিষ্কার হয়েছিল ১৯৪৮ সালে।...
07/04/2025

#রহস্যময়_মুন্ড
অস্টারবি ম্যান, যা কিনা আর্কিওলজিস্ট মহলে 'অস্টারবি হেড' নামেও পরিচিত প্রথমবার আবিষ্কার হয়েছিল ১৯৪৮ সালে। তারপর দীর্ঘদিন এর কোনো খোঁজ ছিল না। অবশেষে ২০১৯ সালে নতুন করে এর ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়। এটি এমন একটি ব্যতিক্রমী বগ-বডি যার শুধুমাত্র মাথার খুলি এবং চুলই বেঁচে ছিল।
১৯৪৮ সালে জার্মানির অস্টারবির দক্ষিণ-পূর্ব দিকে একটি পিট কাটার সময় আবিষ্কৃত হয়েছিল এই আকর্ষণীয় প্রত্নতাত্ত্বিক সন্ধানটি। আবিষ্কারের পর দেখা যায় এর চুলগুলি একটি সুয়েবিয়ান গিঁটে বাঁধা। রোমান ঐতিহাসিক ট্যাসিটাসের মতে, এটি এমন একটি চুল বাঁধার স্টাইল যা জার্মানির সুয়েবি উপজাতিদের মধ্যে প্রচলিত ছিল।
মাথাটি যখন খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল তখন তা বর্তমান স্থলস্তর থেকে প্রায় ৭০ সেন্টিমিটার নীচে মাটির সঙ্গে লেপ্টে ছিল। আশ্চর্যজনক বিষয় হল শুধুমাত্র মাথাটিই একটি হরিণের চামড়ার কেপের টুকরোয় মোড়ানো অবস্থায় ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার শরীরের বাকি অংশ অথবা দ্বিতীয় কোনো লাশ সেখানে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ফরেন্সিক পরীক্ষার ফলাফল বলছে, বগে ডুবে যাওয়ার আগে কোনো ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতে মাথার খুলিটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বগের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে তৈরী হওয়া অ্যাসিডগুলি হাড়কে ডিক্যালসিফাই করেছে। ফলস্বরূপ মাথাটি কিছুটা সঙ্কুচিত হয়েছে এবং চুলগুলো গাঢ় বাদামী বর্ণ ধারণ করেছে। তবে চুল এবং মাথার ত্বকের ছোট অংশগুলি বেশ ভালভাবে সংরক্ষিত রয়েছে। যদিও ত্বক এবং মুখের অন্যান্য নরম টিস্যুগুলি কিন্তু অদৃশ্য হয়ে গেছে।
একটা গোটা বগে শুধুমাত্র এই একটামাত্র মাথা খুঁজে পাওয়ার কোনো ব্যাখ্যা কিন্তু প্রত্নতাত্ত্বিকরা খুঁজে পাননি। অস্টারবি ম্যান তাই আজও এক প্রত্নতাত্ত্বিক রহস্য হয়েই রয়ে গেছে।
খুঁজে পাওয়া এই আশ্চর্য মাথাটি বর্তমানে স্লেসউইগ-হলস্টেইনের শ্লেসউইগের গোটর্ফ ক্যাসেলের রাজ্য প্রত্নতাত্ত্বিক যাদুঘরে রাখা হয়েছে...
©️

হে আল্লাহ  ফিলিস্তিনবাসীকে আপনি হেফাজত করুন 😞
06/04/2025

হে আল্লাহ ফিলিস্তিনবাসীকে আপনি হেফাজত করুন 😞

আমরা যারা ১৯৯৮-২০০৩ এর মধ্যে জন্মেছি তারা আসলে খুব ইন্টারেষ্টিং একটা জেনারেশন। আমরা landline থেকে smartphone হতে দেখেছি।...
27/03/2025

আমরা যারা ১৯৯৮-২০০৩ এর মধ্যে জন্মেছি তারা আসলে খুব ইন্টারেষ্টিং একটা জেনারেশন।

আমরা landline থেকে smartphone হতে দেখেছি।আমরা বড় box এর মতো TV থেকে ওলেড TV এর journey দেখেছি। আঁকাবাকা ডিশ তার ঠিক করা থেকে wifi line ঠিক করার journey টাও আমাদের পরিচিত। ৯০ দশকের গানগুলো বাবার কম্পিউটারে শোনা থেকে দোকান গিয়ে memory card দিয়ে গান ভরার অভিজ্ঞতাও কয়কজনের রয়েছে। তার পেঁচানো ক্যাসেড থেকে DVD প্লেয়ারের আগমন, শুক্রবারের সিসিমপুর থেকে doreamon আর shinchan দেখা, bhoot fm থেকে আহট, recharge card থেকে bkash payment- এ সবই আমাদের দেখা।

blackboard থেকে whiteboard এর পরিবর্তন, বেতের বারি থেকে “না মারার নির্দেশ”, নামডাক খাতা থেকে message সিস্টেম attendence কত কি বদলে গেলো। মাঠে কুমির-ডাঙা, দরিয়াবান্ধা, সাতকরা, কানামাছি, বরফ-পানি ইত্যাদি খেলা থেকে pubg, free fire, coc কি খেলি নাই আমরা। ২টাকার নারকেল ice-cream থেকে ice-cream parlor, কার্ল চিপস থেকে nacho, এলাচি বিস্কুট থেকে oreo।

ইত্যাদি ইত্যাদি!!! এভাবে বলতে থাকলে শেষ হবে না।
খুবই অদ্ভুত এক generation change এর মাঝে ছিলাম আমরা।এখানেরও না, ওখানেরও না। আমরা ৯০ দশকের মানুষের তুলনায় আধুনিক, এখনের তুলনায় অনেক backdated. সময় যত যাবে হয়তো আরও নতুনএর সাথে পরিচয় হবে, তবে পরিবর্তনগুলো চোখে পড়ার মতোই সুন্দর।🖤
written by Anika Bushra

প্রাচীন গ্রিসে নারীদের মেডিকেল পড়া নিষিদ্ধ ছিল। খ্রিস্ট পূর্বাব্দ ৩০০ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন একজন নারী, নাম তার অ্যাগন...
27/03/2025

প্রাচীন গ্রিসে নারীদের মেডিকেল পড়া নিষিদ্ধ ছিল। খ্রিস্ট পূর্বাব্দ ৩০০ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন একজন নারী, নাম তার অ্যাগনোডিস। ছোটবেলা থেকেই তার ডাক্তার হওয়ার শখ ছিল। তিনি চুল কেটে পুরুষ বেশে আলেকজান্দ্রিয়া মেডিকেল স্কুলে ভর্তি হন।

ডাক্তারি শিক্ষা শেষ করে অ্যাগনোডিস একদিন এথেন্সের রাস্তায় হাঁটছিলেন। সেসময় তিনি প্রসব যন্ত্রণায় কাতর এক নারীর কান্না শুনতে পান। নারীটি প্রচণ্ড ব্যথায় মরে গেলেও চাননি কোনো পুরুষ তাকে স্পর্শ করুক!

অ্যাগনোডিস ভেতরে গিয়ে ডেলিভারি করাতে চাইলে মহিলাটি কিছুতেই রাজি হচ্ছিল না, কারণ সে ভেবেছিল অ্যাগনোডিস একজন পুরুষ। সেদিন অ্যাগনোডিসকে জামাকাপড় খুলে প্রমাণ করতে হয়েছিল যে তিনি একজন নারী। তারপর তিনি সফলভাবে ওই নারীর সন্তান প্রসব করান।

গল্পটি শীঘ্রই গ্রিসের নারী মহলে মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং সমস্ত অসুস্থ নারীরা অ্যাগনোডিসের কাছে ভিড় জমাতে শুরু করে। পুরুষ চিকিৎসকরা ঈর্ষান্বিত হয়ে অ্যাগনোডিসকে অভিযুক্ত করে বলেছিলেন, অ্যাগনোডিস একজন চরিত্রহীন পুরুষ, সে বিভিন্নভাবে নারীদের প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করছে।

বিচারে অ্যাগনোডিসকে আদালতের সামনে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয়বার প্রমাণ করতে হয়েছিল যে তিনি একজন নারী। কিন্তু এবার তাকে মেডিসিন অধ্যয়ন করা এবং একজন নারী হিসেবে চিকিৎসা শাস্ত্র অনুশীলন করার জন্য মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

সাথে সাথে গ্রিসের নারীরা এই দণ্ডের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে, বিশেষ করে সেই সব বিচারকদের স্ত্রীরা যারা মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছিলেন। কেউ কেউ বলেছিলেন, যদি অ্যাগনোডিসকে হত্যা করা হয় তবে তার সাথে তাদেরকেও মৃত্যুদন্ড দিতে হবে। অবশেষে নারীদের চাপ সহ্য করতে না পেরে বিচারকরা অ্যাগনোডিসের সাজা তুলে নেন। তারপর থেকে গ্রীসে নারীদের চিকিৎসা শাস্ত্র অধ্যয়ন করার অনুমতি দেওয়া হয়, তারা শুধুমাত্র নারীদের চিকিৎসা করবে এই শর্তে।

অ্যাগনোডিস প্রথম গ্রীক নারী চিকিৎসক এবং স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে ইতিহাসে তার চিহ্ন রেখে গিয়েছিলেন। নারীদের জন্য ইতিহাস সৃষ্টি করা কোনদিনই সহজ কোনো কাজ ছিল না। হিমালয়সম প্রতিকূলতার পাহাড় একটু একটু করে কেটেই তৈরি হয়েছে আজকের নারী জাতি।

আমাদের পূর্বপুরুষরা কৃষক ছিলেন, শ্রমিক ছিলেন। থাকতেন মাটির কাঁচা ঘরে। অর্থাভাবে-অন্নাভাবে কখনও-সখনও উপোসও করতেন। পরতেন ম...
19/03/2025

আমাদের পূর্বপুরুষরা কৃষক ছিলেন, শ্রমিক ছিলেন। থাকতেন মাটির কাঁচা ঘরে। অর্থাভাবে-অন্নাভাবে কখনও-সখনও উপোসও করতেন। পরতেন মলিন পোশাকপরিচ্ছদ। আমাদের বাবারা চাইলেন আমরাও যেন পূর্বসূরিদের মতো শ্রমিক না হই, আমাদেরকেও যেন মাটির ঘরে থাকতে না হয়, আমরা যেন পাকা ঘরে থাকি, যেন পেট পুরে তিনবেলা খেতে পাই। বাবারা আমাদেরকে নিয়ে বাসে-ট্রেনে-লঞ্চে করে গ্রাম ছাড়লেন, মফস্বলে এনে পড়াশোনা করালেন, টিনশেড ঘরে রাখলেন। আমরা পড়াশোনা করলাম, মফস্বল ছাড়লাম, উচ্চশিক্ষার্থে মহানগরে এলাম, স্নাতক হলাম, স্নাতকোত্তর হলাম; পূর্বপুরুষদের বিশাল বাড়ি ছেড়ে অ্যাপার্টমেন্ট নামক কংক্রিটের বস্তিতে উঠলাম, কায়িক পরিশ্রম থেকে মুক্ত হলাম, বুদ্ধিবৃত্তিক কাজকর্ম (আসলে কেরানিগিরি) করে জীবিকা নির্বাহ করা শুরু করলাম,
আমাদের দাদারা ছিলেন সুন্দর খাঁ, সুরুজ আলি কিংবা ময়েজুদ্দিন। আমরা হলাম ফাহাদ ফারাজ অনন্য, ইফতেখার ইশমাম ইশতি কিংবা আহনাফ মুনতাসির উচ্ছ্বাস। আমাদের দাদিরা ছিলেন সূর্য ভানু, করিমন বেওয়া কিংবা জরিতন নেছা। আমরা হয়েছি আনিকা আজিজ অর্নি, মালিহা তাবাসসুম অবন্তী কিংবা সেগুফতা শেহরিন আনিলা। আমাদের কারো-কারো নামের আগে-পিছে-মাঝে যুক্ত হতে লাগল এসএম, কেএম, এবিএম, আ ক ম, আ ন ম, আ আ ম স। আমাদের নাম ক্রমশ শক্ত হতে লাগল, কাটখোট্টা হতে লাগল, দুর্বোধ্য হতে লাগল। অথচ আমাদের পূর্বপুরুষরা সোজাসাপটা নাম ধারণ করেই একটা জীবন কাটিয়ে দিয়ে গেছেন, তাতে তাদের বেঁচে থাকতে সবিশেষ অসুবিধে হয়নি। আমরা আলুভর্তার নাম দিয়েছি ম্যাশড পটেটো উইথ গ্রিন চিলি, পুদিনা পাতা দে যথাক্রমে সালাত, সাওম, রামাদান, সুহুর, জালেবি; কিন্তু হারিয়ে গেছে আমাদের ভাবগাম্ভীর্য, হারিয়েছে আধ্যাত্মিকতা, হারিয়েছে সহজিয়া জীবনবোধ; বিনিময়ে সাপের মতো এঁকেবেঁকে জেঁকে বসেছে উত্তুঙ্গ উগ্রবাদ আর পৌনঃপুনিক প্রদর্শনবাদ।

কায়িক পরিশ্রম না-করতে না-করতে আমাদের দেহে পুরু চর্বি জমল, সার্বক্ষণিক রোগবালাই বাসা বাঁধল, ডায়াবেটিস হানা দিলো। চিকিৎসকরা আমাদের খাবারের পরিমাণ বেঁধে দিলেন— দিনে ছয় কাপ ভাত, চারটা রুটি, এক কাপ শবজি, একটা শশা, দেড়টা গাজর, আড়াইটা আঙুর। চিকিৎসকরা আমাদেরকে প্রতিদিন দৌড়াতে বলে দিলেন। আমরা স্টপওয়াচ চালু করে হাফপ্যান্ট পরে ভুঁড়ি নাচিয়ে রাজপথে দৌড়াতে লাগলাম, জিমনেশিয়ামে গিয়ে বাঁদরের মতো এ-ডাল ও-ডাল ঝুলতে লাগলাম, বুকডনের নামে নাকে খত দিতে লাগলাম; আমরা সেসবের গালভরা নাম দিলাম— 'ওয়ার্ক আউট', 'ক্যালরি বার্ন'। শহরে থাকতে-থাকতে ক্লান্ত হয়ে আমরা দু-তিন মাস পরপর ছুটতে লাগলাম রিসোর্টে। একটু গাছপালা আছে, ডোবার মতো একটা হাজামজা পুকুর বা পচা-গলা সুইমিংপুল আছে, ছাদ বা বেড়া খড়কুটোর, সন্ধ্যার পর গোটা দশেক জোনাকির দেখা পাওয়া যায়, বৃষ্টি হলে চার-পাঁচটা ব্যাঙ ডাকে— বেছে-বেছে আমরা এমন রিসোর্টে যাওয়া শুরু করলাম, ভাড়া গুনতে লাগলাম রাতপ্রতি দশ হাজার। রিসোর্টে লালশাক, পালংশাক, পুঁইশাক দিয়ে ভাত খেয়ে বিল দেওয়া শুরু করলাম বেলাপ্রতি মাথাপিছু একহাজার; বারবিকিউ নামক মাংসপোড়ার পেছনে ঢালতে লাগলাম আরো হাজার-হাজার। কুলিরা চাউলের আড়তে যা যা করেন; জিমনেশিয়ামে আমরা তা-ই করছি, করে গর্বের সঙ্গে সেসবের ভিডিও দিয়ে রিল বানাচ্ছি, বানিয়ে দেখাচ্ছি— আমরা কে কত স্বাস্থ্যসচেতন, কে কত অভিজাত, কে কত আলাদা। যার জিমের মাসিক চাঁদা যত বেশি, সে তত বেশি অভিজাত। শ্রমিকদের মতো দৌড়াব না বলে আমরা সুট-বুট পরে দালানে ঢুকেছিলাম, আমরা এখন ট্রেডমিল কিনে সেই একই দালানের ভেতরই দৌড়াচ্ছি। আমরা দৌড় ছাড়তে চেয়েছিলাম, দৌড় আমাদেরকে ছাড়েনি, দৌড় আমাদেরকে দৌড়ানি দিচ্ছে।

কুঁড়েঘরে থাকব না বিধায় আমরা গ্রাম ছেড়েছিলাম, এখন আমরা কিছুদিন পরপরই পর্যটনকেন্দ্রের গলা-কাটা কৃত্রিম কুঁড়েঘরে যাই স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে। কাচঘেরা বায়ুরোধী ভবন বানিয়ে শ্বাসকষ্ট বাঁধিয়ে বুকভরা বাতাস নিতে লাখ টাকা খরচ করে আমরা সমুদ্রসৈকতে ছুটছি। গায়ে মাটি লাগাব না বলে আমরা গ্রাম ছেড়েছিলাম, একটু মাটির স্পর্শের আশায় এখন আমরা পার্কে-পার্কে ছুটছি কিংবা ছাদবাগান করছি। 'চাষাভুষা' শব্দটাকে আমরা গালি বানিয়েছিলাম, এখন ছাদবাগানে এক ডজন টমেটো ফলাতে পারলে গর্বিত 'নগরচাষি' হিশেবে বুক ফুলিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা প্রচার করছি। মাছধরা মানুষদের জাইল্লা বলে তাচ্ছিল্য করা আমরাই লাখ টাকা চাঁদা দিয়ে বড়শি পেতে বসে থাকছি সরকারি দিঘিতে সেই মাছই ধরার জন্য। শবজি খাব না বলে আমরা বড়লোক হয়েছিলাম; এখন বাজারে শবজির দামই বেশি, রেস্টুরেন্টে শবজিজাত খাবারের দামই বেশি, শবজি এখন বড়লোকদেরই খাবার। পূর্বপুরুষরা যে শবজি খেতেনই না, যে শবজি বেড়ে উঠত বাড়ির পেছনের ঝোপঝাড়ে অনাদরে-অবহেলায়; শহরে আমরা এখন সেই অনাহুত শবজিই কিনে খাচ্ছি কেজিপ্রতি শত-শত টাকা খরচ করে।

আমাদের পূর্বপুরুষরা ছেঁড়া কাপড় পরতেন অর্থাভাবে, এখন আমরা চড়া দামে ছেঁড়া-খোঁড়া জিন্স কিনে পরি। তারা পান্তাভাত খেতেন তিনবেলা রান্নার মতো জ্বালানি ছিল না বলে; আমরা পহেলা বৈশাখে ঐ পান্তাভাতই খাই গরম ভাতে জোরপূর্বক পানি দিয়ে, হাজার-হাজার টাকার শ্রাদ্ধ করে; খেয়ে ডায়রিয়া বাধাই, বাধিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হই। মহানগরের সেসব রেস্টুরেন্টের খাবারের দামই এখন সবচেয়ে বেশি; যেসব রেস্টুরেন্টের সাজগোজ গ্রামের মতো, যেসব রেস্টুরেন্টে মেঝেতে বিছানো জাজিমে বসে খেতে হয়, যেসব রেস্টুরেন্টের আবহসংগীত হিশেবে বাজে গাঁও-গেরামের গান। আমরা বাসায় রাঁধি না সময় বাঁচানোর জন্য, অনলাইনে অর্ডার করে রেস্টুরেন্টের খাবার বাসায় আনিয়ে খেয়ে দিনাতিপাত করি, সেই বেঁচে যাওয়া সময়ে আমরা পয়সা উপার্জন করি; এর পর আমরা লিভার সিরোরিস বাঁধাই, শেষে সেই পয়সা খরচ করি লিভার সিরোসিসের চিকিৎসায়। আমরা পরিবারের সবাই মিলে চাকরি নিয়েছিলাম স্বাবলম্বী হব বলে; স্বাবলম্বী আমরা হয়েছি, স্বাবলম্বী হতে-হতে কেউ বা ধনকুবেরও হয়েছি, কিন্তু আমাদের সন্তানরা বড় হচ্ছে গৃহকর্মীদের হাতে। আমরা এতটাই স্বাবলম্বী হয়েছি যে, আমাদের সন্তানরা জাগ্রত অবস্থায় দেখছে আমরা ল্যাপটপে অফিসের কাজ করছি, ঘুম থেকে জেগে দেখছে আমরা অফিসে চলে গেছি। স্বাবলম্বনের দাপটে আমাদের মা-বাবারা বার্ধক্য কাটাচ্ছেন বৃদ্ধাশ্রমে, সন্তানরা শৈশব কাটাচ্ছে চাইল্ড কেয়ারে, আমরা যৌবন কাটাচ্ছি ডেস্কটপে। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত বিয়ে করব না ভেবে আমরা কেউ-কেউ ত্রিশেও বিয়ে করছি না, পঁয়ত্রিশেও বিয়ে করছি না; করছি চল্লিশের পরে অথবা করছিই না। অথচ পূর্বপুরুষরা চল্লিশে দিব্বি নাতি-নাতনির মুখ দেখতেন। কিসের জন্য যেন অপেক্ষা করতে-করতে আমরা যৌবনেই বুড়িয়ে যাচ্ছি, বুড়ো বয়সে যুবকের ভূমিকায় অভিনয় করছি, শুগার ড্যাডি বা শুগার মম হচ্ছি; কোনোকিছুই শুরু বা শেষ করছি না যথাসময়ে।

সূর্যের আলো গায়ে লাগিয়ে ক্ষেতখামারে কাজ করব না বলে আমরা শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রাজপ্রাসাদে ঢুকেছিলাম। ঢুকে দেখলাম— শরীরে সূর্যের আলোর অভাবে আমাদের ঘুম আসে না। রাতের ঘুম ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা ওষুধ খাওয়া শুরু করলাম, তাতেও কাজ না হওয়ায় সূর্যের আলো গায়ে লাগানোর জন্য আমরা 'মর্নিং ওয়াক' শুরু করলাম। শীতাতপনিয়ন্ত্রক যন্ত্র ওদিকে আমাদের শরীরে ডেকে আনল নিউমোনিয়া-অ্যাজমা-হুপিংকাশি। প্রযুক্তি আমাদের চোখ খেল, কান খেল, নাক খেল; আমাদের চোখে ধরিয়ে দিল চশমা, কানে বসিয়ে দিল হিয়ারিং এইড, নাকে নেবুলাইজার। পূর্বপুরুষদের যা যা আমরা করতে চাইনি, আমরা— উত্তরপুরুষরা এর সবকিছু করতে বাধ্য হচ্ছি। বড়লোক হতে-হতে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। টাকা খেয়ে আমরা কুলাতে পারছি না। টাকা রাখারও জায়গা হচ্ছে না আমাদের। টাকা ব্যাংকে রাখলে ক'দিন পরে ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যায়, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করলে শেয়ারবাজার লুট হয়ে যায়। এখন আমাদের গরিব হতে ইচ্ছে করে। কিন্তু পারি না। গরিবরা বড়লোক হতে পারে, কিন্তু বড়লোকরা একবার বড়লোক হয়ে যাওয়ার পর আর গরিব হতে পারে না।

আমরা পাঠ্যবহির্ভূত বই পড়তাম। খবরের কাগজ পড়তাম। প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে চলচ্চিত্র দেখতাম। শুক্রবার বিকেল তিনটা কুড়ি মিনিটে দেখতাম পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি। এর মধ্যে খবরের কাগজ বাদে বাকি সবগুলোকেই আমাদের পূর্বসূরিরা অন্যায় বলে মনে করতেন। পাঠ্যবইয়ের ভাঁজে কমিকের বই পেলে প্রহার করতেন, প্রেক্ষাগৃহে যাওয়ার খবর পেলে প্রহার করতেন, প্রহার করতেন এমনকি প্রতিবেশীদের বাড়িতে শুক্রবারের ছায়াছবিটিও দেখতে গেলে। আমরা ভাবতাম বড় হয়ে বড়লোক হলে আমাদেরকে কেউ ঠেকাতে পারবে না— আমরা ইচ্ছেমতো বই পড়ব, চলচ্চিত্র দেখব, গান শুনব। আমরা বড় হলাম, বড়লোকও হলাম। ততদিনে দেশ থেকে প্রেক্ষাগৃহ উধাও হয়ে গেছে, চলচ্চিত্রজগৎই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে, চলে গেছে আমাদের পাঠাভ্যাস। আমাদের ফোনে এখন হাজার-হাজার বইয়ের পিডিএফ, ওটিটি-ইউটিউবে অগণিত চলচ্চিত্র। বই পড়ার জন্য এখন গ্রন্থাগারে যেতে হয় না, চলচ্চিত্র দেখার জন্য প্রেক্ষাগৃহে যেতে হয় না, গান শোনার জন্য কিনতে বা ভাড়া করতে হয় না ক্যাসেট-সিডি-ডিভিডি। কিন্তু আমাদের এখন কিছুই দেখা হয় না, কিছুই শোনা হয় না, কিছুই পড়া হয় না। আমাদের সবকিছু জমা হয়ে আছে, আমাদের সবকিছু জমে গেছে— উত্তর মেরুর বরফের মতো। আমাদের পূর্বসূরিরা ভ্রমণকাহিনী পড়তেন, পড়ে কল্পনায় ওসব জায়গা দেখে নিতেন, পরে পয়সা জমলে সেসব জায়গায় ভ্রমণে যেতেন। এখন আমরা ভিডিওতেই সব দেখে ফেলছি, আমাদের আর কল্পনা করতে হচ্ছে না, ফলে আমাদের কল্পনাশক্তিও নেই হয়ে গেছে। আমরা এখন আর কল্পনা করি না। কোথাও বেড়াতে গেলে সেই জায়গাটা দেখি না, শুধু ভিডিও করি, জায়গাটাকে ব্যাকগ্রাউন্ড বানিয়ে সহস্র ছবি তুলি; পরবর্তীকালে সেসব ছবি আমরা আর একবারও খুলে দেখি না। ফলে মরে গেছে আমাদের দর্শনেন্দ্রিয়ও। আমাদের সর্বাঙ্গে মরিচা ধরেছে, ।

সময় বাঁচানোর জন্য আমরা ফোন কিনেছিলাম। পরে, দেখলাম— ফোনই আমাদের জীবনের সিংহভাগ সময় খেয়ে ফেলেছে। যখন দু-টাকার খামে করে চিঠি লিখে উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হতো এক মাস, তখনও আমরা নিঃসঙ্গ ছিলাম না। কিন্তু এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাদের অযুত-নিযুত অনুসারী, মেসেঞ্জারে কড়া নাড়লে এখন উত্তর পাওয়া যায় সেকেন্ডের মধ্যে, কথা বলার জন্য এখন সবুজ বাতি জ্বালিয়ে রাখে শত-সহস্র অনুরাগী; কিন্তু মন খুলে কথা বলার মতো এখন আমরা কাউকেই খুঁজে পাই না, মানুষ খুঁজে পেলেও কথা খুঁজে পাই না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা আমাদের প্রাত্যহিক গল্প এত বেশি বলে ফেলি এবং দৈনন্দিন জীবনের ছবি-ভিডিও এত বেশি দেখিয়ে ফেলি যে, এখন আমরা সবার সবকিছু জানি, মুখোমুখি সাক্ষাতে বলার মতো কোনো গল্পই এখন আর আমাদের অবশিষ্ট থাকে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলতে-বলতে আমরা আমাদের সব গল্প শেষ করে ফেলেছি, দেখিয়ে শেষ করে ফেলেছি সমস্ত ছবি। দু-টাকার হলুদ খামের যুগেও আমরা নিঃসঙ্গ ছিলাম না, কিন্তু দু-সেকেন্ডের সবুজ মেসেঞ্জারের যুগে আমরা নিঃসঙ্গ। এখন আমরা নিঃস্ব, নিঃসঙ্গ এবং গল্পশূন্য। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাদের ব্যক্তিগত গল্পগুলো আমরা এমন ব্যক্তিদেরকে বলে ফেলেছি, ব্যক্তিগত ছবিগুলো এমন ব্যক্তিদেরকে দেখিয়ে ফেলেছি; যারা আমাদের ব্যক্তিজীবনের অংশই না, যাদের সাথে কখনোই দেখা বা কথা হবে না। ভূগর্ভস্থ পানি বেশি তুলে ফেললে নলকূপ আর পানি দেয় না, জীবনের গল্প বেশি বলে ফেললে জীবনও নলকূপের মতো আচরণ করে। আমরা এখন একেকজন পরিত্যক্ত নলকূপ।

আমাদের পূর্বপুরুষদের বাড়িতে ছিল বিশাল পুকুর, সারি-সারি ফলগাছ, শবজির ক্ষেত, গোয়ালঘর। বড়লোক হয়ে আমরা পুকুরের পরিবর্তে দেড় হাত চওড়া বাথটাব বানিয়েছি, ছাদে গাছ নাম নামক কিছু প্রহসন লাগিয়েছি, খাঁচায় পালছি কুকুর-বেড়াল-খরগোশ। গাঁয়ের বিঘা-বিঘা জমি বেচে শহরে এসে আমরা ফ্ল্যাট নামক সাড়ে সাতশো বর্গফুটের খোপ কিনছি। খোপের ড্রয়িংরুমে সাজিয়ে রাখছি বনসাই। একেকটা বনসাইয়ের দাম মূল গাছের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। আমরা স্বপ্ন দেখি— শহরে কামানো টাকা দিয়ে শেষ বয়সে গ্রামে গিয়ে বাগানবাড়ি করব। অথচ আমাদের পূর্বপুরুষরা বাগানবাড়িতেই জন্মেছেন, বাগানবাড়িতেই দিনাতিপাত করেছেন, বাগানবাড়িতেই মরেছেন। অর্থাৎ শেষ বয়সে যে জীবন যাপন করব বলে শহরে বসে আমরা খেটে মরছি বা স্বপ্ন দেখছি, প্রাচীন আমলের অশিক্ষিত লোকজন বিনা পড়াশোনায়ই সেই জীবন আজীবন যাপন করে গিয়েছেন।

তা হলে? আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের চেয়ে কতটুকু এগোলাম? তাদের চেয়ে আমরা কতটা ভালো আছি? প্রকৃতির বিরুদ্ধে গিয়ে শেষ পর্যন্ত আমরা কি বিজয়ী হয়েছি? নাকি গো-হারা হেরে বসে আছি? আমরা কি আমাদের পরাজয় টের পাচ্ছি?

# # #সংগৃহীত 🌹❤️🇧🇩
2014 October

কেস দেবেন না প্লিজ 🙏🏼😋😁*হরধনু ভাঙ্গার নতুন সংস্করণ*😌স্কুল পরিদর্শক ক্লাস ফাইভের ছাত্র জিতুকে প্রশ্ন করলেন-বলোতো হরধনু কে...
12/03/2025

কেস দেবেন না প্লিজ 🙏🏼😋
😁*হরধনু ভাঙ্গার নতুন সংস্করণ*😌

স্কুল পরিদর্শক ক্লাস ফাইভের ছাত্র জিতুকে প্রশ্ন করলেন-
বলোতো হরধনু কে ভেঙেছিল?
জিতুঃ- আমি ভাঙিনি স্যার । ঐ যে ওই আবির ভেঙেছে।
আবিরঃ- না স্যার, আমি ভাঙিনি । ওই জিতু মিছে কথা বলছে।
পরিদর্শক ক্লাস থেকে বেরিয়ে ক্লাস টিচারকে জিজ্ঞেস করলেন- "কি পড়াচ্ছেন এখানে ? ছাত্ররা
সামান্য একটা প্রশ্নের এই রকম উত্তর দিচ্ছে ?"
ক্লাস টিচার -- "স্যার, জিতু আর আবির কিন্তু সত্যিই খুব ভালো ছেলে। ওরা এই সব ভাঙচুর করে না। আর পটলা টা এক নম্বরের দুষ্ট। ওই পটলাই ভাঙ্গতে পারে।"
স্কুল পরিদর্শক মাথায় হাত দিয়ে আর কথা না বাড়িয়ে হেড মাষ্টার মশাই-এর রুমে গিয়ে সব বিস্তারিত জানালেন।
জিজ্ঞাসা করলেন "এখানে কি সত্যিই কিছু পড়াশোনা হয়? ছাত্ররা
না হয় জানেনা, কিন্তু তাই বলে শিক্ষকের ও এই দশা ?"
হেড মাষ্টার বললেন - "দেখুন স্যার, ওই ক্লাস টিচার অনেক দিন ধরে পড়াচ্ছেন, প্রতিটি ছাত্রকে তিনি ভালো মতই চেনেন। তিনি যখন বলছেন পটলা ভেঙেছে তাহলে পটলাই ভেঙেছে।"
স্কুল পরিদর্শক আর কথা না বাড়িয়ে চলে গেলেন এবং স্কুল শিক্ষাবোর্ডে চিঠি লিখলেন।
*যে স্কুলে কেউই "হরধনু কে ভেঙেছে" তা ও জানে না, সেই স্কুল রাখার কোনো দরকার নেই।"*
কিছু দিন পরে শিক্ষাবোর্ড থেকে উত্তর এল:

*বাচ্চা-কাচ্চা রা ভাঙ্গাভাঙ্গি করতেই পারে। তার জন্য স্কুল উঠিয়ে দেবার দরকার নেই। এটা বিরোধীদের চক্রান্ত। আমরা ওসব বুঝি। ওদের কথায় কান দেবেন না। উন্নয়নের স্বার্থে আমরা অনুমোদন দিয়ে দিচ্ছি, আর একটা হরধনু কেনা হোক...!!!*

তারপর তো স্কুল পরিদর্শক আর কোন উপায় না দেখে বিষয়টি সরাসরি শিক্ষামন্ত্রীর নজরে আনলেন।
শিক্ষামন্ত্রী শুনে বললেন -" এতো দেখছি স্কুলের সম্পত্তি ভাঙ্গার কেস। থানায় ডাইরি করেছেন?"
স্কুল পরিদর্শক আমতা আমতা করে ঘাড় নেড়ে জানালেন যে করেন নি।
শিক্ষামন্ত্রী বললেন "আগে ডাইরি করুন। ডাইরির কপি আমায় দিন। আমি মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলছি।"

মুখ্যমন্ত্রী শুনে বললেন- *"ভেঙ্গেছে? বেশ করেছে। কেন স্কুলে 'হরধনু'-র মতো সাম্প্রদায়িক অস্ত্র রাখবে?" "হর মানে কি, জানো না? হর মানে শিব, মহাদেব। আমি শিবকে ভালোবাসি, মহাদেবকে ভালোবাসি। কিন্তু স্কুলে তাঁর ধনু রাখা আসলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা।"*
মুখ্যমন্ত্রী অর্ডার করলেন যে ভেঙ্গেছে তাকে খুঁজে বের করে পুরস্কার হিসাবে একটা আশমানি হাফপ্যান্ট আর বক রঙের জামা কিনে দেওয়ার জন্য। 😂 😂 😂.🤪🤪🤪🤪
Collected

ছোট মেয়েদের জন্য পরিস্থিতি কতটা খারাপ হলে আপনার চিন্তা বা সতর্কতা কতটা সিরিয়াস হতে হবে, তার মাত্র কয়েকটি উদাহরণ দিচ্ছি আ...
08/03/2025

ছোট মেয়েদের জন্য পরিস্থিতি কতটা খারাপ হলে আপনার চিন্তা বা সতর্কতা কতটা সিরিয়াস হতে হবে, তার মাত্র কয়েকটি উদাহরণ দিচ্ছি আব্বা আম্মারা।

১। আপনি থাকেন ফ্ল্যাট বাড়িতে, অনেক উপরের তলায়। আপনার কম বয়সী মেয়ে একা সিঁড়ি বেয়ে বা লিফটে করে উপরে উঠে। নিচে অনেকগুলো ফ্ল্যাটে মানুষ থাকে। আপনার মেয়ে মোটেই নিরাপদ নয়। নিচের কাউকে বিশ্বাস করার কোন কারণ নেই।

২। কোচিং সেন্টারে মেয়ে পড়তে যায়। এক ব্যাচ চলে গেছে। আর এক ব্যাচ আসবে। কোচিং সেন্টার ফাঁকা। আপনার মেয়ে আগেভাগে চলে গেছে একা। সেন্টারে আছে শুধু টিচার। আপনার মেয়ে মোটেই নিরাপদ নয়। কাউকেই বিশ্বাস করা যাবে না।

৩। মেয়েকে এমন কোনো বান্ধবীর বাসায় থাকার জন্য পাঠাবেন না, যার ভাই এবং পিতা বাসায় থাকে।

৪। মেয়েকে স্কুলে এমন আগেভাগে পাঠাবেন না, যেখানে ক্লাসে বা স্কুলের কোন জায়গায় সে একা হয়ে যায়।

৫। বিবাহিত ভাই বোনের বাসায়ও ছোট মেয়েকে থাকার জন্য পাঠানো যাবে না, যেখানে অন্য পুরুষ বসবাস করে।

৬। লম্বা ফসলের ক্ষেত, যেখানে দাঁড়ালে দেখা যায় না, যেমন, পাট, ইক্ষু ক্ষেত, এমন ক্ষেতের পাশ দিয়ে মেয়েকে একা যাওয়া আসা করতে দেবেন না।

মেয়ে একা অরক্ষিত হয়ে যায় বা যেতে পারে, এমন কোন জায়গায় পাঠানো যাবে না। একমাত্র নিজের পিতামাতা ছাড়া দুনিয়ার কাউকে বিশ্বাস করা যাবে না। ছোট এবং কিশোরী মেয়েকে সারাক্ষণ ট্র‍্যাকিং এ রাখুন।

কী করবেন!! বিপদ হলে তো আপনাদের যাবে। আপনারা মেয়ের বাপ মা। কারো কিছু যায় আসবে না। বাকি জীবন মাথা কুটে মরতে হবে আপনাদের।

শুধু বলার জন্য নয়, আমি অনেক অনেক আগে থেকেই এগুলো মেইনটেইন করেছি এবং করে যাচ্ছি। আল্লাহ সহায়।

সারাক্ষণ আল্লাহর কাছে নিজের সন্তানের কল্যাণ, মঙ্গল, নেয়ামত, বরকত ও হেফাজতের জন্য প্রার্থনা করুন।

নারী দিবসে নারীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কি লাভ যদি সে কোথাও নিরাপদ না হয়???  নারীর শুভেচ্ছা নয় বরং সুরক্ষার প্রয়োজন। আমরা ধ  র...
08/03/2025

নারী দিবসে নারীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কি লাভ যদি সে কোথাও নিরাপদ না হয়??? নারীর শুভেচ্ছা নয় বরং সুরক্ষার প্রয়োজন। আমরা ধ র্ষ ক আর ডা কা ত দের স্বাধীনতা এনে দিয়েছি 🥹

সরি আপু আমার ভুল হয়া গাচা আমি বেয়ার ১মান্থ আগা থাকা ভাবচি দাওয়েত দিবো আর বেয়ার সময় ভুলা গাচি😥 আকদম সরি আপু 👏👏 রাজশাহী তা...
05/03/2025

সরি আপু আমার ভুল হয়া গাচা আমি বেয়ার ১মান্থ আগা থাকা ভাবচি দাওয়েত দিবো আর বেয়ার সময় ভুলা গাচি😥 আকদম সরি আপু 👏👏 রাজশাহী তা আসলা আমার বাসাই দাওয়েত থাকলো আমার বও আপনেক রান্না করা খাওবা🥰

🥱🥱🥱
24/02/2025

🥱🥱🥱

সামনের কিছুদিন একটু সাবধানে থাকার চেষ্টা করুন। আগামী কিছুদিন বড় বড় শহরগুলোতে অপরাধপ্রবণতা অত্যন্ত উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যেত...
23/02/2025

সামনের কিছুদিন একটু সাবধানে থাকার চেষ্টা করুন। আগামী কিছুদিন বড় বড় শহরগুলোতে অপরাধপ্রবণতা অত্যন্ত উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যেতে পারে। এখনই যা অবস্থা, এরচেয়ে আরও বাড়লে কি হবে তা আল্লাহ ভাল জানে।

১. সন্ধ্যের পর খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ না থাকলে বাসা থেকে বের না হওয়াই ভাল

২. রাতে দরজা, জানালা খুব ভালোভাবে চেক করে নেবেন, বন্ধ করেছেন কি না।

৩. এক দুই হাজারের বেশি ক্যাশ টাকা নিয়ে দিনে বা রাতে বাইরে হাঁটবেন না।

৪. আপনার ব্যাংক কার্ড একান্তই প্রয়োজন না হলে সাথে রাখবেন না।

৫. দামী ফোন, ল্যাপটপ, প্যাড, ক্যামেরা বা অন্য কোনো দামী ডিভাইস নিয়ে বের হবেন না। আপাতত এগুলো বাসায় সিকিওরড জায়গায় রাখুন।

৬. মহিলারা দামী হোক, কমদামী হোক, কোনো গহনা পরে বের হবেন না। বিশেষ করে নাক এবং কানে তো অবশ্যই না।

৭. রাস্তায় ফোন বের করে টেপাটেপি করবেন না বা কথা বলবেন না।

৮. বাসে উঠলে জানালার পাশে না বসার চেষ্টা করবেন। জানালার পাশ বসুন বা না বসুন, পকেট থেকে ফোন বের করবেন না খবরদার।
প্রাইভেট কারে থাকলে কারের জানালা বন্ধ রাখুন, একটুও ফাঁকা রাখবেন না।
উবারে এ্যাপ থেকে কল দিয়ে যাবেন, ভুলেও রাস্তায় দাঁড়িয়ে কিছু লোক দামাদামি করে, ওদের সাথে রাইড নেবেন না।

৯. সিএনজিতে উঠলেও ফোন, ব্যাগ সাবধানে রাখুন। সিএনজির পর্দা কেটে ছিনতাই করতে দেখা গেছে অনেকগুলো।

১০. অপরচিত কারও সাথে একদম কথা বলবেন না।

১১. অপেক্ষাকৃত নির্জন রাস্তা দিয়ে কোনোভাবেই একা একা যাবেন না।

১২. যদি মনে হয় কেউ আপনাকে ফলো করছে, মানসম্মানের ভয় না করে দৌড়ে কোনো জনসমাগমে চলে যান।

১৩. ছিনতাইকারীরা আপনার ব্যাগ, পার্স, ডিভাইস বা মালামাল নিয়ে টানাটানি করলে ছেড়ে দিন। জোর করতে যাবেন না। ওরা আপনাকে মে'রে ফেলতে এক সেকেন্ডও ভাববে না। ওরা মানুষ না। আপনার জিনিসের চাইতে আপনার জীবন মূল্যবান।

১৪. কোনো ছিনতাইকারী আপনাকে ছিনতাই করে পালানোর সময় যদি তাকে চিনে ফেলেন, তবে ভুলেও বলতে যাবেন না, অমুক, তুই এই কাজ করলি? আপনি চিনে ফেলামাত্রই ওরা আপনাকে মে'রে ফেলবে।

১৫. চিৎকার করে লোক ডেকে বা ৯৯৯ এ ফোন করে কোনো লাভ নেই। বিপদে সহজে কেউ আসে না। সবাই নীরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে দেখে শুধু।

১৬. আপনার বাসা যদি ঢাকা বা বড় কোনো শহরে অপেক্ষাকৃত কম সিকিউরিটিযুক্ত এলাকায় হয় এবং আপনার বাসায় দেখতে মোটামুটি সুন্দর কোনো মেয়েলোক থাকে কিংবা মাঝবয়েসী থেকে অল্পবয়সী কোনো মেয়ে থাকে, আমার মতে আপাতত তাকে/তাদের গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিন। চুরি বা ছিনতাইয়ের সময় এরাও টার্গেট থাকে। মনে রাখবেন, আপনি চিৎকার করে মরে গেলেও পাশের বাসা থেকে একজনও বেরিয়ে আসবে না। সবাই বরং দরজা জানালা ভালো করে বন্ধ করে দেবে।"

১৭. রাতের বেলা দূর পাল্লার বাস, কার বা ট্রেন জার্নি করা থেকে বিরত থাকুন পারলে।

উপরোক্ত কথাগুলো কাউকে আতংকিত করার জন্য বলছিনা। এতে যদি একজনও উপকৃত হয়, এটাও বা কম কি!

Ideas from Humayun Kabir ©

Address

Rajshahi

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when SafArt posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share