24/03/2025
※ শবে কদরের তারিখ নির্ণয় ও এর ফজিলত লাভের উপায়ঃ
,
#শবে কদরের নির্দিষ্ট তারিখ সম্পর্কে চল্লিশটিরও বেশি মতামত পাওয়া যায়। এই
ব্যাপারে সবচেয় সঠিক মত হলো রমযানের শেষ দশ দিনের কোনো এক বিজোড়
রাত্রিতে।
☎নিম্নে কয়েকটি হাদীস উল্লেখ করা হলো,
☞রমযান মাসের শেষ দশ দিনের বিজোড় রাত্রিগুলোতে লাইলাতুল কদর তালাশ করো।
(সহীহ বুখারী, হাদীস-২০১৭)
☞উবাই বিন কাব হতে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, লাইলাতুল কদর সম্ভবত রমযানের ২৭তম রাতে। কারণ ঐ রাতে মুহাম্মাদ (সা) আমাদেরকে নামাজে দাঁড়াতে বলতেন।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস-২৩৬৪)
☞লাইলাতুল কদর রমযান মাসের
২১,২৩,২৫,২৭ এবং রমযানের শেষ
রাতে খোজ করো।
(আত-তিরমিযী, হাদীস-৭৯৪)
☞রসূল (সা) রমযানের শেষ দিনে লাইলাতুল কদর খোজ করতেন।
(সহীহ বুখারী, হাদীস-২০২০)
☞রমযানের শেষ দশ রাতে লাইলাতুল কদর খোজ করো। তবে যদি অপরাগ
হও তাহলে শেষ রাতে খোজ করো।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস-২৬২১)
☞লাইলাতুল কদর রমযানের শেষ সাত দিনের ভিতর রয়েছে।
(সহীহ বুখারী, হাদীস-২০১৫)
,
#সুতরাং এসব আলোচনা হতে বুঝা যায়, লাইলাতুল কদর রমযানের শেষ দশ দিনের কোনো এক রাতে। আর অধিকাংশ আলিমগণ বলেন যে, লাইলাতুল কদরের রমযান মাসের শেষ দশ দিনের কোন এক বিজোড় রাতে এবং সম্ভবত ২৭ রমযানের রাতে ৷
,
#শবে_কদরের_ফজিলত_লাভের_উপায়ঃ
☞শবে কদরের ফজিলত সম্পর্কে আমরা কমবেশী সবাই জানি ৷ কিন্তু এর ফজিলত থেকে আমরা অধিকাংশই বঞ্চিত রয়ে যাই ৷
,
#প্রত্যেক রাতেই আমাদেরকে শবে কদর তালাশ করা উচিত এবং ব্যক্তিগতভাবে বেশী বেশী নফল এবাদত পালন করা উচিত ৷ আর যদি তা না পারি তাহলে অন্তত ইমাম সাহেবের সাথে শেষ রাকাত পর্যন্ত তারাবীহ পড়া উচিত ৷ তাহলে শবে কদরের ফজিলত কিছুটা আমরা পেতে পারি ৷ কারন রাসুল সাঃ বলেছেন,
من قام مع الإمام حتي ينصرف كتب له قيام ليله
যে ব্যক্তি ইমামের সাথে শেষ রাকাত পর্যন্ত তারাবীহ পড়বে, সারারাত নফল এবাদতের সওয়াব তার আমলনামায় লিখে দেয়া হবে ৷ (তিরমিযী, ৩/১৬৯)
☞এই হাদীসের আলোকে বলা যায়, ইমাম সাহেবের সাথে শেষ রাকাত পর্যন্ত তারাবীহ পড়লে আশাকরি আল্লাহ তায়ালা শবে কদরের ফজিলত থেকে বঞ্চিত করবেন না ৷ তবে যতটুকু সম্ভব আমাদেরকে বেশী বেশী করে নফল এবাদতে নিয়োজিত থাকা উচিত ৷
,
★আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে শবে কদরের পূর্ণ ফজিলত দান করুন ৷ আমীন
fans #শবে_কদরের_ফজিলত_লাভের_উপায়ঃ #বাংলাদেশ