09/08/2025
হুমায়ূন আহমেদ স্যারের বিখ্যাত উপন্যাস দারুচিনি দ্বীপের শেষাংশে নায়ক শুভ্রকে দেয়া তার বাবার ডায়লগটা মনে আছে? তিনি বলেছিলেন, “তুই একটা ফার্স্ট ক্লাস বগি অফার করিস। সবাই তোকে পছন্দ করবে। কিন্তু ট্রেনে খাওয়ার সময় চেষ্টাট করবি যেন অন্য কেউ বিল দেয়।”
শুভ্র বিস্ময় নিয়ে প্রশ্ন করে, “আমি যদি একটা ফুল ফার্স্ট ক্লাস বগি অফার করতে পারি, তাহলে সামান্য চায়ের বিল দিতে পারি না?”
উত্তরে তার বাবা বলেন, “না, পারবি না। কারণ তুই যদি সব সময় বিল দিতে থাকিস, সবাই তোকে দেখবে দুগ্ধবতী গাভী হিসেবে—যারে ইচ্ছা মতো দোয়ানো যায়। তোকে বুঝাতে হবে তুই চাইলে খরচ করতে পারিস, কিন্তু কখন করবি, সেটা নির্ভর করে তোর মুড আর চয়েজের উপর।”
এই কথাটা ভীষণ সত্য এবং রিলেটেবল।
বাংলাদেশে কারো ইনকাম একটু ভালো হলেই আশেপাশের মানুষজন হঠাৎ এমন এক পর্যায়ে চলে যায়, যেন ঐ মানুষটা ইনকাম করে শুধু আত্মীয়স্বজনের স্বপ্ন পূরণের জন্যই।
ভালো থাকা মানে এই না যে সবার দায়িত্ব এখন তার। করতে পারলে আপনি ভালো, না পারলে, ব্যাস আপনি হবেন খারাপ, অহং* কারী, দুইটা টাকার মুখ দেখে পরিবর্তন হয়ে গেছেন, কিপটা আরো বহু বিশেষন!
তারা সাহায্যকে আপনার সামর্থ্য হিসেবে না দেখে অধিকার মনে করে। এটা খুবই টক্সিক একটা মানসিকতা, জানেন?
এটা সাহায্য নেয়া না, সুবিধা নেয়া।
সবচেয়ে বড় কথা, একজন মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতি মানে তার নিজের জন্যও কিছু স্বপ্ন আছে, কিছু লক্ষ্য আছে। সবসময় অন্যদের প্রত্যাশা পূরণ করতে গেলে নিজের মেন্টাল পিস শেষ হয়ে যায়। সাহায্য করা খারাপ না, কিন্তু সেটা নিজের ইচ্ছায়, নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী, সম্মানের সঙ্গে হওয়া উচিত… চাপ দিয়ে নয়।
একটা কথা মাথায় রাখবেন,আপনার ভালো সবাই না চাইলেও , আপনি ভালো থাকলে শুধু আপনার সুবিধাটা নিতে চাইবে অনেকেই। এরা এমন লোক, যারা আপনাকে ইউজ করে যাবে, আর আপনি না বললেই আপনি হয়ে যাবেন মন্দ লোক। Don’t fall for this emotional blac%% kmail trap. নিজের মেন্টাল পিসটা গুরুত্বপূর্ণ। হেল্প করুন, অবশ্যই করুন, but on your terms, not under pressure. যারা শুধু নিজের দরকারে আপনাকে মনে রাখে, তারা deserve করে না আপনার time, energy বা টাকা। Simple.
Sanjoy Vlogs