30/06/2025
আমার গল্পে যে দোষী, তার গল্পে সেও আমাকে এতটুকু ছাড় না দিয়ে পুরোদমে দোষী সাব্যস্ত করে অপরাধীর কাঠগড়ায় দাঁড় করায়। অথচ চাইলেই মাত্র এককাপ চায়ের আমন্ত্রণ গ্রহণ করে মিমাংসা টেনে দুজনে ভালোথাকা যেত। কিন্তু তা কেউই চাইলাম না।
আকড়ে ধরে ভালো থাকতে চাওয়াটা ভালোথাকতে না দেওয়ার দাপটের কাছে হেরে গেল। এতটাই বিষিয়ে উঠল একে অন্যের উপস্থিতি! মাঝ হতে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জয়ী হলো — পাত্তা না পাওয়া এক সময়ের জমে থাকা অভিযোগ, রাগ আর তীব্র অভিমানেরা।
জোড় করে জিততে গিয়ে আমরা যে বারবার হেরে যাচ্ছি এই আত্মউপলব্ধিটুকুন একবারের জন্যও আমাদের চোখে আঙ্গুল দেখিয়ে ধরা দিল না। মানলামই না যে আমরা মূলত আমাদেরই ক্ষত বাড়াচ্ছি। এর চেয়ে ক্ষত নিরাময়টা বোধহয় বেশি সহজ ছিল।
আমাদের চাওয়ার পাওয়ার মাঝে এখন কতো তফাৎ!
অথচ একদিন এক হয়েছিলাম আমাদের চাওয়া পাওয়া এক বলে। এই যে এভাবে আপাদমস্তক সবকিছু বদলে যাওয়াটা আদৌ কতটা যৌক্তিক? মেনে নিয়ে থেকে যাওয়ার ইচ্ছেটাকে এখন কেন আর মানতে চাচ্ছি না কেউ? এর উত্তর আমি খুঁজব কোথায়?
কী অদ্ভূত এই বিচ্ছেদ! এ কেমন প্রহসন?