04/08/2025
স্ত্রী থাকতেও যিনি অন্য নায়িকার সাথে বেড শেয়ার করতেন, সেই নায়ক দেশের কিং খান নামে পরিচিত। যিনি তার স্ত্রীকে সন্তান কন্সিভের জন্য ডিভোর্স দিয়েছেন, ইভেন আগেও এবোরশান করিয়েছিলেন। ৭ বছর একটা মেয়ের সাথে সংসার করেছেন কিন্তু তাকে কখনো স্ত্রীর মর্যাদা দেয়ার প্রয়োজনই বোধ করেনাই, ইভেন কখনোই অপুর সাথে প্রেমটুকু পর্যন্ত স্বীকার করেনাই। এতটাই বেইমান, জোচ্চোর আর মেরুদন্ডহীন কাপুরুষ সে! অপু কেনো কন্সিভ করলো শাকিবের নিষেধের বাইরে গিয়ে তাই অপুকে কুকুরের মতো ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিছিলো। এরপর নষ্টামি চালিয়ে গেছে বুবলীর সাথে।
একটা মেয়ে ৮ বছর ধৈর্য্য ধরেছে এবং এরপর সন্তান সহ কোন পর্যায়ে গেলে লাইভে এসে "স্ত্রী-সন্তানের" অধিকার চায়। জাতির কাছে কেঁদে কেঁদে সম্মান চায়, মর্যাদা চায়! এতো প্যাথেটিক এই ব্যাপারটা যা আসলে, যার সাথে না ঘটছে সে কখনো উপলব্ধিই করতে পারবে না। অপু মেয়েটা শাকিবের জন্য নিজের ধর্ম পর্যন্ত ছেড়েছিলো। ভালোবাসার মানুষের সাথে সংসার করার জন্য আর কতটা করা সম্ভব একজন মেয়ের পক্ষে?
এরপর শাকিব একই কাহিনীর পুনরাবৃত্তি করে বুবলীর সাথেও। বিয়ে করেছে কি করেনাই কিচ্ছু জানায় নাই কিন্তু বুবলীকে গর্ভবতী বানিয়ে ফেলে। এরপর বুবলীও সেইম কাহিনী করে অপুর মতো, শাকিব নিজে মুখে বুবলীকে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করে সংবাদ মাধ্যমে। কতটা জঘন্য এই পুরুষ লোকটা! আমি ওর কোনো সিনেমা দেখিনা স্রেফ কারণ ওর চেহারা দেখলেই তো ওর ব্যক্তিগত জীবনের নোংরামি চলে আসে মাথায়। একজন মানুষ তার কাজে যতোই ভালো হোক বা মাস্টার হোক, যার ভালো চরিত্র নাই অর্থাৎ তার কিছুই নাই। এখন অনেকে বলবেন যে, আমাদের পাবলিকদের চরিত্র কতটুকু ভালো? হ্যাঁ হয়তো আমাদের চরিত্রেও ত্রুটি আছে, অবশ্যই আছে কিন্তু আমরা তো শাকিব খানের মতো স্টার না! আমাদের দিকে তো দেশ ও দশের মানুষজন তাকিয়ে থাকে না। শাকিব খান একজন স্টার, তার তো উচিত ছিলো তার চরিত্র ঠিক রাখা। কারণ মানুষ তাকে দেখে, তার দিকে তাকিয়ে থাকে এবং কেউ কেউ তাকে আইডল মানে। একজন আইডল কি এরকম নস্যাৎ চরিত্রের হতে পারে? তাও মানুষ মেনে নিতো যদি সে, দুজন স্ত্রীকেই স্ত্রীর মর্যাদা দিতো, স্বীকার করতো। অপু যে বেহায়ামিটা করে শাকিবকে নিয়ে বর্তমানে, তা নিতান্তই জয়ের জন্য। অপু ভালো করেই জানে ও যদি এই হ্যাংলামিটা না করে তবে জয় বঞ্চিত হবে বাবার আদর থেকে। তবে সেক্ষেত্রেও আমি মনে করি অপুর আরো শক্তভাবে ও পার্সোনালিটি বজায় রেখে সবকিছু করা উচিৎ ছিলো। যেহেতু অপুর নিজের ও ক্যারিয়ার আছে, সে যথেষ্ট রকমের স্বচ্ছল অর্থনৈতিক ভাবেও! তার তো টাকা পয়সার জন্য শাকিবের কাছে হাত পাততে হতো না।
যাইহোক, দিনশেষে হতভাগী অপুরাই হেরে যায়। আর জিতে যায় অপুদেরকে ঠকানো মেরুদন্ডহীন কাপুরুষ শাকিবরা। দিনশেষে ভালো থাকে অন্যের স্বামীর সাথে বিছানা শেয়ার করা নষ্টা বুবলীরা। অনেকেই দেখি তুলনা করেন, অপু ও বুবলীর দুজনের শিক্ষাগত যোগ্যতার ব্যাপারে। কেনো করেন? এর তো কোনো প্রসঙ্গই নাই এখানে। শাকিব তো নিজেই অশিক্ষিত! আর অপুর কাছে বগুড়া প্রেম করতে যখন যেতো শাকিব তখন অপুর শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখে যায়নাই। বুবলীর কাছেও শাকিব শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখে যায় নাই। শাকিব খান তো সুযোগ নিছে অপু বিশ্বাসের বোকামি, সরলতা ও দুর্বলতার। আর বুবলী তো শুয়ে পরার জন্য আগে থেকেই বালিশ নিয়ে রেডি ছিলো, সময়ে সুযোগে মিলে গেছে তাই শুয়েও পরেছে।
অপু বুবলীকে নিয়ে উল্টাপাল্টা মন্তব্য করে সাক্ষাৎকারে এইটা নিয়া পাবলিক অপুকে তুলোধুনো করে। তো অপুর কি করা উচিৎ ছিলো আপনাদের মতে? অপুর উচিৎ ছিলো বুবলীকে কোলে তুলে চুমু খাওয়া? 😂 আপনারা অপুর জায়গায় থাকলে কি বুবলীকে চুমু খেতেন? পারতেন সবসময় আবেগকে, ক্ষোভকে, নিজের অসহায়ত্বকে সামলে নিতে?
আমি সত্যিই খুব খুশি হতাম যদি অপু কোনোদিন আর শাকিবের ছায়াও না মাড়াতো। যদি অপু শুধু জয়ের জন্য শাকিবের সাথে ফরমাল যোগাযোগটুকু বজায় রাখতো তাতেই যথেষ্ট হতো। কিন্তু অপু নিজের পার্সোনালিটি আর আবেগ গুলিয়ে জগাখিচুড়ি পাঁকিয়েছে। যেটার জন্য আজকে অপুকে নিয়ে আমরা হাসাহাসি করি। কিন্তু ডিপ ইনসাইড, আই ফিল রিয়েলি স্যরি ফর অপু! অপুদের উচিৎ শক্ত হওয়া, অপুদের উচিৎ শাকিব খানদের দিকে এক দলা থু ছুঁড়ে মেরে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু বঙ্গদেশের অপুরা তো খুব বোকা হয় আসলে! খুব ই বোকা হয়!