18/05/2025
🥭 হিমসাগর আমের গুণাগুণ
✅ পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
হিমসাগর আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও আঁশ, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী:
1. *ত্বকের যত্নে সহায়ক:* পাকা আম ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ করে, ব্ল্যাকহেডস ও ব্রণের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
2. *হজমশক্তি বৃদ্ধি:* আমে থাকা এনজাইম প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে, ফলে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয়।
3. *ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে:* আমে প্রায় ২৫ ধরনের ক্যারোটিনয়েডস থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
4. *চোখের জন্য উপকারী:* ভিটামিন ‘এ’ এর ভালো উৎস হওয়ায় এটি দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে ও রাতকানা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
5. *হার্ট সুস্থ রাখে:* বেটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন ই ও সেলেনিয়াম হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক।
6. *ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক:* অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি স্তন, লিউকেমিয়া, কোলন ও প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
7. *রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক:* পটাশিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি হার্টবিট নিয়ন্ত্রণ ও রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
8. *রক্ত পরিষ্কারে সহায়ক:* টারটারিক, ম্যালিক ও সাইট্রিক অ্যাসিড শরীরের অ্যালকালাইন ব্যালান্স বজায় রাখতে সাহায্য করে।
9. *চুল ও নখ মজবুত করে:* খনিজ লবণ সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি দাঁত, নখ ও চুলের গঠন মজবুত করে।
10. *কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক:* ভিটামিন সি ও ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
- *সংরক্ষণ:* গাছ থেকে সংগ্রহের পর কাঁচা হিমসাগর আম কাগজে মুড়ে রুম টেম্পারেচারে রাখলে ২-৩ দিনের মধ্যে পেকে যাবে।
- *খাওয়ার পরামর্শ:* পাকা হিমসাগর আম খেতে মিষ্টি ও সুগন্ধযুক্ত। এটি সরাসরি খাওয়া যায় বা জুস, স্মুদি, ডেজার্ট ইত্যাদিতে ব্যবহার করা যায়।
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে রাজশাহীর হিমসাগর আম আর মাত্র ৪-৫ দিন।