Rasel philosopher

Rasel philosopher Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Rasel philosopher, Digital creator, Durgapur, Rajshahi.

আসসালামুয়ালাইকুম সবাই কে স্বাগতম এই পেজে । সত্য বল সূপথে চল ওরে আমার মন সত্য সূপথ চিনলে পাবি মাওলা জিরো দর্শন। মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি। জয় হোক বিশ্ব মানবতার।।।

⭐️ কোরবানী সংক্রান্ত ধারাবাহিক আলোচনার আজ থাকছে ➡️ ৬ষ্ঠ পর্ব ⭐️■পশুর জান থাকাকালীন চামডা ছোলার বিধান■ পশু জবাইয়ের পর জান...
07/06/2025

⭐️ কোরবানী সংক্রান্ত ধারাবাহিক আলোচনার আজ থাকছে ➡️ ৬ষ্ঠ পর্ব ⭐️

■পশুর জান থাকাকালীন চামডা ছোলার বিধান■

পশু জবাইয়ের পর জান বের হবার পূর্বে চামড়া ছোলা, রগ কাটা, ছুরি দিয়ে গলার হাড্ডিতে আঘাত করা বা অন্য কোন অঙ্গ কাটা ইত্যাদি মাকরূহে তাহরীমী। অতএব তা পরিহার করা উচিত৷ -----(সহীহু মুসলিম ৪৯৪৯ হাদীস৷ সুনানে নাসায়ী ৪৪০৫ হাদীস৷ সুনানে ইবনে মাজাহ ৩১৭০ হাদীস৷ সুনানে তিরমিযী ১৪০৯ হাদীস৷ ফতোয়ায়ে কাসেমীয়া ১/৩৬০ পৃষ্ঠা৷)

■■ অন্য পশুর সামনে জবাই করার বিধান ■■

এক পশুর সামনে অন্য পশু জবাই করা মাকরুহ৷ কেননা এতে পশুর মনে ভয় ও আতংক সৃষ্টি হয়৷ অনুরূপভাবে পশুর সামনে ছুরি ধার দেয়াও মাকরুহ৷ তাতেও পশুর মনে ভয় ও আতংক সৃষ্টি হয়৷ আর পশুর মনে ভয় ও আতংক সৃষ্টি করতে ইসলাম নিষেধ করেছে৷ -----(সহীহু মুসলিম ৪৯৪৯ হাদীস৷ সুনানে ইবনে মাজাহ ৩১৭২ হাদীস৷ সুনানে আবু দাউদ ২৮১৪ হাদীস৷ সুনানে নাসায়ী ৪৪০৫ হাদীস৷ ইমদাদুল ফতোয়া ৩/৫৪৭ পৃষ্ঠা৷)

■■ পশু জবাই করা ছুরির বিধান ■■

ধারালো ছুরি দ্বারা পশু জবাই করা সুন্নাত৷ আর ভোতা ছুরি দ্বারা পশু জবাই করা মাকরুহ৷ কেননা এতে পশুর কষ্ট হয়৷ আর পশুকে কষ্ট দিতে হাদীসে নিষেধ করা হয়েছে৷ -----(সহীহু মুসলিম ৪৯৪৯ হাদীস৷ সুনানে দাউদ ২৮১৪ হাদীস৷ সুনানে নাসায়ী ৪৪০৫ হাদীস৷ ইমদাদুল ফতোয়া ৩/৫৪৭ পৃষ্ঠা৷ বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৩ পৃষ্ঠা৷)

■ পশু জবাইকারীর পারিশ্রমিক দেওয়ার বিধান ■

কুরবানী পশু জবাই করে পারিশ্রমিক নেওয়া জায়েয হবে। বরং এটা জবেহকারীর হকও বটে৷ তবে এরজন্য কুরবানীর গোশত বা পশুর কোনো কিছু দ্বারা পারিশ্রমিক দেওয়া জায়েয হবে না৷ -----(সহীহুল বুখারী ১৭১৬ হাদীস৷ বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৪ হাদীস৷ আল বাহরুর রায়েক ৮/৩২৬ হাদীস৷ ফতোয়ায়ে রহমানিয়া ১/৪৯৮ পৃষ্ঠা৷)

■■ জবাইকারীকে গোস্ত দেওয়ার বিধান ■■

জবাইকারীকে চামড়া, গোশত, পায়া বা কুরবানীর পশুর অন্য কোন অংশ পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া জায়েয হবে না৷ -----(সহীহুল বুখারী ১৭১৬ হাদীস৷ আহকামুল কুরআন ৩/২৩৭ পৃষ্ঠা৷ আল বাহরুর রায়েক ৮/৩২৬ পৃষ্ঠা৷ ফতোয়ায়ে কাযীখান ৩/৩৫৪ পৃষ্ঠা৷)

■■ কুরবানীর মাংস বন্টনের বিধান ■■

কুরবানীর গোশত তিনভাগ করা সূন্নাত৷ আর তার বন্টন হবেঃ
👉 একভাগ নিজের/পরিবারের জন্য
👉 একভাগ আত্মীয়-সজনের জন্য এবং
👉 একভাগ গরীব-মিসকীনের জন্য৷
অবশ্য কেউ যদি পুরো গোশত নিজে রাখে বা পুরো গোশত বিলিয়ে দেয় তবে তাও জায়েয হবে।
-----(সূরা হজ্ব ২৮ আয়াত৷ ফতোয়ায়ে আলমগীরী ৫/৩০০ পৃষ্ঠা৷ বেহেশতী জেওর ৩/২৯৯ পৃষ্ঠা৷)

■■ কুরবানীর দাতার খাদ্য গ্রহণের বিধান ■■

কুরবানীদাতার জন্য নিজ কুরবানীর গোশত খাওয়া সুন্নাত । আর কুরবানীর প্রথম দিন সকাল থেকে কোন কিছু না খেয়ে নিজ কুরবানীর গোশত দ্বারা খানা শুরু করা সূন্নাত। হযরত রাসূলে কারীম (দঃ) কুরবানীর দিন নিজ কুরবানীর গোশত দ্বারা খানা শুরু করতেন। তবে যিলহজ্বের ১১- ১২ তারিখে নিজ কুরবানীর গোশত দ্বারা খানা শুরু করা সূন্নাত নয়। বরং এ সুন্নত কেবল ১০-তারিখের জন্য খাস। -----(সূরা হজ্ব ২৮ আয়াত৷ তিরমিযী শরীফ ১/১২০ পৃষ্ঠা৷ আদ দুররুল মুখতার ২/১৭৬ পৃষ্ঠা৷ আল বাহরুর রায়িক ২/১৬৩ পৃষ্ঠা৷)

■■ অনুমান নির্ভর ভাগ করার বিধান ■■

শরীক হয়ে কুরবানী করলে গোশত অনুমান করে ভাগ করা জায়েয হবে না। বরং নিক্তি দ্বারা মেপে সঠিক ও পরিপূর্ণ ভাবে ভাগ করতে হবে৷ তবে যে ভাগে মাথা,পা ইত্যাদি থাকবে সে ভাগে গোশত কম হলেও সমস্যা হবে না৷ -----(আদ দুররুল মুখতার ৬/৩১৭ পৃষ্ঠা৷ ফতোয়ায়ে কাযীখান ৩/৩৫১ পৃষ্ঠা৷ বেহেশতী জেওর ৩/২৯৭ পৃষ্ঠা৷)

■■ কুরবানীর মাংস সংরক্ষন করার বিধান ■■

কুরবানীর গোশত সংরক্ষন করা বা শুটকি দিয়ে জমিয়ে রাখা জায়েয হবে। এমনকি ফ্রিজে সংরক্ষন করে সারা বছর খাওয়াও জায়েয হবে৷
-----(সহীহু মুসলিম ৪৯৯৭ হাদীস৷ সুনানে ইবনে মাজাহ ৩১৫৯ হাদীস৷ সুনানে তিরমিযী ১৫১১ হাদীস৷ ফতোয়ায়ে কাসেমীয়া ১/৩৫৭ পৃষ্ঠা৷)

■■ বিধর্মীকে গোশত দেওয়ার বিধান ■■

কুরবানীর গোশত বিধর্মী/অমুসলিমকে দেওয়া জায়েয হবে৷ বরং ক্ষেত্র বিশেষে দেওয়াটা উত্তমও বটে। তাই প্রতিবেশী হিন্দুদেরকেও কুরবানীর গোশত দেওয়া যাবে৷ -----(ইলাউস সুনান ১৭/২৫৮ পৃষ্ঠা৷ আল মুহীতুল বুরহানী ৮/৪৬৯ পৃষ্ঠা৷ ফতোয়ায়ে আলমগীরী ৫/৩০০ পৃষ্ঠা৷ ফতোয়ায়ে তাতার খানিয়া ১৭/৪৩৭ পৃষ্ঠা৷)

■■ কোরবানির গোশত বিক্রি করার বিধান ■■

কুরবানীর গোশত বিক্রি করা জায়েয হবে না৷ কেউ বিক্রি করলে তার কুরবানী সহীহ হবে না৷
-----(ইলাউস সুনান ১৭/২৫৯ পৃষ্ঠা৷ বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৫ পৃষ্ঠা৷ ফতোয়ায়ে কাযীখান ৩/৩৫৪ পৃষ্ঠা৷ ফতোয়ায়ে মাহমুদিয়া ৪/৩০৯ পৃষ্ঠা৷)

■■ কুরবানীর গোশত কেনার বিধান ■■

কুরবানীর পশুর কোন অংশ কুরবানীদাতার জন্য বিক্রি করা জায়েয হবে না। কেউ কোন কিছু বিক্রি করলে তার মুল্য সাদকাহ করা ওয়াজিব হবে। অনুরূপভাবে কুরবানীদাতার নিকট থেকে কুরবানীর পশুর কোন কিছু ক্রয় করাও জায়েয হবে না৷ অনেক সময় গরীব মিসকীনেরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাড় চর্বি ইত্যাদি সংগ্রহ করে। অতঃপর তা বিক্রি করে। তা জায়েয হবে। মোটকথা কুরবানীদাতা কোন কিছু বিক্রি করতে পারবে না। -----(ইলাউস সুনান ১৭/২৫৯ পৃষ্ঠা৷ বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৫ পৃষ্ঠা৷ ফতোয়ায়ে কাযীখান ৩/৩৫৪ পৃষ্ঠা৷ ফতোয়ায়ে আলমগীরী ৫/৩০১ পৃষ্ঠা৷)

■ কোরবানির পশুর যেসব অঙ্গ খাওয়া হারাম ■

কুরবানীর পশুর মোট দশটি জিনিস খাওয়া হারাম। আর সেগুলো হলোঃ
১৷প্রবাহিত রক্ত ২৷প্রস্রাব ৩৷পায়খানা ৪৷পুলিঙ্গ ৫৷স্ত্রীলিঙ্গ ৬৷মুত্রথলি ৭৷অন্ডোকোষ ৮৷রগ ৯৷পিত্তি/পিন্ড এবং ১০৷মাংসগ্রন্থি/টিউমার-----(ইমদাদুল ফতোয়া ৪/১১৮ পৃষ্ঠা৷ ফতোয়ায়ে শামী ৫/২১৯ পৃষ্ঠা৷ ফতোয়ায়ে জামেয়া ৫/২৩৮ পৃষ্ঠা৷ ফতোয়ায়ে কাসেমীয়া ১/৩৫৯ পৃষ্ঠা৷ তাহতাবী ৪/৩৬০ পৃষ্ঠা৷)

■■ সামাজিক গোশতের বিধান ■■

অনেক সমাজে এরুপ প্রচলন রয়েছে যে, সমাজের প্রতিটি কুরবানীর পশুর গোশতের একতৃতীয়াংশ গোশত সমাজিক গোশত নামে একত্রিত করা হয়৷ অতপর সে গোশত বন্টন করে সমাজভুক্ত সকলকে দেয়া হয়৷ উদ্দেশ্য হলো-সমাজের বাতৃত্ববন্ধন ঠিক রাখা৷ এ পদ্ধতি জায়েয হওয়ার জন্য শর্ত হলোঃ
-------কুরবানীদাতাগণ যদি কোন প্রকার চাপ সৃষ্টি ব্যতীত স্বতঃস্ফুর্তভাবেই কুরবানীর এক তৃতীয়াংশ গোশত সামাজিক বন্টনে দিতে রাজি হয়৷ তবে উক্ত পদ্ধতি জায়েয হবে এবং উক্ত সামাজিক গোশত ধনী-গরীব সকলেই নিতে পারবেন এবং সকলেই খেতে পারবেন৷ তবে খেয়াল রাখতে হবে মান্নতের কুরবানী এবং মৃত ব্যক্তির ওসীয়তকৃত কুরবানীর গোশত যেন জমা করা না হয়৷ কেননা, তা কুরবানীদাতাদের জন্য খাওয়া জায়েয হবে না৷ আর সামাজিক গোশত বন্টনের পুর্বে কারো জন্য নেয়াও জায়েয হবে না এবং বন্টনের পরেও অন্যের ভাগ থেকে নেয়া জায়েয হবে না৷ কেননা, এটা সাদকাহ হিসেবে গণ্য হবে।
-----(সুনানে ইবনে মাজাহ ৩১৫৮ হাদীস৷ ফতোয়ায়ে আলমগীরী ৫/৩০১ পৃষ্ঠা৷ ফতোয়ায়ে কাসেমীয়া ১/৩৫৬ পৃষ্ঠা৷ ফতোয়ায়ে মাদানিয়া ৫/৩৬৫ পৃষ্ঠা৷ খুলাসাতুল ফতোয়া ৪/৩২১ পৃষ্ঠা৷)

■■ কুরবানীর পশুর চামড়ার বিধান ■■

কুরবানীর পশুর চামড়া পরিশোধন করে নিজে ব্যবহার করা জয়েয হবে৷ তবে কেউ যদি বিক্রি করে তবে তার পুরো মুল্য সদকাহ করা ওয়াজিব হবে৷ -----(সহীহু মুসলিম ৪৯৯৭ হাদীস৷ ইমদাদুল ফতোয়া ৩/৪৮৯ পৃষ্ঠা৷ ফতোয়ায়ে আলমগীরী ৫/৩০১ পৃষ্ঠা৷)

■■ চামড়া সাদকাহ করার বিধান ■■

কুরবানীর পশুর চামড়ার মুল্য সদকাহ করার নিয়তে বিক্রি করা জায়েয হবে। তবে নিজে খরচ করার নিয়তে বিক্রি করা জায়েয হবে না। তবে যে নিয়তেই বিক্রি করুক না কেন সর্বাবস্থায়ই তার মূল্য সদকাহ করা ওয়াজিব হবে।
-----(সহীহুল বুখারী ১৭০৭ হাদীস৷ সুনানে মাজাহ ৩১৫৭ হাদীস৷ ইমদাদুল ফতোয়া ৩/৫৫২ পৃষ্ঠা৷ ফতোয়ায়ে কাযীখান ৩/৩৫৪ পৃষ্ঠা৷)

■■ চামড়ার অর্থ নিজে খরচ করার বিধান ■■

কুরবানীর পশুর চামড়ার মুল্য হুবহু সদকাহ করা জরুরী। তাই চামড়ার মূল্য নিজ প্রয়োজনে খরচ করে পরে নিজে থেকে দিলে আদায় হবে বটে, কিন্তু এরজন্য গোনাহ হবে। -----(সহীহুল বুখারী ১৭০৭ হাদীস৷ সুনানে মাজাহ ৩১৫৭ হাদীস৷ ইমদাদুল ফতোয়া ৩/৫৫২ পৃষ্ঠা৷ ফতোয়ায়ে কাযীখান ৩/৩৫৪ পৃষ্ঠা৷)

■■ চামড়া ছোলার আগেই বিক্রির বিধান ■■

কুরবানীর পশুর চামড়া দেহ থেকে আলাদা করার পুর্বে ক্রয়-বিক্রয় করা জায়েয হবে না। সুতরাং এরূপ ক্রয়-বিক্রয় পরিহার করা উচিত৷
-----(সুনানে তিরমিযী ১২৩০ হাদীস৷ ফতোয়ায়ে শামী ৭/১৫ পৃষ্ঠা৷ ফতোয়ায়ে আলমগীরী ৩/১৯ পৃষ্ঠা৷)

■গরীব আত্মীয়কে চামড়ার মূল্য দেওয়ার বিধান■

আত্মীয়-স্বজন যদি গরীব হয়, তবে তাদেরকে চামড়ার মূল্য দেয়া উত্তম। কেননা তাতে দ্বিগুন সাওয়াব রয়েছে৷
👉 দানের সাওয়াব এবং
👉 আত্নীয়তা সম্পর্ক রক্ষার সাওয়াব।
-----(সুনানে ইবনে মাজাহ ১৮৪৪ হাদীস৷ মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ৬/৫৪২- ৫৪৬ পৃষ্ঠা৷ বেহেশতী জেওর ৩/২৯৩ পৃষ্ঠা৷ ফতোয়া ও মাসায়িল ৪/১০০-১০১ পৃষ্ঠা৷)

হযরত মালেক দীনার রাঃ চল্লিশ বৎসর বসরা নগরীতে ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে একদিনও খোর্মা খান নাই; বরং খোর্মা ফলের মওসুম আরম্ভ হই...
07/06/2025

হযরত মালেক দীনার রাঃ চল্লিশ বৎসর বসরা নগরীতে ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে একদিনও খোর্মা খান নাই; বরং খোর্মা ফলের মওসুম আরম্ভ হইলে তিনি বলিতেন, "হে বসরা বাসিগণ। এই দেখ খোর্মা ফল না খাওয়ায় আমার উদরের কোন ক্ষতি হয় নাই। প্রতিদিন খোর্মা খাইয়া তোমাদের উদরের কোন উন্নতি হয় নাই।" এই ভাবে চল্লিশ বৎসর গত হইলে খোর্মা খাইবার আকাঙ্ক্ষা তাঁহার মনে খুব প্রবল হইয়া উঠে। তিনি মনকে বলিতেন, "হে মন! নিশ্চয়ই আমি তোমার এই বাসনা পূর্ণ করিব না।" একদা তিনি স্বপ্নে দেখিলেন যে, কেহ যেন তাঁহাকে বলিতেছেন, "খোর্মা খাও, আত্মাকে আর কষ্ট দিও না।" এই স্বপ্ন দেখিয়া তাঁহার মন খোর্মা খাইতে ব্যাকুল হইয়া পড়ে। হযরত মালেক তখন বলিলেন, "হে মন! এক সপ্তাহ রোযা রাখ এবং সারারাত ইবাদতে মশুল থাক। তারপর তোমার বাসনা পূর্ণ করিব।" মন এই কথায় রাযী হইল এবং তিনি এক সপ্তাহ রোযা পালন করিলেন। তৎপর হযরত মালেক দীনার রাঃ খোর্মা ক্রয় করিলেন এবং উহা খাইবার জন্য এক মসজিদে গমন করিলেন। তাঁহাকে দেখিয়া এক বালক তাহার পিতাকে ডাকিয়া বলিল, "বাবা, এখানে আসিয়া দেখ। এক ইহুদী মসজিদে বসিয়া খোর্মা খাওয়ার উদ্যোগ করিতেছে।" পিতা বলিল, "ইহুদীর মসজিদে কি প্রয়োজন?" এই বলিয়া সে একটি লাঠি হাতে লইয়া দৌড়িয়া মসজিদের দিকে গমন করিল এবং হযরত মালেক দীনার রাঃ-কে দেখিয়া তাঁহার পায়ে পড়িয়া বলিতে লাগিল, "খাজা সাহেব! মা'ফ করুন, ইহুদী ব্যতীত আমাদের পল্লীতে দিনে কেহই খায় না, সকল মুসলমানই রোযা রাখে। এজন্য

বালক আপনাকে চিনিতে পারে নাই। জানে না বলিয়াই সে আপনাকে এরূপ বলিয়াছে।" ইহা শুনিয়া হযরত মালেক দীনার রাঃ জযবার সাথে বলিলেন, বালকটির কথার মধ্যে গায়েবী ইঙ্গিত রহিয়াছে। তখন তিনি বলিলেন, "হে আল্লাহ! খোর্মা না খাইতেই একজন নির্দোষ শিশুর মুখ দিয়া আমার নাম ইহুদী রাখা হইল, আর যদি খোর্মা খাইতাম তাহা হইলে কাফেরের চেয়েও অধম হিসাবে আমি গণ্য হইতাম। আমি আর কখনও খোর্মা খাইব না।"

👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
তাযকেরাতুল আউলিয়া.................. 🙏🙏🙏

কাবার আসল পরিচয়কোরান-এর দুই নম্বর সুরা বাকারার একশত পঁচিশ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে : এবং যখন আমরা ঘরটিকে (কাবাকে) মানুষদের ...
06/06/2025

কাবার আসল পরিচয়

কোরান-এর দুই নম্বর সুরা বাকারার একশত পঁচিশ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে : এবং যখন আমরা ঘরটিকে (কাবাকে) মানুষদের জন্যে ঘাঁটি (মিলনকেন্দ্র) এবং নিরাপত্তার স্থানরূপে নির্বাচন করিলাম (ওয়া ইজ জাআলনাল বাইতা মাসাবাতাল লিন্নাসি ওয়া আমনান) এবং মাকামে ইব্রাহিমকে মুসাল্লা (সালাতের স্থান) রূপে গ্রহণ করিতে বলিলাম (ওয়াত্তাখিজু মিন মাকামি ইব্রাহিমা মুসাল্লা) এবং আমরা ইব্রাহিম এবং ইসমাইল হইতে তওয়াফকারী এবং এতেকাফকারী এবং রুকু সেজদাকারীদের জন্যে আমার ঘরটিকে পবিত্র রাখার জন্যে অঙ্গীকার গ্রহণ করিলাম (ওয়া আহিদনা ইলা ইব্রাহিমা ওয়া ইসাঈলা আন তাহ্হিরা বাইতিয়া লিত্তায়িফিনা ওয়াল আকিফিনা ওয়ার রুক্কা ইসসুজুদ)।

ব্যাখ্যা : কোরান-এর এই আয়াতটি দিয়ে প্রথমেই একটি বিষয় প্রমাণিত করা যায় যে, দুনিয়ার সমস্ত সাহিত্যকর্ম একত্রিত করলেও এই আয়াতটির ভাষা ও শৈলীর ধারে-কাছেও ঘেঁষতে পারবে না। উর্বর মস্তিষ্কের অধিকারীরা এবং দুনিয়ার বৈষয়িক জ্ঞানের অধিকারীরা আমার এইরূপ মন্তব্যে হয়তো মুচকি হেসে যা তা একটা কিছু বলতে চাইবে এবং এ রকম কিছু একটা যে বলতে চাইবে ইহা বিদ্যাশিক্ষার কর্মফল হতেই অভিজ্ঞতাটি অর্জন করেছি। ভ‚তের দেশে কিছুদিন বাস করলেই পেত্মীদের চালচলন জ্ঞানবিদ্যার রঙ ঢঙগুলো পরিষ্কার বোঝা যায়। কেন এতগুলো কথা বললাম? নিশ্চয়ই এর পেছনে কোনো কারণ থাকতে পারে। আর সেই কারণটিই হলো, কোরান মেজাজি কাবা এবং হাকিকি কাবার সমন¦য়ে যে আয়াতটি নাজেল করেছেন তাকে মেজাজি অর্থেও গ্রহণ করা যায় আবার হাকিকি অর্থেও গ্রহণ করা যায়। তবে এই আয়াতের মূল বিষয়বস্তুটিতে হাকিকি কাবার কথাটিই বলা হয়েছে। কিন্তু মেজাজি কাবার অবস্থানটিকে অস্বীকার করলে কাবার মূর্তরূপটি আর থাকে না। মেজাজি কাবার মূর্তরূপটি আছে বলেই প্রতিবছর মেজাজি হজের বিরাট আয়োজন করা হয়। এখান থেকে আল্লাহর বিশেষ রহমতপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হাকিকি কাবার পরিচয়টি যে লুকিয়ে আছে উহা ধরতে পারে। অবশ্য শরিয়তের দৃষ্টিতে অধম লিখক মেজাজি কাবার মূল্যায়নটি বেশি করতে বাধ্য হচ্ছি। কারণ মূর্ত না থাকলে বিমূর্তের পরিচয় ধরা যায় না। মানবদেহ আছে বলেই নফ্সের পরিচয়টি বোঝা যায়। মোহরমের মাতম আছে বলেই কারবালার বিষাদময় ঘটনা এবং রসুলের আওলাদদের শহিদ হবার ঘটনা এবং বিশেষ করে শহিদে আজম ইমাম হোসেইন আলাইহেস সালাতুস সালামের ঘটনাটি প্রতিবছর মনে করিয়ে দেয়। প্রতিবছর মনটিকে বেদনায় ডুবিয়ে দেয়। যদি মোহরমের মাতমের ঘটনাটি না থাকত তাহলে আওলাদে রসুলদের কারবালায় নির্মম শহিদ হবার ঘটনাগুলো কেবল ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকত অথবা ফিল্ম বানিয়ে ছবি দেখানো যেত। সুতরাং কোনো অবস্থাতেই মেজাজি কাবা, মেজাজি হজটিকে খাটো করে দেখার অবকাশ নাই।

হজরত হাসান বসরি বলেছেন : হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও হজরত ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহ্ যে নির্দেশ দিয়েছিলেন সেই নির্দেশটি হলো, কাবা ঘরটিকে দুনিয়ার বস্তু ও আবর্জনা হতে পবিত্র রাখা। সাঈদ ইবনে জরির বলেছেন যে, হজরত ইবনে আব্বাস বলেন : ‘আন তাহেরান বাইতি’, অর্থাৎ ঘরটিকে পবিত্র রাখো। এই ‘পবিত্র রাখো’ কথাটির দ্বারা কোনো-কোনো তফসিরকারী মূর্তি হইতে পবিত্র রাখার কথাটি বলেছেন। এখানে একটি প্রশ্ন থেকে যায় : ইহা কি মাটি-পাথরের মূর্তি, না লোভ-মোহের তৈরি বিমূর্ত মূর্তি? যদি কেউ বলেন, ইহা মাটি-পাথরের মূর্তি, তাহলে ঠিক আছে; আবার কেউ যদি বলেন, ইহা লোভ ও মোহের দ্বারা নির্মিত বিমূর্ত মূর্তি, ইহাও ঠিক আছে। এই ‘আন তাহেরান বাইতি’ যাহা হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, ইহার অনেক রকম ব্যাখ্যা দেখতে পাই। অনেকেই বলেছেন : মূর্তি, পাপকর্ম, পাপকথা, মিথ্যা এগুলো থেকে ঘরটিকে পবিত্র রাখতে হবে। আবার অনেকে এই কথাটির উপর ভিত্তি করে ব্যাখ্যা লিখেছেন যে, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু- অর্থাৎ আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোনো ইলাহর স্থান নাই এ রকম ব্যাখ্যাটিও করেছেন। কারণ আল্লাহ্র ঘরে অন্য ইলাহ অবস্থান করলে শেরেক হয়ে যায় তথা অংশীদারিত্বের কথাটি মেনে নেওয়া হয়। অনেকে বলেছেন, আল্লাহর ঘরে কোনো মূর্তিরই থাকার স্থান হতে পারে না। সবচেয়ে যে বড় মূর্তিটি উহার নাম লোভ-মোহ তথা লাত-মানাত।

হাকিকি কাবার কথাটি বলতে গেলে কাবাকে মানব দেহ এবং কলবের প্রতীক করা হয়েছে। মানব দেহটি নিরাপত্তাহীন। কারণ নফ্সের সঙ্গে খান্নাস আছে। খান্নাস থাকলেই মানব দেহঘরটি নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ে। এই মানব দেহের ভিতরে যে কলব নামক গোশতের টুকরা আছে উহা তখনই সম্পূর্ণরূপে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ে যখন খান্নাসরূপী শয়তানটি অবস্থান করে। যখন মানব দেহের এই কলব নামক গোশতের টুকরা হইতে খান্নাসটিকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় তখন সমস্ত মানব দেহ নামক কাবাটি পবিত্র হয়ে যায় আর খান্নাস থাকলে মানব দেহটি অপবিত্র হয়ে যায়। এই খান্নাসরূপী শয়তানই মানব দেহের অভ্যন্তরে কলব নামক স্থানে অবস্থান করে লোভ-মোহ নামক অনেক মূর্তির পূজা করায় এবং ঐ মূর্তিপূজা করাটিকেই বলা হয় শেরেক করা। সুতরাং শেরেক ভিতরের বিষয়, বাহিরের বিষয় নয়। খান্নাসমুক্ত মানব দেহটির অধিকারীরাই জগৎগুরু, জগৎপীর, জগৎমুরশিদ, জগৎ সাঁই বাবা।

মোমবাতি আলাদা কিন্তু আলো একই। মানুষ তো মানুষ ই মানুষের কোন জাত হয়না । সবচেয়ে বড় কথা হল মানুষ। তাইতো সাধক জালালউদ্দিন ...
23/04/2025

মোমবাতি আলাদা কিন্তু আলো একই। মানুষ তো মানুষ ই মানুষের কোন জাত হয়না । সবচেয়ে বড় কথা হল মানুষ। তাইতো সাধক জালালউদ্দিন খাঁ বলেছেন হাত পা নিয়ে জন্ম নিলে মানুষ বলে কয়না তারে, মানুষ হইতে কয়জন পারে। আর দরবেশ লালন সাঁইজি বলেছেন মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি। বর্তমান বিশ্বে জন্ম নেয়া মানুষের অভাব নেই।কিন্তু কর্ম ,আচার আচরন, চলাফেরা , বিচার,বিবেক বিবেচনায় ,মানুষ হয়ে গেছে পশুর থেকেও অধম। তাইতো বিশ্ব বিখ্যাত মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি বলেছেন, আমি অনেক পোশাক দেখেছি যেগুলোর মধ্যে মানুষ নেই আবার আমি অনেক মানুষ দেখেছি যাদের গায়ে কোন পোশাক নেই।

I am new here plz support me 😁
21/02/2025

I am new here plz support me 😁

Good morning friends plz support me
21/02/2025

Good morning friends plz support me

Address

Durgapur
Rajshahi
6240

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Rasel philosopher posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share