03/09/2024
মিঠাপুকুর উপজেলা বিএনপির সদস্য রুহুল উল্লাহ্ জুয়েলকে কারন দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জেলা বিএনপি।
(ছবিতে নোটিশটি দেওয়া আছে)
বিষয়টি দুঃখজনক ।
সাংবাদিক হিসাবে আমার ব্যক্তিগত অভিমত- ত্যাগী ও কর্মী বান্ধব সর্বদা হাস্যজ্জল রাজনৈতিক নেতা। যোগ্য নেতার যোগ্য উত্তরসূরী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের উজ্জ্বল নক্ষত্র।
তবে আমার দেখা উপজেলা বিএনপির রাজনীতিতে অন্যতম পথপ্রদর্শক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক। গতদিনে বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত্য এমপি নির্বাচন,উপজেলা নির্বাচন ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছি তদন্ত রির্পোটের জন্য তার সূক্ষ্ম পরিসংখ্যান, ফলাফল ও জ্ঞান মুগ্ধ করেছে।
শতকরা কত ভোট দিবে? কে কত ভোট পেতে পারে?কার কত নিজস্ব ভোটার!জনগন ভোটকে কিভাবে গ্রহণ করবে,কোন সেন্টারে ভোট বেশি জাল হতে পারে,কোন জায়গায় আওয়ামীলীগের প্রভাব বেশি,কোন জায়গায় আওয়ামীলীগ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পাবে নানাবিধ প্রশ্নের উত্তর যখন তিনি আমাকে করেছেন ঠিক সেইভাবে ফলাফল হয়েছে আমিও রির্পোট করেছি তৎকালীন চুড়ান্ত ফলাফলের পূর্বে।" এজন্য আমি তাকে আমার সাংবাদিকতা জীবনে রাজনৈতিক ইঞ্জিনিয়ার বিট হিসাবে আখ্যায়িত করি।রাজনৈতিক সাংবাদিকতা বিষয়ে যার কাছে আমি মুগ্ধ এবং ছাত্র(যদিও মিশি বন্ধুর মতো কিন্তু ছোট ভাই হিসাবে যথেষ্ট স্নেহ করে আর আমি করি বিরক্ত দিনে কিংবা রাতে)। যার পরামর্শ সর্বদাই ন্যায়ের পক্ষে। সবচাইতে বেশি মনে পড়ে যখন তিনি বলেন- আমিও যদি ভূল করি তা ধরিয়ে দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করার দায়িত্ব তোমার।
সর্বদাই যার কাছে বলেছি- আপনাদের দল সরকার ব্যবস্থায় নেই দীর্ঘদিন ধরে তবুও দেখি আপনাদের উপজেলা বিএনপির মধ্যে গ্রুপিং বিষয়টি দুঃখজনক। আপনারা কি সকলে একঘরে এসে মিঠাপুকুর বাসীর উন্নয়নে কাজ করতে পারেন না। ওনি প্রতিউত্তরে বলেন-সময়ে কথা বলবে ও একত্রিত হবে।ইনশাআল্লাহ।
কিভাবে কর্মী সৃষ্টি করতে হয় এবং ধরে রাখতে হয় তার সম্পূর্ণ ক্রিয়াশীল জানা। হঠাৎ হোয়াইট আপসে যখন জানতে পারি এবং দেখতে পাই তাকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে বিষয়টি দুঃখজনক ছাড়া কিছুই মনে করি না এবং মানসিক হয়রানি।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে জানি না ও জানার চেষ্টাও করিনি হয়ত কোন এক সময়ে জানতে পারতাম ।তবে রাজনীতিতে কিভাবে তার উত্থান সেটুকু বলতে পারি এবং কিভাবে কত পরিশ্রম করেছেন তা জেনেছি বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের মাঝে তার নাম উপস্থাপন করে।বিভিন্ন ইউনিয়নে যুব ও ইয়াং রাজনৈতিক কর্মীদের কাছে যিনি আদর্শের বাতিঘর। কারণ তিনি কখনোই ছোট হোক কিংবা বড় হোক নেতাকর্মীদের অমূল্যায়ন করেনি৷ কিছু কিছু ইউনিয়নের নেতাকর্মী বলেছেন তার হাসিটাকেই ভালোবাসি এবং জীবনটাও দিতে পারি কারন তার মাধ্যমেই বিএনপির রাজনীতিতে প্রবেশ।
তবুও একটুখানি উপস্থান না করলেই নয়।জানুন আমি যা জানি- এ কে এম রুহুল্লাহ জুয়েল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মিঠাপুকুর উপজেলা শাখার একজন সক্রিয় সদস্য।১৯৯১সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের একজন কর্মী হিসেবে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ১৯৯৪ সালে মিঠাপুকুর কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ও উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পরবর্তীতে ২০০৫ খ্রিঃ হতে ২০০৯ খ্রিঃ পর্যন্ত মিঠাপুকুর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি হিসাবে সততা ও নিষ্ঠার
দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ খ্রিঃ হতে ২০২২ খ্রিঃ পর্যন্ত মিঠাপুকুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি হিসেবে দলের প্রত্যেকটি আন্দেলন সংগ্রামে সর্বোচ্চ অবদান রেখেছি। ২০১৪ অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপির প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে প্রায় ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার) ভোট পান। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন চান। বর্তমানে মিঠাপুকুর উপজেলা বিএনপির সদস্য হিসেবে দলের সকল কর্মকান্ডে অংশ গ্রহন করেন।
এছাড়া তার আয়ের উৎস শুধু জানি কলেজের প্রভাসক এবং বিএনপির ছাত্র রাজনীতির মাঠ পর্যায়ের নেতা। তার অর্থবিত্ত কতটুকু সেটাও জানি না। কলেজ থেকে পাওয়া বেতনে তার সংসার ব্যয় ও রাজনৈতিক ব্যয়। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা কোন রাজনীতিতে সংশিষ্ট তা জানি না হয় ভবিষ্যতে জানবো। তিনি যখন অসুস্থ অনেক ইউনিয়নে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের আয়োজনে দোয়া মাহফিল করেন সুস্থ হয়ে ফিরে আসার।
কলেজ থেকে পাওয়া বেতনে তিনি কর্মীর পেছনে প্রতিনিয়ত যে অর্থ ব্যয় করেন আরোও অনেক নেতা দেখেছি তার মতো নয়। মিঠাপুকুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দলের বর্তমানে কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধিতে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য।
সুতরাং অন্তঃদলীয় কোন্দলের কারনে হয়ত কারো না কারো অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে তার যথাযথ উত্তর তিনি দিবেন।
শেখ হাসিনার সরকারের দীর্ঘ সময়ে দল বদল না করা এবং নির্যাতনের শিকার এইসব রাজনৈতিক নেতার মূল্য দিয়ে চমকপ্রদ একটি সংগঠন হবে বিএনপি এটাই প্রত্যাশা।
সাংগঠনিক মনা একজন ব্যক্তি সর্বদাই যিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি কিভাবে সংগঠনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় এই চিন্তায় মশগুল থাকা তার পক্ষে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা সম্ভব নয়।
এই উপজেলায় অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের টাকার বিনিময়ে লোক ভাড়া করে এনে প্রোগাম করার সফলতা ও ব্যর্থতা দেখেছি। কিন্তু বিনা টাকায় জুয়েল ভাইয়ের ডাকে শতশত নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে প্রোগাম করতেও দেখেছি।যারা এসেছিলেন তাদের সাথে কথা বলেছি-এমন নেতার ডাকে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে যেতে ইচ্ছুক।
সদা হাস্যচল এই ব্যক্তি মিঠাপুকুর উপজেলা জাতীয়তাবাদী দলকে সামনে থেকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং মূখ্য ভূমিকা পালন করবে এই প্রত্যাশায়।
ধন্যবাদান্তে
রুবেল ইসলাম
গণমাধ্যমকর্মী
( দয়াকরে আমাকে কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থক কিংবা সদস্য হিসাবে আখ্যায়িত করবেন না, কারণ এই উপজেলায় সত্য কথা বললে অনেক চড়াই-উৎরাই সহ্য করতে হয়।যেমন- বিগত দিনে আমার ফেসবুক আইডিতে একটি পোষ্ট করেছিলাম " মিঠাপুকুরে জাকিরের জনপ্রিয়তা আকাশে যেমন পাতালেও তেমন,ডিজিটালেও যেমন এনালকেও তেমন"এই পোস্ট করে কত হুমকি ধামকি পাতি নেতাদের। কিন্তু আমার চোখে ও অনুসন্ধানে যা বাস্তব তাই উপস্থাপন করেছিলাম,ঠিক তেমনি এখানেও উপস্থাপন করলাম।অনেকে আবার জুয়েল ভাইয়ের দালাল হিসাবে আখ্যায়িত করতে পারেন সেটা আপনাদের ব্যাপার।কারণ আপনার যেমন মন্তব্য করার অধিকার আছে ঠিক তেমনি আমারও লেখার অধিকার আছে)