14/05/2025
                                             #বিচ্ছেদের  #গল্প 
 #পর্ব২ 
 #লেখক loyal Man 
 “শেষ দেখা"
ঢাকার এক ব্যস্ত বিকেল। শহরটা গিজগিজ করছে মানুষে, কিন্তু নীলার মনটা যেন একেবারেই ফাঁকা। সেদিন বসুন্ধরার কফি শপে বসে ছিল সে, ঠিক যেখানে প্রথম দেখা হয়েছিল অনিমেষের সঙ্গে।
তিন বছর আগে, একই কফিশপে হঠাৎ করেই পরিচয়। দু’জনের অর্ডার গুলিয়ে ফেলেছিল ওয়েটার। অনিমেষ হাসতে হাসতে বলেছিল,
“তোমার অর্ডার নিলে জীবনেও ভুল হতে পারবে না, এত সুন্দর কফির মতো!”
নীলা হেসে ফেলেছিল, আর সেই হাসিতেই যেন জেগে উঠেছিল একটা নতুন গল্পের শুরু।
প্রেমটা সহজ ছিল না। ঝগড়া, অভিমান, দূরত্ব—সবই ছিল, কিন্তু ছিল গভীর টানও। একসাথে কতো সিনেমা, কতো গল্প, কতো রোদেলা বিকেল ভাগ করে নিয়েছিল তারা।
কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনিমেষ বদলে যেতে লাগল। ফোনে কথা কমে গেল, দেখা হওয়াও বিরল। নীলা বুঝতে পারছিল—অনিমেষের জীবনে আরেকজন এসেছে।
নীলা চুপ করে ছিল। কারণ ভালোবাসা মানে শুধু পাওয়া নয়, কখনো কখনো মুক্তিও। সে কাউকে বাধা দিতে চায়নি, শুধু অপেক্ষা করেছে—একটা শেষ কথার, একটা শেষ দেখা’র।
আজ সেই দিন। তিন বছর পর তারা আবার বসেছে সেই কফি শপে। অনিমেষ চুপচাপ বসে, চোখ নামিয়ে রাখে।
নীলা শান্ত কণ্ঠে বলে,
“তুই কি খুশি?”
অনিমেষ কিছু বলে না, শুধু মাথা নেড়ে।
নীলা মুচকি হেসে উঠে দাঁড়ায়।
“তাহলে চল, আমাদের গল্পটা এখানেই শেষ হোক। ভালো থাকিস, অনিমেষ।”
সে বেরিয়ে আসে। বাইরের আকাশটাও ধূসর, যেন এক টুকরো মনখারাপ ছড়িয়ে আছে চারপাশে।
কিন্তু নীলা জানে, শেষ মানে সবসময় দুঃখ নয়। কখনো কখনো, তা এক নতুন শুরু।
---
গল্পের বার্তা
ভালোবাসা মানেই শুধু একসাথে থাকা নয়—ভালোবাসা কখনো কখনো কারো জন্য দরজা খুলে দেওয়া, যাতে সে নিজের পথ খুঁজে নিতে পারে। আর সেই সাহসটাই সত্যিকারের ভালোবাসাকে অমর করে তোলে।
লেখক : Loyal Man