22/04/2025
গল্পের নাম: "তিতলি আর রঙিন পাহাড়"
এক ছিল তিতলি নামের এক ছোট মেয়ে। সে ছিল খুব কৌতুহলী আর স্বপ্নবাজ। তিতলি সবসময় চায় নতুন কিছু শিখতে, জানতে আর খুঁজে পেতে। তার প্রিয় জায়গা ছিল তাদের বাড়ির পেছনের মাঠ – সেখান থেকে দূরে দেখা যেতো এক রঙিন পাহাড়। কেউ কখনো সেখানে যায়নি। সবাই বলত, “ওখানে যাওয়া নিষেধ, ওটা জাদুর পাহাড়।”
কিন্তু তিতলি ভাবলো, “আমি নিজে গিয়ে দেখে আসবো, যদি সত্যিই জাদু থাকে, তাহলে কত মজা হবে!”
একদিন সকালে সে একটা ব্যাগে কিছু বিস্কুট, একটা পানির বোতল আর প্রিয় ছবির বই নিয়ে হাঁটতে বের হলো। হেঁটে হেঁটে সে পৌঁছে গেল রঙিন পাহাড়ের পাদদেশে। পাহাড়টা সত্যিই রঙিন – লাল, সবুজ, নীল, বেগুনি – যেন রঙধনু মাটিতে নেমে এসেছে!
তিতলি পাহাড়ে উঠতেই দেখলো আশেপাশে উড়ছে রঙিন প্রজাপতি, গাছগুলো গান গাইছে, আর বাতাসে ভেসে আসছে এক মিষ্টি ঘ্রাণ। একটু ওপরে উঠতেই সে এক ছোট্ট পেঁচার সাথে দেখা পেলো। পেঁচাটা বলল,
– “তুমি কি সত্যিই সাহসী? তবে আমাকে একটি ধাঁধার উত্তর দাও!”
পেঁচার ধাঁধা:
"যে কাঁধে নেই বোঝা,
চলে সে পায়ের খোঁজে,
দিনে লুকায়, রাতে জ্বলে –
বল তো কে সে?"
তিতলি কিছুক্ষণ চিন্তা করলো। তারপর হেসে বলল, “এই তো সহজ! উত্তর হলো — চাঁদ!”
পেঁচা খুশি হয়ে বলল, “ঠিক বলেছো! এসো, আমি তোমায় পাহাড়ের জাদুর বাগানে নিয়ে যাই।”
তিতলি গেল বাগানে। সেখানে ছিল এমন ফুল, যা মানুষের মন পড়ে ফেলতে পারে, এমন গাছ যা গান গাইতে পারে, এমন ফল যা খেলে মন খুশি হয়ে যায়। তিতলি পুরো দিন খেললো, শিখলো, আর আনন্দে ভরে গেল তার ছোট্ট মন।
শেষে, সন্ধ্যা হওয়ার আগেই পেঁচা তাকে পাহাড়ের নিচে নামিয়ে দিলো। তিতলি বাড়ি ফিরে এল এক নতুন অভিজ্ঞতা আর আনন্দ নিয়ে।
সেইদিন থেকে সে তার বন্ধুবান্ধবদের শেখায়,
“ভয় নয়, জ্ঞান খোঁজো, প্রশ্ন করো আর খুঁজে বের করো – তবেই জীবন হবে জাদুর মতো সুন্দর!”