𝙵𝚊𝚌𝚔 𝚂𝚖𝚒𝚕𝚎

08/08/2025

22/07/2025

এখন চেতনা কোথায় গেল আপনাদের ? লাশের হিসেব চাওয়া অপরাধ ?

22/07/2025

আবু সাইদ ফ্রম দাড়াজ😄

06/07/2025

সব এলাকায় এমন একটা করে আছে!
শুধু লিংক না বের হওয়া পর্যন্ত এরা ভালো😎

23/06/2025

"শেষ চিঠি"

নামটা ছিল আয়মান। সোজাসাপটা ছেলেটা, তেমন স্মার্ট নয়, কিন্তু মনের দিক দিয়ে একদম স্বচ্ছ। আর ওর জীবনের সবচেয়ে সুন্দর অধ্যায় শুরু হয়েছিল যখন সে প্রথম দেখেছিল মেয়েটিকে — নীলা।

নীলা ছিল হাসিখুশি, প্রাণবন্ত। যেদিন প্রথম ইউনিভার্সিটিতে নীলার সাথে দেখা, সেদিনই যেন আয়মানের পৃথিবীটা বদলে গেল। ক্লাসে আসা-যাওয়ার ফাঁকে একটু একটু করে কথা হওয়া শুরু হলো। এরপর কবে যে বন্ধুত্বটা গভীর হয়ে প্রেমে গড়ালো, তা আয়মান নিজেও টের পায়নি।

নীলার পাশে থাকতে পেরে আয়মান মনে করেছিল, সব পেয়ে গেছে। সে কল্পনা করত—একটা ছোট্ট বাড়ি, নীলা রান্না করছে, আয়মান বই পড়ছে, আর জানালা দিয়ে বাতাস ঢুকছে। এমনই ছোট ছোট স্বপ্নে ভরা ছিল তার দিনগুলো।

কিন্তু সময়টা হয়তো এতটা উদার ছিল না। ধীরে ধীরে আয়মান বুঝতে লাগল, নীলা বদলে যাচ্ছে। মেসেজের উত্তর দিত দেরিতে, দেখা করতে চাইত না, হাসিতে আর সেই আগের উষ্ণতা থাকত না। একদিন সাহস করে আয়মান জিজ্ঞেস করল,
— "নীলা, তুমি কি আগের মতো ভালোবাসো আমাকে?"
নীলা চোখ নামিয়ে বলল,
— "ভালোবাসি না বলব না… কিন্তু ভালোবাসাটা আগের মতো নেই।"

এক বাক্যে আয়মান যেন ভেঙে পড়ল।

নীলা বলল,
— "আমার পরিবার চায় আমি দেশের বাইরে পড়তে যাই। আমি নিজেকে খুঁজে পেতে চাই। সম্পর্ক, প্রেম… এই সবকিছু থেকে একটু দূরে যেতে চাই।"
— "তবে কী আমি কখনোই তোমার জীবনের অংশ ছিলাম না?"
— "ছিলে। কিন্তু সব গল্পের শেষটা একসাথে হয় না আয়মান।"

নীলা চলে গেল। অন্য দেশে, অন্য জীবন শুরু করল। আয়মান ফিরে এল একা ঘরে। একদিন চুপচাপ বসে একটা চিঠি লিখল —

"নীলা,
তুমি যাও, তোমার স্বপ্নের পথে হাঁটো। আমি সেই লোকটা, যে তোমার গল্পে থাকতে পারিনি, কিন্তু সবসময় তোমার গল্প পড়বে। ভালো থেকো।
— আয়মান"

চিঠিটা পাঠানো হয়নি। ড্রয়ারে রেখে দিল। এখনো পড়ে, এখনো কাঁদে।

---