কথিত আহলে হাদীস দমন কমিশন

কথিত আহলে হাদীস দমন কমিশন Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from কথিত আহলে হাদীস দমন কমিশন, Newspaper, Rajshahi.

08/04/2025
08/03/2025

হিজবুত তাহরীর আকিদা সম্পর্কে আমাকে ও আপনাদের সতর্ক করার জন্য এই পোষ্ট।

❏ হিজবুত তাহরীর এর ভয়ংকর আকীদাহ!
-------------------------------------------------------------

প্রতিষ্ঠাতা:

এই দলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম আমীর হচ্ছেন তকীউদ্দীন নাবাহানী। তিনি ১৯০৯ সালে বর্তমান ইসরাঈলের হাইফা শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৪৮ সালে বাইরুতে হিজবুত তাহরীর প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৭ সালে তিনি বাইরুতে ইন্তকাল করেন।

দলটির মূলনীতি:

এ দলের মূলনীতি মুতাযেলা ও আশআরী সম্প্রদায়ের সাথে মিলে যায়। তারা শরীয়তের দলীলের উপর মানবীয় বিবেক বুদ্ধিকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে।

এই দলের কার্যকলাপ সম্পর্কে যতদূর জানা যায়:
তাদের একমাত্র দাবী হচ্ছে খেলাফত প্রতিষ্ঠা করা। এই দিকেই তারা আহবান করে। ঈমান, নামায, রোজা ও ইসলামের অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে তাদের কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় না। তাদের অনেক নেতাই নিজ নিজ দেশ ছেড়ে পাশ্চাত্য দেশে গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। তারা খেলাফত পুনরুদ্ধার করতে চায়। কিন্তু শির্ক, বিদআত, সুফীবাদ ও পাপ কাজে লিপ্ত হওয়ার কারণে যে উছমানী খেলাফতের পতন ঘটেছে, তা নিয়ে তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। তারা নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন ছাড়াই আল্লাহর কাছে ভাগ্যের পরিবর্তন চায়। তারা সবসময় রাজনীতি নিয়েই ভাষণ ও বক্তৃতা দেয়। ইসলামের অন্যান্য মৌলিক শিক্ষার দিকে কোন গুরুত্ব নেই। মুসলিম দেশের সেনাপতি অমুসলিম হলেও তাদের কোন অসুবিধা নেই।
--- [ দেখুনঃ ৫/৬/১৯৭০ তারিখে এ দলের আমীর নাবহানী কর্তৃক প্রকাশিত একটি প্রশ্নোত্তর সম্বলিত লিফলেট ]

তাদের মতে, হারাম পথ অবলম্বন করে লক্ষ্য-উদ্দেশ্যে পৌঁছাতে কোন অসুবিধা নেই। আমরা যে অর্থে তাকদীরের প্রতি বিশ্বাস করি, তারা তা অস্বীকার করে।
---- [ দেখুনঃ আদ্-দাওসীয়া, পৃষ্ঠা নং-১৮ ]

আক্বল তথা মানবীয় বিবেক হচ্ছে দ্বীনের অন্যতম মূলনীতি। তাদের এ নীতিটি মুতাযেলাদের কথার সাথে মিলে যায়। কর্মক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের একত্রিত হওয়া এবং পরস্পর সহযোগিতা করা জরুরী।
শিয়া ও সুন্নীর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
---- [ দেখুনঃ আল-ওয়াঈ আত্ তাহরীরিয়া, সংখ্য ৭৫, বর্ষ-১৯৯৩ ]

তাদেরকে ছাড়া তারা সকল মুসলমানকে কাফের মনে করে এবং সকল মুসলিম রাষ্ট্রকে কুফরী রাষ্ট্র বলে মনে করে। এমন কি মক্কা ও মদীনাকেও তারা ইসলামী দেশ মনে করে না। অপরিচিত মহিলাকে চুম্বন করা ও তার সাথে মুসাফাহা করা জায়েয।
--- [ দেখুনঃ তাদের আমীর নাবহান কর্তৃক প্রকাশিত ২৯/৫/১৯৭০ সালে প্রকাশিত ‌-একটি প্রশ্নের উত্তর- নামে একটি লিফলেট ]

মহিলাদের উলঙ্গ ছবির দিকে তাকানো জায়েয।
কুরআন ও সুন্নার বিরোধতা করলেও খলীফার আনুগত্য করা জরুরী।
--- [ আদ্ দাওলাতুল ইসলামীয়া, পৃষ্ঠা নং-১০৮ ]

খবরে ওয়াহেদ তথা একক ব্যক্তির সনদে বর্ণিত হাদীছ সহীহ হলেও তা গ্রহণযোগ্য নয়। এখানে তাদের কথা মুতাযেলাদের সাথে মিলে যায়। তারা কবরের আযাবকে অস্বীকার করে।
---- [ তকিউদ্দিন আন-নাবাহানী’র লেখা আদ দাওাসিয়াহ, পৃষ্ঠা নং-৬ ]

ইমাম মাহদীর আগমণ সম্পর্কে বর্ণিত সহীহ হাদীছগুলো তারা গ্রহণ করে। না আজ এখানেই রেখে দিলাম। তাদের সম্পর্কে আরও কোন নতুন তথ্য পেলে আগামীতে লিখবো ইনশা-আল্লাহ্। এটি একটি বাতিল ও গোমরাহ ফির্কা। এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। শেখ দামেশকিয়া কর্তৃক লিখিত ( حزب التحرير مناقشة لأهم مباديء الحزب ) নামক কিতাবটিতে তাদের মতবাদ সমূহ বিস্তারিত পাওয়া যাবে।

সাবধান! সাবধান! মুসলিম যুবক ও শিক্ষিত ভাইগণ তাদের দলে শরীক হওয়া থেকে সাবধান।
হিজবুত তাহরীর যে সমস্ত বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ইসলামের দু’টি মূলনীতি কুরআন ও সহীহ হাদীছের দলীলের উপর মানুষের বিবেক বুদ্ধিকে প্রাধান্য দেওয়া। তাদের কিতাবগুলোতেই সুস্পষ্টভাবে উক্ত কথাটি উল্লেখ আছে। হিজবুত তাহরীরের অন্যতম একটি কিতাব نداء حار إلى المسلمين من حزب التحرير এ বলা হয়েছে, “ইসলামের প্রকৃত রূপ হচ্ছে, তা চিন্তা ও গবেষণার ফলাফল সমূহ। এ জন্যই অহীর মাধ্যমে যা কিছু এসেছে, তার প্রতিটির মধ্যেই বিবেক ও চিন্তাকে কাজে লাগাতে হবে। ইসলাম এমন চিন্তা ও গবেষণার ফল যার ভিত্তি হচ্ছে মানুষের বিবেক”। কিতাবটির লেখক আরও বলেন: “বিবেক দিয়েই ইসলামকে বুঝতে হবে। সঠিক কথা হচ্ছে ইসলাম বিবেকের অধিনস্ত। আর যদি বলা হয় ইসলামকে মাপার যন্ত্রও হল আকল বা বিবেক, তাও ঠিক হবে। কারণ বিবেকই হচ্ছে ইসলামের মূল। সুতরাং আকল বা বিবেক-বুদ্ধি যেটা বলে সেটাই ইসলামের দলীল। কুরআনের আয়াত বা হাদীছ নয়”।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের সকল ইমামের মতে ইসলামের মূল ভিত্তি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব ও রাসূল সুন্নাত; মানুষের বিবেক-বুদ্ধি নয়। মানুষের বিবেক ও বুদ্ধি যদি কুরআন ও হাদীছের কোন তথ্য ও রহস্য বুঝতে সক্ষম হয় তাহলে তো ভালই। আর কোন বিষয়ের বা হুকুমের রহস্য বিবেক দ্বারা বুঝতে না পারলেও তা বিশ্বাস করা জরুরী। এমন কি কুরআন ও হাদীছে বর্ণিত কোন মাসআলা মানুষের বিবেকের বিরোধী হলে বিবেক প্রসুত কথা বাদ দিয়ে কুরআন ও হাদীছের কথাই মেনে নিতে হবে। কারণ কুরআন ও হাদীছের বাণী ভুলের উর্ধে। আর মানুষের জ্ঞান ও বুদ্ধি ভুলের উর্ধে নয়।

বিবেককে কুরআন ও হাদীছের দলীলের উপর প্রাধান্য দেওয়ার কারণেই হিজবুত তাহরীর ও মুতাযেলাদের মধ্যে যথেষ্ট মিল খুঁজে পাওয়া যায়। হিজবুত তাহরীরের লোকেরা মুতাযেলাদের ইমামদের প্রশংসা করেছেন। হিজবুত তাহরীরের প্রতিষ্ঠাতা তকীউদ্দীন নাবাহানী মুতাজেলাদের ইমাম ওয়াসেল বিন আতা, আমর বিন উবাইদ, আবু হিলাল আল-আল্লাক এবং নাযযাম প্রসংগে বলেন:
لم يحصل منهم أي انحراف في العقائد على اختلاف معتقداتهم، فكلهم مسلمون مدافعون عن الإسلام
আকীদার ক্ষেত্রে তাদের কোন প্রকার বিভ্রান্তি ঘটে নি। যদিও তাদের আকীদায় ভিন্নতা ছিল। তারা সকলেই ছিলেন মুসলিম এবং ইসলামের পক্ষের শক্তি।
--- [ দেখুন হিজবুত তাহরীরের কিতাবঃ الشخصية الإسلامية ]

মুতাজেলাদের মতই হিজবুত তাহরীরের লোকেরা কবরের আযাব ও নেয়ামতকে অস্বীকার করেন। দাজ্জালের আগমণেও তারা বিশ্বাসী নয়।
এ দলটি মুতাযেলাদের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার কারণেই খবরে ওয়াহেদ তথা একজন রাবীর সূত্রে বর্ণিত হাদীছ দ্বারা আকীদার যে সমস্ত মাসআলা সাব্যস্ত হয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান করে থাকেন। তকীউদ্দীন নাবাহানী বলেনঃ خبر الآحاد ليس بحجة في العقائد
“আকীদাহ বা বিশ্বাসের সাথে সম্পৃক্ত মাসআলাগুলোর ক্ষেত্রে একজন রাবীর মাধ্যমে বর্ণিত হাদীছ দলীল নয়।”
--- [ দেখুন হিজবুত তাহরীরের কিতাবঃ الشخصية الإسلامية ]

এটি অত্যন্ত বিভ্রান্তিকর একটি কথা। এর মাধ্যমে মুতাযেলা সম্প্রদায় এবং হিজবুত তাহরীরের লোকেরা দ্বীনের অনেক বিষয় অস্বীকার করেছেন। মুহাদ্দিছগণের মতে আল্লাহর কিতাবের পর সবচেয়ে অধিক বিশুদ্ধ কিতাব বুখারী শরীফের প্রথম হাদীছটিই খবরে ওয়াহেদ তথা একজন রাবীর সূত্রে বর্ণিত। এভাবে যদি একক সূত্রে বর্ণিত হাদীছকে অস্বীকার করা হয় তাহলে দ্বীনের অনেক বিষয়কেই অস্বীকার করা হবে। সুতরাং এই দলের লোকদের থেকে সাবধান থাকতে হবে। তাদের বাহ্যিক বড় বড় কথা শুনে আমরা যেন বিভ্রান্ত না হই।

লেখক : আব্দুল্লাহ শাহেদ আল মাদানী হাফিযাহুল্লাহ।
[ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা লেখককে উত্তম প্রতিদান দিন, আমীন ]।

02/03/2025

একটি ভুল মাসআলা : রোযার নিয়ত কি মুখে করা জরুরী?
রোযার নিয়ত নিয়ে অনেকের মধ্যে একটা ভুল ধারণা কাজ করে। অনেকেই মনে করেন, রোযার নিয়ত মুখে করতে হয়। সমাজে যে আরবী নিয়ত প্রচলিত আছে তা বলতে হয়, নইলে কমপক্ষে মুখে এতটুকু বলতে হয় যে, আমি আগামীকাল রোজা রাখার নিয়ত করছি। অন্যথায় নাকি রোযা সহীহ হবে না।
তাদের এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। রোযার জন্য মৌখিক নিয়ত জরুরি নয়; বরং অন্তরে রোযার সংকল্প করাই যথেষ্ট।
এমনকি রোযার উদ্দেশ্যে সাহরী খেলেই রোযার নিয়ত হয়ে যায়। সুতরাং এ কথা ভাবার কোন সুযোগ নেই যে, মুখে রোযার নিয়ত না করলে রোযা হবে না।

22/02/2025

জরুরী ভিত্তিতে একজন নুরানি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষিকা এবং একজন হাফেজা শিক্ষিকা প্রয়োজন।
বেতন আলোচনা সাপেক্ষে।
যোগাযোগ:-
মুন্ডুমালা পৌরসভা তানোর রাজশাহী।
01736 631282

আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ এর দলিল,১। ৩৪ বছর বুখারী পড়াই২। ৩২ বছর ওয়াজ করি৩। ২৬ বছর ফতোয়া লিখি৪। ছয় বছর ধরে ফতুয়া বোর...
12/01/2025

আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ এর দলিল,
১। ৩৪ বছর বুখারী পড়াই
২। ৩২ বছর ওয়াজ করি
৩। ২৬ বছর ফতোয়া লিখি
৪। ছয় বছর ধরে ফতুয়া বোর্ড পরিচালনা করি।
আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের
কুরআন সুন্নাহ পরিপন্থি বক্তব্য
# আযানের পরেও তৃপ্তি সহকারে সাহরী খাওয়া যাবে
নাউজুবিল্লাহ
# বিতের নামাজ নফল।
না পড়লে কোন গুনাহ হবে না
নাউজুবিল্লাহ।
# মায়ের বুকে যতদিন দুধ আছে বাচ্চা ততদিন দুধ খাবে
নাউজুবিল্লাহ‌
# কুরবানী নফল
কোটিপতি কুরবানী
না করলেও
গুনাহ হবে না
নাউজুবিল্লাহ।
# হযরত ওসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু বিদআত করেছেন
নাউজুবিল্লাহ।
# তারাবীতে কোরআন খতম করা বিদআত নাউজুবিল্লাহ
# গরিব মানুষ বড় মাছ কিনলে জাহান্নামি হবে।
নাউজুবিল্লাহ।
# কাবা শরীফ হিন্দুদের টাকায় নির্মিত।
নাউজুবিল্লাহ।
# হানাফীদের মসজিদে ফজরের নামাজ ও আসরের নামাজ হবে না
নাউজুবিল্লাহ।
এজন্য তার অন্ধ ভক্ত মুরিদরা
আমাদের মসজিদে ফজর এবং আসরের নামাজ পড়তে আসে না।
# সুর দিয়ে ওয়াজ করা হারাম
সে নিজেও এক সময় সুখ দেওয়ার চেষ্টা করত
কিন্তু তার কন্ঠ এতটাই বিশ্রী যে
সুর দিলে প্রচন্ড বেমানান হয়।
# বাপের বাড়িতে মেয়ে তিন দিনের বেশি থাকলে
স্বামীকে খরচ দিতে হবে।
#২০ রাকাত তারাবি নাকি বিদআত
নাউজুবিল্লাহ
অথচ তারাবির নামাজ ২০ রাকাত সুন্নত
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ২০ রাকাত পড়েছেন
সাহাবায়ে কেরাম ২০ রাকাত পড়েছেন
এবং সাহাবায়ে কেরামের আমলে
২০ রাকাত জামাতের সাথে চূড়ান্তভাবে ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
# কোমল পানীয় মদ
নাউজুবিল্লাহ
কোন হালাল বস্তুকে মনগড়াভাবে হারাম করার সুযোগ নেই।
# মাযহাব মানা হারাম ও শিরিক।
# কোরআন শরীফ অশুদ্ধ পড়লেও নামাজের সমস্যা হবে না
কারন সে নিজেই কুরআন শরীফ পড়তে পারে না ‌
# চরম অহংকারী সে তার প্রতিপক্ষকে বলে তোমাকে আমি মানুষই মনে করি না
কি আজব ব্যাপার মতের বিরুদ্ধে গেলেই তাকে মানুষ মনে করবে না।
নাউজুবিল্লাহ।
# এক বালতি গরুর পেশাবে
কাপড় ভিজিয়ে নামাজ পড়া যাবে
নাউজুবিল্লাহ
# সর্ব অবস্থায় সালাম দিতে হবে
যদি কেউ এসব পায়খানা করে অথবা মদ পান করে তবুও আপনি সালাম দিতে বাধ্য।
নাঊযুবিল্লাহ।
# মুসাফির ব্যক্তি সফরে যতদিন
থাকবে কসর আদায় করবে
তিন চার মাস হোক আর এক বছর হোক।
নাউজুবিল্লাহ।
# মসজিদের দোতালায় পেশাব খানা পায়খানা বানানো যাবে।
নাউজুবিল্লাহ
# পুকুরের ফরজ গোসল করা যাবে না
নাউজুবিল্লাহ
# কেউ বাড়ি থেকে বের হলেঈ মুসাফির ৪৮ মাইল বড় কথা না।
নাউজুবিল্লাহ।
এক কথায় শরীয়তের প্রতিটি বিধানের ব্যাপারে তার মনগড়া বক্তব্য আছে।
তার শরীয়ত পরিপন্থী লাগামহীন বক্তব্যের সীমারেখা নেই।
যা প্রশ্ন করা হয় সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেয়
মন যা চায় তাই বলতে থাকে।
তার মূল টার্গেট হানাফিদের সমস্ত কর্মকাণ্ড ভুল প্রমাণিত করা
এতে যা বলার দরকার সে বলবে
তার বক্তব্যে জাতি প্রচুর পরিমাণে
ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে
আল্লাহতালা তার ফেতনা থেকে সকলকে হেফাজত করুন।

আ-মীন।।।

31/12/2024

থার্টিফার্স্ট নাইট ও নিউ ইয়ার উৎসব উদযাপনকে “না” বলুন
--------------------------------------
মুফতী আবুল হাসান শামসাবাদী
--------------------------------------

ইসলামের নির্দেশ হলো, মুসলমানগণ কোন ব্যাপারে ইয়াহুদী-খৃষ্টানদের অনুকরণ করতে পারবেন না। এ সম্পর্কে হযরত আবু উমামা বাহেলী (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন--

مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ ، وَمَنْ أَحَبَّ قَوْمًا حُشِرَ مَعَهُمْ

“যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের কৃষ্টি-কালচারের অনুকরণ করবে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত গণ্য হবে এবং যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়কে মহব্বত করবে, তাদের সাথে তার হাশর হবে।” (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৫১৪)

সুতরাং মুসলমানগণ উৎসব পালনেও অমুসলিমদের অনুকরণ করতে পারবেন না। এ সম্পর্কে হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন--

قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ وَلَهُمْ يَوْمَانِ يَلْعَبُونَ فِيهِمَا فَقَالَ مَا هَذَانِ الْيَوْمَانِ؟ قَالُوا كُنَّا نَلْعَبُ فِيهِمَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَبْدَلَكُمْ بِهِمَا خَيْرًا مِنْهُمَا يَوْمَ الْأَضْحَى وَيَوْمَ الْفِطْرِ

“রাসূলুল্লাহ (সা.) মদীনায় আগমন করলেন, তখন সেই অধিবাসীদের দু’টি পর্ব ছিল, সে সময় তারা আমোদ-উৎসব করত। তা দেখে রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন : এ দু’টি দিন কী? তারা বললেন : আমরা এদিন দু’টিতে জাহিলী যুগে আমোদ-উৎসব করতাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা এ দু’টির পরিবর্তে তোমাদেরকে তার চেয়ে উত্তম দিয়েছেন ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর।” (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ১১৩৪/ মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ১৩২১০/ মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং ১১২৪)

আল্লামা ইবনে তাইমিয়াহ (র.) বলেন : “এ হাদীস প্রমাণ করে যে, মুসলমানদের জন্য কাফেরদের উৎসব পালন করা নিষিদ্ধ। কারণ, রাসূলুল্লাহ (সা.) আনসারদের জাহিলী যুগের দু’টি উৎসব বহাল না রেখে রহিত করে দিয়েছেন। (ফাইজুল কাদির, ৪র্থ খণ্ড, ৫১১ পৃষ্ঠা)

তাই এ বিষয়ে সতর্ক করে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন--

مَنْ تَنَافَى أَرْضَ الأَعَاجِمِ فَصَنَعَ نَيْرُوزَهُمْ وَمَهْرِجَانِهِمْ حُشِرَ مَعَهُمْ

“যে ব্যক্তি বিধর্মীদের দেশে বিচরণ করে, অতঃপর তাদের নওরোজ ও মেহেরজান উৎযাপন করে, কিয়ামতের দিন তাদের সাথে তার হাশর হবে।”(সুনানে বাইহাকী, ২য় খণ্ড, ৩২৫ পৃষ্ঠা)

আসুন, ইয়াহুদী ও খৃষ্টানদের অনুকরণে থার্টিফাস্ট নাইট ও নিউইয়ার উদযাপন করা থেকে বিরত থাকি। বিশেষত থার্টিফাস্ট নাইটের নামে নারী-পুরুষরা একত্রিত হয়ে যে উদ্ভট মাতামাতিতে বিভিন্নরকম বেপর্দাপনা, অশ্লীলতা ও নষ্টামীর জন্ম দেয়—তা সম্পূর্ণ কবীরা গুনাহ ও হারাম কাজ। এসব থেকে মুসলমাদের দূরে থাকতে হবে।

Address

Rajshahi

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when কথিত আহলে হাদীস দমন কমিশন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category