Mahabub Hosen

  • Home
  • Mahabub Hosen

Mahabub Hosen বাংলাদেশ ও বিশ্ব সংস্কৃতি, অর্থনীতি, ধর্ম ও উন্নয়ন নিয়ে শিক্ষামূলক ও আমাদের অবস্থান।

ফার্স্ট ইয়ার ফাইনালে ফেল করে বসল এক ছাত্র। কিন্তু ফেল করলে তো চলবে না, যেভাবেই হোক পাশ করতে হবে, ছাত্রটি মনে মনে ফন্দি ...
30/10/2025

ফার্স্ট ইয়ার ফাইনালে ফেল করে বসল এক ছাত্র। কিন্তু ফেল করলে তো চলবে না, যেভাবেই হোক পাশ করতে হবে, ছাত্রটি মনে মনে ফন্দি আঁটে।

সে সরাসরি প্রিন্সিপাল স‍‍্যারের রুমে গিয়ে বলে, "স্যার, আমি আপনাকে তিনটি প্রশ্ন করব। আপনি যদি সঠিক উত্তর দিতে পারেন, আমি আমার রেজাল্ট মেনে নেব। আর যদি উত্তর ভুল হয়, তাহলে আমাকে পাশ করিয়ে দিতে হবে।"

প্রিন্সিপাল স্যার মনে মনে হাসেন। ফেল করা একটি ছেলে তাকে কি এমন প্রশ্ন করবে যার জবাব তার মতো অভিজ্ঞ শিক্ষক দিতে পারবে না! অতএব, তিনি রাজি হয়ে গেলেন।

ছাত্রটি একটা ফিচলে হাসি দিয়ে বলে, "স্যার, বলুন তো, কোনটা লিগ্যাল, কিন্তু লজিকাল না? কোনটা লজিক্যাল, কিন্তু লিগ্যাল না? আর কোনটা লিগ্যাল বা লজিক্যাল কোনোটাই না?"

প্রিন্সিপাল স‍‍্যার এবার বেকায়দায় পড়লেন। ভেবে ভেবে চুল ছিঁড়ে ফেলার অবস্থা, কিন্তু সঠিক উত্তর কিছুতেই মাথায় আসছে না। শেষে ছাত্রের শর্ত মেনে নিয়ে তাকে পাশ করিয়ে দিলেন।

পরদিন ক্লাসে গিয়ে তিনি ভাবলেন, গতকালের প্রশ্নটিই তিনি আজ ছাত্রছাত্রীদেরকে জিজ্ঞাসা করবেন। প্রশ্ন করতেই তিনি অবাক, প্রায় সবাই হাত তুলেছে!

তিনি তখন সামনের বেঞ্চে বসা একজন ছাত্রকে বললেন, "বল দেখি!"

ছাত্রটি মুচকি হেসে বলল, "স‍‍্যার, আপনার বয়স ৫৮, আর আপনার স্ত্রীর ১৮। এটা লিগ্যাল, কিন্তু লজিক্যাল নয়!"

স্যার তখন ছাত্রটিকে তাড়াতাড়ি থামিয়ে দিয়ে বললেন, "আরে বস বস হারামজাদা, আর বলতে হবে না।"

আরেকজন ছাত্র মাঝের সারি থেকে লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বলল, "স‍‍্যার, আপনার স্ত্রীর সাথে তার সমবয়সী একটি ছেলের অ্যাফেয়ার চলছে! এটা লজিক্যাল, কিন্তু লিগ্যাল না।"

স‍‍্যারের তো বিষম খাওয়ার অবস্থা। গলা দিয়ে আওয়াজ বেরোচ্ছে না।

ঠিক তখন লাস্ট বেঞ্চের একজন ছাত্র বলে উঠল, "স‍‍্যার, আপনার স্ত্রীর বয়ফ্রেন্ড ফাইনাল পরীক্ষায় ফেল করা সত্ত্বেও আপনি তাকে পাশ করিয়ে দিয়েছেন! এটা না লজিক্যাল, না লিগ্যাল।"

স্যার মাথা ঘুরে ধপাস করে পড়ে গেলেন।

29/10/2025

গ্যালিলিও যেদিন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, "আমি আবারো বলছি, সূর্য স্থির, পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘোরে। আমাকে শাস্তি দিয়েও সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর প্রদক্ষিণ করাকে আপনারা বন্ধ করতে পারবেন না, পৃথিবী আগের মতোই ঘুরতে থাকবে", সেদিন ওনার কথায় সবাই হেসেছিল। বিচার সভায় গ্যালিলিওর চরম শাস্তি হয়েছিল। বাকিটা ইতিহাস।

সতীদাহর মতো জঘন্য এক সামাজিক প্রথার বিরুদ্ধে যেদিন রাজা রামমোহন রায় রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, সেদিন সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ওনাকে হাস্যস্পদ করেছিল। বাকিটা ইতিহাস।

সিগনেট থেকে প্রকাশিত বিভূতিভূষণের "পথের পাঁচালী"-র সংক্ষিপ্ত সংস্করণ "আম আঁটির ভেঁপু"-র জন্য ছবি আঁকতে আঁকতেই সত্যজিতের মনে হয়েছিল, তিনি যদি কোনোদিন সিনেমা তৈরি করেন, তবে এটাই হবে তার প্রথম সিনেমা। সিনেমার শুটিং যখন শুরু হয়, তখন শুধু প্রযোজকরাই নন, তৎকালীন বিখ্যাত পরিচালকরাও তাকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করেছিল। অনেকে তো ওনাকে পাগল পর্যন্ত বলেছিল। বাকিটা ইতিহাস।

একটা কথাই মনে রাখবেন, লাখ লাখ লোকও যদি একটা পুকুরকে সমুদ্র বলে, রাতারাতি পুকুরটা সমুদ্র হয়ে যায় না।

তাই প্রশ্ন এটা নয় যে পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে আপনি কত শতাংশ, প্রশ্ন এটাও নয় যে আপনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ, প্রশ্নটা হচ্ছে আপনি ঠিক নাকি ভুল।

টমাস আলভা এডিসন পড়ালেখায় খুব দুর্বল ছিলেন। একবার স্কুলের পরীক্ষায় তিনি একেবারেই ভালো করতে পারেননি।রেজাল্টের দিন তার হা...
28/10/2025

টমাস আলভা এডিসন পড়ালেখায় খুব দুর্বল ছিলেন। একবার স্কুলের পরীক্ষায় তিনি একেবারেই ভালো করতে পারেননি।

রেজাল্টের দিন তার হাতে একটি চিঠি ধরিয়ে দিয়ে হেডমাস্টার বললেন, "সোজা বাড়ি গিয়ে চিঠিটা মায়ের হাতে দেবে।"

এডিসন তাই করলেন আর কৌতূহলবশত মায়ের কাছে জানতে চাইলেন, "মা, চিঠিতে কি লেখা আছে?"

মা মৃদু হেসে ছেলেকে শুনিয়ে জোরে জোরে চিঠিটি পড়লেন, "আপনার পুত্র খুব মেধাবী। এই স্কুলটি তার জন্য অনেক ছোট এবং এখানে তাকে শেখানোর মতো যথেষ্ট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক নেই। অনুগ্রহ করে আপনি নিজেই তার পড়াশোনার ব্যবস্থা করুন।"

তারপর থেকে এডিসন মায়ের বাড়িতে কাছে শিক্ষা গ্রহণ করা শুরু করলেন। কালক্রমে তিনি হয়ে উঠলেন সেই যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী। আবিষ্কার করলেন পৃথিবীর ইতিহাস বদলে দেওয়া ইলেকট্রিক বাল্ব। কিন্তু ছেলের এই সাফল্য নিজের চোখে দেখার জন্য তখন তার মা আর বেঁচে নেই।

হঠাৎ একদিন পুরোনো কাগজপত্র ঘাঁটতে ঘাঁটতে ভাঁজ করা একটা কাগজের দিকে এডিসনের চোখ আটকে গেল। তিনি কাগজটি হাতে নিয়ে খুলে দেখলেন সেটা সেই ছোটবেলার স্কুলের চিঠি। চিঠিতে লেখা ছিল, "আপনার সন্তান স্থুলবুদ্ধিসম্পন্ন এবং মেধাহীন। সে এই স্কুলের উপযুক্ত নয়। আমরা কোনোভাবেই তাকে আমাদের স্কুলে আর আসতে দিতে পারি না!"

পড়তে পড়তে এডিসনের চোখ ভিজে গেল। মায়ের কথা ভীষণ মনে পড়তে লাগল তার। সেই মুহূর্তে তিনি ডায়েরিতে লিখলেন: টমাস আলভা এডিসন ছিল মানসিকভাবে অসুস্থ এবং জড়বুদ্ধিসম্পন্ন শিশু, কিন্তু তার মা তাকে শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ প্রতিভাবান বিজ্ঞানী হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন।

28/10/2025

আপনি মানুন বা না মানুন আপনার জীবনে যেকোনো মুহূর্তে ফিনান্সিয়াল ক্রাইসিস আসতে পারে। বিয়ে, জন্মদিন ইত্যাদি অনুষ্ঠানে লোক দেখানো বিশাল খরচ করবেন না। বহু মধ্যবিত্ত পরিবারের সঞ্চয়ের এক তৃতীয়াংশ খরচ হয়ে যায় শুধুমাত্র ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিতে গিয়ে। সন্তান জন্মের পর এক লাখ টাকাও যদি ফিক্সড করে রাখেন তার নামে, তবে সেই টাকাটা মাল্টিপ্লাই হতে হতে সন্তানের যখন বিশ বছর বয়স হবে, তখন একটা ভালো অ্যামাউন্ট পাবেন যেটা তার ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।

আপনার মাথার ঘাম পায়ে ফেলে আয় করা টাকা আপনি নিজে মাল্টিপ্লাই করুন, বাচ্চাদেরকেও টাকা মাল্টিপ্লাই করতে শেখান। ছোটো থেকেই ফিনান্সিয়াল অ্যাডভাইস দিন। সন্তানকে প্রোডাক্টিভ আর নন-প্রোডাক্টিভ ইনভেস্ট সম্পর্কে জ্ঞান দিন। যেমন, গ্যাজেট আর ধাতুর মধ্যে ধাতু চ্যুজ করা উচিত। কারণ ধাতুর রিসেল ভ্যালু আছে। এই শিক্ষা ভবিষ্যতে আপনার এবং আপনার সন্তানের উপকারে আসবে।

আপনার সর্বস্ব খরচ করে সন্তানকে বিয়ে দেবার চেয়ে কোনোমতে বিয়ে দিয়ে সন্তানের নামে টাকাটা ফিক্সড ডিপোজিট করে দিন, অসময়ে দরকার পড়বে!

জমির চেয়ে বাড়ির ভ্যালু বেশি করবেন না। আবার বাড়ি বা ফার্নিচারের ভ্যালুর চেয়ে ব্যাংকের লকারে সোনা ও ব্যাংকে লিকুইড মানি বেশি রাখবেন, কারণ আপনার দুঃসময়ে ঘরের একটা টুকরাও আপনি সেল করতে পারবেন না, কিন্ত গহনা অথবা টাকা দিয়ে দুঃসময় কাটিয়ে উঠতে পারবেন। খারাপ সময় বলে কয়ে আসে না। এই দুনিয়ার কোন কিছুরই গ্যারান্টি নেই, আপনার শরীরেরও না!

যোগ্যতাপূর্ণ চাকরিতেও ফিনান্সিয়াল সিকিউরিটি থাকে না। তাই ছেলেমেয়েকে বহু খাতে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করতে শেখান। কোনো কাজ ছোটো নয় এই বোধ তৈরি করুন তার মধ্যে।

সন্তানকে বইয়ের বাইরের বাস্তব বুদ্ধিসম্পন্ন কাজ শেখান, কারণ পেটে শিক্ষা আছে মানেই ক্যারিয়ার সাকসেসফুল হবে তার কোনো গ্যারান্টি নেই।

কিছু টাকা জমিয়ে রাখুন। যতটুকু বাড়ি করলে স্বচ্ছন্দে থাকা যায় ততটুকুই বাড়ি করুন। অন্তত ওই পরিমাণ টাকা MIS (Monthly Income Scheme) করে রাখুন যাতে ঠেকে গেলে অন্তত ডাল ভাত খেয়ে মাস কাটে। আগামী দিন কতটা ক্রাইসিস আসবে আমরা কেউ জানি না। চাকরি, ব্যবসা বাণিজ্য কোনো কিছুরই আসলে কোনো নিশ্চয়তা নেই। চাকরিতে পেনশনেরও একশো ভাগ গ্যারান্টি নেই!

স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। স্বামী রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেল।দশ মিনিট পর স্ত্রীর ফোন, "আমি যেদিকে দুচোখ যায় ...
27/10/2025

স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। স্বামী রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেল।

দশ মিনিট পর স্ত্রীর ফোন, "আমি যেদিকে দুচোখ যায় চললাম তোমার সংসার, ছেলেমেয়ে সব ফেলে।"
স্বামী "ঠিক আছে, যাও" বলে ফোন কেটে দিল। এটা বিশ্বাস!

দুপুরে স্বামী বাসায় ফিরে দেখে স্ত্রী কোথাও যায়নি, বাসাতেই আছে আর রান্নাবান্না করে টেবিলে খাবার সাজিয়ে রেখেছে। এটা মায়া।

এরপর দুজন দুই রুমে মন খারাপ করে করে শুয়ে আছে, কারো কোনো কথা নেই। কেউ কাউকে খেতেও ডাকছে না, নিজেও খাচ্ছে না। এটা অভিমান।

বিকেলে স্ত্রী বাচ্চাকে নিয়ে কোচিংয়ে চলে গেল। এটা দায়িত্ববোধ।

স্বামী বেচারা প্রচন্ড ক্ষুধার্ত হয়ে ডাইনিং টেবিলে গিয়ে দেখে দুটো প্লেট সাজানো, দুটো গ্লাসে পানি ঢালা। খেতে গিয়েও কি ভেবে খেল না। ঠিক করল স্ত্রী এলে দুজন একসাথে খাবে। এটা অপেক্ষা।

বেডরুমে এসে স্ত্রীর মোবাইলে টেক্সট করল, "তুমি যে কারণে যেতে পার নি, আমিও সে কারণে খেতে পারি নি।" এটা ভালোবাসা!

শুধু ভালোবাসা দিয়ে সংসার টেকে না, সংসার টিকেয়ে রাখার জন্য দরকার বিশ্বাস, মায়া, অভিমান, দায়িত্ববোধ এবং অপেক্ষার।

🫵👉এক অস্থির জেনারেশন আমরা (90% Youths)। বিলিভ ইট অর নট, এই জেনারেশনের স্পেসিফিক কোনো লক্ষ্য নাই। এদের আদর্শিক কোনো এমবিশ...
26/10/2025

🫵👉এক অস্থির জেনারেশন আমরা (90% Youths)। বিলিভ ইট অর নট, এই জেনারেশনের স্পেসিফিক কোনো লক্ষ্য নাই। এদের আদর্শিক কোনো এমবিশান নাই। পবিত্র কোনো মিশন নাই।

এরা বই পড়ে না, নিউজপেপার পড়ে না। আউটডোর খেলাধুলায়ও এদের অনীহা। Exercise করে না!

এরা রৌদ্রে হাঁটতে পছন্দ করে না। বৃষ্টিতে ভিজতে চায় না। কাঁদামাটি, ঘাস, লতাপাতায় এদের এলার্জি। এরা আধা কিলোমিটার গন্তব্যে যেতে আধা ঘন্টা রিক্সার জন্য অপেক্ষা করে।
এরা অস্থির। প্রচণ্ডরকম অস্থির এক জেনারেশন।

এরা অপরিচিত সিনিয়রদের সালাম দেবে না। পাশ কাটিয়ে হনহন করে চলে যাবে। অথবা গা ঘেষে পা পাড়া দিয়ে চলে যাবে। সরি বলার টেণ্ডেন্সি এদের মধ্যে নাই। এরা অনর্থক তর্ক জুড়ে দেবে। না পাবেন বিনয়ী ভঙ্গি, না পাবেন কৃতজ্ঞতাবোধ। এদের উদ্ধত আচরণ, সদম্ভ চলাফেরায় আপনি ভয়ে কুকড়ে যাবেন। সংযত হওয়ার উপদেশ দিতে চাইলেই বিপদ, নাজেহাল হওয়ার সম্ভাবনা অধিক।

আপনি পাব্লিক বাসে চড়ছেন, দেখবেন খালি সীটটায় জায়গা পেতে সবচেয়ে জুনিয়র ছেলেটা বেশি প্রতিযোগিতা করবে। আপনাকে ধাক্কাটাক্কা দিয়ে সটান বসে পড়বে। তার বয়সের দ্বিগুন এই আপনি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া তেমন কিছু করার থাকে না।

বলছিলাম এই জেনারেশনের কথা। সবচেয়ে ভয়াবহ ফিতনার কথা যে মজলিসে এই জেনারেশন দাঁড়িয়ে থাকার কথা, সেই মজলিসে তারা নিজের জন্য চেয়ার খোঁজ করে। যেখানে চুপ থাকার কথা, সেখানে জ্ঞান দিতে চেষ্টা করে।

সারা রাত ধরে অনলাইনে থাকে, সারা সকাল ঘুমায়। এরা সূর্যোদয় দেখে না, সূর্যাস্ত দেখে না। সূর্যোদয়ে বিছানায় থাকে, সূর্যাস্তে মোবাইলে থাকে।

এরা ফার্স্টফুডে আসক্ত।
এরা আউটডোর খেলা অপছন্দ করে। এরা ইনডোরে স্বস্তি পায়। নির্দিষ্ট করে বললে মূলত অনলাইন গেম, ফেইসবুক স্ক্রলিং, ইউটিউব দেখা, মুভি, নাটক দেখা তাদের ফার্স্ট প্রায়োরিটি।

এরা ইতিহাস পড়ে না। সাহিত্য বুঝে না। এরা নজরুল চিনে না, রবীন্দ্রনাথ চিনে না, ফররুখ চিনে না। সাদী, রুমি, হাফিজ ত বহু অচেনা প্রসঙ্গ। এরা বই বুঝে না, বই পড়ে না, বই কিনে না৷

এরা নন-স্কিলড। এরা হাঁটতে পারে না, দৌড়াতে পারে না, গাছে চড়তে জানে না, সাতার কাটতে পারে না। সাগর পাড়ি দেওয়ার সেই দু:সাহসিকতা নাই, পাহাড় কেটে পথ তৈরি করার সেই অদম্য মনোবল নাই। এদের উচ্ছ্বাস নাই। আবেগ নাই। সৎ সাহস নাই। এদের একটাই স্কিল- স্মার্ট ফোন দ্রুত স্ক্রল করতে পারা৷

এদের না আছে মূল্যবোধ, না আছে শ্রদ্ধাবোধ, না আছে শৃঙ্খলাবোধ।

একবার এক গাধা অসাবধানতাবশত একটি কুয়ার মধ্যে পড়ে গেল। বিপদ থেকে রক্ষা পাবার জন্য প্রাণীটি জোরে জোরে ডাক ছাড়তে লাগল।ডাক ...
25/10/2025

একবার এক গাধা অসাবধানতাবশত একটি কুয়ার মধ্যে পড়ে গেল। বিপদ থেকে রক্ষা পাবার জন্য প্রাণীটি জোরে জোরে ডাক ছাড়তে লাগল।

ডাক শুনে গাধার মালিক গাধাটিকে উদ্ধারের জন্য কিছুক্ষণ নামমাত্র চেষ্টা করে। একপর্যায়ে হাল ছেড়ে দিয়ে লোকটি ভাবে, গাধাটি বুড়ো, একে দিয়ে তো কোনো কাজ হয় না। কুয়াটিও শুকিয়ে হয়ে গেছে, এখান থেকে এখন আর পানি পাওয়া যায় না। কুয়া থেকে গাধাকে তোলার যে খরচ, তাতে লাভের চেয়ে লসই বেশি! অতএব, কুয়াটি মাটি ফেলে বুজিয়ে ফেলাই সঠিক সিদ্ধান্ত।

দেরি না করে তখনই সে গ্রামবাসীদেরকে কুয়ার ধারে ডেকে আনে। গ্রামবাসীরা গাধার মালিকের কথায় সম্মত হয় এবং কোদালের সাহায্যে কুয়ার মধ্যে মাটি ফেলা শুরু করে।

কি ঘটছে বুঝতে পেরে গাধাটি স্তম্ভিত হয়ে যায়। যে মালিকের জন্য সে সারা জীবন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে গেছে, তার অকৃতজ্ঞতায় গাধাটির চোখ বেয়ে দুফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ে।

গাধাটি অবশ্য হাল ছেড়ে না দিয়ে বাঁচার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যায়। প্রতিবার মাটির ঢেলা নিচে ফেলার সাথে সাথে সে গা থেকে ঝেড়ে ফেলে সেই মাটির ওপর চড়ে বসে। খুব শীঘ্রই সবাই অবাক হয়ে দেখে প্রাণীটি কুয়ার মুখে পৌঁছে গেছে।

গাধাটি এরপর ছোট্ট একটি লাফ দিয়ে কুয়া থেকে বের হয়ে আসে এবং ঘৃণাভরে তার মালিকের দিকে একবার তাকিয়ে বাকি জীবনটা স্বাধীনভাবে বাঁচার জন্য জঙ্গলের দিকে হাঁটা দেয়।

শিক্ষা:
১. যখন আপনি ভাবেন আপনার সামনে আর কোনো উপায় নেই, তখনও আপনার সামনে কোনো না কোনো পথ খোলা থাকে। তাই কোনো পরিস্থিতিতেই জীবনে আশা ত্যাগ করবেন না।

২. আপনি যাদের জন্য এতকিছু করছেন, প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে তারাই আপনার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, বিপদের দিনে আপনার পাশে না দাঁড়িয়ে উল্টো আপনার ক্ষতি করার চেষ্টা করবে। তাই ওই লোকগুলোর মুখাপেক্ষী না হয়ে আজ থেকে নিজের মতো করে বাঁচুন।

25/10/2025

এই পৃথিবীটা অনেক কঠিন। এখানে সহজ সরল মানুষের কোনো দাম নেই। যতদিন আপনি কারো বাজে ব্যবহারের বিপরীতে তার মুখের উপর উচিত জবাব দিতে না শিখবেন, ততদিন মানুষ আপনাকে অপমান করেই যাবে।

অতিরিক্ত ভালোমানুষী দেখাতে গেলেই বিপদ। সবাই আপনার ঘাড়ে কাঁঠাল ভেঙে খাবে। মুখের উপর উচিত জবাব দিলে লোকজন আপনাকে হয়তো খারাপ বলবে, কিন্তু কেউ আপনাকে ঠকাতে সাহস পাবে না।

Straight-forward এবং স্পষ্টবাদী হোন। কেউ আপনাকে Rude বলবে, কেউ আপনাকে Arrogant বলবে, কেউ বলবে বেয়াদব। বলুক! মাঝে মাঝে নিজের আত্মসম্মান বজায় রাখতে একটু Rude, Arrogant, বেয়াদব হওয়া ভালো। দুনিয়ার সব কিছুর সাথে আপোষ চলে, কিন্তু নিজের আত্মসম্মানের সাথে আপোষ চলে না।

আপনার ভালোমানুষীর যোগ্য সবাই না। নরম মানুষকে সবাই পেয়ে বসে। যে যেমন ব্যবহারের যোগ্য তাকে তার প্রাপ্য বুঝিয়ে দিন, দিনশেষে আপনি ভালো থাকবেন।

24/10/2025

বনের রাজা সিংহ রোদ পোহাচ্ছিল। এমন সময় বাঁদর এসে তার লেজ ধরে একটা ঝাঁকি দিল! লাঠি দিয়ে খোঁচাখুঁচিও করল!

সিংহ যতটা না অবাক হলো, তার চেয়ে বিরক্ত হলো বেশি। বাঁদরের ভ্রুক্ষেপ নেই। সে সিংহকে ভেংচি কেটে লাফাতে লাফাতে চলে গেল।

শেয়াল পাশ থেকে পুরো ঘটনা লক্ষ্য করে সিংহকে উদ্দেশ্য করে বলল, “বনের রাজার সাথে এত্ত বড় বেয়াদবি! আর আপনি কিনা তাকে কিছুই বললেন না!”

সিংহ মৃদু হেসে বলল, বলার সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি! একটু অপেক্ষা করো, সবকিছু দেখতে পাবে।”

কয়েকদিন পর হঠাৎ করেই বাঁদর সিংহের সামনে পড়ল এবং সিংহ তাকে সেখানেই এক থাপ্পড়ে শেষ করে দিল।

শেয়াল অবাক হয়ে সিংহকে জিজ্ঞাসা করল, “সেদিন বাঁদর অত অন্যায় করল, আপনি তাকে কিছুই বললেন না। অথচ আজকে সে তেমন কিছু করেনি, কিন্তু আপনি তাকে মেরে ফেললেন!"

জবাবে সিংহ বলল, “দিস ইজ পলিটিক্স! সেদিনের পর বাঁদর ভালুককে পিছন থেকে লাথি মেরেছে! হাতির শুঁড় ধরে দুলেছে! গন্ডারের পিঠে চড়ে নেচেছে! হায়নাকে কাতুকুতু দিয়েছে! বাঘকে খোঁচা মেরেছে! আর সবাইকেই বলছে, রাজাকেই আমি মানি না! সেখানে তুমি কে?”

“সেদিন ওরে মারলে সবাই বলত, আমি বনের রাজা হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করছি।"

"আজকে একটু পর দেখবে সবাই এসে বলবে, থ্যাংক ইউ, রাজা সাহেব!”

"বুঝলে তো! মাঝে মাঝে লাই দিয়ে মাথায় তুলতে হয়। যাতে শক্ত করে আছাড় দিলে কেউ কিছু মনে না করে এবং আপদ শেষ হয়ে যায় একেবারে!"

24/10/2025

সবজি ওজন করার সময় যদি মাপার যন্ত্রে একটি মাছি বসে, ওজনে তেমন কোনো পার্থক্য হয় না।

কিন্তু সেই একই মাছি যদি স্বর্ণ ওজন করার সময় বসে, তাহলে ওজনে দশ-বিশ হাজার টাকার পার্থক্য করে দিতে পারে।

এখানে ওজন বড় কথা নয়, আপনি কোন জায়গায় অবস্থান করছেন সেটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

বাজে লোকজনের সাথে চললে বা খারাপ পরিবেশে মিশলে আপনার মূল্য কমে যেতে বাধ্য। তাই সবসময় চেষ্টা করুন ভালো মানুষদের সংস্পর্শে থাকতে। উত্তম পরিবেশে অবস্থান করুন এবং নিজের সম্মান ও মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখুন।

মিষ্টি বিক্রেতা মনে করে, আমি তো মিষ্টি খাই না, তাই মিষ্টিতে ভেজাল মেশালে আমার কোনো সমস্যা নাই।বেকারির মালিক মনে করে, আমি...
24/10/2025

মিষ্টি বিক্রেতা মনে করে, আমি তো মিষ্টি খাই না, তাই মিষ্টিতে ভেজাল মেশালে আমার কোনো সমস্যা নাই।

বেকারির মালিক মনে করে, আমি তো বিস্কুট খাই না, তাই পচা ডিম ময়দা দিয়ে বিস্কুট বানালে আমার কোনো সমস্যা নাই।

ফল বিক্রেতা মনে করে, আমি তো ফল খাই না, তাই ফলে কেমিক্যাল দিলে আমার কোনো সমস্যা নাই।

মাছ বিক্রেতা মনে করে, আমি এই মাছ খাব না, তাই মাছে ফরমালিন দিলে আমার কোনো সমস্যা নাই।

দিনের শেষে...

মিষ্টি বিক্রেতা মিষ্টি বিক্রি করে বিস্কুট, ফল, মাছ কিনে নিয়ে বাসায় যায়।

বেকারির মালিক বিস্কুট বিক্রি করে মিষ্টি, ফল, মাছ কিনে নিয়ে বাসায় যায়।

ফল বিক্রেতা ফল বিক্রি করে মিষ্টি, বিস্কুট, মাছ কিনে নিয়ে বাসায় যায়।

মাছ বিক্রেতা মাছ বিক্রি করে ফল, বিস্কুট, মিষ্টি কিনে নিয়ে বাসায় যায়।

এরা সবাই মনে মনে নিজেকে অনেক চালাক ভাবে, বেশি লাভ করছে ভেবে আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর তোলে। আসলে তারা নিজেরাই নিজেদের পায়ে কুড়াল মারছে, অন্যের ক্ষতি করতে গিয়ে নিজেদেরই ক্ষতি করছে — তা তারা বুঝতেও পারে না।

একটি ওরিয়েন্টেশন কোর্সে ১০০ জন প্রশিক্ষণার্থী ছিল। দৈনিক টি ব্রেকে তাদেরকে সিঙ্গাড়া খেতে দেওয়া হত। কিন্তু ১০০ জনের মধ্...
23/10/2025

একটি ওরিয়েন্টেশন কোর্সে ১০০ জন প্রশিক্ষণার্থী ছিল। দৈনিক টি ব্রেকে তাদেরকে সিঙ্গাড়া খেতে দেওয়া হত। কিন্তু ১০০ জনের মধ্যে ৮০ জনই সিঙ্গাড়া পছন্দ করত না। ওই ৮০ জন প্রশিক্ষণার্থী টি ব্রেকে অন্য কিছু দেওয়ার জন্য পরিচালকের কাছে আবেদন জানাল, যদিও বাকি ২০ জন সিঙ্গাড়ার পক্ষেই মত দিল।

বিতর্ক এড়াতে পরিচালক সাহেব ভোটের ব্যবস্থা করলেন এবং বললেন, "যে খাবার সবচেয়ে বেশি ভোট পাবে সেটাই প্রতিদিন টি ব্রেকে দেওয়া হবে।"

ভোট শেষে দেখা গেল, সেই ২০ জন প্রশিক্ষণার্থী সিঙ্গাড়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে। অবশিষ্ট ৮০ জনের ভোট দিয়েছে এভাবে:

ফলমূল - ১৮ জন
স্যান্ডউইচ - ১৫ জন
বার্গার - ১৩ জন
বেগুনি - ১২ জন
ডালপুরি - ১০ জন
নুডুলস - ৭ জন
ভেজিটেবল রোল - ৫ জন

ফলাফল, সিঙ্গাড়া সর্বাধিক ভোট পাওয়ায় টি ব্রেকে প্রতিদিন সিঙ্গাড়াই চলতে লাগল।

মরাল অফ দ‍্য স্টোরি: যতদিন ৮০% লোক নিজেদের স্বার্থপরতা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত থাকবে, ততদিন ২০% লোকই তাদের শাসন করবে।

Address


Telephone

+8801306169259

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mahabub Hosen posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share