MAAM Page

MAAM Page অতীত, ভবিষ্যৎ ও চলমান পরিস্থিতি...

14/09/2025
https://youtu.be/KFxTr2YEkrE?si=ktCsAXIhu-cXO2gK
02/09/2025

https://youtu.be/KFxTr2YEkrE?si=ktCsAXIhu-cXO2gK

ে বিশ্বের আলোচিত সব খবর | Jamuna i Desk | 28 August 2025 | Jamuna TV⨳𝗔𝗯𝗼𝘂𝘁 𝗝𝗮𝗺𝘂𝗻𝗮 𝗧𝗲𝗹𝗲𝘃𝗶𝘀𝗶𝗼...

https://youtu.be/fDars-_XF2g?si=kpLMj9f-_SG3odnf
06/07/2025

https://youtu.be/fDars-_XF2g?si=kpLMj9f-_SG3odnf

✅ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের আসল সত্য✅ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের মূল কারণ কি?✅ফিলিস্তিনি বিষয় নিয়ে নোমা.....

05/07/2025

আর্টিকেল:
গাজায় গণহত্যার প্রেক্ষিতে আমাদের করণীয় (২)
মাওলানা শিব্বীর আহমদ April 21, 2025

আগের লেখাটিতে আমরা কয়েকটি নগদ পদক্ষেপ নিয়ে কথা বলেছিলাম। এখানে আলোচনা করছি দীর্ঘমেয়াদি কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়ে।

দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ:
উপরোক্ত নগদ পদক্ষেপগুলোর পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি কিছু পদক্ষেপও আমাদের নিতে হবে। সংকটটি নতুন নয়, অনেক পুরোনো। আবার কাছাকাছি সময়ে এ সংকট যে পুরোপুরি মিটে যাবে—তেমনটা আশা করাও বাহ্যত অসম্ভব। তাই প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ। ইহুদি ও তাদের দোসরদের শত্রুতা মোকাবেলা করার জন্যে প্রয়োজন পরিকল্পিত পদক্ষেপ। তবেই আমরা মুক্তি পেতে পারি শত্রুদের যাবতীয় আক্রমন থেকে। কয়েকটি পদক্ষেপ এখানে তুলে ধরা হলো :

ক. ঈমানি ভ্রাতৃত্ববোধ জাগিয়ে তোলা:
আমাদের দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, আমাদের মধ্যে ঈমানি ভ্রাতৃত্ববোধের এখন বড়ই অভাব। কুরআনে কারীমে বলা হয়েছে—মুমিনরা পরস্পর ভাইভাই। হাদীসে বলা হয়েছে—মুমিনরা সকলে একটি দেহের মতো। কিন্তু এ বোধটুকু আমাদের মধ্যে এখন জাগ্রত না থাকার কারণে এক এলাকার মুসলমানদের আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ পেয়েও অন্য এলাকার মুসলমানরা নিজেদের আক্রান্ত মনে করছে না। অথচ ঈমানের দাবি তো ছিল এই—দুনিয়ার কোনো প্রান্তে যদি একজন মুসলমান ঈমানের পরিচয় বহন করার দায়ে আক্রান্ত হন, তবে সঙ্গে সঙ্গে গর্জে উঠবে পুরো মুসলিম দুনিয়া।

এ ভ্রাতৃত্ববোধটুকু না থাকার কারণেই এখন একের পর এক আগ্রাসন চালানোর সুযোগ পায় আমাদের শত্রুরা। আরও দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, আগ্রাসনের মুহূর্তেও আমরা নিজেদের সর্বশক্তি দিয়ে আক্রান্ত মাজলুম মুসলমানদের পাশে এসে দাঁড়াই না। কেউ কেউ আবার কখনো শত্রুদের পক্ষেও থাকে।

মুসলমানদের অবস্থা পরিবর্তন করতে চাইলে এ ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করার বিকল্প নেই।

খ. সচেতনতা তৈরি করা:
আমাদের শত্রু যারা, সুযোগ পেলেই আমাদের গলা টিপে ধরতে চায় যারা, তাদের সম্পর্কে ব্যাপক সচেতনতা তৈরি করতে হবে আমাদের সমাজে। সমাজের প্রতিটি সদস্য যেন শত্রুদের সম্পর্কে সজাগ ও সচেতন থাকে, সে বিষয়ে আমাদের সচেষ্ট হতে হবে। আমাদের আজকের প্রতিটি শিশু যেন আগামী দিনে শত্রুদের সম্পর্কে পূর্ণ সচেতনতা ও সতর্কতা ধারণ করতে পারে, সে লক্ষ্যে আমাদের কাজ করে যেতে হবে এখন থেকেই। সমাজের মানুষকে যদি শত্রুদের সম্পর্কে সচেতন করে তোলা না যায়, তাহলে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি-স্বল্পমেয়াদি কোনো পদক্ষেপই সফলতার মুখ দেখবে না।

অফলাইনে, অনলাইনে, পত্রিকা-ব্লগ-সোশ্যাল মিডিয়ায় সর্বত্র ব্যাপকভাবে আলোচনা চলমান থাকতে হবে—পাশবিক ইসরাইল আমেরিকা ও তাদের দোসরদের নির্মমতা নিয়ে। মিছিল-র‌্যালি-মানববন্ধন-সভাসমাবেশ ও মার্চ—যা যখন যেভাবে সম্ভব, সবই করতে হবে। এগুলোর ভেতর দিয়েই সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হবে। কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চাইলে এ সচেতনতা তৈরির বিকল্প নেই।

গ. বিকল্প প্রস্তুত করা:
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি যে কোনো পক্ষের জন্যেই একটি অতি প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ। এ সমৃদ্ধির জোরেই ঘটে যত অন্যায় আগ্রাসন। নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্যে যেমন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করতে হবে, একইভাবে শত্রুর অস্ত্রের বিরুদ্ধে মোকাবেলা করার পাশাপাশি তাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির মোকাবেলাও করতে হবে।

এখন যখন শত্রুদের পণ্য বয়কটের প্রসঙ্গ আসে, তখন দুটি অভিযোগ আমাদের প্রায়ই শুনতে হয়।

এক. ওদের পণ্যগুলো তো গুণে-মানে সেরা। এগুলোর তো বিকল্প নেই। এ অভিযোগটা আংশিক সত্য। কিছু পণ্য এমন, যেখানে তারা আসলেই অতুলনীয়। সে ক্ষেত্রে গ্রাহক যারা, তারা মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধ রক্ষা করতে গিয়ে একটু নিম্নমানের পণ্যই ব্যবহার করবেন—সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। কিন্তু যারা মুসলিম ব্যবসায়ী, তাদের উচিত, এ শূন্যতা পূরণে এগিয়ে আসা। ভালো মানের পণ্য যদি তারা বাজারে আনতে পারেন, তাহলে আমাদের বয়কটের অস্ত্র অনেক বেশি শানিত হয়ে উঠবে, সন্দেহ নেই।

দুই. আমরা ওদের কত দূর পর্যন্ত বয়কট করতে পারব! ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল ইত্যাদি সবই তো তাদের। তাহলে আমরা কি এগুলোর ব্যবহার ছেড়ে দেব? না, ওটা জরুরি না। ওগুলোকে আমরা আমাদের পক্ষে কাজে লাগাতে পারি। নিজেদের শক্তি-সামর্থ্য বৃদ্ধিতেও কাজে লাগাতে পারি। তবে এর চেয়েও জরুরি করণীয় হলো, সাধারণ পণ্যের মতো এ ডিজিটাল সেবাগুলোর বিকল্প নিয়েও আমাদের ভাবতে হবে। যতটুকু না ব্যবহার করলেই নয় এর চেয়ে বেশি ফেসবুক-ইউটিউব ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে পারি আমরা।

অনেকেই ফেসবুক-গুগলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন। চেষ্টা করতে হবে, ফেসবুক-গুগলে বিজ্ঞাপনের জন্য টাকা খরচ না করে বিকল্প মাধ্যম খুঁজে বের করার। বিকল্প মাধ্যম প্রতিষ্ঠা করার। আল্লাহ পাকের মেহেরবানিতে ইতিমধ্যেই স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে ‘কাহফ’।

গুগল ব্রাউজারের বিকল্প হিসেবে কাহফ ব্রাউজার, ইউটিউবের বিপরীতে মাহফিল অ্যাপ, ফেসবুকের বিপরীতে হিকমাহ অ্যাপ , বাচ্চাদের জন্যে কাহফ কিডস নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে কাহফ পরিবার। স্ক্রিনে যাতে অশালীন কোনো দৃশ্য না আসে, সেজন্যে রয়েছে কাহফ গার্ড। কাহফ একদিকে কাজ করে যাচ্ছে শত্রুদের জায়ান্ট কোম্পানিগুলোর বিপরীতে, আবার তাদের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে হালাল ইন্টারনেট ও হালাল ইন্টারটেইনম্যান্ট নিশ্চিত করা। কাহফের সবগুলো অ্যাপ দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

ব্যবহারিক পণ্যগুলো বর্জনের পাশাপাশি ডিজিটাল পণ্যের ক্ষেত্রেও একই পরিকল্পনা নিয়ে আমাদের এগিয়ে আসা উচিত। আর যারা এগিয়ে আসছেন, আসতে চাইছেন, যথাসম্ভব তাদের পাশে দাঁড়ানো ও তাদের সহযোগিতা করা উচিত।
Share it

https://www.youtube.com/watch?v=tzSNUfc5lWE
03/07/2025

https://www.youtube.com/watch?v=tzSNUfc5lWE

িনদিনই যেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছেন নিউইয়র্কের মুসলিম মেয়র প....

দুইটি দ্বীপ একে অপরের খুব কাছাকাছি, মাত্র ৫ কিলোমিটার সমুদ্র দ্বারা পৃথক। শীতকালে, জমে যাওয়া পানির উপর দিয়ে হেঁটে এক দ...
29/06/2025

দুইটি দ্বীপ একে অপরের খুব কাছাকাছি, মাত্র ৫ কিলোমিটার সমুদ্র দ্বারা পৃথক। শীতকালে, জমে যাওয়া পানির উপর দিয়ে হেঁটে এক দ্বীপ থেকে আরেক দ্বীপে যাওয়া যায়।

ধরুন আপনি সকাল ১০টা সময় যাত্রা শুরু করলেন এবং প্রায় এক ঘণ্টায় পৌঁছাবেন বলে আশা করছেন। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছানোর পর ঘড়িতে দেখা যায় একটি অদ্ভুত সময়।

এই দ্বীপদ্বয় আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার দুই পাশে অবস্থিত, এবং তাদের মধ্যে সময়ের পার্থক্য ২২ ঘণ্টা। এই অল্প দূরত্ব হাঁটলেই আপনি কার্যত এক দিন পেছনে বা সামনে চলে যান।

এই সুন্দর দ্বীপগুলো আমেরিকা ও রাশিয়ার মাঝে অবস্থিত। এদের নাম যথাক্রমে "লিটল ডায়োমিড দ্বীপ – গতকাল" এবং "বিগ ডায়োমিড দ্বীপ – আগামীকাল"।
সংগৃহীত

চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে যুগান্তকারী এক অধ্যায় রচিত হতে চলেছে। রক্তনালীতে জমে থাকা কোলেস্টেরল প্ল্যাক এখন আর অস্ত্রোপচার...
27/06/2025

চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে যুগান্তকারী এক অধ্যায় রচিত হতে চলেছে। রক্তনালীতে জমে থাকা কোলেস্টেরল প্ল্যাক এখন আর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ করতে হবে না। বিজ্ঞানীরা এমন কিছু মাইক্রো ও ন্যানো রোবট তৈরি করছেন যা সরাসরি রক্তনালীতে প্রবেশ করে ব্লকেজ দূর করবে - সম্পূর্ণ নন-ইনভেসিভ পদ্ধতিতে।

ডাহির ইনসাট নামক প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই একটি রোবোটিক ডিভাইস তৈরি করেছে যা ফিমোরাল ধমনীর মাধ্যমে প্রবেশ করে রক্তনালীর ব্লকেজ দূর করতে সক্ষম। এই ডিভাইসটি রিয়েল-টাইম ক্যামেরা গাইডেন্সে কাজ করে, স্যালাইন সলিউশন ব্যবহার করে রক্ত প্রবাহ সাময়িকভাবে বন্ধ রেখে প্ল্যাক স্ক্রেপ করে এবং ধমনীর প্রাচীরের কোনো ক্ষতি না করেই রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক করে দেয়। এটি বর্তমানে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর্যায়ে রয়েছে।

বিভিন্ন গবেষণাগারে বিজ্ঞানীরা আরও উন্নত প্রযুক্তির ন্যানো রোবট তৈরি করছেন। এসব রোবট চৌম্বক ক্ষেত্রের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয় এবং রক্তনালীতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নেভিগেট করতে পারে। কিছু রোবট HDL বা ভালো কোলেস্টেরলের অনুকরণে তৈরি হয়েছে যা রক্তনালী থেকে খারাপ কোলেস্টেরল শুষে নেয়। আবার কিছু রোবট স্পাইরাল ডিজাইনে তৈরি যা রোটেশনাল মোশানে প্ল্যাক ভেঙে দেয়।

ইঁদুর ও খরগোশের উপর করা পরীক্ষায় এসব প্রযুক্তি ইতিবাচক ফলাফল দেখিয়েছে। তবে এখনও মানবদেহে ব্যবহারের জন্য কোনো ন্যানো রোবট অনুমোদিত হয়নি। বিজ্ঞানীদের মতে, এই প্রযুক্তি বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসতে আরও ৫-১০ বছর লাগতে পারে।

তবে এর কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে-
* নেভিগেশনের জটিলতা: রক্তনালীর সংকীর্ণ পথে রোবট নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।
* ইমিউন রেসপন্স: ন্যানো পার্টিকল দেহে অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে।
* নিয়ন্ত্রক অনুমোদন: FDA বা EMA-এর মতো সংস্থার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল প্রয়োজন।

এই প্রযুক্তি সফল হলে হৃদরোগ চিকিৎসায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি ব্যাপকভাবে কমবে এবং কার্ডিওভাসকুলার সার্জারির প্রয়োজনীয়তা অনেকাংশে হ্রাস পাবে। তবে এর জন্য আরও ব্যাপক গবেষণা ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল প্রয়োজন।

সূত্র সমূহ:
PubMed, IEEE Xplore, এবং peer-reviewed জার্নাল থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

তুরস্কের সাবেক প্রধানমন্ত্রী,আধুনিক তুরস্কের স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রেসিডেন্ট এরদোগানের আধ্যাত্তিক গুরু প্রফেসর ডঃনাজিমুদ্দিন...
25/06/2025

তুরস্কের সাবেক প্রধানমন্ত্রী,আধুনিক তুরস্কের স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রেসিডেন্ট এরদোগানের আধ্যাত্তিক গুরু প্রফেসর ডঃনাজিমুদ্দিন এরবাকানের ইস রা ইল,ইরান ও মুসলিম দুনিয়া নিয়ে গভীর চিন্তা ও ভাবনাঃ
======================
ইস"রাইলকে দমন করার পন্থা -
প্রফেসর ডঃ নাজিমুদ্দিন এরবাকান

"জায়নবাদ" হল একটি কুমিরের মত। এর উপরের চোয়াল হল আমেরিকা আর নিচের চোয়াল হল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এর জিহ্বা আর দাঁত হল ইসরাইল এবং এর শরীর সহ অন্যান্য অঙ্গসমূহ হল মুসলিম দেশসমূহ সহ অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রের শাসকগোষ্ঠী, মিডিয়া, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং এর সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন সংগঠন।

আমি এর উপর এত জোর দিচ্ছি কেন? কারণ আমাদের ভুল ধারণা হল, আমরা যায়নবাদ বলতে শুধু ইয়াহুদি জাতি আর ইসরাইলকেই বুঝে থাকি। এই বৃহৎ কুমিরটি আজ বিশ্বকে গ্রাস করে, শান্তি-শৃঙ্খলাকে হজম করে, গাজায় নিষ্পাপ শিশুদের হত্যা করছে। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে আজ সবচেয়ে বড় বাধা হল এই যায়নবাদ।

আমরা মানবজাতিকে কিভাবে এই বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারি? কারণ Great Middle East Project যায়নবাদীদের আকিদার সাথে সম্পর্কিত; এই বিষয়কে তারা তাদের দ্বীনের অংশ বলে মনে করে থাকে। ইসরাইলের প্রতিটি প্রধানমন্ত্রী এই কথাটি বলে থাকেন যে, “আমাদের দুটি মানচিত্র রয়েছে—একটি হল দেওয়ালে খচিত, অপরটি হল আমাদের অন্তরে খচিত মানচিত্র।”

এটাই হল ইসরাইলের পরিকল্পনা। মুসলিম হিসেবে আমরা কী করে থাকি?
OIC-সহ অন্যান্য সংগঠনের নামে বিভিন্ন সম্মেলনের আয়োজন করে থাকি এবং সেখানে সারাদিন ফাঁকা বুলি আওড়াই। সভাশেষে আমরা একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে সারা দুনিয়ায় প্রচার করি—“অনতিবিলম্বে ইরাক থেকে আমেরিকার সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করতে হবে।” টেলিভিশন অথবা পত্র-পত্রিকায় এই খবর দেখে রকফেলারেরা কফির কাপে আয়েশী টান দিয়ে ব্যঙ্গাত্মক অট্টহাসি দিয়ে বলে
"তোমরা এই সকল অবাস্তব পরিকল্পনা নিয়েই বসে থাকো, আর জেনে রাখো আমরা আমাদের প্রতিটি পরিকল্পনা পদে পদে বাস্তবায়ন করছি।"

এমনকি ইরানিরা মনে করে যে—“আমরা নিজেরা পারমাণবিক বোমা বানাচ্ছি, আমরা আধুনিক অস্ত্র বানাচ্ছি...” ইত্যাদি। সাবধান! এই সকল চিন্তার মাধ্যমে নিজেদেরকে প্রতারিত করবেন না। আপনারা যদি এই পথেই চলতে থাকেন তাহলে শত বছরে ও
ইসরাইলিদের কিছুই করতে পারবেন না।

তাহলে আমরা কী করব?
এর থেকে উত্তরণের একটাই পথ—আমাদেরকে কুরআনের আলোকে নতুন দুনিয়া সৃষ্টি করতে হবে। কারণ ইসলাম ছাড়া বিশ্বে শান্তি অসম্ভব। আমরা কিভাবে এই নতুন দুনিয়া প্রতিষ্ঠা করব?
আমি ২৪ জুন ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলাম এবং শপথ নেওয়ার পর আমার অফিসে আসি। এরপর সর্বপ্রথম আমেরিকার রাষ্ট্রদূত আমার সাথে সাক্ষাৎ করতে আসে। সে আমাকে বলে—“আমরা জানি আপনার দাওয়াত হচ্ছে ইসলাম, আর আপনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন—অবশ্যই আমরা এটা পছন্দ করিনি। কিন্তু আপনাদের সাথে আমাদের কাজ করতে হবে। তবে ছয়টি শর্তে আপনার সাথে কাজ করতে পারি,

১। ইরানের সাথে আপনাদের বাণিজ্য পঞ্চাশ মিলিয়ন ডলারের বেশি করতে পারবেন না।
২। ইরানে যেতে পারবেন না।
৩। মুসলিম দেশগুলোর সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে পারবেন না।
৪। তুরস্কে অবস্থিত আমেরিকা ও ইসরাইলের অঙ্গ সংগঠনগুলোর কাজে বাধা দিতে পারবেন না।
৫। তুরস্কে অবস্থিত আমেরিকান সামরিক ঘাঁটিগুলো বন্ধ করতে পারবেন না।
৬। ইরাকের পাইপলাইনগুলো উন্মুক্ত করতে পারবেন না।

আমাদের ইতিহাসে আলী পাশার একটি বিখ্যাত প্রবাদ আছে—"আমি যে রাষ্ট্রীয় কাজ করতে যাই না কেন, প্রথমে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাথে পরামর্শ করি এবং সে যা বলে, আমি ঠিক তার বিপরীতটাই করি।"

আমিও ঠিক একই কাজ করেছি-
রাষ্ট্রদূত যা বলেছে, আমি তার উল্টো কাজ করেছি। সে বলেছিল, “৫০ মিলিয়নের বেশি বাণিজ্য করতে
পারবেন না”— অথচ আমি শুধু ইরানের গ্যাসের জন্যই ২.৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করি। এমনকি আমি সিদ্ধান্ত নেই যে, ইরানের সাথে তুরস্কের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ১০ বিলিয়ন, ২০ বিলিয়ন, ৫০ বিলিয়নের মধ্যে সীমিত থাকবে না, বরং তা জার্মানি ও ফ্রান্সের সাথের সম্পর্কের চেয়েও বেশি হবে।

১৫ দিন পর আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ারেন এম. ক্রিস্টোফার এবং আঙ্কারার রাষ্ট্রদূত ক্রসম্যান এই দুই ইয়াহুদি শলাপরামর্শ করে যে, “যাই হোক না কেন, রেফাহ পার্টি এবং এরবাকানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে।” তাদের সেই ষড়যন্ত্রের দলিলগুলো আমার কাছে রয়েছে।

আমি এই সকল কথা কেন বলছি?
আমরা দোয়া করি—ইরানের ইসলামি বিপ্লব তার পূর্ণতায় পৌঁছাতে পারে। কিন্তু আমরা এটা জানি, আমাদেরকে ক্ষমতা থেকে নামানোর জন্য তারা যেমন ষড়যন্ত্র করেছে, ঠিক তেমনি ইরানের বিপ্লবও যাতে লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পারে, সে জন্য তারা সকল ধরনের ষড়যন্ত্র করবে।

আপনারা এদেরকে সুযোগ না দেওয়ার জন্য সর্বদা সতর্ক থাকবেন। কারণ যায়নবাদীরা ৫৭০০ বছরের একটি পুরাতন সংগঠন।

আমেরিকার চল্লিশটি রণতরী রয়েছে এবং তারা হুমকি দিয়ে বলে যে ইরানকে ভালোভাবে শায়েস্তা করবে। এমতাবস্থায় আমরা কি শুধু বসে থাকব? নাকি ৪১টি রণতরী বানাব? আর এগুলো বানাতে যে সময় লাগবে,
সেই সময়েই তারা আমাদের নিঃশেষ করে দেবে।

এই রণতরীগুলো বানানোর জন্য আমাদের এত অর্থই বা কোথা থেকে আসবে? আমরা ৪১টি বানাতে বানাতে ওরা ৮০টি বানিয়ে ফেলবে। তাহলে আমরা যায়নবাদকে কিভাবে পরাজিত করব?

আল্লাহ মহান, রাব্বুল আলামিন, দয়াবান ও দয়ালু। প্রযুক্তির উন্নয়ন ইসলামের জন্য একটি বড় নিয়ামত। আমরা এমন প্রযুক্তি আবিষ্কার করব—যার মাধ্যমে তারা আমাদের আক্রমণ করার সময় তাদের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো দিয়েই তাদের রণতরীগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে।

এটা কি সম্ভব নয়?
হ্যাঁ, এটা ইলেকট্রিক্যাল-ইলেকট্রনিক্সে সম্ভব। আমরা ওজনহীন বিমান তেহরান থেকে তেলআবিবে পাঠাব এবং এখানে বসে তা দেখব। এরপর এটি ইসরাইলের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আঘাত হানবে।

এগুলো কি সম্ভব?
হ্যাঁ, সম্ভব। আমি এসবের প্রোটোটাইপ তৈরি করে এনেছি। কারণ প্রযুক্তির কোন শেষ নেই। ইরানের ইসলামী বিপ্লব নতুন দুনিয়া সূচনার একটি দরজা। তুরস্ক ও ইরানের সম্পর্ক একটি বীজের মতো। এর চারপাশে রয়েছে D-8, এর চারপাশে D-60, ষাটটি মুসলিম দেশ এবং নিপীড়িত একশো টি দেশ।
এরপর রাশিয়া, চীন, আফ্রিকা, ভারতসহ ৬০০ কোটি মানুষকে নিয়ে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিতে চাই।

আমরা কমন মুদ্রা হিসেবে ইসলামি দিনার চালু করব। ইসলামী জাতিসংঘ এবং নিজস্ব ন্যাটো প্রতিষ্ঠা করব।
আর এভাবেই আমরা একটি নতুন দুনিয়া গড়ব। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সূরা ইব্রাহিমের ৪৬ নম্বর আয়াতে বলেন:

﴿وَقَدْ مَكَرُوا مَكْرَهُمْ وَعِندَ اللَّهِ مَكْرُهُمْ وَإِن كَانَ مَكْرُهُمْ لِتَزُولَ مِنْهُ الْجِبَالُ﴾

“তারা তাদের সব রকমের চক্রান্ত করেছে, কিন্তু তাদের প্রত্যেকটি চক্রান্তের জবাব আল্লাহর কাছে ছিল, যদিও তাদের চক্রান্তগুলো এমন ছিল যাতে পাহাড়ও টলে যেত।”

আল্লাহ আরও বলেন:
إِنْ يَنْصُرْكُمُ اللَّهُ فَلَا غَالِبَ لَكُمْ

"যদি আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করেন, কেউ তোমাদের পরাজিত করতে পারবে না।"

আমি এর আগে ইরানে D-8 খুলেছিলাম। এখন আমি এসেছি দুটি লক্ষ্য নিয়ে:

১। ইরানের বিপ্লবের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করা। আত্মবিশ্বাস রাখলে আপনারাই বিজয়ী হবেন। আল্লাহ আপনাদের সহায় হবেন।

২। ইরান ও তুরস্ক ইনশাআল্লাহ একটি নতুন বিপ্লবের সূচনা করবে।

(২০০৯ সালে ইরান সফরে দেওয়া বক্তব্যের আংশিক অনুবাদ)

অনুবাদক: বুরহান উদ্দিন আজাদ
©

https://www.youtube.com/watch?v=vrVuvIeClh8
24/06/2025

https://www.youtube.com/watch?v=vrVuvIeClh8

#ইনডিপেনডেন্টটেলিভিশন পাখির চোখে গা’’জা উপত্যকা: ই স রা য়ে ল অবশিষ্ট কিছুই রাখেনি | International News | Indepe...

https://www.youtube.com/watch?v=xawcB4H63zM
24/06/2025

https://www.youtube.com/watch?v=xawcB4H63zM

যা অস্ত্রগুলির বিস্ফোরক আউটপুট একচেটিয়াভাবে বিদারণ বিক্রিয়া থেকে হয় তাকে সাধারণত পারমাণবিক বোমা বা পরমাণু অ...

Address

Rajshahi
6100

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when MAAM Page posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share