Anu's Story (2025)

08/07/2025

Badmais billa tom 🌼 😾😼🙀😹👈

17/04/2025

“রোদ্দুরের মেয়েটা”

নাম তার নীলা। ক্লাস নাইনে পড়ে। গ্রামের মেয়ে, কিন্তু চোখে তার শহরের আলো। সকালের প্রথম আলোয় উঠে স্কুলে যায়—হাঁটতে হাঁটতে প্রায় আধঘণ্টার পথ। বইয়ের গন্ধ আর নতুন শেখার আগ্রহই তার সবচেয়ে প্রিয় সঙ্গী।

নীলার পরিবার গরিব, বাবা মাঠে কাজ করেন, মা গৃহস্থালির কাজ সামলান। কিন্তু তাতে তার স্বপ্ন কমে না। সে চায় শিক্ষক হতে, নিজের মতো করে ছোট ছেলেমেয়েদের শেখাতে।

স্কুলে ওর সবচেয়ে প্রিয় বিষয় বাংলা। কবিতা লিখতে ভালোবাসে সে। ক্লাসের পর দুপুরবেলা গাছতলায় বসে একটা ডায়েরিতে নিজের মনের কথা লিখে যায়, সেগুলো কখনো কবিতা হয়ে ওঠে, কখনো গল্প।

ওর চোখে একটা মিষ্টি মেয়ে ছিল, যাকে বলে ‘আলোয় ভরা’। কিন্তু কেউ একজন তার জীবনে নীরবে প্রবেশ করে—রাফি। একদম পাশের স্কুলের ছেলে। প্রথম দেখা হয়েছিল বিজ্ঞান মেলার দিন। রাফি ওর কবিতার খাতা পড়েছিল। তারপর মাঝে মাঝে দেখা, কিছু চিঠি, কিছু কবিতা বিন

15/04/2025

গল্পের নাম: নিঃশব্দের ভাষা

বৃন্দা—নামটা শুনলেই একটা নরম, শান্ত মুখচ্ছবি মনে পড়ে যায়। গ্রামের প্রান্তে ছোট্ট একটা কুঁড়েঘরে মা-বাবার সঙ্গে থাকে সে। তবে বৃন্দা বাকরুদ্ধ—কখনোই কথা বলতে পারেনি। জন্ম থেকেই নীরবতা তার একমাত্র সঙ্গী।

কিন্তু নীরবতার মাঝেও বৃন্দার চোখদুটো যেন কথা বলে। ওর চোখে যে গভীর আবেগ, ভালোবাসা আর কৌতূহল, তা যেন হাজার ভাষার চেয়েও শক্তিশালী। প্রতিদিন সকালে সে নদীর পাড়ে বসে সূর্যোদয় দেখে, পাখিদের উড়ে যাওয়া দেখে আর ছোট্ট ডায়েরিতে কিছু আঁকিবুঁকি করে।

একদিন গ্রামের স্কুলে নতুন একজন শিক্ষক আসে—নাম অরণ্য। শহর থেকে এসেছে গ্রামে পড়াতে। সে প্রথম দিনেই লক্ষ্য করে বৃন্দাকে—বাঁকা হাঁসির চোরাস্রোত আর দৃষ্টির গভীরতা যেন কিছু বলতে চাইছে।

অরণ্য ধীরে ধীরে বৃন্দার সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। বৃন্দা কিছু বলতে না পারলেও, তার আঁকায়, হাসিতে, চোখের ভাষায় সব বোঝাতে পারে। তারা নদীর পাড়ে বসে গল্প করে—একজন মুখে, আরেকজন চোখে।

একদিন অরণ্য বৃন্দাকে জিজ্ঞেস করলো,
— “তুমি যদি একদিন কথা বলতে পারতে, কী বলতে?”
বৃন্দা চোখ মেলে চেয়ে রইল কিছুক্ষণ, তারপর নিজের খাতায় একটুকরো কাগজে লিখল:
"আমি চুপ থেকেও ভালোবাসতে শিখেছি।"

সেই দিন থেকেই অরণ্য বুঝে গেল, কথা না বললেও বৃন্দা অনেক কিছু বলে ফেলে—ভালোবাসা, অনুভূতি, স্বপ্ন।

বৃন্দা আর অরণ্যের বন্ধুত্ব একটা অনন্য সম্পর্ক হয়ে ওঠে—যেখানে শব্দের দরকার নেই, কারণ হৃদয় জানে হৃদয়ের ভাষা।

15/04/2025

গল্পের নাম: রোশি ও রঙের দিনগুলি

রোশি একেবারে আলাদা ধরণের মেয়ে। তার চোখে যেন সব সময় একটা রঙধনুর খেলা চলে। সে যখন হাঁটে, মনে হয় চারপাশে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে। ঢাকার ব্যস্ত শহরে বড় হলেও তার মনটা ছিল সবুজ কোনো গ্রামের মতো—নরম, শান্ত, আর অসীম কল্পনায় ভরা।

রোশির প্রিয় ছিল আঁকা। সে রঙ দিয়ে কথা বলত। মানুষের হাসি, কান্না, রাগ—সবই যেন সে রঙে রঙে ফুটিয়ে তুলতে পারত। তার আঁকা ছবি শুধু ছবি ছিল না, যেন জীবন্ত গল্প!

একদিন আর্ট গ্যালারিতে নিজের একটি এক্সিবিশনে দাঁড়িয়ে ছিল রোশি। হঠাৎ একজন ছেলেকে দেখে থমকে গেল। ছেলেটির চোখে ছিল অদ্ভুত এক বিষণ্ণতা, যেন শত রঙের ভিড়েও সে কিছু খুঁজে ফিরছে। রোশি এগিয়ে গেল, বলল, “এই ছবিটা আপনার চোখে কী বলছে?”

ছেলেটি এক ঝলকে তাকিয়ে বলল, “এই ছবিটা আমাকে আমার ছোটবেলার স্বপ্নের কথা মনে করিয়ে দিল। তখন আমি আঁকতে চাইতাম... কিন্তু হারিয়ে ফেলেছি সেই ইচ্ছেটা।”

রোশি হেসে বলল, “তাহলে আবার শুরু করুন। রঙ হারিয়ে গেলে খুঁজে পাওয়া যায়, শুধু খুঁজতে জানতে হয়।”

এরপর থেকে তাদের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। ছেলেটির নাম ছিল অয়ন। রোশি অয়নকে আবার রঙ চিনতে শেখাল, জীবনকে অন্য চোখে দেখতে শেখাল। ধীরে ধীরে তারা একসাথে রঙে-রঙে সাজিয়ে তুলল এক নতুন গল্প, যেখানে ক্যানভাসে শুধু ছবি নয়, হৃদয়ের স্পর্শ ফুটে উঠল।

রোশির প্রাণবন্ততায় শুধু অয়নের জীবন নয়, আশেপাশের অনেকের জীবনে আলো ছড়িয়ে পড়ল। সে প্রমাণ করে দিল—একজন প্রাণবন্ত মানুষের ছোঁয়া বদলে দিতে পারে অনেক কিছু।

14/04/2025

নাম: চিঠির অপেক্ষা
লেখিকা: অনামিকা আনু

ছবিটা যেন সময়ের কাছে হার মানেনি। একটা পুরনো কাঠের বারান্দা, রঙচটা সবুজ শাটারের জানালা, আর তার পাশে দাঁড়িয়ে দানানীর—এক মেয়ে, যার চোখে মেঘের ছায়া আর ঠোঁটে হালকা হাসির রেখা। তার পরনে সাদা শাড়ি, হাতে একটা পুরনো চিঠি, যেন বহুদিনের অপেক্ষা ওকে ঘিরে আছে। দূরের ধানখেতে সূর্য ডুবে যাচ্ছে, আকাশে কমলা-গোলাপি রঙের ছোঁয়া। ছবিটা যেন বলছে—কিছু গল্প কখনো শেষ হয় না, শুধু থেমে থাকে।দানানীরের গল্পটা শুরু হয়েছিল এই গ্রামে, যেখানে সময় ধীরে চলে, আর মানুষের হৃদয়ে সহজ সত্যগুলো এখনো বেঁচে থাকে। সে ছিল গ্রামের স্কুলের শিক্ষিকা, কিন্তু তার মন ছিল অন্য কোথাও—যেন দিগন্তের ওপারে কিছু একটা তাকে ডাকত। প্রতি বিকেলে সে এই বারান্দায় এসে দাঁড়াত, হাতে একটা চিঠি নিয়ে। চিঠিটা তার বাবার, যিনি বহু বছর আগে শহরে গিয়েছিলেন কাজের খোঁজে, আর ফিরে আসেননি। চিঠিতে লেখা ছিল, “দানানীর, আমি ফিরব। তুই অপেক্ষা করিস।”বছরের পর বছর কেটে গেল। গ্রামের মানুষ দানানীরকে দেখত—তার হাসি, তার শান্ত স্বভাব, তার ছাত্রদের পড়ানোর নিষ্ঠা। কিন্তু কেউ জানত না, তার ভেতরে একটা ঝড় লুকিয়ে আছে। সে অপেক্ষা করত, কিন্তু কেন? বাবার ফেরার আশায়, নাকি নিজের জীবনের কোনো উত্তরের জন্য?একদিন বিকেলে, যখন সূর্য ডুবছিল, একটা অচেনা লোক গ্রামে এল। বয়স্ক, ক্লান্ত মুখ, হাতে একটা পুরনো ব্যাগ। সে দানানীরের বাড়ির সামনে এসে দাঁড়াল। দানানীর তাকে দেখে থমকে গেল। চোখে জল, কিন্তু মুখে হাসি। লোকটা বলল, “আমি ফিরেছি, মা।”ছবিটা সেই মুহূর্তের। দানানীরের চোখে অপেক্ষার শেষ, আর শুরু একটা নতুন গল্পের। সে চিঠিটা হাতে ধরে আছে, কিন্তু এবার তার হৃদয়ে আর কোনো প্রশ্ন নেই।

14/04/2025

গল্প: নীল শাড়ির সেই বিকেল

বিকেলের আলোটা আজ একটু নরম, একটু অন্যরকম। ছাদে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিলো অনন্যা। নীল রঙা ফ্রক-সালোয়ারে যেন আকাশের রঙটুকুই লেগে আছে ওর গায়ে। চারপাশে গাছপালার সবুজ, পেছনের নারকেল গাছটা যেন মাথা ঝুঁকিয়ে বলছে, "তুমি আজ বড় সুন্দর লাগছো!"

আজ অনন্যার মনটা বেশ খুশি। কারণ? খুব সাধারণ একটা কারণ—তবে তার জন্য অনেক স্পেশাল। ওর প্রিয় বইয়ের লেখক রাহাত ইসলাম আজ উত্তর দিয়েছেন ওর লেখা চিঠির! এবং তাতে লেখা, "তোমার চিঠি পড়ে খুব ভালো লাগলো। তুমি নিজের মতো করে লেখালেখি চালিয়ে যাও। তুমি পারবে।"

এই ছোট্ট প্রশংসাতেই অনন্যা যেন পাখা পেলো। আত্মবিশ্বাসের নরম আলো ছুঁয়ে গেলো ওর মুখ। ওর মনে পড়লো ছোটবেলার স্বপ্নটা—একদিন লেখক হবে, নিজের গল্পে ছুঁয়ে যাবে অন্য কারো মন।

হয়তো কেউ একদিন ওর গল্প পড়ে এই নীল বিকেলের মতোই হেসে উঠবে। অনন্যা জানে, পথ অনেক বাকি, কিন্তু শুরুটা আজই হলো—এই ছাদের নীল আকাশের নিচে, নীল পোশাকে, এক মিষ্টি বিকেলে...

---

13/04/2025

গল্পের নাম: মেহেদির ছোঁয়া

গ্রামের এক ছোট্ট বাড়িতে থাকে জারা। খুব শান্তশিষ্ট, মিষ্টি একটা মেয়ে। তার খুব শখ—হাতে মেহেদি পরা। যেখানেই বিয়ে বা উৎসব হয়, সবার আগে ছুটে যায় সে মেহেদি পরতে।

একদিন গ্রামের মেলায় এক অচেনা বুড়ি এসে বসে হাতের মেহেদির স্টল দেয়। অদ্ভুত সব নকশা, গা ছমছমে গন্ধ—তবুও আকর্ষণটা অদ্ভুতভাবে তীব্র। জারা লোভ সামলাতে না পেরে হাতে মেহেদি পরিয়ে নেয় বুড়ির কাছ থেকে।

মেহেদি দেওয়ার পর থেকেই জারা যেন পাল্টে যেতে থাকে। তার মুখে অদ্ভুত হাসি, মাঝরাতে নিঃশব্দে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়, আবার ফিরে আসে চুপচাপ।

এক রাতে তার মা চোখ খুলে দেখে—জারার দুই হাতে মেহেদি নয়, যেন কারো রক্তে লেখা নকশা। চোখে ভয়, কিন্তু মুখে এক রহস্যময় হাসি।

পরদিন সকালে জারা নিখোঁজ।

তার ঘরে শুধু পড়ে ছিল এক কাগজ—সেখানে সেই বুড়ির হাতে লেখা,

“মেহেদির নকশায় আমি যে আত্মাদের ডাক দিয়েছি, এবার তারা জারার মাধ্যমে আমার কাজ শেষ করবে।”

এরপর থেকে গ্রামের কেউ আর মেহেদি পরে না।

13/04/2025

গল্পের নাম: তোন্দ্রার গ্রামঘোরার দিনগুলি

শহরের কোলাহল পেছনে ফেলে তোন্দ্রা এবার ছুটি কাটাতে চলে আসে তার মামার গ্রামে—চন্দ্রপুর। ছোটবেলায় যেসব ছবিতে সবুজ মাঠ, নদী আর কুয়াশাঘেরা সকাল দেখত, সেগুলো যেন হঠাৎ করেই জীবন্ত হয়ে ওঠে।

গ্রামে পা দিয়েই সে মুগ্ধ। চারদিকে ফসলের মাঠ, পাখির ডাক, খালের ধারে ছড়িয়ে থাকা কাশফুল আর সন্ধ্যার আকাশে লাল রঙের খেলা—সব কিছুতেই সে মনের মত প্রশান্তি খুঁজে পায়।

প্রথম দিন সকালে, সে হাঁটা শুরু করে গ্রামের ভেতর দিয়ে। গ্রামের ছোট্ট পথ দিয়ে হেঁটে গিয়ে এক জায়গায় দেখে—এক বুড়ি কাঁথা সেলাই করছে। তোন্দ্রা পাশে বসে গল্প জুড়ে দেয়। বুড়ি বলে,
“এমন মাইয়া রাইখা শহর কী কইরা সহ্য করিস?”

দ্বিতীয় দিন, তোন্দ্রা খালের ধারে বসে চুপচাপ ছবি আঁকে। পাতার হালকা নড়াচড়া, হাওয়ার ছোঁয়া—সব কিছু সে তুলিতে ফুটিয়ে তোলে। একটা ছেলে আসে পাশে দাঁড়িয়ে দেখে। তোন্দ্রা হেসে বলে,
“এমন জায়গা শহরে থাকলে আমি ঘর ছাড়তাম না।”

তৃতীয় দিন, সে গ্রামের স্কুলে যায়। বাচ্চাদের সাথে গল্প করে, ছবি আঁকা শেখায়। তারা তোন্দ্রাকে ঘিরে ধরে—নতুন এক বোন পেয়ে তারা খুব খুশি।

শেষ দিন, সন্ধ্যাবেলা সে গাছতলায় বসে লিখে রাখে তার অনুভব—

"চন্দ্রপুর শুধু একটা গ্রাম না, এটা যেন মনটা ঠান্ডা করে দেওয়া এক টুকরো আকাশ। শহরে ফিরে গেলেও, মনে থাকবে কুয়াশা ভেজা সকাল, গ্রামের হাসিমুখ, আর নিঃশব্দে কথা বলা প্রকৃতি।"

13/04/2025

গল্পের নাম: ছোট্ট দেবা

দেবা ছিল একটি ছোট গ্রামে বড় হওয়া ছয় বছরের মেয়ে। ওর চোখে ছিল স্বপ্নের রঙ, আর মনের মধ্যে হাজারটা প্রশ্ন। প্রতিদিন সকালে সে স্কুলে যাওয়ার আগে বড় একটা গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকত। ওর ভাবনাগুলো ছিল অদ্ভুত—“আকাশটা এত বড় কেন?”, “মেঘেরা কোথায় যায়?”, “আমি বড় হয়ে কী হব?”

একদিন, স্কুল থেকে ফেরার পথে দেবা এক injured পাখি পেল। সবাই বলল, “ফেলে দে, বাঁচবে না।” কিন্তু দেবা চুপচাপ পাখিটাকে তুলে নিজের আঁচলের কোলে করে বাড়ি নিয়ে এল। অনেক যত্নে, ভালোবাসায়, আর মায়ের সাহায্যে সে পাখিটাকে সুস্থ করে তোলে।

কয়েক সপ্তাহ পর, সেই পাখিটা ওর জানালা দিয়ে উড়ে গেল। দেবা চুপচাপ তাকিয়ে রইল আকাশের দিকে। তারপর হাসল—ও জানত, ভালোবাসা মানেই মুক্তি।

12/04/2025

গল্পের নাম: "নিশ্চুপ মায়া"

রুবা ছিল একদম নিশ্চুপ স্বভাবের মেয়ে। খুব একটা কথা বলত না, মিশুকও ছিল না কারো সঙ্গে। কিন্তু তার চোখ দুটো সব কিছু বলত—স্নেহ, দয়া, আর ভালোবাসার এক নীরব ভাষা।

পাড়ার কারো যদি কোনো বিপদ হতো, রুবাই প্রথম ছুটে যেত। একবার পেছনের বাসার এক বুড়ো চাচা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে সবাই দূরে দাঁড়িয়ে ছিল, রুবাই প্রথম এগিয়ে গিয়ে পানি দিল, গায়ে হাত রাখল। এমনকি তার বাবাকে ডেকে এনে নিয়ে গেলেন হাসপাতালে।

স্কুলেও রুবার মতো দয়ালু মেয়ে আর ছিল না। নতুন বা একা কেউ এলে সবার আগে পাশে বসতে দিত সে। কেউ লাঞ্চ না আনলে নিজেরটা ভাগ করে দিত, পরীক্ষায় কেউ পিছিয়ে পড়লে নিঃশব্দে হেল্প করত।

একদিন স্কুলে আসার পথে রুবা এক ক্ষুধার্ত ছেলেকে দেখে—পথের ধারে বসে কাঁদছে। নিজের ব্যাগ থেকে বিস্কুট বের করে দেয়, তারপর একটা ছোট হাসি দিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। সে কিছু বলেনি, কিন্তু সেই শিশুর চোখের চাহনিতে ছিল হাজারটা “ধন্যবাদ”।

রুবা কখনো কোনো পুরস্কার পায়নি, কেউ তার নামে ব্যানার টানায়নি। কিন্তু তার ছোট ছোট ভালোবাসার কাজগুলো একটা ছায়ার মতো মানুষের মনে থেকে যায়—একটা নিশ্চুপ মায়ার মতো।

12/04/2025

গল্পের নাম: নীরব অভিমান

রাহাত আর মায়ার সম্পর্কটা ছিল একরকম সুরের মতো—নরম, কোমল, অথচ মাঝে মাঝে বেসুরো। কলেজ লাইব্রেরির টেবিলের উল্টো দিক থেকে শুরু হয়েছিল তাদের প্রথম কথা, ধীরে ধীরে সেই কথাগুলো পরিণত হয়েছিল ভালোবাসায়।

সব কিছু ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু এক সময় মায়া বদলে যেতে লাগল। ফোনে আগের মতো করে কথা বলত না, দেখা হলে অল্প হাসিতেই সীমাবদ্ধ থাকত, চোখে লুকিয়ে রাখত একরাশ ক্লান্তি। রাহাত প্রথমে ভেবেছিল ব্যস্ততা, পরে হয়তো বিরক্তি। কিন্তু সত্যিটা ছিল ভিন্ন।

মায়ার বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন—ডাক্তারের রিপোর্টে ধরা পড়েছিল ক্যানসার। পরিবারের ওপর নেমে আসে এক বিশাল ঝড়। মায়ার মা গৃহবধূ, একমাত্র মেয়েই পুরো সংসারের ভরসা হয়ে দাঁড়ায়। দিনের পর দিন হাসপাতাল, ঔষধ, টেনশন—সব কিছুর মাঝে মায়া নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিল।

সে রাহাতকে কিছু জানায়নি। জানায়নি কারণ, সে চায়নি রাহাত তার কষ্টের অংশ হোক। মায়া চুপচাপ রাহাত থেকে দূরে সরে গিয়েছিল—একে একে কথাগুলো কমে গিয়েছিল, দেখা কমে গিয়েছিল। অভিমান জমেছিল ঠিক, কিন্তু তার উৎস ছিল ভালোবাসার গভীরে গড়া ভয়—"যদি একদিন আমি একা হয়ে যাই, রাহাত কষ্ট পাবে। তাই এখন থেকেই দূরে থাকি।"

রাহাত বুঝতে পারছিল, কিছু একটা বদলেছে। অনেকবার জিজ্ঞেস করেছিল, “সব ঠিক তো?”
মায়া শুধু বলেছিল, “হ্যাঁ।”

কিন্তু একদিন মায়া ফিরল। হাতে একটি খাম—ভেতরে লেখা:

“কিছু অভিমান শব্দে প্রকাশ করা যায় না, শুধু নীরবতাই জানে তার গভীরতা। আমি তোমাকে কিছু বলিনি, কারণ ভয় পেয়েছিলাম তোমার চোখে আমার দুর্বলতা দেখতে। কিন্তু এখন জানি, ভালোবাসা মানে সব ভাগ করে নেওয়া, কষ্টও। আমি ফিরেছি, যদি তোমার ভালোবাসা এখনো অপেক্ষা করে থাকে।”

রাহাত কোনো কথা বলেনি, শুধু মায়ার হাতটি নিজের হাতে নিয়ে বলল, “এইবার অভিমান নয়, কষ্টটাও একসাথে ভাগ করে নিই।”

12/04/2025

গল্পের নাম:-অভিমান
লেখিকা :-অনামিকা অনু

অভিমানের নীরবতাআকাশে মেঘের ছায়া, আর বুকের ভেতর একটা অচেনা ঝড়। আরিয়ান বসে আছে কলেজের পুরনো বটগাছের নিচে, যেখানে সে আর মিহিরা একসঙ্গে অসংখ্য বিকেল কাটিয়েছে। আজও সে এখানে এসেছে, কিন্তু মিহিরা নেই। তার বদলে আছে শুধু একটা ফাঁকা বেঞ্চ আর বুকের মধ্যে জমে থাকা অভিমান।তিন মাস আগের কথা। মিহিরা আর আরিয়ানের মধ্যে সবকিছু ছিল স্বপ্নের মতো। কলেজের লাইব্রেরিতে চোখাচোখি, লুকিয়ে লুকিয়ে লেখা চিঠি, আর রাত জেগে ফোনে কথা। মিহিরার হাসি ছিল আরিয়ানের পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সম্পদ। কিন্তু একটা ছোট্ট ভুল বোঝাবুঝি সবকিছু পালটে দিল।একদিন মিহিরা বলেছিল, "আরিয়ান, তুই কেন আমার স্বপ্নের কথা এত হালকাভাবে নিস? আমি যখন বলি আমি লেখক হতে চাই, তুই হাসিস কেন?" আরিয়ান হেসেছিল, কিন্তু তার হাসির পেছনে কোনো উপহাস ছিল না। সে শুধু ভেবেছিল মিহিরার স্বপ্নগুলোকে সে তার নিজের মতো করে বুঝতে চায়। কিন্তু মিহিরা তা বুঝল না। তার মনে হল, আরিয়ান তার স্বপ্নকে গুরুত্ব দেয় না।সেদিন থেকে মিহিরার কথা কমে গেল। ফোনের মেসেজের উত্তর আসতে আসতে বন্ধ হয়ে গেল। আরিয়ান বারবার চেষ্টা করল কথা বলতে, কিন্তু মিহিরা যেন একটা দেয়াল তুলে ফেলেছিল। আরিয়ানের মনে হতো, তার বুকের ভেতর কেউ যেন একটা পাথর চেপে ধরেছে। কিন্তু সে কিছুই বলতে পারল না। তার অভিমান শব্দে প্রকাশ করা যায় না, শুধু নীরবতাই জানে তার গভীরতা।একদিন বৃষ্টির মধ্যে আরিয়ান দেখল মিহিরা কলেজের গেট দিয়ে বেরোচ্ছে। তার হাতে একটা খাতা, যেটায় সে সবসময় তার গল্প লিখত। আরিয়ানের মনে হল, এই তার শেষ সুযোগ। সে দৌড়ে গেল মিহিরার কাছে।"মিহিরা, একটু দাঁড়া," আরিয়ানের গলা কাঁপছিল।মিহিরা থমকে দাঁড়াল, কিন্তু তার চোখে একটা অভিমানের ছায়া। "কী বলবি, আরিয়ান? আরেকটা হাসি?"আরিয়ান মাথা নাড়ল। "না, মিহিরা। আমি হাসিনি তোর স্বপ্ন নিয়ে। আমি শুধু ভেবেছিলাম... আমি তোর পাশে থাকব, তোর স্বপ্নকে আমার স্বপ্ন করে নেব। কিন্তু আমি বোঝাতে পারিনি। আমার অভিমান শুধু এই যে, তুই আমাকে ভুল বুঝলি।"মিহিরার চোখে জল চিকচিক করছিল। বৃষ্টির ফোঁটার সঙ্গে মিশে গেল তার নিজের অশ্রু। "আর তুই জানিস আমার অভিমান কী? তুই কেন আমাকে বোঝালি না? তুই চুপ করে রইলি কেন, আরিয়ান?"দুজনেই চুপ। বৃষ্টির শব্দ ছাড়া আর কিছু শোনা যাচ্ছিল না। তারপর মিহিরা ধীরে ধীরে এগিয়ে এল। তার হাতে থাকা খাতাটা আরিয়ানের হাতে দিয়ে বলল, "এটা পড়। এতে আমার সব অভিমান লেখা আছে। আর তোর জন্য লেখা একটা গল্প।"আরিয়ান খাতাটা খুলল। প্রথম পাতায় লেখা ছিল, "একটা ছেলে আর একটা মেয়ে ছিল, যারা একে অপরকে ভালোবাসত। কিন্তু তাদের অভিমান তাদের দূরে সরিয়ে দিয়েছিল। তবু তারা জানত, ভালোবাসা অভিমানের চেয়ে বড়।"সেদিন থেকে আরিয়ান আর মিহিরা আবার একসঙ্গে বটগাছের নিচে বসতে শুরু করল। তাদের অভিমান ছিল, কিন্তু তার চেয়ে বড় ছিল তাদের ভালোবাসা। আর নীরবতা? সেটা শুধু তাদের গল্পের একটা অংশ হয়ে রইল।

Anu's Story

08/07/2025

17/04/2025

15/04/2025

15/04/2025

14/04/2025

14/04/2025

13/04/2025

13/04/2025

13/04/2025

12/04/2025

12/04/2025

12/04/2025

Address

Website

Alerts

Shortcuts

Share