
27/09/2025
আন্ত-বিশ্ববিদ্যালয় HackTheAI ২০২৫: ২৪২ টিমের প্রতিযোগিতায় ২য় রানার্স-আপ রুয়েট টিম "Ginger"
গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (জিইউবি) এর স্থায়ী ক্যাম্পাসে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো দেশের অন্যতম বৃহৎ জাতীয় হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা "হ্যাক দ্য এআই পাওয়ার্ড বাই স্মাইথ ওএস" (HackTheAI Powered by SmythOS) এর গ্র্যান্ড ফিনালে। এ প্রতিযোগিতায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থীরা দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করে। রুয়েট টিম "Ginger" অসাধারণ পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে দ্বিতীয় রানার-আপ (৩য় স্থান) অর্জন করে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এক গৌরবময় মুহূর্ত।
২২–২৫ সেপ্টেম্বর চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতা আয়োজন করে গ্রিন ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ ও গ্রিন ইউনিভার্সিটি কম্পিউটার ক্লাব (জিইউসিসি) যেখানে দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
প্রতিযোগিতায় দেশের ৬০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪২টি দল নিবন্ধন করে। বাছাইপর্ব শেষে দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাত্র ৫০টি দল চূড়ান্ত রাউন্ডে জায়গা পায়। চূড়ান্ত পর্বে প্রতিযোগীরা টানা ৮ ঘণ্টাব্যাপী হ্যাকাথনে তাদের উদ্ভাবনী ধারণা, কোডিং দক্ষতা এবং সমস্যা সমাধানের সক্ষমতা প্রদর্শন করে।
রুয়েট টিম "Ginger"-এর সদস্যরা হলেন রুয়েট কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো সিফাত জিয়ন, একই বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের রাফিদ সিদ্দিক এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা (ইউআরপি) বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাজিদ শাহরিয়ার ইসলাম।
উল্লেখ্য, হ্যাক দ্য এআই ২০২৫ প্রতিযোগিতায় রুয়েট থেকে সর্বাধিক ৫টি দল ফাইনালে জায়গা করে নেয়। Team "Ginger" ছাড়াও ফাইনালে স্থান দখল করে নেয় BashBagan, Backprop, Akatsuki এবং team_Namespace।
জানা যায় চূড়ান্ত ফলাফলে চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম DU_Prometheus এবং প্রথম রানার্স-আপ হয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের Ontorponthik। বিজয়ী দলগুলোকে নগদ ৬০০ মার্কিন ডলার পুরস্কারের পাশাপাশি 'স্মাইথ ওএস' এ সাত শতাধিক ডলারের রিমোট সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজের সুযোগ পাবে।
জাতীয় পর্যায়ের এই প্রতিযোগিতায় রুয়েট শিক্ষার্থীদের সাফল্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব বৃদ্ধি করেছে এবং প্রমাণ করেছে যে, প্রযুক্তিনির্ভর উদ্ভাবন ও বাস্তব সমস্যা সমাধানে রুয়েট দেশের অন্যতম অগ্রণী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দ্রুত এগিয়ে চলেছে।