10/08/2025
আমাদের সমাজে আজও অনেকেই মনে করেন — ছেলের সন্তান মানেই “নিজের রক্তের উত্তরাধিকারী”, আর মেয়ের সন্তান যেন একটু আলাদা।
কিন্তু সত্যিটা কী?
বিজ্ঞানের ভাষায়, ছেলের সন্তান আর মেয়ের সন্তান — দুজনই সমানভাবে আমাদের রক্ত ও জিন বহন করে।
🔹 আমার ছেলে বা মেয়ে — দুজনই আমার ৫০% জিন বহন করে।
🔹 তাদের যে সন্তানই হোক না কেন, তারা আমার ২৫% জিন বহন করবে — ছেলে হোক বা মেয়ে, কার সন্তান হোক তাতে কোনো পার্থক্য নেই।
অর্থাৎ, নাতি-নাতনি আর দৌহিত্র-দৌহিত্রি — উভয়েই সমানভাবে “আমার নিজের”।
তাদের প্রতি ভালোবাসা, স্নেহ বা প্রাধান্য দেওয়ার ক্ষেত্রে পার্থক্য করার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
আমরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে যে সামাজিক অভ্যাসে বড় হয়েছি, সেটা অনেক সময় আমাদের ভুল ধারণা তৈরি করেছে।
কিন্তু সময় এসেছে সেই ভুল ভাঙার।
ভালোবাসা কখনো বংশ বা নাম দেখে হয় না, ভালোবাসা হয় হৃদয় দিয়ে। ❤️
১. সরাসরি বাবা-মা থেকে
বাবা: ৫০% জিন
মা: ৫০% জিন
২. বাবার দিক থেকে (দাদা-দাদি)
বাবার ৫০% এসেছে দাদার কাছ থেকে, আর ৫০% দাদির কাছ থেকে।
তুমি বাবার কাছ থেকে ৫০% পেয়েছো, তাই:
দাদা → ৫০% × ৫০% = ২৫%
দাদি → ৫০% × ৫০% = ২৫%
৩. মায়ের দিক থেকে (নানা-নানি)
মায়ের ৫০% এসেছে নানার কাছ থেকে, আর ৫০% নানির কাছ থেকে।
তুমি মায়ের কাছ থেকে ৫০% পেয়েছো, তাই:
নানা → ৫০% × ৫০% = ২৫%
নানি → ৫০% × ৫০% = ২৫%
চূড়ান্ত ভাগ:
দাদা: ২৫%
দাদি: ২৫%
নানা: ২৫%
নানি: ২৫%
📌 মোট: ১০০%