05/08/2025
আমাদের সন্তানদের জানা উচিত, কেনো আমরা এরকম একটা পাকিস্তানকে ঘৃনা করবো না!
---
যুদ্ধ শেষে ক্যাম্প থেকে কয়েকটি কাঁচের জার উদ্ধার করা হয়,
যেগুলোর মধ্যে ফরমালিনে সংরক্ষিত ছিলো মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন অংশ! অংশগুলো কাটা হয়ে ছিলো খুব নিখুঁতভাবে!
- ডাঃ বিকাশ চক্রবর্তী, খুলনা
মার্চে মিরপুরের একটি বাড়ি থেকে পরিবারের সবাইকে ধরে আনা হয় এবং কাপড় খুলতে বলা হয়।
তারা এতে রাজি না হলে বাবা ও ছেলেকে আদেশ করা হয় যথাক্রমে মেয়ে এবং মাকে ধর্ষণ করতে!
এতেও রাজী না হলে প্রথমে বাবা এবং ছেলে কে টুকরো টুকরো করে হত্যা করা হয়
এবং মা মেয়ে দুজনকে দুজনের চুলের সাথে বেঁধে উলঙ্গ অবস্থায় টানতে টানতে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।
- মোঃ নুরুল ইসলাম, বাটিয়ামারা, কুমারখালী
আমাদের সংস্থায় আসা ধর্ষিত নারীদের প্রায় সবারই ছিল ক্ষত-বিক্ষত যৌনাঙ্গ!
বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ছিড়ে ফেলা রক্তাক্ত যোনিপথ, দাঁত দিয়ে ছিড়ে ফেলা স্তন, বেয়োনেট দিয়ে কেটে ফেলা স্তন-উরু এবং পশ্চাৎদেশে ছুরির আঘাত নিয়ে নারীরা পুনর্বাসন কেন্দ্রে আসতো।
- মালেকা খান, যুদ্ধের পর পুনর্বাসন সংস্থায় ধর্ষিতাদের নিবন্ধীকরণে যুক্ত সমাজকর্মী
১৮ ডিসেম্বর মিরপুরে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া একজনকে খুঁজতে গিয়ে দেখি,
মাটির নীচে বাঙ্কার থেকে ২৩ জুন সম্পূর্ণ উলঙ্গ, মাথা কামানো নারীকে ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছে পাক আর্মিরা!
- বিচারপতি এম এ সোবহান
যুদ্ধের পর পর ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে উদ্বাস্তুর মতো ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে বেশ কিছু নারীকে!
তাদের পোশাক এবং চলাফেরা থেকে আমরা অনেকেই নিশ্চিত জানতাম, ওরা যুদ্ধের শিকার এবং ওদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই।
-ড. রতন লাল চক্রবর্তী, অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
কোনো কোনো মেয়েকে পাকসেনারা এক রাতে ৮০ বারও ধর্ষণ করেছে!
- সুসান ব্রাউনি মিলারের লেখা 'এগেইনেস্ট আওয়ার উইল : ম্যান, উইম্যান এন্ড রেপ' পৃষ্ঠা- ৮৩
এক একটি গণধর্ষণে ৮/১০ থেকে শুরু করে ১০০ জন পাকসেনাও অংশ নিয়েছে!
- ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির গ্রন্থ 'যুদ্ধ ও নারী'
মুক্তিযুদ্ধের সময়কালে দেশে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর অধিনায়ক ছিলেন জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী।
এই নরপশুর নেতৃত্বেই রাওফরমান, রহিম খান, টিক্কা খানের মত পাকিস্তানী জেনারেলরা এদেশের উপর চালায় শতাব্দীর ঘৃণ্যতম গণহত্যা! সেই সাথে এসব বিকৃত রুচির জেনা!