31/12/2024
৬ বছরে আতশবাজির কারণে ৩৬১ অগ্নিকাণ্ড, ক্ষতি ২ কোটি ৬৩ লাখ
থার্টি ফাস্ট নাইটসহ বিভিন্ন উৎসবে আমরা আতশবাজি ও ফানুস উড়িয়ে থাকি। এই ধরনের উৎসব উদযাপন অনেক সময় বড় দুর্ঘটনার কারণ হয়ে উঠে। তাই আমাদের সকলের সচেতন হওয়া উচিত। ফায়ার সার্ভিস এর তথ্য মতে আতশবাজি ও ফানুসের কারণে ২০১৮-২০২৩ পর্যন্ত এই ৬ বছরে ৩৬১টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ২০২৪ সালের জানুয়ারি-অক্টোবর পর্যন্ত এই ১০ মাসে আতশবাজি ও ফানুস উড়ানোর কারণে ৪২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ২৫ লাখ ৮৯ হাজার টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
অপরদিকে ২০২৩ সালের আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়ানোর কারণে ৮৭টি স্থানে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে ২৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকা ক্ষতি হয়। ২০২২ সালের আতশবাজির কারণে ৯৪টি স্থানে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে ১৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ক্ষতি হয়। ২০২১ সালে ১৬টি অগ্নিকাণ্ডে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। ২০২০ সালে ৫০টি অগ্নিকাণ্ডে ১৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ক্ষতি হয়, ২০১৯ সালে ৭২টি অগ্নিকাণ্ডে ১৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা এবং ২০১৮ সালে ৪২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫৬ লাখ ৬ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সবমিলিয়ে পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ৬ বছরে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়ানোর কারণে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতি হয়েছে ২ কোটি ৬৩ লাখ ৩৩ হাজার ৬৪২ টাকা। এসব অগ্নিকাণ্ড নির্বাপণ করে ফায়ার সার্ভিস ৪ কোটি ৪৫ লাখ ৫৬ হাজার ৮০০ টাকার সম্পদ উদ্ধার করেছে। অথচ আমরা একটু সচেতন হলেই এই অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনা থেকে নিজদের রক্ষা করতে পারি।
আর একটা বিষয় রয়েছে যে, ফায়ার সার্ভিস এর কাছে আগুনের তথ্য রয়েছে সেসব অগ্নিকাণ্ডের যেসব আগুনের সংবাদ ফায়ার সার্ভিস পেয়েছে ও নির্বাপণে অংশগ্রহণ করেছে। কিন্তু আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়ানোর কারণে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি কেননা যেসব আগুন সাধারণ জনগণ নিজেরাই নিভিয়ে ফেলেছে বা ফায়ার সার্ভিসকে সংবাদ দেয়া হয় নি তা ফায়ার সার্ভিস এর তথ্যে আসে না। তাই আমাদের উৎসব উদযাপনে সচেতন হতে হবে।