Kallyan monk

Kallyan monk Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Kallyan monk, Digital creator, Rangamati.

19/05/2025

পরাজয় কাকে বলে?
কিসের দ্বারা মানুষ পরাজয় হয়?
পরম পূজনীয় শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের ধর্ম দেশনা।

20/04/2025

৭ জানুয়ারি ২০০৩ পরম পূজ্য বনভান্তে উপস্থিতিতে রাজবন বিহার পুরান সীমাঘর (ঘ্যাংঘরে) নব উপসম্পাদা দেওয়া দুর্লভ ভিডিও

18/04/2025

যে ভিডিওটি দেখলে চোখের পানি এসে যায়। সেই ভিডিও হলো পরমপূজ্য বনভন্তে পরিনির্বাণের পর ঢাকা থেকে যখন রাজবন বিহারে আনা হচ্ছে সেই ধারণ করা ভিডিওটি।

07/04/2025

বর্তমান রাজবন বিহারে কাজ চলমান বিশ্বশান্তি প্যাগোডার দৃশ্য

🍂 পৃথিবীর মানব সভ‍্যতা ধ্বংসের কারণ 🍂••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••১) প্রথমত: জগত ধ্বংস হয় আগুন দিয়ে।২) দ্...
06/04/2025

🍂 পৃথিবীর মানব সভ‍্যতা ধ্বংসের কারণ 🍂
••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
১) প্রথমত: জগত ধ্বংস হয় আগুন দিয়ে।
২) দ্বিতীয়ত: জল দিয়ে।
৩) তৃতীয়ত: বাতাসের মাধ্যমে ধ্বংস হয়।
🌿 তবে জগত এভাবে ধ্বংস হয় কেন? 🌿
উত্তর: প্রাণীদের মনে "রাগ-দ্বেষ-মোহ "অধিক হলে ত্রিবিধ অন্তর কল্প উৎপন্ন হয় বা দেখা দেয়।
তা হল:
১) রোগের মাধ্যমে মানুষ মারা যায় বা সভ‍্যতা ধ্বংস হয়।
২) একে অপরে অস্ত্রের মাধ্যমে মারামারিতে মারা গিয়ে সভ‍্যতা ধ্বংস হয়।
৩) ঐ যুদ্ধের ফলে পরবর্তীতে দুর্ভিক্ষের মাধ্যমে মারা যায়।
সুতরাং মানুষের মনে কামরাগাদি অধিক হলে জগত ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
১) মানুষের কামরাগ অতিরিক্ত হলে -আগুনের দ্বারা পৃথিবী ধ্বংস হয়।
২) মানুষের মনে দ্বেষ বা হিংসা অধিক হলে-জলের দ্বারা জগত ধ্বংস হয়।
৩) আর মোহ(সত‍্য জ্ঞানহীন) অধিক হলে - বাতাসের দ্বারা পৃথিবী ধ্বংস প্রাপ্ত হয়।
তাই আমার মৈত্রীময় আহ্বান~
সবার মনে মৈত্রী,করুনা জাগ্রত করুন আর বৌদ্ধধর্ম আচরণ করুন। অতএব জানতে পারলাম -বিশ্বসভ‍্যতা ধ্বংসের জন্য ভগবান বুদ্ধ ও কোনো সৃষ্টিকর্তা এতে দায়ী নয়,দায়ী মানুষ আমরাই! দায়ী আমাদের কলুষিত মনের রাগ-দ্বেষ-মোহ জনিত কুকর্ম।তাই বৌদ্ধ ধর্মে মতে - ব‍্যক্তি কোনো সৃষ্টিকর্তা নয় নিজ কৃত কর্মই প্রতিটি প্রাণীর সুখ ও দুঃখ সৃষ্টিকর্তা- এটাই চিরসত‍্য।

--শিশুকাল গেলো খেলায় খেলায়----যৌবনকাল গেলো রসের মেলায়----বৃদ্ধ কাল গেলো জ্বালায় জ্বালায়---- কি নেবে জাবার বেলায়??🍁বনভান্...
05/04/2025

--শিশুকাল গেলো খেলায় খেলায়--
--যৌবনকাল গেলো রসের মেলায়--
--বৃদ্ধ কাল গেলো জ্বালায় জ্বালায়--
-- কি নেবে জাবার বেলায়??

🍁বনভান্তে🍁

পিছন_ফিরে_দেখিস_না পরম পূজনীয় শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির (বনভন্তে)লক্ষ্য পথে চলতে হলে, বুক ফুলিয়ে ছুটঠে হবে।আপন ভাবে আপ...
10/03/2025

পিছন_ফিরে_দেখিস_না

পরম পূজনীয় শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির (বনভন্তে)

লক্ষ্য পথে চলতে হলে, বুক ফুলিয়ে ছুটঠে হবে।
আপন ভাবে আপন মনে, চলরে সবে প্রাণপণে।
কারো বাঁধা মানিস না, কারো দিকে তাকাস না,
ও তুই পিছন ফিরে দেখিস না।

যার যা ইচ্ছা বলবে বলুক, প্রশংসা বা নিন্দা করুক।
শুনতে যদি দাঁড়াতে হয়, শুনেও তাহা শুনিস না।
ওতোর কাঁটা আঁটা পিছিল পথে, চলতে কভু ছাড়িস না,
ও তুই পিছন ফিরে দেখিস না।

বর্ষে বর্ষুক তোমার সাথে, বরষারি লক্ষ্য ধারা।
পড়ে পড়ুক দেব রাজের, শত বজ্র প্রাণ হারা।
আপন পথে চলতে তবু, একটি বারও থামিস না,
ও তুই পিছন ফিরে দেখিস না।

শয়তান যদি নানাভাবে, প্রলোভিতে আসে তোরে।
চোখ বুজিয়ে বধির হয়ে, আপন পথে ছুটিয়ে যাবে।
কোনো বাঁধায় কোনো মতেই, গমণ পথে থামিস না,
ও তুই পিছন ফিরে দেখিস না।

শমন যদি সম্মুখে তোর, রুদ্র মূর্তি ধরিয়ে আসে।
জগত যদি কাঁপিয়ে উঠে, থর থরিয়ে মরণ ত্রাসে।
ও তুই স্মরণ করে ভগবানে, পথ চলিতে থামিস না,
ও তুই পিছন ফিরে দেখিস না।

পাঁচটি বিপদের হুমকি=====================================অঙ্গুত্তর নিকায়ের পঞ্চম নিপাতে বুদ্ধ বলেছেন যে, পাঁচটি বিপদের হু...
27/01/2025

পাঁচটি বিপদের হুমকি
=====================================

অঙ্গুত্তর নিকায়ের পঞ্চম নিপাতে বুদ্ধ বলেছেন যে, পাঁচটি বিপদের হুমকি রয়েছে:

“ভিক্ষুগণ, কোনো ভিক্ষু যদি এই পাঁচটি বিপদের হুমকিকে দেখে, তাহলে সেটাই তার অলব্ধকে লাভের, অপ্রাপ্তকে পাওয়ার, অনুপলব্ধকে উপলব্ধির লক্ষ্যে মনোযোগী হয়ে, উদ্যমী হয়ে জীবন যাপনের জন্য যথেষ্ট। এই পাঁচটি বিপদের হুমকি কী কী?

(১) ভিক্ষুগণ, এখানে একজন ভিক্ষু এভাবে পর্যালোচনা করে : ‘আমি এখন তরুণ যুবক, বয়সে তরুণ, চুল এখনো কালো, ভরা যৌবন, জীবনের প্রথম ধাপে আছি। কিন্তু একটা সময় আসবে যখন এই দেহ বার্ধক্যের করাল গ্রাসে পতিত হবে। বার্ধক্যে ম্রিয়মান হলে সে সহজে বুদ্ধের শিক্ষাগুলোকে উপলব্ধি করতে পারে না। সে সহজে বনে, জঙ্গলে, অরণ্যে অথবা বিচ্ছিন্ন আবাসে বাস করতে পারে না। এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির আগেই, এমন অপছন্দের এবং অসহনীয় পরিস্থিতির আমার কাছে আসার আগেই সেই অপ্রাপ্তকে পাওয়ার জন্য, অলব্ধকে লাভের জন্য, অনুপলব্ধকে উপলব্ধির জন্য আমার শক্তিকে সুসংহত করতে হবে, যাতে সেই অবস্থা লাভ করে আমি এমনকি বুড়ো বয়সেও সুখে বাস করতে পারি।’

(২) ভিক্ষুগণ, এ ছাড়াও একজন ভিক্ষু এভাবে পর্যালোচনা করে : ‘আমি এখন অসুস্থতা থেকে মুক্ত আছি, রোগ থেকে মুক্ত আছি, আমার হজমশক্তিও ভালো, আমার দেহ বেশি গরম নয় আবার বেশি ঠাণ্ডাও নয়, এটা এখন প্রচেষ্টা চালানোর উপযুক্ত। কিন্তু একটা সময় আসবে যখন এই দেহ রোগের করাল গ্রাসে পতিত হবে। রোগী হলে সে তখন বুদ্ধের শিক্ষা উপলব্ধি করতে পারে না। সে সহজে বনে, জঙ্গলে, অরণ্যে অথবা বিচ্ছিন্ন আবাসে বাস করতে পারে না। এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির আগেই, এমন অপছন্দের এবং অসহনীয় পরিস্থিতি আমার কাছে আসার আগেই সেই অপ্রাপ্তকে পাওয়ার জন্য, অলব্ধকে লাভের জন্য, অনুপলব্ধকে উপলব্ধির জন্য আমার শক্তিকে সুসংহত করতে হবে, যাতে সেই অবস্থা লাভ করে আমি এমনকি অসুখের মাঝেও সুখে বাস করতে পারি।’

(৩) ভিক্ষুগণ, এ ছাড়াও একজন ভিক্ষু এভাবে পর্যালোচনা করে : ‘এখন তো খাদ্যের যথেষ্ট প্রাচুর্যতা রয়েছে, শস্যের ফলন ভালো হয়, সহজে ভিক্ষান্ন পাওয়া যায়, তাই এখন পিণ্ড ও দানের উপর নির্ভর করে জীবন যাপন করা সহজ। কিন্তু এমন এক সময় আসবে যখন দুর্ভিক্ষ হবে, শস্য ফলবে না, ভিক্ষান্ন পাওয়া কঠিন হবে। তখন পিণ্ড ও দানের উপর নির্ভর করে জীবন যাপন করা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। দুর্ভিক্ষের সময়ে লোকজন সাধারণত খাদ্যের খোঁজে যেখানে খাবারের প্রাচুর্য আছে সেখানে যায়, তাদের আবাসস্থলে তখন গাদাগাদি ও ভিড় লেগে যায়। এমন গাদাগাদি ও ভিড়ের স্থানে থেকে বুদ্ধের শিক্ষাকে উপলব্ধি করা সহজ নয়। সে সহজে বনে, জঙ্গলে, অরণ্যে অথবা বিচ্ছিন্ন আবাসে বাস করতে পারে না। এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির আগেই, এমন অপছন্দের এবং অসহনীয় পরিস্থিতি আমার কাছে আসার আগেই সেই অপ্রাপ্তকে পাওয়ার জন্য, অলব্ধকে লাভের জন্য, অনুপলব্ধকে উপলব্ধির জন্য আমার শক্তিকে সুসংহত করতে হবে, যাতে সেই অবস্থা লাভ করে আমি এমনকি দুর্ভিক্ষের মাঝেও সুখে বাস করতে পারি।’

৪) ভিক্ষুগণ, এ ছাড়াও একজন ভিক্ষু এভাবে পর্যালোচনা করে : ‘এখন লোকজন মিলেমিশে মৈত্রীপূর্ণ হয়ে বাস করে, এমনভাবে বন্ধুত্ব নিয়ে বাস করে যেন পানি ও দুধের মতো, এবং তারা পরস্পরকে বন্ধুত্বপূর্ণ দৃষ্টিতে দেখে। কিন্তু এমন এক সময় আসবে যখন বিপদ ঘনিয়ে আসবে, বর্বর উপজাতিরা অশান্ত হয়ে উঠবে, প্রত্যন্ত অঞ্চলের লোকজন মালপত্র নিয়ে গাড়িতে তুলে চলে যাবে, ভীত-সন্ত্রস্ত লোকজন নিরাপদ স্থানের খোঁজে বেরিয়ে পড়বে, তাদের আবাসস্থলে তখন গাদাগাদি ও ভিড় লেগে যাবে। এমন গাদাগাদি ও ভিড়ের স্থানে থেকে বুদ্ধের শিক্ষাকে উপলব্ধি করা সহজ নয়। সে সহজে বনে, জঙ্গলে, অরণ্যে অথবা বিচ্ছিন্ন আবাসে বাস করতে পারে না। এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির আগেই, এমন অপছন্দের এবং অসহনীয় পরিস্থিতি আমার কাছে আসার আগেই সেই অপ্রাপ্তকে পাওয়ার জন্য, অলব্ধকে লাভের জন্য, অনুপলব্ধকে উপলব্ধির জন্য আমার শক্তিকে সুসংহত করতে হবে, যাতে সেই অবস্থা লাভ করে আমি এমনকি বিপদের মাঝেও সুখে বাস করতে পারি।’

(৫) ভিক্ষুগণ, এ ছাড়াও একজন ভিক্ষু এভাবে পর্যালোচনা করে : ‘এখন ভিক্ষুসংঘ মিলেমিশে মৈত্রীপূর্ণ হয়ে বাস করে, কোনো বাদানুবাদ ছাড়াই এক শিক্ষার অধীনে সুখে বাস করে। কিন্তু এমন এক সময় আসবে যখন সংঘ বিভক্ত হয়ে পড়বে। সংঘ বিভক্ত হলে সেই অবস্থায় বুদ্ধের শিক্ষাকে উপলব্ধি করা সহজ নয়। সে সহজে বনে, জঙ্গলে, অরণ্যে অথবা বিচ্ছিন্ন আবাসে বাস করতে পারে না। এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির আগেই, এমন অপছন্দের এবং অসহনীয় পরিস্থিতি আমার কাছে আসার আগেই সেই অপ্রাপ্তকে পাওয়ার জন্য, অলব্ধকে লাভের জন্য, অনুপলব্ধকে উপলব্ধির জন্য আমার শক্তিকে সুসংহত করতে হবে, যাতে সেই অবস্থা লাভ করে আমি এমনকি বিপদের মাঝেও সুখে বাস করতে পারি।’

ইতিবুত্তকের চর সূত্রের মধ্যে বুদ্ধ অলস ভিক্ষু ও উদ্যমী ভিক্ষুকে নির্দেশ করে দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন :

ভিক্ষুগণ, কোনো ভিক্ষু হাঁটার সময়ে তার মধ্যে যদি কামচিন্তা, অথবা হিংসা চিন্তা, অথবা নিষ্ঠুরতার চিন্তা জাগে, আর সে যদি তা মেনে নেয়, সেটাকে প্রত্যাখ্যান না করে, সেটাকে তাড়িয়ে না দেয়, তা থেকে মুক্ত না হয়, সেটিকে শেষ করে না দেয়, সেভাবে হলে সেই ভিক্ষু হয় উদ্যমহীন এবং অকুশল কাজ করতে ভয় পায় না। তাকে বলা হয় সর্বদা অলস এবং নিরুদ্যমী। দাঁড়িয়ে থাকার সময়ে... বসে থাকার সময়ে... শুয়ে থাকার সময়ে যদি কামচিন্তা, অথবা হিংসা চিন্তা, অথবা নিষ্ঠুরতার চিন্তা জাগে, আর সে যদি তা মেনে নেয়, সেটাকে প্রত্যাখ্যান না করে, সেটাকে তাড়িয়ে না দেয়, তা থেকে মুক্ত না হয়, সেটিকে শেষ করে না দেয়, সেভাবে হলে সেই ভিক্ষু হয় উদ্যমহীন এবং অকুশল কাজ করতে ভয় পায় না। তাকে বলা হয় সর্বদা অলস এবং নিরুদ্যমী।’

কিন্তু হাঁটার সময়ে... দাঁড়িয়ে থাকার সময়ে... বসে থাকার সময়ে... শুয়ে থাকার সময়ে যদি ভিক্ষুর মধ্যে কামচিন্তা, অথবা হিংসা চিন্তা, অথবা নিষ্ঠুরতার চিন্তা জাগে, আর সে যদি তা মেনে না নেয়, সেটাকে প্রত্যাখ্যান করে, সেটাকে তাড়িয়ে দেয়, তা থেকে মুক্ত হয়, সেটিকে শেষ করে দেয়, সেভাবে হলে সেই ভিক্ষু হয় উদ্যমী এবং অকুশল কাজ করতে ভয় পায়। তাকে বলা হয় সর্বদা উদ্যমী এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

হেঁটে অথবা দাঁড়িয়ে থাকার সময়ে,
বসে অথবা শুয়ে থাকার সময়ে
যে এমন পাপী ও জাগতিক চিন্তা করে,
সে তখন ভুল পথে যাচ্ছে,
অলীক জিনিস নিয়ে তখন সে মোহমুগ্ধ।
হেঁটে অথবা দাঁড়িয়ে থাকার সময়ে,
বসে অথবা শুয়ে থাকার সময়ে
যে এমন চিন্তাগুলোকে দমন করে,
সেই চিন্তাগুলোকে প্রশমিত করে আনন্দ পায়,
তেমন ভিক্ষুই লাভ করতে সক্ষম হয়
পরম সম্বোধিকে।

ভিক্ষু অথবা ভিক্ষুণী হিসেবে আপনাদের ভরণপোষণ গৃহীদের দ্বারাই হয়ে থাকে। শ্রদ্ধাবানদের দেয়া খাদ্য গ্রহণ করে অলসতায় নিশ্চেষ্ট হয়ে জীবন কাটানো আপনার জন্য লজ্জাকর। অতএব আপনার অবশ্যই বুদ্ধ যেভাবে বলেছেন সেভাবে উদ্যমী হতে হবে।

----------কর্মের গতি---------লিখেছেন : শ্রীমৎ বুদ্ধশ্রী মহাস্থবিরপ্রাণী মাত্রই কর্মাধীন। কর্মই একমাত্র সক্রিয়। কর্মই সু...
26/01/2025

----------কর্মের গতি---------
লিখেছেন : শ্রীমৎ বুদ্ধশ্রী মহাস্থবির

প্রাণী মাত্রই কর্মাধীন। কর্মই একমাত্র সক্রিয়। কর্মই সুখ-দুঃখ, কর্মই
সৃজনকর্তা, কর্মই নিয়ামক, কর্মই সত্ত্বদিগকে হীন শ্রেষ্ঠে বিভাগ করিয়া দেয়। সত্ত্বগণের সুগতি-দুর্গতির কর্তা সে নিজেই, নিজের কর্মই তার জীবনের পথ নির্দিষ্ট করিয়া দেয়। দুষ্কর্মের ফলে চিত্ত কলুষিত হয়, আর কলুষিত চিত্ত অনেক দুঃখ বহন করে আনে। আর সুকর্মের ফলে চিত্ত প্রসন্ন হয় ও দমিত হয়, দমিত চিত্ত অনেক সুখ বহন করে। তদ্ধেতু যাহা কিছু দুঃখ উৎপন্ন হয় দুষ্কর্মের ফলে, আর যাহা কিছু সুখ উৎপন্ন হয় কুশল কর্মের ফলে, তাই বুদ্ধ বলিয়াছিলেন ধর্মপদে সকল দুষ্কর্ম হইতে বিরত থাকা, কুশল কর্ম সম্পাদন করা এবং আপনচিত্তকে পরিশুদ্ধ রাখা- ইহাই বুদ্ধগণের অনুশাসন।

শুভ কর্মের ফল শুভ, আর অশুভ কর্মের ফল অশুভ। এই হইল কর্মনিয়ম। যেইরূপ বীজ বপন করিবে, সেইরূপ ফল লাভ করিবে। ঠিক তদ্রুপ, দুষ্কর্ম সম্পাদন করিয়া কোন দিন সুফলের আশা করা যায় না, দুষ্কর্মের ফল দুঃখ প্রদান করিবেই করিবে। কাজেই শুদ্ধি বা অশুদ্ধি নিজের কর্মের মধ্যদিয়াই লোকে লাভ করে, একে-অপরকে বিশুদ্ধ করিতে পারে না। অতএব নিজের সম্যক প্রচেষ্টাতেই আত্মশুদ্ধি সম্ভব। তাই আপন আপন কর্মের ফল অনুসরণ করিয়া মানুষ বিভিন্ন গতি লাভ করিয়া থাকে। কেহ বা উচ্চ যোনিতে জন্মগ্রহণ করে, কেহ বা নিম্ন যোনিতে জন্মিয়া অশেষ দুঃখ যন্ত্রণা ভোগ করে। আর কেহ পায় দিব্য সুখময় স্বর্গবাসের অধিকার। আর যিনি অবিদ্যা-তৃষ্ণা থেকে মুক্ত হইয়াছেন, তিনি লাভ করেন নির্বাণ।

এক সময় বুদ্ধ ভিক্ষুদিগকে বলিয়াছিলেন- হে ভিক্ষুগণ অবিদ্যার আবরণে আবৃত ও তৃষ্ণা সংযোজনে সংযোজিত সত্ত্বদের আদি অন্ত বিরহিত সংসারে পরিভ্রমণের আদি-অন্ত ভাগ দেখা যায় না। এই সংসারে সংসরণকারী একজন পুদগলের এক কল্পের অস্থি-কঙ্কাল সঞ্চয় করিয়া রাখিলে, বৈপুল্য পর্বতের সমান স্তুপ হইবে। ইহা মহর্ষি বুদ্ধ কর্তৃক কথিত হইয়াছে। এইরূপে সত্ত্বগণ দীর্ঘকাল সংসারে সংসরন কালে তীব্র কটু, দুঃখ, বৎসন ভোগ ও জন বৃদ্ধি করিতে থাকে। সত্ত্বগণ এইরূপে সংসার-সমুদ্রের তরঙ্গ বিক্ষোভে অসহায় কাষ্ঠখন্ডের মত ভাসিয়া চলিতেছে। কিন্তু এরই মধ্যে এক দৃঢ় আশ্রয় গঠন করিতে পারে- বীর্য, সৎকর্ম, সংযম, প্রজ্ঞা ইত্যাদি দ্বারা। এই সবের সাহায্যে সে অবিচল প্রতিষ্ঠা সিদ্ধি লাভ হয়, কোন ঝড়-ঝঞ্জা, ঘাত-প্রতিঘাত তাহাকে বিধ্বস্ত করিতে পারে না।

ভগবান ইহাও ঘোষনা করিয়াছেন যে- ভিক্ষুগণ, বীর্যবান আর্য শ্রাবক পাপ ত্যাগ করেন, পূণ্য বৃদ্ধি করেন, দোষযুক্ত বিষয় ত্যাগ করেন, নির্দোষ বিষয় গঠন করেন, পবিত্রভাবে স্বীয় জীবনযাপন করেন। বীর্যপূণ্য কাজে উৎসাহ যোগায়, পাপ কর্মে উদাসীনতা। পুণ্য বা সৎকর্ম অন্তরকে নির্মল, বিশুদ্ধ আনন্দে ভরিয়া তুলে। এই আনন্দের কোন তুলনা নাই। সৎকাজ যত ছোটই হউক না কেন তাহা একটি অনির্বাণ দীপশিখার মত মানুষের মনের অন্ধকার দূর করে। সৎকর্মের অনুষ্ঠানে একপ্রকার নির্মল সুখ অনুভব করা যায়, যাহা পাপ কর্মে লাভ হয় না, সৎকর্মের ফলই মানুষের প্রকৃত সম্বল। তাহার ঐহিক ও পারত্রিক কল্যাণের উৎস। সৎকাজের ফল যেমন আনে মঙ্গল, অসৎ কাজের পরিণাম তেমনি আনে অমঙ্গল।

এইভাবে সদাসৎ কাজের দ্বারা মানুষ নিজেই নির্মাণ করিতেছে নিজের সুখ বা দুঃখময় ভবিষ্যৎ হার হাত হইতে তাহার পরিত্রাণ নাই। পাপ কর্মের প্রেরণা আসে মানুষের অশুভ বুদ্ধি হইতে। পাপ কর্মের সময় শুভবুদ্ধির বিলোপ ঘটে। কাজেই সৎকাজের অনুষ্ঠানে অধৈর্য-অবহেলা নিরুৎসাহ হইবার প্রয়োজন নাই। কারণ এইসব সৎকর্মের ফল অল্প অল্প করিয়া সঞ্চিত হইয়াও পরিণামে মানুষকে মহৎ কল্যাণ দান করে। আর যিনি সর্বজীবে অহিংসা, ক্ষমা, মৈত্রী, প্রীতি আর কায়-মনো-বাক্যে সংযমে যিনি নিত্য প্রতিষ্ঠ, তিনি দুঃখ শোকের অতীত, শাশ্বত আনন্দলোকের অধিকারী হন। তাই যেই সমস্ত পুণ্যধন মানবের সঙ্গে সঙ্গে গমন করে, তাহা প্রত্যেকের সম্পাদন করা কর্তব্য। জগতে সকল প্রাণী সুখী হউক, দুঃখ হইতে মুক্ত হউক।

সাধু - সাধু - সাধু।

Address

Rangamati

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Kallyan monk posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share