11/05/2025
আমার মায়ের কোনো দিবস ছিলো না। তবু স্বীকৃত দিবসে ছেলেবেলায় ফেলে আসা ভরদুপুরের একটি স্মৃতি রোমন্থন করি।
দুই হাজার ছয়ের কথা। গ্রীষ্মের কোন এক দুপুর। একটি গ্রাম। কিছু মানুষ। মাটির গন্ধ। খেলার মাঠ। দুরন্ত বালকের দল। উঠোনে নকশীকাঁথার মেলা। মেঘেদের ছুটোছুটি। এসবের সমন্বয়ে খণ্ড-খণ্ড ছবি। একটা পাখি উড়ে যায় আকাশে। আমগাছটি একা পড়ে থাকে পুকুরপাড়ে। উড়তে পারে না। শুধু জলের সাথে কথা বলে। মাছের দল সেসব কথা শুনতে পায়। তবে গাছের জন্য সূর্যের সাথে তেমন দেখা হয় না বলে কিঞ্চিৎ দুঃখও প্রকাশ করে।
ভরদুপুরের নিস্তব্ধতা ভেঙে মায়ের গলার স্বর শোনা যায়। খোকা দৌড়ে গিয়ে বসে পড়ে খেঁজুর পাতার শীতল পাটিতে। বাসনে সাদা গরম ভাত। ছোট মাছের চর্চরী। আলু ভর্তা আর ডাল। একটা কাক উড়ে এসে বসে উঠোনে। মা পরম যত্নে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করেন। খোকা ভাত খায়। জানালা দিয়ে আকাশ তাকে ডাকে।
দৃশ্যকাব্য এখানেই শেষ। বাকি কথা আমার মা আর খোদা তাআ'লার সঙ্গে। নীরবে, নিভৃতে, অশ্রুতে-অশ্রুতে, মোনাজাতে।
Mehedi Hasan