Women and Children

Women and Children This page made for to circulate the women and children related information.

18/02/2025

ঔষধ ও নেবুলাইজেশন ছাড়া বাচ্চাদের সর্দি কাশি ভালো করবেন যেভাবে-

১) আপনার বাচ্চাকে গরম পানির সাথে এক চামচ মধু ও লেবুর রস খাওয়াতে পারেন।

২) গরম পানিতে তুলসী পাতা ও আদা দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে বাচ্চাকে খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়। কারণ এই মিশ্রণটি বুকের খুসখুসে কাশি দূর করবে এবং বুকে কফ জমতে দিবে না।

৩) আপনার বাচ্চাকে টমেটো এবং রসুন দিয়ে স্যুপ তৈরি করে খাওয়াতে পারেন। এটি বুকের কফ গলিয়ে বাচ্চাকে আরাম দেবে। এটি খুবই একটি উপকারী পদ্ধতি।

৪) যদি বাচ্চার গলায় ব্যথা থাকে তাহলে আদার রসের সাথে মধু ও মেথি গুড়া মিশিয়ে বাচ্চাকে খাওয়ালে বাচ্চার গলা ব্যথা কমে যাবে।

৫) আধা চা চামচ দারচিনির গুড়ার সাথে দুই চামচ মধু অল্প একটু আদার রস মিশিয়ে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন। এই পদ্ধতিটিও আপনার বাচ্চার বুকের কফ জমা থেকে রক্ষা করবে।

আর অবশ্যই মনে রাখবেন ,এই পদ্ধতি গুলো শুধু সাত মাসের উর্ধ্বে শিশুদের সাথেই করবেন। অবশ্যই সাত মাসের কম বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতিগুলো এপ্লাই করবেন না।
ধন্যবাদ,

With রাঙামাটি পার্বত্য জেলা - Rangamati Hill District – I just got recognised as one of their top fans! 🎉
27/11/2024

With রাঙামাটি পার্বত্য জেলা - Rangamati Hill District – I just got recognised as one of their top fans! 🎉

মা হয়ে ওঠা 🥰আচ্ছা একটা মেয়েকে মা হওয়ার জন্য ঠিক কি কি বিসর্জন দিতে হয় জানেন তো?  একটা মেয়ে তার সৌন্দর্য, তার ফিটনেস,  তা...
27/11/2024

মা হয়ে ওঠা 🥰
আচ্ছা একটা মেয়েকে মা হওয়ার জন্য ঠিক কি কি বিসর্জন দিতে হয় জানেন তো? একটা মেয়ে তার সৌন্দর্য, তার ফিটনেস, তার সুন্দর মেঘ কালো চুল, তার ঘুম, কখনো কখনো তার পেট ভরে খাওয়াটাও হয় না। কতদিন যে সে তৃপ্তি নিয়ে খেতে পারে না শুধুমাত্র সেই জানে, কিন্তু এতকিছুর পরেও সে খুশি থাকে তার মাথায় এগুলো আসেই না যে সে আর আগের মতো সুন্দর নেই, তার চেহারায় গ্লো নেই, সে ফিট থাকে না তার সব চিন্তা জুড়েই শুধু তাঁর সন্তান 😊সন্তান কি খাবে, কি নিবে, কি করবে, কখন ঘুমাবে সব কিছু। তার পরেও তার সংসার টাও তাকেই সামলাতে হয়, এতসব করার পরেও সে অভিযোগ রাখে না। সে বেশ খুশি থাকে কিন্ত কোন একটা মানুষ যদি দিনশেষে বলে তুমি আর সুন্দর নেই, তুমি আার ফিট নেই, তোমাকে আর আগের মতো ভালো লাগে না, তার মনের অবস্থা টা কেমন হতে পারে বুঝেন?সে কি কখনো আপনাকে এগুলো বলেছে? আপনার ৩০+ বয়সেও কি আপনি একই রকম সুন্দর আছেন? নিজের দিক টা কি কখনও ভেবেছেন? একটা মেয়ে সংসারের এক টাকা বাঁচানোর জন্য যে মেয়ে একসময় একহাজার টাকার ক্রিম ব্যাবহার করতো সেটা ৫০-৬০ টাকায় নামিয়ে আনে আর আপনার যে মেয়েকে দেখে সুন্দরী মনে হয় গিয়ে দেখুন সে হয়তো এখন কোনো আদরের ঘরের দুলালী নাহলে কোনো বিজনেস ম্যাগনেট এর বৌ মধ্যবিত্ত ঘরের বৌ এর মতো তাকে হাজার টা ইচছা বিসর্জন দিতে হয় না 🙂 বাবা হওয়ার স্বাদ বা বাবা ডাকটা শুনাতে যে মানুষ টা এতো কষ্ট করে দিন শেষে তাকে সাহস দিন, ভালোবাসা আদরে আগলে রাখুন সে হয়তো এর থেকে বেশি কিছু চায় না তার শরীরের যত্ন আপনি নিন তাকে সুন্দর রাখার ভালো রাখার দায়িত্ব আপনার ❤️রাতে এসে খোঁজ নিয়ে দেখুন তার শরীর ঠিক আছে কি না? একটু মাথায় হাত বুলিয়ে কি গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়ালে সকালে হয়তো খুব একটা দেরি হবে না আপনার অফিসের 🙂 মনে রাখবেন সংসার টা আপনারও সেটাকে সুখী করতে আপনার দিনশেষে সামান্য যত্ন ছোট কয়েকটা সুন্দর কথাই যথেষ্ট আপনার যত্ন আর ভালোবাসায় আরেকজনের সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার জন্য অনুপ্রেরণা সে সারাদিনের শক্তি খুঁজে পায় ❤️
ভালোবাসার মানুষটির খুঁত না ধরে তাকে বুঝান যে আপনার দেখা পৃথিবীর সবথেকে সুন্দর নারীটা আপনার সন্তানের মা🥰
আমার তো মনে হয় আমি যাকে ভালোবাসি তার থেকে সুন্দর কোন মানুষ আমি পৃথিবীতে দেখি না🤗
একজন স্ত্রী মানসিক ভাবে সুস্থ থাকার জন্য স্বামীর মুখের মিষ্টি কথাই যথেষ্ট ***
ভলোবাসা অসম্ভব সুন্দর সবসময় সুন্দর
যদি ভালোবাসার মানুষটার যত্ন নেওয়া যায় তাকে আগলে রাখা যায় পরম ভালোবাসায়❤️
ভালোবাসা ঠিক থাকলে আর ভালোবাসা ভরা চোখ নিয়ে ভালোবাসার মানুষের দিকে তাকালে, বুঝতে পারবেন তার সেই ক্লান্ত মাখা শুষ্ক মুখ আর এলোমেলো চুলেও সে কতো সুন্দর🥰 একবার তাকিয়ে দেইখেন কতো মায়া লাগে এই মানুষটাকে এভাবে যুগের পর যুগ তার সাথে কাটিয়ে দিলেও আপনার কখনেই ক্লান্তি আসবে না তার ওপর🥰

প্রথম ম্রো নারী ডাক্তারকে অভিনন্দন এবং শুভকামনা জানাচ্ছি।বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার সদর ইউনিয়নের পায়া কার্বারী পাড়ার কাই...
20/08/2024

প্রথম ম্রো নারী ডাক্তারকে অভিনন্দন এবং শুভকামনা জানাচ্ছি।

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার সদর ইউনিয়নের পায়া কার্বারী পাড়ার কাইংপ্রি ম্রো ও টুমলেং ম্রোর কন্যা সং চাং মুরুং সম্প্রতি রাঙামাটি মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেছেন। ডাঃ সং চাং মুরুং মেডিক্যাল কলেজের চতুর্থ ব্যাচের ছাত্রী। চিকিৎসার অভাবে এক বোনের মৃত্যু ও মায়ের দীর্ঘকালীন অসুস্থতা এবং বাবার প্রেরণা তাকে ডাক্তার হতে উদ্বুদ্ধ করেছে বলে তিনি জানান। ম্রো সম্প্রদায় হতে তিনিই প্রথম নারী ডাক্তার।
সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামে জনসংখ্যায় চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরাদের পরেই ম্রোদের (৫২,৪৫৫) স্থান। বান্দরবান পার্বত্য জেলায় মূলত ম্রো সম্প্রদায়ের বসবাস।

সূত্র : The daily Messenger, 19 August 2024

”একটি স্কুল ভবন নির্মাণে শত শত শিশুর ভবিষ্যৎ গড়তে অনুপ্রাণিত করবে।”
10/07/2024

”একটি স্কুল ভবন নির্মাণে শত শত শিশুর ভবিষ্যৎ গড়তে অনুপ্রাণিত করবে।”

29/04/2024

শাশুড়ির সাথে সম্পর্ক ভালো রাখতে হলে যা করতে হবে

১. বিয়ের পর পরই সংসারের গিন্নী হতে যাবেন না কারন এই সংসার টাকে তৈরি করেছে আপনার শাশুড়ি তাই তাকে নিজের আপন করে নেন তাহলে সবি আপনার।

২. রান্না করতে গেলে শাশুড়িকে জিজ্ঞাসা করে রান্না করুন, প্রয়োজনে তার পছন্দের খাবার রান্না করুন।

৩. অবসর সময়ে একা সময় না কাটিয়ে শাশুড়ির সাথে তার বিয়ের পরের কথাগুলো জানতে চান,এতে আপনার শাশুড়ি পুরোনো সব স্মৃতিতে ঘুরে আসতে পারবে আপনাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হবে।

৪. ভালো শাশুড়িদের কিছু ভালো মানের ধর্মীয় বই শাশুড়িকে উপহার দেন তাহলে অনেকটা উপকার হতে পারে।

৫. নিজের জন্য কিছু শপিং করতে গেলে শাশুড়ির জন্যও কিনে আনুন দেখবেন খুব খুশি হবে।

৬. শাশুড়ির সাথে একসাথে বসে খাওয়া দাওয়া করুন।

৭. শাশুড়ির চুলে তেল দিয়ে দেন,চুল আচড়িয়ে দেন।

৮. শাশুড়িকে শুনিয়ে শুনিয়ে আপনার মায়ের কাছে শাশুড়ির নামে ইনিয়ে বিনিয়ে প্রশংসা করুন দেখবেন মন গলে যাবে।

৯. শাশুড়ি রেগে বকা দিলে চুপ করে থাকুন, দেখবেন রাগ কমে গেলে নিজ থেকেই কথা বলবে আর তর্কে জড়ালে ঝগড়া বাড়বে।

১০. শাশুড়ি অসুস্থ হলে সেবা করুন, বাড়ি থেকে বাইরে গেলে শাশুড়ির অনুমতি নেন। বাসায় ফিরলে বাহির থেকে শাশুড়ির প্রিয় খাবার কিনে আনুন।

১১. আশেপাশের মানুষের কাছে শশুর বাড়ির সবার সম্পর্কে প্রশংসা করুন, দেখবেন সবাই ভালোবাসবে।

১২. আর শাশুড়ি কখনো মা হয় না এসব ধারনা মুছে ফেলুন। সব মানুষ এক রকম না তাই মানিয়ে নিতে শিখুন। যদি ভালো লাগে

ভালোবাসা দিয়ে.আমার পেজ ফলো করুন ..
সাথে থেকে নিজেকে তথা আমাদেরকে ভালবাসুন ..!❤️❤️❤️

Freelancer Sudipta Chakma Freelancer Sudipta

জেনে রাখা ভাল আপনার বা কারোর কাজে আসতে পারে....
25/04/2024

জেনে রাখা ভাল আপনার বা কারোর কাজে আসতে পারে....

নাবিলা ওরিয়ানা ।। কিছুদিন আগে সাদী শাশ্বত নামের একজন কবির লেখা ‘পাহাড়ে চলে যাবো’ নামক একটি কবিতা নিয়ে বেশ বিতর্ক হয়েছে ফ...
14/03/2024

নাবিলা ওরিয়ানা ।। কিছুদিন আগে সাদী শাশ্বত নামের একজন কবির লেখা ‘পাহাড়ে চলে যাবো’ নামক একটি কবিতা নিয়ে বেশ বিতর্ক হয়েছে ফেসবুকে। সেখানে কবি চাকমা মেয়েকে বিয়ে করার বাসনার কথা জানিয়েছেন। আদিবাসীদের জীবনযাপন এবং মাতৃতান্ত্রিক সমাজ নিয়ে তিনি কী কী শুনেছেন সেসব লিখেছেন এবং ‘উন্মুক্ত উপত্যকায় তাদের সঙ্গে উদাসীন সঙ্গমে মেতে থাকা’-র বাসনা প্রকাশ করেছেন।

এখানে অনেকেই তার বিপক্ষে, আবার অনেকে তার পক্ষেও কথা বলছেন। আমি পক্ষে নাকি বিপক্ষে সে কথায় যাবার আগে আমার নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া তিনটি ঘটনা শেয়ার করি।

ঘটনা ১: বেশ কয়েক বছর আগে আমার একটি ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিল। তো সে আর আমি একদিন বাইরে খাওয়ার জন্যে একটি শপিং প্লাজা গোছের জায়গায় বসি। আমরা যেই ক্যাফেটেরিয়াতে বসে খাবার অর্ডার করি, তার ঠিক সামনেই ছিল একটা মেকানিকাল বুল রাইড। যখন আমরা বসে খাচ্ছিলাম, তখন সেখানে আমাদের সামনেই একটি আদিবাসী তরুণী ওঠে। এটা দেখে আমার প্রেমিক আমাকে বলে যে চাকমা মেয়েরা নাকি বিছানায় বেশ ভালো। কারণ পাহাড়ি হওয়ায় তাদের অনেক বেশি স্ট্যামিনা থাকে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, সে কীভাবে জানে সেটা? সে আমাকে বলল যে তার এক বন্ধুর কাছ থেকে সে এসব শুনেছে।

ঘটনা ২: আমার একজন বেশ পুরোনো বন্ধুর সাথে দুবছর আগে একদিন আমার ফোন কলে আলাপ হয়। তখন সে কথা বলতে বলতে একসময় তার বন্ধুদের সাথে বান্দরবান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে আমার সাথে।

শহর ছেড়ে সেখানে গিয়ে কীভাবে সে আর তার বন্ধুরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পেরেছে, সেখানকার দিনগুলো কীরকম স্বপ্নের মতো ছিল, সেসবের বর্ণনা দিতে গিয়ে সে বলে, সেখানকার মেয়েরা নাকি বেশ আকর্ষণীয়। ওখানকার সুন্দরী মেয়েরা যেভাবে তাদের যত্নআত্তি করছিল, তাতে তার এবং তার বন্ধুদের নাকি ইচ্ছে করছিল বিয়ে করে সেখানে থেকে যেতে। শহরে এরকম পাহাড়ি মদ খাওয়া যায় না, এরকম স্বাধীনভাবে থাকা যায় না। তাই এখন নাকি তার ফ্যান্টাসি হয়ে গেছে, চাকমা মেয়ে বিয়ে করার।

ঘটনা ৩: এ বছরই কয়েক মাস আগে আমার আঠাশ বছর বয়সী একজন ফটো জার্নালিস্টের সাথে পরিচয় হয়। তার সাথে কথা বলে ভালো লাগায় আমি তার ব্যাপারে ইন্টারেস্ট শো করি এবং সেও তাতে সাড়া দেয়। তার সাথে কথা বলতে বলতে সেও একসময় আমার ওই বন্ধুটির মতোই বান্দরবানের পাহাড়ি অঞ্চলের মুক্ত-স্বাধীন জীবন, শুকরের মাংস আর মহুয়া খাওয়া, এবং সেখানকার মেয়েদের সৌন্দর্যের কথা বর্ণনা করতে থাকে।

যাই হোক, কিছুদিন যাওয়ার পরই আমি বুঝতে পারি যে সে শুধুমাত্র আমার সাথে শয্যায় যেতে চায়, আর কিছুই নয়। তার আমাকে এসব ইন্টারেস্টিং গল্প শোনানো এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ করে আমাকে ইমপ্রেস করার উদ্দেশ্যও সেটাই। এবং একই কাজ সে অনেক মেয়ের সাথেই করে। একদিন তার সাথে আমার কোনো এক কারণে ঝগড়া হয় এবং আমরা সব ধরণের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করি। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর অনেকের কাছ থেকে এও জানতে পারি যে সে বেশ কয় বছর আগে পালিয়ে এক চাকমা মেয়েকে বিয়ে করেছিলো। এ কথা জানতে পেরে আমি বেশ অবাক হই, কারণ চাকমা মেয়েদের প্রতি তার আকর্ষণের কথা আমাকে বললেও সে কখনোই আমাকে তার বিয়ের কথা বলে নি। সেজন্য আমি ধরেই নেই যে মেয়েটির সাথে তার সেপারেশন অথবা ডিভোর্স হয়ে গেছে এবং সেটা নিয়ে আর তেমন মাথা ঘামাই না।

কিছুদিন যেতে না যেতেই আমাকে একজন চাকমা মেয়ে মেসেজ দেয় এবং জানায় যে সে-ই ওই লোকের স্ত্রী। তাদের সেপারেশন অথবা ডিভোর্স কিছুই হয় নি, বরং তাদের দেড় বছর বয়সী একটি মেয়েও রয়েছে! একথা জানতে পেরে আমি হতভম্ব হয়ে যাই। সে মেয়েটির সাথে প্রেম করলো এবং পালিয়ে বিয়েও করলো। একটি সন্তানও এখন আছে তাদের। এ অবস্থায় সে কী করে আমার সাথে এবং অন্য অনেক মেয়ের সাথে শয্যায় যেতে চায়?

সাদী শাশ্বতর কবিতা পড়ে অনেক আদিবাসীই বেশ চটেছেন, এবং তার পেছনে যথেষ্ট যুক্তি ও কারণও রয়েছে। এই তৃতীয় ঘটনার আগে পর্যন্ত আমি সবসময়ই মনে করতাম, যে আদিবাসীরা, মূলত চাকমা নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ বাঙালি মুসলিমদের কোনো কারণ ছাড়াই ঘৃণা করে আসছে। তবে এ ঘটনার পর আমি বুঝতে পারলাম যে আসলে তারা ভুক্তভোগী। তাদেরকে যেভাবে বাঙালিরা অব্জেক্টিফাই করে আসছে, সেটা তারা নিজেরাই বুঝতে পারবে শুধু। যেই মেয়েটির ওই ফটোজার্নালিস্টের সাথে একটি সন্তান রয়েছে, তার কথাই এখন ভেবে দেখুন একবার। এখন সে কোথায় যাবে? পালিয়ে বিয়ে করায় এখন নিশ্চয়ই সে তার পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পারবে না? গেলেও তার এই সন্তানটির দায়িত্ব কে নেবে?

উপরের এই তিনটি ঘটনা হলো আমাদের দেশের বাঙালি পুরুষদের রেসিয়াল ফেটিশাইজেশন- এর কিছু নমুনা। ‘রেসিয়াল ফেটিশাইজেশন’ আসলে কী? রেসিয়াল প্রেফারেন্স এবং ফেটিশাইজেশন এক নয়। ফেটিশাইজ করা মানে একটি নির্দিষ্ট রেইস কিংবা গোত্রকে নিয়ে অব্জেক্টিফিকেশন, স্টেরিওটাইপিং ও জেনারালাইজেশন করা। ল্যাটিন মেয়েদের চামড়ার রঙ এক্সোটিক, এশিয়ান মেয়েরা হাইপারসেক্সুয়াল এবং সাবমিসিভ, চাকমা মেয়েরা বিছানায় ভালো ও তাদের স্ট্যামিনা অনেক – এগুলো সবই স্টেরিওটাইপিং ও জেনারালাইজেশনের নমুনা।

যেহেতু সেই তিন ঘটনার মাঝে তিনজন পুরুষই কোনো না কোনোভাবে আদিবাসী মেয়েদেরকে নিয়ে এর সবকটিই করেছে, সেহেতু নিশ্চয়ই সেটা আর তাদের ‘রেসিয়াল প্রেফারেন্স’-এর মাঝে পড়ে না। এখানে তারা কেউই একটি আদিবাসী মেয়ের প্রেমে পড়ে নি। তাদের উদ্দেশ্যই ছিল যেকোনো আদিবাসী মেয়ের সাথে প্রেম করা অথবা তাদের বিছানায় নেয়া।

বাঙালি পুরুষদের উদ্দেশ্য যদি হতো কোনো পাহাড়ি মেয়েকে ভালোবাসা, তাহলে নিশ্চয়ই কোনো সমস্যা ছিল না। তবে এখন পর্যন্ত আমি যত বাঙালি ছেলেকে দেখেছি পাহাড়ি মেয়েদের সাথে প্রেম বা বিয়ে করা নিয়ে ফ্যান্টাসাইজ করতে, তাদের উদ্দেশ্য ছিল পুরোটাই সেক্সুয়াল। আদিবাসী মেয়েরা ‘বিছানায় ভালো’ এ কথা প্রচার করে, কিংবা পাহাড়ে তাদের স্বাধীন জীবন, মহুয়া খাওয়া দেখে তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বাঙালি এসব পুরুষেরা তাদেরকে শুধু ভোগ করতে চায়। এরপর এই ‘স্বাধীন জীবন’-এর স্বাদ নেয়ার উদ্দেশ্য হাসিল হবার পর, তাদের ‘ব্যবহার’ করা শেষ হবার পর ছুড়ে ফেলে দিতে চায়।

রাজনৈতিক সামাজিক কারণে চাকমা এবং বাঙালিদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে, সেটি এক অধ্যায় ও এ নিয়ে নানা তর্ক বিতর্ক আছে। কিন্তু বাঙালি মুসলিম পুরুষেরা যে আদিবাসী নারীদের ‘ভোগের বস্তু’ হিসেবে দেখতে অথবা চিন্তা করতে বেশ ভালোবাসে, সেটা যে মিথ্যা নয়, বরং বহুলাংশে সত্য, তা আমার নিজের অভিজ্ঞতায় পাওয়া সেই তিনটি ঘটনা থেকেই বেশ ভালোভাবে বোঝা যায়।

শুধু আদিবাসী নয়, বাংলাদেশের হিন্দু মেয়েদেরও রেহাই নেই এদের থেকে। এ দেশের অনেক মুসলিম ছেলেদের কাছেই হিন্দু মেয়ের সাথে প্রেম করা তাদের একটি ‘ফ্যান্টাসি’। আমি একবার আমাকে পছন্দ করে এমন এক লোকের সাথে কথা বলবার সময় তাকে যখন জানাই, যে আমার হিন্দুধর্মের ব্যাপারে অনেক আগ্রহ রয়েছে, তখন সে বেশ হাসি হাসি মুখ করে আমাকে বলে, “ভালোই হলো। আমার একটা হিন্দু গার্লফ্রেন্ডের শখ খুব।” তার এই কথা থেকে বেশ পরিষ্কারভাবেই বোঝা যায়, হিন্দু মেয়েদের ‘টার্গেট করে’ তাদের সাথে প্রেম করার বাসনা রয়েছে তার মনে। এবং এ ধরণের সুপ্ত বাসনা এই দেশের মুসলিম বহু পুরুষের মাঝেই দেখা যায়।

আরও পড়ুন- বাঙালি পুরুষের ফ্যান্টাসি এবং যা কিছুর ভিতরে আমরা থাকি

এখানে আমি এটা বলছি না, যে ভিন্ন ধর্ম বা সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক বা বৈবাহিক সম্পর্ক থাকা খারাপ কিছু। আমার পরিচিত একটি ছেলের স্ত্রী আদিবাসী এবং তাদের একটি সন্তানও রয়েছে। ছেলেটির পরিবার শুরু থেকে এ পর্যন্ত মেয়েটিকে মেনে নেয় নি। কিন্তু তবুও যত কষ্টই হোক, ছেলেটি তার স্ত্রী এবং সন্তানকে আগলে রেখেছে। কারণ মেয়েটিকে সে তার ‘আদিবাসী’ পরিচয়ের কারণে ভালোবাসে নি। মেয়েটিকে নিছক ফ্যান্টাসির কোনো বস্তু হিসেবে দেখে নি সে।

তবে আর দশজন বাঙালি পুরুষ তো আর সেটা করবে না। এরা আদিবাসী মেয়েদের সাথে ‘উদাসীন সঙ্গমে মেতে ওঠা’ নিয়ে ফ্যান্টাসাইজ করবে, নিজেদের সম্প্রদায়ের নারীদের ধর্মের দোহাই দিয়ে বন্দী করে রাখতে চেয়ে আদিবাসীদের মাতৃসূত্রীয় সমাজকে প্রেইজ করবে, এবং মোস্ট ইম্পরট্যান্টলি, আদিবাসীদের এদেশে নিজেদের মতো করে থাকতেও দেবে না, শুধু তাদের দেখবে নিজেদের ভোগ করার বস্তু হিসেবে।

আদিবাসীদের স্বাধীন, সুন্দর জীবন আর মাতৃসূত্রীয় সমাজ দেখে আমাদের পুরুষেরা তাদের প্রতি আকর্ষণ বোধ করে; এরপর তাদেরকে বিয়ে করে এনে, তাদের গোষ্ঠীর থেকে আইসোলেটেড করে আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এনে তাদের বন্দী এবং ‘সভ্য’ করার চেষ্টা করবে – এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। সাদী শাশ্বতর এই পুরো কবিতা জুড়েই নানান স্টেরিওটাইপিং এবং ফ্যান্টাসির চিত্র দেখা যায়। বাঙালি পুরুষেরা আদিবাসীদের প্রতি আকৃষ্ট হয় তাদের লাইফস্টাইল দেখে ঠিকই, কিন্তু পরে চায় তাদেরকে বদলে ফেলে নিজেদের সমাজে আনতে। ওদের সমাজের অংশ তারা কখনোই হতে চাইবে না। সুতরাং বাঙালি পুরুষদের এই ‘ফেটিশ’ আচরণ যে কোন কমপ্লিমেন্ট অথবা ভালোবাসার প্রকাশ নয়, সেটা বুঝুন।

[ফেমিনিস্ট ফ্যাক্টরে প্রকাশিত মুক্তমত লেখকের নিজস্ব বক্তব্য]

নাবিলা ওরিয়ানা ।। কিছুদিন আগে সাদী শাশ্বত নামের একজন কবির লেখা 'পাহাড়ে চলে যাবো' নামক একটি কবিতা নিয়ে বেশ বিতর্ক হ.....

সেক্স একটা ওভাররেটেড জিনিস। এরচেয়ে একশোগুণ সুন্দর ব্যাপার হলো একজন বন্ধু, একজন  পার্টনার, একজন আত্মার আত্মীয় পাওয়া। যেহে...
05/03/2024

সেক্স একটা ওভাররেটেড জিনিস। এরচেয়ে একশোগুণ সুন্দর ব্যাপার হলো একজন বন্ধু, একজন পার্টনার, একজন আত্মার আত্মীয় পাওয়া। যেহেতু আমাদের সমাজে সেক্স একটা ট্যাবু সেজন্য আমরা সেক্সকে রসগোল্লা ভাবতে শিখি, ভাবি সেক্সই জীবনের সব। লিটারেলি আমরা সেক্স করার একজন বৈধ(আইনগতভাবে) পার্টনার পাইতে বিবাহ নামক কাচ্চিবিরিয়ানি খাওয়ার আয়োজন করি। যদি দূর থেকে তাকাই, তাহলে কি পুরো ঘটনা হাস্যকর মনে হয় না?
অবশ্যই প্রকৃতিতে মানুষ জন্মেছে সেক্স করতে, বংশবৃদ্ধি করতে। কিন্তু একদিন আমরা জেনে যাই আমরা আমাদের সবচেয়ে কাছের লোকটাকে চিনিনা! কিন্তু কেন?
কারণ সেক্সই জীবনের সব কিছু না!
একজন আর্টিস্টের কাছে একটা মনের মতো ছবি আঁকা, একজন লেখকের কাছে একটা অসাধারণ উপন্যাস লেখা- সেক্সের চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অর্গাজম জননাঙ্গের বিষয় না, সকল অর্গাজমই মস্তিষ্ক প্রসূত।
ফলে একটা দারুণ শিল্পকর্ম একজন আর্টিস্টকে সেক্সের চেয়েও বেশি তৃপ্তি দিতে পারে।
লালন যে 'মিলন হবে কতদিনে' গান গেয়েছেন, সেটা সেক্সের 'মিলন' না। সেটা আত্মার সাথে আত্মার মিলন। এই মিলন হয় নাই বলেই বুদ্ধ সেক্স করেও, এক বাচ্চার বাবা হয়েও, সাম্রাজ্য সংসার সবকিছু ফেলে নীরঞ্জনা নদীর পাশের পাকুর গাছের তলায় গিয়ে ধ্যানে বসেছিলেন। নিজেকে জিজ্ঞেস করেছিলেন- সুখ কি? নির্বান কি?
রবীন্দ্রনাথ যেমন সখীকে জিজ্ঞেস করতে চেয়েছিলেন- ভালবাসা কারে কয়?
মানুষের বুকের ভেতর যে হাহাকার সেটা সেক্সের জন্য না। মানুষ যে জীবন কাটাতে চায়, বেশিরভাগই সেই জীবন পায়না বলেই তাদের এতো হাহাকার। সেক্স একটা অনুসঙ্গ মাত্র, কিন্তু শরীরের সবচেয়ে সুন্দর অংশ মস্তিষ্ক। যে নিজের মস্তিষ্ককে বুঝতে পেরেছে, সে সেক্সের কথা শুনলে এইজন্য মুচকি হাসবে।
কারণ- মানুষ সেক্সের জন্য বাঁচে না, বাঁচে বাঁচার অর্থটা স্পষ্ট করে বুঝতে।
যে বেঁচে থেকেও বাঁচার আনন্দ পেলোনা, সে সেক্সের আনন্দ কখনো পেয়েছে বলে মনে হয় না?
জীবন সুন্দর কেবল ভালবাসায়, পরস্পরের প্রতি পরস্পরের শ্রদ্ধায়, সম্মানের, বিশ্বাসের।
৬০/৭০ বছর পর দুজন মানুষের মাঝে, সেক্স এর সম্পর্ক থাকে না, থাকে বিশ্বাস আর ভরসার সম্পর্ক।
আর সে বিশ্বাস আর ভরসা যদি অটুট থাকে,
তখন জীবনের সে জার্নিতেও দুজন ঠিকই হাতে হাত রেখে, পাশাপাশি কাছাকাছি বাকী জীবন সুন্দর করে কাঁটাতে পারে।
নক্ষত্রের রাত।

লেখা: আফরোজা জাহান ঐশী

আপনি কি রাঙামাটিতে অফিসের জন্য স্পেস খুজঁছেন ?রাঙামাটি শহরের প্রাণ কেন্দ্রের বিজন স্মরণী এলাকার গলির মুখে (এলায়েন্স হাসপ...
04/03/2024

আপনি কি রাঙামাটিতে অফিসের জন্য স্পেস খুজঁছেন ?

রাঙামাটি শহরের প্রাণ কেন্দ্রের বিজন স্মরণী এলাকার গলির মুখে (এলায়েন্স হাসপাতালের বিপরীত পার্শ্বে) সম্প্রতি নির্মাণ করা বিল্ডিং এ ১৫০০ বর্গফুট এর স্পেসের ২য়, তয়, ৪র্থ ও ৫ম তলায় সরকারী বেসরকারী অফিস, ব্যাংক, সুপারশপ এর জন্য ফ্লোর ভাড়া দেওয়া হবে। আগ্রহীগণ যোগাযোগ করতে পারেন।
মোবাইল 01794213029, 01917962101

এবং একই লোকেশনের নীচতলায় ১৭০০ বর্গফুটের ৩ বেড রুম, ড্রইং, ডাইনিং, কিচেন, দুই টয়লেট নিয়ে একটি ফ্লাট ভাড়া দেওয়া হবে।
#রাঙামাটিপার্বত্যজেলা





Address

Devasish Nagar
Rangamati
4500

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Women and Children posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share