22/06/2025
সম্পর্ক মানেই একে অপরকে বোঝা, গ্রহণ করা এবং একে অপরের পাশে থাকা।
কিন্তু যখন আমরা আমাদের পার্টনারকে বদলাতে চাই, তাদেরকে আমাদের পছন্দমতো গড়ে তুলতে চাই—সেটা অনেক সময় একটি নিঃশব্দ বিষের মতো সম্পর্ককে নষ্ট করে ফেলে।
প্রথমেই বুঝে নেওয়া দরকার, কাউকে ভালো মানুষ বানাতে চাওয়া আর কাউকে নিজের মতো বানাতে চাওয়া এক নয়।
অনেক সময় আমরা অজান্তেই পার্টনারের স্বভাব, পছন্দ-অপছন্দ, এমনকি ব্যক্তিত্বকেও বদলে দিতে চাই। যেমন—“সে এত চুপচাপ কেন?”, “তাকে একটু বেশি সোশ্যাল হতে হবে”, “ওর এই অভ্যাসটা আমার একদম ভালো লাগে না, বদলাতে হবে।”
এভাবে চলতে চলতে এক সময় আমরা বুঝতেই পারি না, আমরা যাকে ভালোবেসেছিলাম, তাকে নয় — একটা কনট্রোলড, কাস্টমাইজড ভার্সন বানানোর চেষ্টা করছি। আর এটাই একটা সম্পর্কের সবচেয়ে টক্সিক দিক হতে পারে।
পার্টনার যদি আপনাকে সম্মান না করে, আঘাত করে বা নিজের সীমা অতিক্রম করে তবে অবশ্যই তার পরিবর্তন দরকার।
কিন্তু তার ব্যক্তিগত স্টাইল, চুপচাপ থাকা, বা আবেগ প্রকাশের ধরন শুধুমাত্র আপনার প্রত্যাশার সঙ্গে না মিললে সেটা বদলাতে চাওয়া মানেই টক্সিসিটি তৈরি করা।
একটি সুস্থ সম্পর্কের মূল হল পারস্পরিক সম্মান, সীমার প্রতি শ্রদ্ধা,গ্রহণযোগ্যতা।
সত্যিকারের ভালোবাসা হলো পার্টনারের ত্রুটি সহও তাকে গ্রহণ করতে পারা , এবং প্রয়োজন হলে একসঙ্গে বেড়ে ওঠা।
তাই নিজেকে একবার জিজ্ঞেস করুন—
আপনি তাকে বদলাতে চান ভালোবাসা থেকে, নাকি আপনার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে?
সঠিক উত্তরটাই বলে দেবে, আপনি কি সুস্থ সম্পর্কে আছেন, না কি নিঃশব্দ এক বিষক্রিয়ায় ডুবে যাচ্ছেন।