Akram Hossain

Akram Hossain Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Akram Hossain, Digital creator, Ramganj.
(17)

~জানো তুমি কে?
তুমি হচ্ছ একটা ঐশ্বরিক চিঠির খসড়া,
তুমি একটা আয়না আর দেখাচ্ছ একটা মহৎ চেহারা,
মহাবিশ্ব তোমার বাইরে নয়,
নিজের ভিতরে তাকাও,
তুমি যা চাও সবই তুমি নিজে!

~রুমি (রঃ) 🌸
Akram Hossain Akru Fashion Akrelis Attire Welle Touch Akru Styles

ভার্সিটির ফ্রি মিক্সিং মেয়ে বিয়ে করলে আর যাই হোক সন্তানকে একজন লজ্জাশীল মা উপহার দিতে পারবেন না ❌
13/08/2025

ভার্সিটির ফ্রি মিক্সিং মেয়ে বিয়ে করলে আর যাই হোক সন্তানকে একজন লজ্জাশীল মা উপহার দিতে পারবেন না ❌

🕋 নবী ও রসূলদের প্রতি সম্মান – ঈমানের অপরিহার্য অংশ🕌 নবীগণ সাধারণ কেউ নন, তাঁদের সাথে সাধারণ ভাষা বা উপাধি ব্যবহার করা ক...
20/07/2025

🕋 নবী ও রসূলদের প্রতি সম্মান – ঈমানের অপরিহার্য অংশ

🕌 নবীগণ সাধারণ কেউ নন, তাঁদের সাথে সাধারণ ভাষা বা উপাধি ব্যবহার করা কি ঈমানহানিকর? বিশদ আলোচনা প্রমাণসহ

---

🌟 ভূমিকা

নবী ও রসূলগণ হলেন আল্লাহর পক্ষ থেকে মনোনীত শ্রেষ্ঠতম মানুষ, যাঁদের মাধ্যমে মানবজাতিকে হেদায়েত দেওয়া হয়েছে। আজ দুঃখজনকভাবে কিছু মানুষ নবীদের সম্পর্কে সাধারণ ও হালকা শব্দ ব্যবহার করে, যেমন:
🔴 “আদম (আঃ) ছিলেন দর্জি”,
🔴 “নবী মুহাম্মদ ﷺ ছিলেন পিয়ন, কাউবয়, বা সাধারণ ব্যবসায়ী” ইত্যাদি।

❗কিন্তু প্রশ্ন হলো — এটা কি কেবল ইতিহাসের আলোচনা, নাকি নবীদের অসম্মান?
এবং এর পরিণতি কি কেবল ভুল, নাকি ঈমানের জন্য হুমকি?

---

📖 কোরআনের আলোকে নবীদের মর্যাদা

🔸 নবীর সামনে আওয়াজ উঁচু করলেও ঈমান ধ্বংস হতে পারে:

> "يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ..."
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা রাসূলের কণ্ঠের ওপরে নিজের কণ্ঠ উঁচু করো না, যেন তোমাদের আমল বরবাদ না হয়ে যায়।”
📚 সূরা হুজুরাত, আয়াত ২

🔍 শুধু আওয়াজ উঁচু করলে যদি আমল ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে নবীদের সম্পর্কে পিয়ন, কাউবয়, দর্জি বা হালকা শব্দ ব্যবহার করা কত বড় ধৃষ্টতা ও ঈমানহানিকর, তা সহজেই অনুমেয়।

---

🕊️ নবী ﷺ সম্পর্কে সাধারণ ভাষা ব্যবহার – স্পষ্ট নিষেধ

> "لَا تَجْعَلُوا دُعَاءَ الرَّسُولِ بَيْنَكُمْ كَدُعَاءِ بَعْضِكُم بَعْضًا"
“তোমরা রাসূলকে ডাকার ব্যাপারে নিজেদের একে অপরকে ডাকার মতো করো না।”
📚 সূরা নূর, আয়াত ৬৩

🔍 আল্লাহ সরাসরি নিষেধ করেছেন, নবীকে সাধারণ লোকের মতো করে ডাকতে। তাহলে তাঁর নামের পাশে "পিয়ন", "গরুর রাখাল", "রাজনীতিবিদ" এসব শব্দ ব্যবহার করা কেমন বেয়াদবি?

---

📚 হাদীস ও ইমামদের বক্তব্য

✅ হাদীস শরীফ:

> "من سب نبيا فقد كفر"
“যে ব্যক্তি কোনো নবীকে গালি দেয় বা অসম্মান করে, সে কাফের হয়ে যায়।”
📚 ইমাম তাহাবি, আকীদা তাহাবিয়্যাহ

✅ ইমাম কাদী আয়াদ (রহ.):

> "من استخف برسول الله ﷺ أو نسبه إلى نقص أو عيب، كفر بالإجماع"
“যে ব্যক্তি রাসূল ﷺ-এর প্রতি অসম্মান করে বা কোনো দোষারোপ করে, সে সর্বসম্মতভাবে কাফের।”
📚 আশ-শিফা, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ২৩৮

---

🌍 সকল নবীর প্রতি সম্মান ফরজ

> "لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّن رُّسُلِهِ"
“আমরা আল্লাহর কোনো রাসূলের মাঝে পার্থক্য করি না।”
📚 সূরা বাকারা, আয়াত ২৮৫

✅ কোনো নবীকে হালকা করে দেখা বা কটূক্তি করা শরীয়তসম্মত নয় বরং কুফরি।

---

📜 ইতিহাস থেকে শিক্ষা

🟠 আদম (আঃ)-কে দর্জি বলা নিয়ে প্রশ্ন:

হাদীসে আছে যে আদম (আঃ) জান্নাতে ছিলো এবং পাতা দিয়ে নিজেদের আবরণ করতেন।
➡️ “আদম (আঃ) কাপড় সেলাই করতেন”—এটি ইবনে আবি শাইবা বা দুর্বল বর্ণনায় আছে, কিন্তু কেউ তাঁকে "দর্জি" বললে সেটা উপাধি নয় বরং তাঁর প্রতি সাধারণকরণ, যা বেয়াদবি।

---

🟠 ইয়াহুদিরা ঈসা (আঃ)-কে “কাঠমিস্ত্রি” বলে কটাক্ষ করতো

এর জবাবে আল্লাহ বলেন:

> "لُعِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِن بَنِي إِسْرَائِيلَ..."
“ইসরাইল বংশীয় কাফেররা অভিশপ্ত হয়েছে দাউদ ও ঈসা (আঃ)-এর মুখে।”
📚 সূরা মায়েদা: আয়াত ৭৮

---

🟠 কুরাইশরা নবী ﷺ-কে “পাগল”, “জাদুকর” বলত

আল্লাহ তাদের জবাবে বলেন:

> "مَا أَنتَ بِنِعْمَةِ رَبِّكَ بِمَجْنُونٍ"
“আপনি আপনার রবের অনুগ্রহে পাগল নন।”
📚 সূরা ক্বলম: আয়াত ২

---

🔥 উপাধি যেমন হোক, প্রসঙ্গ নবী হলে সতর্ক হোন

"পিয়ন", "রাজনীতিক", "দর্জি", "চাষি", "গরুর রাখাল" – এসব শব্দ আমাদের সমাজে সাধারণ কাজে ব্যবহৃত হয়।
কিন্তু যখন নবীদের ব্যাপারে ব্যবহার হয়, তখন তা হয়ে যায়:

🔴 বেয়াদবি,
🔴 সম্মানহানিকর
🔴 এবং অনেক সময় ঈমান বিনষ্টকারী।

---

🕯️ করণীয়

✅ নবীদের নামের সাথে শ্রদ্ধাসূচক শব্দ যুক্ত করুন:
👉 “আলাইহিস সালাম”, “ﷺ”, “সাইয়্যিদুনা”, “ইয়া নাবিয়াল্লাহ”

✅ দীন শিখুন – কোরআন ও হাদীস থেকে নবীদের মর্যাদা জানুন।

✅ যারা ভুলবশত সাধারণ ভাষা ব্যবহার করে, তাদের কোমলভাবে কোরআনের ভাষায় সংশোধন করুন।

---

🤲 উপসংহার

নবীগণ হলেন সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ, তাঁরা সাধারণ মানুষ নন।
তাঁদের প্রতি বিন্দুমাত্র অসম্মান ঈমানের জন্য বিষতুল্য।
সুতরাং, বুঝে-বুঝে কথা বলা, নবীদের নামে উপাধি ব্যবহারে সচেতন হওয়া, ও নবীজির আদব বজায় রাখা ফরজ।

📣 "নবীদের সম্পর্কে একটিও অসম্মানসূচক শব্দ - ঈমান হরণ করতে পারে!"

---

📚 উৎস:

কুরআন শরীফ

সহীহ বুখারী ও মুসলিম

আশ-শিফা – কাদী আয়াদ

আকীদা তাহাবিয়্যাহ – ইমাম তাহাবী

তাফসিরে ইবনে কাসির

---

🔁 পোস্টটি শেয়ার করুন।
❝ হয়তো আপনার এক শেয়ারে কেউ ঈমান রক্ষা করতে পারবে ❞

---

🕌 নবীদের সম্মান ইমানের শর্ত – সাধারণ ভাষায় সম্বোধন কি বেয়াদবি ও ঈমানহানিকর?✒️ আলোচনায়: কোরআন, হাদীস ও ইমামদের বক্তব্যসহ-...
20/07/2025

🕌 নবীদের সম্মান ইমানের শর্ত – সাধারণ ভাষায় সম্বোধন কি বেয়াদবি ও ঈমানহানিকর?

✒️ আলোচনায়: কোরআন, হাদীস ও ইমামদের বক্তব্যসহ

---

🌟 ভূমিকা

নবীগণ হলেন আল্লাহর নির্বাচিত ও পবিত্র বান্দা। তারা শুধু সমাজ সংস্কারক নয়, বরং তারা হচ্ছেন আল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠানো পথপ্রদর্শক। তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা শুধুই ভদ্রতা নয় – বরং এটি ঈমানের আবশ্যক অংশ।

আজকের দিনে অনেকেই না বুঝে নবীগণকে সাধারণ মানুষের মতো উপাধিতে ডাকে – যেমন "দর্জি", "পিয়ন", "কাউবয়", "সাধারণ নেতা" ইত্যাদি।
কিন্তু এই ধরণের ভাষা কি বৈধ? কোরআন ও হাদীস কী বলে? আসুন জানি।

---

📖 কোরআন কী বলছে?

🔸 ১. নবীর সামনে আওয়াজ উঁচু করাও হারাম

> يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ...
“হে ঈমানদারগণ! নবীর কণ্ঠস্বরের ওপর তোমরা তোমাদের কণ্ঠস্বর উঁচু করো না…”
📚 সূরা হুজুরাত, আয়াত ২

📌 ব্যাখ্যা:
কেবল আওয়াজ উঁচু করলে আমল বরবাদ হয়ে যেতে পারে, তাহলে যদি কেউ নবীকে সাধারণ মানুষের মতো "পিয়ন", "দর্জি", "রাজনীতিবিদ" বলে, তাহলে কি তা ভয়ানক বেয়াদবি নয়?

---

📘 হাদীসের ভাষ্যে স্পষ্ট ঘোষণা

🔸 ২. নবীর অপমান মানেই কুফরি

> من سبّ نبيا فقد كفر
“যে ব্যক্তি কোনো নবীকে গালি দেয় (অপমান করে), সে কাফের হয়ে যায়।”
📚 ইমাম তাহাবি, আকীদা গ্রন্থ

---

🏛️ ইমামদের ফতোয়া

🔸 ৩. ইমাম কাদী আয়াদ (রহ.) বলেন:

> من استخفّ برسول الله ﷺ أو نسبه إلى نقص أو عيب، كفر بالإجماع
“যে ব্যক্তি রাসূল ﷺ-কে অবমূল্যায়ন করে বা কোনো দোষারোপ করে, সে সর্বসম্মতভাবে কাফের।”
📚 আশ-শিফা, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ২৩৮

---

🌍 সকল নবীকে সম্মান করা ফরজ

🔸 ৪. কোরআন বলছে:

> لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّن رُّسُلِهِ
“আমরা রাসূলগণের মাঝে কোনো পার্থক্য করি না।”
📚 সূরা বাকারা, আয়াত ২৮৫

📌 ব্যাখ্যা:
কোনো নবীকে সাধারণভাবে ডাকা, তার পেশাকে কটাক্ষ করা, বা উপহাস করা – সকল ক্ষেত্রেই বড় গুনাহ এবং ঈমানের জন্য হুমকি।

---

📜 অতীতের ঘটনা – যেখান থেকে শিক্ষা

🟠 ঘটনা ১: এক সাহাবি নবী ﷺ-এর সামনে জোরে কথা বলেছিলেন।

তার আমল বরবাদ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা হয়, পরে তিনি কান্না করে তওবা করেন। এই ঘটনা প্রকাশ পেলে “أن تحبط أعمالكم” আয়াত নাজিল হয়।
📚 সূরা হুজুরাত

🟠 ঘটনা ২:

ইয়াহুদিরা হযরত ঈসা (আঃ)-কে "নজরানের কাঠমিস্ত্রি" বলে কটাক্ষ করত।
এই অপমানের কারণে তাদের উপর আসমানি লানত এবং অভিশাপ নেমে আসে।
📚 সূরা আল-মায়েদা: আয়াত ৭৮

🟠 ঘটনা ৩:

কুরাইশরা নবী ﷺ কে "সাহির", "কাহিন", "পাগল" বলতো – আল্লাহ তাদেরকে কোরআনে ঘোষণা করে “অপরাধী ও মিথ্যুক” বলেছেন।
📚 সূরা ক্বলম: আয়াত ২-৪

---

🕋 নবী ﷺ এর নাম নেয়ার আদব

> لَا تَجْعَلُوا دُعَاءَ الرَّسُولِ بَيْنَكُمْ كَدُعَاءِ بَعْضِكُم بَعْضًا
“রাসূলকে ডাকাকে নিজেদের মতো করে ডেকো না।”
📚 সূরা নূর, আয়াত ৬৩

📌 সাহাবীগণ কখনো নবীকে নাম ধরে ডাকেননি। তারা বলতেন: "ইয়া রাসূলুল্লাহ", "ইয়া নাবিয়্যাল্লাহ", "ইয়া হাবীবাল্লাহ"

---

❌ আজকের দিনে কিছু ভুল ধারণা

⛔ “মুহাম্মদ একজন ভালো নেতা ছিলেন”
⛔ “নবী একজন সাধারণ ব্যবসায়ী ছিলেন”
⛔ “নবী ছিলেন দর্জি, পিয়ন, কাউবয় – এতে অপমান নেই”

🔴 এগুলো সবই ঈমানের জন্য হুমকি। এসব শব্দ সাধারণ মানুষের জন্য হলেও, নবীদের জন্য নয়।

---

✅ করণীয়

✔️ নবীদের নাম নিলে সম্মানসূচক উপাধি ও সালাওয়াত দিন:
👉 “সাইয়্যিদুনা”, “আলাইহিস সালাম”, “ﷺ”, “রসূলুল্লাহ”

✔️ হাদীস ও কোরআনের আলোকে নবীদের মর্যাদা শিখুন, শিখান।

✔️ যারা না বুঝে নবীদের সাধারণ ভাষায় ডাকে, তাদের সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিন।

---

🤲 উপসংহার

নবীগণ আমাদের দুনিয়া ও আখিরাতের পথপ্রদর্শক।
তাদের সম্পর্কে কোনো সাধারণ, হালকা, অসম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করা শুধু বেয়াদবি নয়, বরং ঈমানের শত্রু।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে নবীদের সঠিক সম্মান প্রদর্শনের তাওফিক দান করুন।
আমীন।

---

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন যেন সবাই বুঝে —
“নবীর অসম্মান মানেই ঈমানের ঝুঁকি”

---

📚 উৎস: কোরআন, হাদীস, কাদী আয়াদ, তাফসিরে ইবনে কাসির, আশ-শিফা, আকীদা তাহাবিয়্যাহ

---

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের অন্যতম আকীদা হলো – নবীগণ তাঁদের কবরের মধ্যে জীবিত এবং আমাদের প্রিয় নবী হুযূর পাক ﷺ আল্লাহর প...
20/07/2025

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের অন্যতম আকীদা হলো – নবীগণ তাঁদের কবরের মধ্যে জীবিত এবং আমাদের প্রিয় নবী হুযূর পাক ﷺ আল্লাহর প্রথম সৃষ্টি, তাঁর উসিলায়ই সমস্ত সৃষ্টি করা হয়েছে। এখন এ বিষয়ে কুরআন, হাদীস ও ইমামদের বক্তব্যসহ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো:

---

✅ ১. নবীগণ কবরেও জীবিত – কুরআন, হাদীস ও উলামায়ে কিরামের মতে

🔸 আল্লাহ তায়ালা বলেন:

> وَلَا تَقُولُوا لِمَن يُقْتَلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتٌ ۚ بَلْ أَحْيَاءٌ وَلَـٰكِن لَّا تَشْعُرُونَ
🔹 অর্থ: “তোমরা যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয়েছেন, তাদের মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা বুঝতে পারো না।”
📖 (সূরা বাকারা: আয়াত ১৫৪)

🔹 ➡️ এখানে শহীদদের জীবিত বলা হয়েছে, যদিও আমরা তা অনুভব করতে পারি না। শহীদদের মর্যাদা অনেক বড়, কিন্তু নবীদের মর্যাদা শহীদদের চেয়েও অনেক, অনেক গুণ বেশি। তাহলে নবীদের ‘হায়াত’ বা জীবন তো আরও বেশি প্রমাণিত।

---

🔸 রাসূলুল্লাহ ﷺ এর হাদীস:

> الأنبياء أحياء في قبورهم يصلون
🔹 অর্থ: “নবীগণ তাঁদের কবরস্থ অবস্থায় জীবিত থাকেন এবং সেখানে সালাত আদায় করেন।”
📚 (মুসনাদে আহমদ: হাদীস ২৭৮৩১ – সহীহ সনদ)

🔹 ➡️ এটা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিচ্ছে—নবীগণ মৃত্যুর পরও সাধারণ মৃতদের মতো নন। তাঁরা কবরেও সক্রিয় এবং ইবাদতরত।

---

🔸 আরেক হাদীস:

> ما من أحد يسلم علي إلا رد الله علي روحي حتى أرد عليه السلام
🔹 অর্থ: “যখনই কেউ আমার ওপর সালাম দেয়, আল্লাহ আমার রূহ ফিরিয়ে দেন, যাতে আমি সালামের উত্তর দিতে পারি।”
📚 (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২০৪১ – সহীহ)

🔹 ➡️ রাসূল ﷺ আমাদের সালামের জবাব দেন—এটা তখনই সম্ভব, যদি তিনি জীবিত অবস্থায় থাকেন। বরং একথা বুঝাতে চাইছেন যে, তিনি একধরনের আধ্যাত্মিক হায়াতে অবস্থান করছেন।

---

🔸 ইমাম কুরতুবী (রহ.) বলেন:

> “নবীরা কবরেও জীবিত আছেন, এবং এটি সকল মুসলিম ও আহলে সুন্নতের সম্মিলিত আকীদা।”
📚 (তাফসীরে কুরতুবী, সূরা বাকারা: ১৫৪)

🔸 ইমাম নববী (রহ.) বলেন:

> “নবীদের জীবিত থাকা বাস্তব এবং এটা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।”
📚 (শরহে সহীহ মুসলিম)

---

✅ ২. নবী করীম ﷺ – আল্লাহর সর্বপ্রথম সৃষ্টি

অনেক সাহাবী, তাবেয়ীন, বুযুর্গ ও আলেমদের মতে রাসূল ﷺ হলেন আল্লাহর প্রথম সৃষ্টি। তাঁর সৃষ্টিই ছিল সৃষ্টির সূচনা।

🔸 রাসূল ﷺ বলেন:

> أَوَّلُ مَا خَلَقَ اللَّهُ نُورِي
🔹 অর্থ: “আল্লাহ সর্বপ্রথম যাকে সৃষ্টি করেছেন, তা হলো আমার নূর।”
📚 (দালায়িলুন নুবুওয়াহ, ইমাম বায়হাকী – খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৮৩)

🔹 ➡️ এ হাদীস থেকে বোঝা যায়, ‘নূরে মুহাম্মদ ﷺ’ ছিল সৃষ্টির প্রথম পদক্ষেপ।

---

✅ ৩. রাসূল ﷺ -এর উসিলায় সমস্ত সৃষ্টি হয়েছে – "لولاك لما خلقت الأفلاك" হাদীস

🔸 আল্লাহ তাআলা বলেছেন:

> وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِّلْعَالَمِينَ
🔹 অর্থ: “আমি আপনাকে পাঠিয়েছি সারা জগতের জন্য রহমত হিসেবে।”
📖 (সূরা আনবিয়া: আয়াত ১০৭)

🔸 ➡️ রাসূল ﷺ হলেন সমস্ত জগতের রহমত। তাহলে তাঁর উসিলাতেই তো সব সৃষ্টি।

---

🔸 আর হাদীসে আছে:

> لولاك لما خلقت الأفلاك
🔹 অর্থ: “হে মুহাম্মদ ﷺ! যদি তোমাকে না সৃষ্টি করতাম, তবে আমি আসমান-জমিন কিছুই সৃষ্টি করতাম না।”
📚 (ইমাম হাকেম, কুস্তলানী – আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহ)

🔹 ➡️ হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী, হুযূর ﷺ হলেন সৃষ্টি জগতের কারণ ও কেন্দ্রবিন্দু।

---

🔸 ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ.) বলেন:

> “নবী করীম ﷺ হচ্ছেন আল্লাহর প্রথম সৃষ্টি এবং সমস্ত সৃষ্টি তাঁর উসিলায় সৃষ্টি হয়েছে।”
📚 (আল-খাসায়িসুল কুবরা)

---

✅ সংক্ষেপে:

🔹 নবীরা কবরেও জীবিত – এটা কুরআন ও সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।
🔹 রাসূল ﷺ আল্লাহর প্রথম সৃষ্টি – 'নূরে মুহাম্মদী'র মাধ্যমে সবকিছুর সূচনা হয়েছে।
🔹 রাসূল ﷺ এর উসিলায়ই সৃষ্টির সব কিছু – ‘লৌলাক’ হাদীস দ্বারা তা স্পষ্ট।

---

🟩 আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের আকীদা—হায়াতুন্নবী ও নূরে মুহাম্মদ ﷺ – হক ও সহীহ আকীদা।

📢 শেয়ার করুন, জানুন এবং প্রচার করুন – যেন মুসলিম সমাজ শিরক ও ভ্রান্ত ফিতনা থেকে দূরে থাকে।

📚 ইসলাম মানে ভক্তি, সম্মান ও হক আকীদার উপর অবিচল থাকা।

🖤🌸
08/07/2025

🖤🌸

Of course!
01/06/2025

Of course!

⚖️ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা ট্রাইব্যুনালেরআন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এক যুগান্তকারী রায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী...
31/05/2025

⚖️ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা ট্রাইব্যুনালের

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এক যুগান্তকারী রায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এতে রাজনীতিতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
📌 সূত্র: BBC বাংলা
#রাজনীতি #ব্রেকিংনিউজ

এই বয়সে গাছের পাতারে টাকা মনে করে দোকানদারি করতাম!🙂
31/05/2025

এই বয়সে গাছের পাতারে টাকা মনে করে দোকানদারি করতাম!🙂

~জানো তুমি কে?তুমি হচ্ছ একটা ঐশ্বরিক চিঠির খসড়া, তুমি একটা আয়না আর দেখাচ্ছ একটা মহৎ চেহারা, মহাবিশ্ব তোমার বাইরে নয়, ...
29/05/2025

~জানো তুমি কে?
তুমি হচ্ছ একটা ঐশ্বরিক চিঠির খসড়া,
তুমি একটা আয়না আর দেখাচ্ছ একটা মহৎ চেহারা,
মহাবিশ্ব তোমার বাইরে নয়,
নিজের ভিতরে তাকাও,
তুমি যা চাও সবই তুমি নিজে!

~রুমি (রঃ) 🌸

🥴😏
04/05/2025

🥴😏

Address

Ramganj

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Akram Hossain posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Akram Hossain:

Share