16/08/2025
প্রেম মানেই শুধু শরীর নয়—এই সত্য আমরা সবাই জানি। কিন্তু সেই প্রেম যদি শরীর স্পর্শ না করে, শরীরের ছোঁয়া না পায়, তবে সে প্রেম কোথাও গিয়ে অসম্পূর্ণ থেকে যায়। প্রেমের শেষ বাড়িটা শরীরেই এসে থামে, শেষ জানালাটা খোলে স্পর্শে, লিপ্ততায়।
অনেকেই ভাবে, শরীর চাওয়া বুঝি কেবল পুরুষের ব্যাপার। মেয়েরা শুধু ভালোবাসবে, লাজুক থাকবে, সংযত থাকবে। কিন্তু আসলে কি তাই? মেয়েরাও চায়—ভীষণভাবে, গভীরভাবে, স্বচ্ছভাবে। তারা লুকিয়ে রাখে, কিন্তু অনুভব করে প্রবলভাবে।
একজন নারী যখন প্রেমে পড়ে, তখন সে শুধু তার প্রেমিকের মন নয়, শরীরটাও নিজের করে পেতে চায়। তার প্রতিটি ঘামের গন্ধ, প্রতিটি আলতো ছোঁয়া, গভীর চুমু—সবটুকু তার নিজস্ব চাহিদার একটা পরিপূর্ণতা। শরীর তখন শুধু কামনার নয়, হয়ে ওঠে অনুভবের একমাত্র ভাষা।
সমাজ পুরুষের চাওয়াকে প্রশ্রয় দেয়—তাকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয়। কিন্তু নারীর আকাঙ্ক্ষা? সেটা যেন অপরাধ, যেন লজ্জা। অথচ নারীও তো শরীরের মানুষ, রক্ত-মাংসের এক পরিপূর্ণ সত্তা। তারও শরীর জ্বলে, মন কাঁপে, স্পর্শ চায়।
এই চাওয়া অশ্লীল নয়। বরং এ এক নির্ভেজাল ভালোবাসার প্রকাশ। একজন নারীর যখন এমনভাবে কাউকে ভালোবাসতে ইচ্ছে করে, যে সে তার শরীরও ছুঁয়ে দেখতে চায়—তখন তা হয়ে ওঠে আত্মসমর্পণের শ্রেষ্ঠ রূপ। সে চায় একটুখানি আলতো চুমুতে নিজের সমস্ত বিশ্বাস তুলে দিতে, চায় ভালোবাসার গভীরতায় নিজেকে হারিয়ে ফেলতে।
ভালোবাসা তখনই পবিত্র হয়, যখন তা শরীর ছুঁয়ে গেলেও নোংরা হয় না—বরং আরও পবিত্র হয়ে ওঠে, কারণ তাতে থাকে সম্মান, নিরাপত্তা, ও একান্ত স্বত্বা দিয়ে ভালোবাসার ইচ্ছা।
এটাই সত্য—প্রেম শেষমেশ শরীরেই এসে পূর্ণতা পায়। আর মেয়েদের সেই চাওয়াটা, গোপনে নয়, গর্বের সঙ্গেই বলার সময় এসেছে।