বাণী চিরন্তন- Universal Truth

বাণী চিরন্তন- Universal Truth Admin Officer of Smart Living Nursing College, Rangpur.

❤️‍🔥বাণী চিরন্তন -Universal Truth❤️‍🔥
১ টা সত্যি ১ জন বললেও সত্যি ১ কোটি মানুষ বিপক্ষে বললেও সত্যি
সত্যি সব সময় সত্যি
সেটাই তুলে ধরা এই পেজের কাজ।
আশা করি সকলে পাশে থাকবেন।

29/06/2025
26/06/2025
জাপান শুধু সামুরাই কিংবা সুশির জন্যই বিখ্যাত নয়—তারা পুরো বিশ্বকে শিখিয়েছে কীভাবে ব্যবসায় টিকে থাকতে হয় আর একটা ব্র্...
22/06/2025

জাপান শুধু সামুরাই কিংবা সুশির জন্যই বিখ্যাত নয়—তারা পুরো বিশ্বকে শিখিয়েছে কীভাবে ব্যবসায় টিকে থাকতে হয় আর একটা ব্র্যান্ডকে কীভাবে বিশ্বসেরা বানানো যায়।
একটু ভাবুন তো—Toyota, Sony, Nintendo, Uniqlo—এই সব জাপানি কোম্পানি আজও শীর্ষে। কিন্তু তারা কীভাবে এত দিন ধরে সফল?
চলুন জেনে নিই তাদের সফলতার ৫টি মূল কারণ:

🔹 ১. কাইজেন (Kaizen) — “ধাপে ধাপে উন্নতি”র দর্শন জাপানিরা বিশ্বাস করে: 👉 “আজ যা আছি, কাল যেন তার চেয়ে একটু ভালো হই।” তারা প্রতিদিন ছোট ছোট পরিবর্তন আনে, যা ধীরে ধীরে বিশাল সফলতায় রূপ নেয়।

🔹 ২. গুণগত মান আগে, লাভ পরে তাদের কথা হলো: 👉 “খারাপ জিনিস তৈরি করলে শেষমেশ ক্ষতিই বেশি হয়।” তাই আপনি যদি Toyota-র গাড়ি কিনেন, তাহলে ১০ বছরেও মাথাব্যথা নেই! টেকসই, নির্ভরযোগ্য।

🔹 ৩. গ্রাহক মানেই অতিথি (Customer is like a guest) জাপানিরা গ্রাহকদের শুধু কাস্টমার না, বরং একজন অতিথির মতো গুরুত্ব দেয়। 👉 এজন্য Sony-র হেডফোনে এত নিখুঁত মান ও সাউন্ড কোয়ালিটি।

🔹 ৪. মিনিমালিজম—“সোজাসাপ্টা কিন্তু নিখুঁত” তারা বিশ্বাস করে: 👉 “কম হলেও ভালো হওয়া জরুরি।” Uniqlo-র জামা-কাপড় দেখতে সাধারণ, কিন্তু পরলে বোঝা যায় আরাম আর কোয়ালিটির জাদু।

🔹 ৫. দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য (Long-term thinking) অনেক কোম্পানি ৫ বছরের পরিকল্পনা করে, কিন্তু জাপানিরা ভাবে ৫০ বছরের জন্য। 👉 এজন্য Nintendo আজও জনপ্রিয়, এমনকি ৩০–৪০ বছর পরেও।

🔸 সারাংশ: 👉 ধারাবাহিকতা (Consistency), 👉 গুণগত মান (Quality), 👉 আর গ্রাহকের প্রতি দায়িত্ববোধ (Customer Focus)— এই তিনটা ঠিক থাকলে আপনিও নিজেকে একটা ব্র্যান্ডে পরিণত করতে পারেন!

16/06/2025
এক কোম্পানীতে ছিলো এক পিঁপড়া। সে প্রতিদিন ৯টায় অফিসে ঢুকতো। তারপর কারো সঙ্গে সময় নষ্ট না করে সঙ্গে সঙ্গে কাজে বসে যেতো।স...
14/06/2025

এক কোম্পানীতে ছিলো এক পিঁপড়া। সে প্রতিদিন ৯টায় অফিসে ঢুকতো। তারপর কারো সঙ্গে সময় নষ্ট না করে সঙ্গে সঙ্গে কাজে বসে যেতো।

সে যে পরিমাণ কাজ করত, তাতে কোম্পানির উৎপাদন হতো প্রচুর এবং এর ফলে সে আনন্দের সঙ্গেই জীবন নির্বাহ করতো।

ওই অফিসের সিইও সিংহ অবাক হয়ে দেখত, এই পিঁপড়াটি কোনো ধরনের সুপারভিশন ছাড়াই প্রচুর কাজ করছে। সিংহ ভাবল, পিঁপড়াকে যদি কারও সুপারভিশনে দেওয়া হয়, তাহলে সে আরও বেশি কাজ করতে পারবে।

কয়েক দিনের মধ্যেই সিংহ একটি আরশোলাকে পিঁপড়ার সুপারভাইজার হিসেবে নিয়োগ দিল। সুপারভাইজার হিসেবে এই আরশোলাটির ছিল দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, আর সে দুর্দান্ত রিপোর্ট লিখতে পারতো।

আরশোলাটি প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিল, এই অফিসে একটি অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম থাকা উচিত।

কয়েক দিনের মধ্যেই আরশোলাটির মনে হলো, তার একজন সেক্রেটারি দরকার, যে তাকে রিপোর্ট লিখতে সাহায্য করবে। … সে একটা মাকড়সাকে নিয়োগ দিল এই কাজে যে সব ফোনকল মনিটর করবে, আর নথিপত্র রাখবে।

সিংহ খুব আনন্দ নিয়ে দেখল যে আরশোলাটি তাকে প্রতিদিনের কাজের হিসাব দিচ্ছে আর সেগুলো বিশ্লেষণ করছে গ্রাফের মাধ্যমে। ফলে খুব সহজেই উৎপাদনের ধারা সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যাচ্ছে এবং সিংহ সেগুলো বোর্ড মিটিংয়ে ‘প্রেজেন্টেশন’ আকারে পেশ করে বাহবা পাচ্ছে।

কিছুদিনের মধ্যেই আরশোলার একটি কম্পিউটার ও লেজার প্রিন্টার প্রয়োজন হলো এবং এগুলো দেখভালের জন্য আইটি ডিপার্টমেন্ট গঠন করল। আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োগ পেল মাছি।

আমাদের কর্মী পিঁপড়া, যে প্রতিদিন অফিসে এসে প্রচুর কাজ করে মনের সুখে গান গাইতে গাইতে বাসায় ফিরত, তাকে এখন প্রচুর পেপার ওয়ার্ক করতে হয়, সপ্তাহের চার দিনই নানা মিটিংয়ে হাজিরা দিতে হয়।

নিত্যদিন এসব ঝামেলার কারণে কাজে ব্যাঘাত ঘটায় উৎপাদন কমতে লাগল, আর সে বিরক্ত হতে লাগল।

সিংহ সিদ্ধান্ত নিল, পিঁপড়া যে বিভাগে কাজ করে, সেটাকে একটা আলাদা ডিপার্টমেন্ট ঘোষণা করে সেটার একজন ডিপার্টমেন্ট প্রধান নিয়োগ দেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়।

সিংহ ঝিঁঝিপোকাকে ওই ডিপার্টমেন্টের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিল। ঝিঁঝিপোকা প্রথম দিন এসেই তার রুমের জন্য একটা আরামদায়ক কার্পেট ও চেয়ারের অর্ডার দিল।

কয়েক দিনের মধ্যেই অফিসের জন্য স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান তৈরি করতে ঝিঁঝি পোকার একটি কম্পিউটার ও ব্যক্তিগত সহকারীর প্রয়োজন হলো। কম্পিউটার নতুন কেনা হলেও ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে ঝিঁঝিপোকা নিয়োগ দিল তার পুরোনো অফিসের একজনকে।

পিঁপড়া যেখানে কাজ করে, সেখানে আগে ছিল চমৎকার একটা পরিবেশ। এখন সেখানে কেউ কথা বলে না, হাসে না। সবাই খুব মনমরা হয়ে কাজ করে।

ঝিঁঝিপোকা পরিস্থিতি উন্নয়নে সিংহকে বোঝাল, ‘অফিসে কাজের পরিবেশ’ শীর্ষক একটা স্টাডি খুব জরুরি হয়ে পড়েছে।

পর্যালোচনা করে সিংহ দেখতে পেল, পিঁপড়ার বিভাগে উৎপাদন আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে।

কাজেই সিংহ কয়েক দিনের মধ্যেই স্বনামখ্যাত কনসালট্যান্ট পেঁচাকে অডিট রিপোর্ট এবং উৎপাদন বাড়ানোর উপায় বাতলে দেওয়ার জন্য নিয়োগ দিল।

পেঁচা তিন মাস পিঁপড়ার ডিপার্টমেন্ট মনিটর করল, সবার সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান কথা বলল। তারপর বেশ মোটাসোটা একটা রিপোর্ট পেশ করল সিংহের কাছে। ওই রিপোর্টের সারমর্ম হলো, এই অফিসে প্রয়োজনের তুলনায় কর্মী বেশি। কর্মী ছাঁটাই করা হোক।

পরের সপ্তাহেই বেশ কয়েকজন কর্মী ছাঁটাই করা হলো। বলুন তো, কে সর্বপ্রথম চাকরি হারালো?

ওই হতভাগ্য পিঁপড়া। কারণ, পেঁচার রিপোর্টে লেখা ছিল, ‘এই কর্মীর মোটিভেশনের ব্যাপক অভাব রয়েছে এবং সর্বদাই নেতিবাচক আচরণ করছে, যা অফিসের কর্মপরিবেশ নষ্ট করছে।

শিক্ষাঃ
অতিরিক্ত ম্যানেজমেন্ট, অপ্রয়োজনীয় মিটিং ও কাগজপত্র আসল কর্মদক্ষতা নষ্ট করে। যারা কাজ করে, তাদের গুরুত্ব না দিলে প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অবশেষে বলির পাঁঠা হয় সেই নিষ্ঠাবান কর্মী, যে একসময় অফিসের আসল চালিকাশক্তি ছিল।

বাণী চিরন্তন- Universal Truth
#বাণীচিরন্তন

প্রচলিত স্কুলের শিক্ষা ধনী হওয়ার পথে অন্তরায়। এমনকি, স্কুলে যে শিক্ষকদের সংস্পর্শে শিক্ষার্থীরা বড় হয়ে ওঠে, তারা অনেক সম...
14/06/2025

প্রচলিত স্কুলের শিক্ষা ধনী হওয়ার পথে অন্তরায়। এমনকি, স্কুলে যে শিক্ষকদের সংস্পর্শে শিক্ষার্থীরা বড় হয়ে ওঠে, তারা অনেক সময় দরিদ্র বা সংকীর্ণ মানসিকতার হয়ে থাকেন। রবার্ট কিয়োসাকি বিশ্ব বিখ্যাত বই রিচ ড্যাড পুওর ড্যাডের লেখক। তার এই মন্তব্য প্রথমে কঠিন মনে হতে পারে, তবে বাস্তবতার আলোকে এর সত্যতা আছে বৈকি।

তার মতে, স্কুলে সফলতার জন্য প্রয়োজনীয় কোনো দক্ষতা শেখানো হয় না। বরং, ভুল করলেই শাস্তি পেতে হয়। এটি শিশুদের ছোটবেলা থেকেই ঝুঁকি নিতে ভয় পাইয়ে দেয়। স্কুলের মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় ঝুঁকিমুক্ত একটি চাকরি যোগাড় করা। শিক্ষকরাও প্রায়শই একই মানসিকতা পোষণ করেন—তারা নিজেরাই ঝুঁকি নেন না এবং নিরাপদ বেতনের ওপর নির্ভর করে জীবন চালান।

ফলস্বরূপ, শিক্ষার্থীরা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় এই শিক্ষকদের অধীনে কাটিয়ে দেয় এবং অর্থ উপার্জন বা বিনিয়োগের ব্যাপারে সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলে। উদ্যোক্তা হয়ে বড় কিছু করার বদলে, তারা নিরাপদ চাকরি খুঁজে জীবন কাটাতে চায়।

এই মানসিকতা এবং শিক্ষার সীমাবদ্ধতা আমাদের এমন এক বাস্তবতায় নিয়ে যায়, যেখানে দরিদ্রতা মেনে নিয়ে, দৈনন্দিন জীবনকে কোনোভাবে চালিয়ে নেওয়ার জন্য চাকরী করাই প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়।

এটা মানব জীবনের অপমান আসলে। অসীম সম্ভাবনাকে নষ্ট করা।

ছবি সংগৃহীত।

11/06/2025
02/06/2025
23/05/2025
23/05/2025

Address

Rangpur

Telephone

+8801315793244

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when বাণী চিরন্তন- Universal Truth posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to বাণী চিরন্তন- Universal Truth:

Share