Ruhi - গল্প কথা

Ruhi - গল্প কথা Please Follow Our Page..

Permanently closed.
স্বামীর উচিৎ সর্বপ্রথম স্ত্রীর প্রয়োজনীয় জিনিস, আবদার গুলো আগে পূরণ করা।আপনার মা বাবাও আপনার থেকে পাওয়ার অধিকার রাখে।তবে...
10/07/2025

স্বামীর উচিৎ সর্বপ্রথম স্ত্রীর প্রয়োজনীয় জিনিস, আবদার গুলো আগে পূরণ করা।

আপনার মা বাবাও আপনার থেকে পাওয়ার অধিকার রাখে।তবে যদি আপনার বাবা বেঁচে থাকেন,ভাই-বোন বিবাহিত হয় তবে তাদের থেকে আপনার বউয়ের টা পূরণ করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।মায়ের জন্য বাবা আছে, বোনের জন্য তার স্বামী আছে, আর বিবাহিত ভাই তাকে আল্লাহ হাত পা দিয়েছে সে পরিশ্রম করে খাবে।বাবা মায়ের জন্য নির্দিষ্ট একটা এমাউন্ট প্রতি মাসে আলাদা করে রাখবেন।কিন্তু নিজের সংসারের জন্য না রেখে সম্পূর্ণ টাকা কখনোই অন্য কোথাও শেষ করে ফেলা চরম ভুল।মানুষকে সাহায্য করা ভালো কিন্তু নিজের পকেট খালি করে নয়।

মনে রাখবেন, আপনার মায়ের স্বামী আছে, বোনের স্বামী আছে, আপনার স্ত্রীর কিন্তু শুধু আপনিই আছেন।মেয়েদের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর স্বামীর থেকেই সবকিছু পাওয়ার দাবিদার, বাবা, ভাইয়ের থেকে নিলে অবশ্যই আপনি ছোট হয়ে যাবেন।

কিছু পুরুষ বোনের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরেও আগে বোনের সংসারের জন্য, মায়ের সংসারের জন্য টাকা খরচ করে বউকে অভাব দেখায়,অপেক্ষায় করায়।এটা কিন্তু কোনোভাবেই সঠিক নয়।এক দুই মাস বা হঠাৎ সমস্যা হলে মা ভাই বোন সবার প্রয়োজনেই পাশে থাকা টা দায়িত্ব তবে প্রত্যেক মাসেই তাদের পেছনে খরচ করে,বউকে বঞ্চিত করা টা মোটেও উচিৎ না।

একটা মেয়ে আপনার জন্য কতকিছুই সেক্রিফাইস করে, এর মানে এই নয় যে আপনি শুধু তাকে অপেক্ষা করাবেন,তার ক্ষেত্রেই লাস্ট প্রায়োরিটি দিবেন।

প্রত্যেক টা মেয়ের কিছু শখ থাকে নিজের সংসার টা গুছানোর,প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো দিয়ে ঘর পরিপূর্ণ করার।অন্য খাতে টাকা নষ্ট করে আপনি আপনার স্ত্রীকে বঞ্চিত করতে পারেন না।

আপনার স্ত্রী আপনাকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়,আপনার যত্ন নেয়,আপনার জন্য সবকিছুই করে, আপনারও তো উচিৎ তাকে সময় দেয়া,ঘুরতে নিয়ে যাওয়া এবং প্রয়োজনীয় সব কিনে দেয়া!

[লেখা টা তাদের জন্য যারা কখনোই বউয়ের দায়িত্ব ঠিক মত পালন করে না।]
©

🌿🌿স্ত্রীর মন—যে জায়গাটাতে যত্ন নয়, সবচেয়ে বেশি অবহেলা হয়:একজন পুরুষ জীবনের অনেক কিছু গুছিয়ে রাখে। সংসার চালায়, দায়িত্ব ন...
09/07/2025

🌿🌿স্ত্রীর মন—যে জায়গাটাতে যত্ন নয়, সবচেয়ে বেশি অবহেলা হয়:

একজন পুরুষ জীবনের অনেক কিছু গুছিয়ে রাখে। সংসার চালায়, দায়িত্ব নেয়, কাজ করে, বিল মেটায়—সবই ঠিকঠাক থাকে। কিন্তু যে জায়গাটাতে তার সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত, সবচেয়ে বেশি যত্ন দেখানো দরকার, সেটা অনেক সময় অবহেলার ছায়ায় ঢেকে যায়।
সেই জায়গাটা হলো—তার স্ত্রীর মন।

একটা মেয়ে যখন কাউকে ভালোবেসে নিজের জীবন সঁপে দেয়, সে শুধু একটা ছাদ চায় না। সে চায় ভালোবাসার ছায়া, বোঝার কোমলতা, অনুভবের সঙ্গ।
সে চায়, কেউ তাকে মন দিয়ে শুনুক। তার না বলা কথাগুলো পড়তে শিখুক। ক্লান্ত দুপুরগুলোতে কেউ বলুক, "তুমি কেমন আছো?" — এটুকু স্নেহই অনেক মেয়ের কাছে বিশ্রামের মতো।

কিন্তু বাস্তবতা বড় কঠিন।
কিছু না বললেই বুঝে নেওয়ার কথা বলা হয়, অথচ কেউ বোঝে না।
দুঃখের কথা বললে বলা হয়, “তুমি অতিরিক্ত ভাবো”, “সবসময় অভিযোগ করো”।
আর এইরকম দিনে দিনে স্ত্রী নিঃশব্দ হয়ে যায়।
সে আর প্রশ্ন করে না, অভিযোগ তো দূরের কথা—দেখে না, বলে না, শুধু চুপ থাকে। কারণ সে জানে, তার অনুভূতির দাম নেই এখানে।

এই নীরবতা থেকেই জন্ম নেয় ভিতরগত এক ভাঙন, যা অনেক সংসারে টেরও পাওয়া যায় না—তবু প্রতিদিন একটু একটু করে মরে যায় সম্পর্ক।
একটা সংসার টিকে থাকে শুধু খরচ চালিয়ে নয়, টিকে থাকে ভালোবাসা দিয়ে, বোঝাপড়া দিয়ে, একে অপরের অনুভবকে গুরুত্ব দিয়ে।

একজন স্ত্রী কি চায়?
সে চায়, তার কষ্টগুলো কেউ নিজের মতো করে বুঝে নিক।
সে চায়, তার হাসিমুখের পেছনের ক্লান্তিটা কেউ খেয়াল করুক।
সে চায়, যখন সে ভেঙে পড়ে তখন কেউ তাকে বলে, "আমি আছি।"

একটা মেয়ে যখন সংসার করে, সে রান্না বা কাপড় ধোয়ার জন্য করে না—সে করে ভালোবাসা দিয়ে। কিন্তু যদি সেই ভালোবাসার কোনো প্রতিধ্বনি না থাকে, তাহলে একটা সময় সে শূন্য হয়ে পড়ে।
তখন সে শুধু কাজ করে যায়—ভিতরে কিছুই থাকে না।
এই অবস্থাটাই সবচেয়ে ভয়ংকর, কারণ তখন সে আর কিছু আশা করে না।

তাহলে কী করণীয়?

পুরুষের কাছে সব সমাধান টাকা নয়, সিদ্ধান্ত নয়।
একটু সময় দিন, একটু মনোযোগ দিন।
চোখে চোখ রেখে জিজ্ঞেস করুন, "তুমি সত্যিই ভালো আছো তো?"
তার ছোট ছোট কাজগুলোকে কৃতজ্ঞতা দিয়ে মূল্য দিন।
আর যেকোনো তুলনা এড়িয়ে চলুন—স্ত্রী আপনার সঙ্গী, প্রতিযোগী নয়।

অনেক সময় পুরুষরা ভাবে, “আমি তো সব দায়িত্ব পালন করছি!”
হ্যাঁ, দিচ্ছেন। কিন্তু দায়িত্ব পালন আর হৃদয় বোঝা এক জিনিস নয়।
স্ত্রীর মনটা নিছক দায়িত্বের জায়গা নয়—ওটা যত্নের, মমতার জায়গা।

একজন স্ত্রী যখন অনুভব করে যে, তার মনটাকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়—সে নিজের সমস্তটা দিয়ে পরিবারকে আঁকড়ে ধরে রাখে।
আর যদি সেই মনটাই ভেঙে পড়ে, তবে সংসারের ভিতরে ভিতরে এক অদৃশ্য অন্ধকার জন্ম নেয়।

শেষ কথায় শুধু এটুকু বলা যায়:
একজন পুরুষ যদি একটিবার স্ত্রীর চোখে গভীরভাবে তাকায়, তাহলে সে বুঝবে—সেই চোখে লুকিয়ে আছে অনেক প্রশ্ন, অনেক আশা, আর ভীষণরকম এক ভালোবাসা।

যেটা শুধু একটু যত্ন, একটু বোঝার অপেক্ষায় থাকে… প্রতিদিন।

゚viralシviralシfypシ゚viralシalシ

01/07/2025
এভাবেই চলছে সংসার
15/06/2025

এভাবেই চলছে সংসার

আজ ১৭ নম্বর আদালতের এজলাসে এক অদ্ভুত মামলা উঠেছে।এক নারী, বয়স পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই, হঠাৎ করে জানিয়ে দিলেন—তিনি আর সংসার করতে...
29/05/2025

আজ ১৭ নম্বর আদালতের এজলাসে এক অদ্ভুত মামলা উঠেছে।

এক নারী, বয়স পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই, হঠাৎ করে জানিয়ে দিলেন—তিনি আর সংসার করতে চান না। তিনি চুপচাপ নিজের মত বাঁচতে চান। সব সম্পর্ক থেকে নিঃশর্ত মুক্তি চান। কিন্তু বিপরীতে, তার স্বামী এই বিচ্ছেদ কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। তার যুক্তি—মেয়ে বড় হয়েছে, সংসার অনেকটাই গুছেছে, এখন সময় শুধু দু’জন মিলে একসাথে কাটানোর। তবু অনুপমা, সেই নারীর নাম, তাঁর নিজের মত করে বাঁচতে চাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল।

শঙ্খনীল আর অনুপমা—এই দম্পতির গল্প অনেকেই জানে। সমাজে তারা ‘সুখী দম্পতি’র উদাহরণ হিসেবে পরিচিত। পঁচিশ বছরের সংসার, একটি মেয়ে—সব মিলিয়ে বাইরের চোখে নিখুঁত পরিবার। অথচ, আজ অনুপমা দাঁড়িয়েছেন বিচ্ছেদের জন্য, কোর্টের রায় চেয়ে।

বিচারক প্রশ্ন করেন, “আপনার স্বামী কি অন্য কোনো সম্পর্কে জড়িত?”

অনুপমার হাসি মিশ্রিত উত্তর, “আজও ওর জীবনে আমি ছাড়া কেউ নেই। আমিই ওর সবচেয়ে প্রিয়।”

“তাহলে কি কোনো নির্যাতন? গায়ে হাত তোলেন?”

“না। ওরকম কিছু না। আমি নিজেও আয় করি, একজন কর্মজীবী নারী—আমার ওপরে অত্যাচার করার সাহস হয়তো ওর হতো না,” বললেন অনুপমা।

“তাহলে কেন?” — বিচারকের এই প্রশ্নে যেন জমে থাকা এক নদীর জল একসাথে বয়ে গেল।

“আজকের ভালোটা দেখেই আপনি বিচার করতে চাইছেন, বিচারক মহাশয়। কিন্তু কেউ দেখেছে আমার গত পঁচিশ বছরের ক্লান্তি, প্রতিটি দিনের অভিমান, প্রতিটি রাতে চুপচাপ কাঁদা? আমার স্বামী একজন ভালো মানুষ, ভালো বাবা, ভালো অফিসার। কিন্তু ভালো প্রেমিক? না, সে কোনোদিন হতে পারেনি।

আমরা প্রেম করে বিয়ে করেছিলাম। বিশ্বাস ছিল, এই সম্পর্কটা হবে বন্ধুত্ব, ভালোবাসা, যত্নে মোড়া। কিন্তু বিয়ের পর সেই প্রেমিক হারিয়ে গেল। বউ হওয়া মানে রান্না শেখা, কাজের ভার নেওয়া, শাশুড়ির অপমান সহ্য করা—এসবই যেন ‘স্বাভাবিক’ হয়ে গেল। আমি তখনও আয় করতাম, তবু সংসারের প্রতিটি দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছিলাম এই আশায়—প্রেম ফিরে পাবো। কিন্তু তেমন কিছুই হলো না। শাশুড়ির গঞ্জনা, শারীরিক কষ্ট, অফিস আর ঘরের চাপ—সবকিছুর মাঝেও আমি চাইতাম, আমার স্বামী একটিবার পাশে এসে বলুক, ‘চলো, আজ দুজন মিলে কাজ করি।’ কিন্তু সে চুপ থেকেছে।

সন্তান হওয়ার পর শরীরে কিছু বদল এল, চোখে ঘুমের অভাবে কালি, গায়ে ক্লান্তি—তখন আমি বুঝলাম, তার দৃষ্টিতে আমি কেমন যেন অচেনা। অফিসের চটকদার সহকর্মী তার কাছে হয়ে উঠলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি শুধু এক সংসার সামলানো মানুষ, প্রেমিকা নই।

একবার নয়, বহুবার বলেছি, আমি আবার প্রেম পেতে চাই, তোমার প্রেমিকা হয়ে থাকতে চাই। সে শোনেনি। আমি তবুও থেকেছি। কারণ, মেয়েটার মুখের দিকে তাকিয়ে। বাবার স্নেহ থেকে তাকে বঞ্চিত করতে চাইনি। কিন্তু আমার স্বামী? সে কি একবারও আমার অভিমান বুঝতে চেয়েছে?

সে আমাকে দিয়েছে “সবচেয়ে ভালো বউ”র খেতাব, বন্ধুদের সামনে আমার ‘সহ্যশক্তি’র প্রশংসা করেছে। কিন্তু নিজের ভালোবাসাটা কোনোদিন তুলে দেয়নি।

আমি তার একটিবার পাশে থাকাও পাইনি, একটিবার জিজ্ঞেস করাও পাইনি—‘তুমি কেমন আছো?’

সে নিজের মতো জীবনের স্বাদ নিয়েছে—বন্ধুদের সাথে ঘোরা, রাত জেগে আড্ডা, নিজের সময়কে নিজের মতো করে কাটানো। কিন্তু আমার সময়?

আমি পঁচিশ বছর সংসার করেছি, তেইশ বছর মায়ের দায়িত্ব পালন করেছি, নিজের জীবনকে ফুরিয়ে দিয়েছি যেন। বিনিময়ে আমি পেয়েছি—শূন্যতা।

তবে আজ আর না। আজ আমি শুধু একজন ‘বউ’ হয়ে বাঁচতে চাই না। আমি স্বাধীন মানুষ হয়ে বাঁচতে চাই। আমি সকালে সূর্য দেখার সময় চাই, রাতে ডায়েরির পাতায় নিজের অনুভব লেখার সময় চাই। আমি চাই না, ভোরে উঠে কারো জন্য চা বানাতে গিয়ে আমার ঘুম কেটে যাক।

আমি একটু সুখ চাই, নিজের মতো করে। একটু শান্তি চাই, যেটা কাউকে বোঝাতে হয় না। একটু ভালোবাসা চাই—নিজের জন্য।

বেশি কিছু চেয়েছি কি আমি?

নারী হয়ে জন্মেছি বলে সারাজীবন দিয়ে যাব, আর কিছুই ফিরবে না? মনুষ্যজন্ম পেয়েছি বলেই না এই পৃথিবীর স্বাদ নিতে চাই।

তাই, আমি নিজেকে মুক্ত করতে চাই। সম্পর্কের মেকি দায় থেকে নয়, জীবনের প্রতি নতুন ভালোবাসার খোঁজে।”

অনুপমার কথা শুনে পুরো আদালত স্তব্ধ। এমন সৎ, এমন গভীর হৃদয়ের কথা শুনে কিছু বলার থাকে না কারোরই। বিচারকের চোখেও যেন জল।

এই দাবি কি অনুপমার একার? না কি, এই গল্পটা পৃথিবীর অনেক অনুপমার?

কারও জানা নেই।

তবে এটুকু বোঝা যায়—জীবনের প্রতিটি সম্পর্কেই হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া ভালোবাসা না থাকলে, তা শুধু দায়িত্ব হয়ে পড়ে। আর দায়িত্বে মন তুষ্ট হলেও, আত্মা হয়তো চুপিচুপি কাঁদে...










Good Morning...
27/05/2025

Good Morning...

25/05/2025

শুভ বিকেল..  ゚viralシ
24/05/2025

শুভ বিকেল..
゚viralシ

24/05/2025

গ্যাসের চুলায় সাতপুতি পিঠা...

Address

Bagmara
Rajshahi

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ruhi - গল্প কথা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share