Md Nayon Ali Naim

Md Nayon Ali Naim গল্প লেখা আমার পেশা নয়,
বরং গল্প লেখা আমার নেশা।
(1)

বাসর রাতে আমার স্বামী, আমার পেটে লা*থি দিয়ে বিছানা থেকে পেলে দেয়।এই বাক্যটাই আমার জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সত্য। এই বাক্য দি...
07/07/2025

বাসর রাতে আমার স্বামী, আমার পেটে লা*থি দিয়ে বিছানা থেকে পেলে দেয়।
এই বাক্যটাই আমার জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সত্য। এই বাক্য দিয়ে আমার নতুন জীবনের সূচনা নয়, বরং চরম এক দুঃস্বপ্নের শুরু হয়েছিল।

তবে গল্পটা এখান থেকে নয়, আরও কিছু মাস পেছনে গেলে বোঝা যাবে আমি কে, কীভাবে আমার জীবন এমন নিষ্ঠুর এক বাঁকে মোড় নিয়েছে।

আমি মিথিলা। বয়স মাত্র বিশ। আমাদের তিন বোনের সংসার। বাবা অনেক আগেই মারা গেছেন। মা নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে আমাদের বড় করেছেন। বড় আপা রিনার বিয়ে হয়েছে পাশের শহরের এক জন শিক্ষককে—মোবারক জামান। আপার শরীরটা তখন খুব একটা ভালো ছিল না। হঠাৎ একদিন মা বললেন,তুই দুইদিনের জন্য আপার বাসায় গিয়ে থাক, আমি তো তোর ছোট বোনটাকে নিয়ে হাসপাতালেই আছি।

আমি রাজি হলাম। ভাবলাম, দুইদিনের তো কথা। আপা অসুস্থ, পাশে থাকা দরকার। আমি তখন একটা টিউশনি করি, ছোট খাটো কিছু ইনকাম, মা বলেন আমি সংসারের দ্বিতীয় ভরসা।

সেদিন সন্ধ্যায় আমি আপার বাসায় পৌঁছালাম। আপা তখন জ্বর নিয়ে ঘুমাচ্ছিলো। জামাইবাবু দরজা খুললেন। স্বাভাবিক ব্যবহার, হাসিমুখ।এতদিন পরে এলে?আপার শরীর ভালো না শুনেই আসলাম।ভালো করছো, তুমি থাকলে ওর খেয়াল রাখবে।

রাতে আপার ওষুধ খাওয়ানোর পর আমি রান্নাঘরে গিয়েছিলাম পানি আনতে। পেছন থেকে একটা ছায়া এসে গলা চেপে ধরলো। আমি ভেবেছিলাম চুরি! কিন্তু পরের মুহূর্তেই বুঝলাম, এ আমার জামাইবাবু!

আমি কাঁপছিলাম, চিৎকার করতে চাইছিলাম—but শরীর জমে গেল।চুপ করো, কিছু বললে কেউ বিশ্বাস করবে না।প্লিজ... ছাড়েন…তুমি অনেক সুন্দর মিথিলা...

কোনো কথা কাজ করলো না। রাতটা একটা দুঃস্বপ্ন হয়ে গেল। সেই রাতে আমার ভেতর থেকে বিশ্বাস, নিরাপত্তা, আর আত্মসম্মান সব কিছু একসাথে মরে গেল।

পরের দিন সকালে আমি চুপচাপ ছিলাম।আপা জিজ্ঞেস করলো,তোর মুখটা এত ফ্যাকাশে কেন?”আমি বলিনি কিছু। মা বলেছিল, মেয়েদের মুখে লজ্জা থাকা ভালো। কিন্তু আজ আমি বুঝলাম, লজ্জা না বললে, অন্যায় আরও বাড়ে।

দিন গেল। এক সপ্তাহ, দু'সপ্তাহ... আমার বুকের মধ্যে একটা চিনচিনে ব্যথা। কারো চোখে চোখ রাখতে পারতাম না। ক্লাসে মন বসতো না। রাতে ঘুম আসতো নাজামাইবাবুর ছায়া সব সময় পেছনে পেছনে।

এক মাস পর, মা আমার চোখে তাকিয়ে বললেন,তুই কিছু লুকাচ্ছিস? শরীর ঠিক আছে?আমি মাথা নিচু করে রইলাম। মা কাছে এসে বললেন,সত্যি কথা বল, না বললে আমি পাগল হয়ে যাব।আমি হঠাৎ কান্নায় ভেঙে পড়লাম। সব বললাম। একটা শব্দও বাদ দিলাম না।

মায়ের চোখ বড় বড় হয়ে গেল।কি বললি তুই? জামাইবাবু…? রিনা’র স্বামী?আমি শুধু মাথা নিচু করে থাকলাম।

মা জোরে চিৎকার করলেন না, শুধু নিঃশব্দে চেয়ারে বসে পড়লেন।মনে হলো, যেন তিনি পাথর হয়ে গেলেন। মা শুধু বললেন,এই কথাটা কাউকে বলতে পারবি না। রিনার সংসার ভেঙে যাবে।

সেদিন থেকে আমি বুঝলাম, একজন মেয়ে যখন ভুক্তভোগী হয়, তখনো তাকে সমাজ শুধু বোঝায়, চুপ করো।

মা যেন নিজের ছায়া হারিয়ে ফেললেন। আমি মায়ের মুখে কোনো কথা পাই না। সেই চিরচেনা শক্ত মায়ের বদলে এক অসহায়, ভেঙে পড়া নারী বসে আছেন আমার সামনে।
তিনি বারবার নিজেই নিজের চুলে হাত দিচ্ছেন, মাথা নাড়ছেন, চোখ বন্ধ করে বসে আছেন—নিশ্চুপ।

মা হঠাৎ বলে উঠলেন,না, এ কথা কাউকে বলবি না। রিনার সংসার ভেঙে যাবে। লোকে তোকে দোষ দিবে, রিনাকে দোষ দিবে, আমাকে দোষ দিবে।

আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম।তুই চুপ থাক। আমি যা বলি, তাই করবি। এই কথা যেন আর কারো কানে না যায়। তুই জানিস না, মেয়েদের জন্য সমাজটা কেমন কঠিন। বিয়ে দিতেই হবে তোকে।
বিয়ে? কিন্তু মা—
চুপ! আর কিছু শুনতে চাই না!

পরের দিন রিনা আপাকে ডাকা হলো। আমি বুকের মধ্যে ভয় নিয়ে তাকিয়ে ছিলাম ওর মুখের দিকে। ভাবছিলাম, আপা কি আমার পাশে দাঁড়াবে?

রিনা কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলল,আমি জানি না কার ভুল, কিন্তু এখন এসব বলে কী হবে? আমার স্বামী, আমার সংসার—সব ভেঙে যাবে। আমি তো নিজেই অসুস্থ।

আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম।এই আমার বড় আপা! যে আমাকে ছোটবেলায় কোলে নিয়ে ঘুম পাড়াতো, যে বলত আমি নাকি তার চোখের মণি।আজ সে নিজের সংসারের মায়ায় আমাকে দূরে ঠেলে দিলো।

মা দিন দুয়েক পর বললেন,তোর জন্য একটা ছেলে দেখেছি। রাজি না থাকলেও কিছু করার নাই। এই কেলেঙ্কারিটা চাপা দিতে হবে।আমি কিছু বলিনি। মাথা নিচু করে রইলাম।কাঁপা কাঁপা গলায় শুধু বললাম,বাবা বেঁচে থাকলে কি তিনি এমন করতেন মা?

মা কোনো উত্তর দিলেন না।

বিয়ের দিন,,সব কিছু যেন একটা নাটক। সাজগোজ, মেহেদি, হাস্যকর, বউ সাজা।আমার ভিতরটা ফাঁকা। চোখে এক ফোঁটা জল নেই। কারণ চোখে জল আসবে—তা তো কাঁদার জায়গা থাকলে!

ছেলেটা, আমার বর—নাম রিয়াজ। লম্বা, গম্ভীর চেহারা, চোখে সন্দেহের ঝলক।আমাকে দেখে মুখ কুঁচকে উঠেছিল। বুঝতে পেরেছিলাম কিছু বলেছে হয়তো, কিন্তু তবুও বিয়েটা হয়েই গেল।

বাসর রাত,,আমি জানতাম, এ রাত আমার জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রাত হতে যাচ্ছে।রুমে ঢুকে সে দরজা বন্ধ করলো, ঘুরে তাকালো আমার দিকে।ধীরে ধীরে কাছে এল।

আমি কথা বলার সাহস জড়ালাম।একটু কথা বলবো?সে থামলো। ঠাণ্ডা চোখে তাকালো।

আমি শুরু করলাম,আপনি আমাকে চেনেন না, আমিও আপনাকে না। কিন্তু একটা কথা বলা জরুরি—যেটা না বললে আমি প্রতারক হবো।সে কপাল কুঁচকে বলল,কি কথা?

আমি চোখে চোখ রাখলাম।আমি এক মাস আগে ধর্ষ*ণের শিকার হয়েছি। আমার জামাইবাবু কাছে… আমি জানতাম না কী করব… কাউকে বলিনি। তারপর মা আমাকে জোর করে এই বিয়েতে রাজি করিয়েছে।

ঘরটা হঠাৎ যেন জমে গেল।সে ধীরে ধীরে রেগে উঠলো। চোখ লাল হয়ে গেল।তুই কী বললি?

আমি বললাম,আমি চেয়েছি আপনি যেন আগে থেকেই সব জানেন। আমি কাউকে ঠকাতে চাইনি।

সে হঠাৎ এমন এক লাথি মারলো—আমি বিছানা থেকে ছিটকে পড়লাম।তুই দুশ্চরিত্রা! তোকে কি আমার বিয়ে করার দরকার ছিল? এক কাপুরুষের ভোগ্যবস্তু হয়ে এসেছিস আমার ঘরে?

আমি ব্যথায় কুঁকড়ে উঠলেও, মুখে কোনো শব্দ বেরোল না।
সে দরজা খুলে বেরিয়ে গেল। বাইরে তালা লাগিয়ে দিল।
আমি জানতাম, আমার রাত আজ একা। আর এই রাত থেকে শুরু হবে এক ভয়াবহ অধ্যায়।

ঘুম ভাঙে দরজায় জোরে আঘাতের শব্দে।ওঠ! শুয়ে আছিস কেন এখনো? ভাবিস নিজেকে রানি?রিয়াজ।

আমি দরজার দিকে তাকিয়ে রইলাম কিছুক্ষণ, মুখ দিয়ে কোনো শব্দ বের হলো না। শরীরে ব্যথা, মনে বিষ, চোখ শুকিয়ে কাঠ। মনে হচ্ছিল, আমি একটা মানুষ না, একটা বাতিল জিনিস—যেটা কারও প্রয়োজন নেই, ভালোবাসা তো দূরের কথা।

দরজা খুলতেই রিয়াজ এক ঝলকে তাকিয়ে বলল,
তোর মতো নষ্ট মেয়েদের জন্য ঘরে জায়গা হয় না। কিন্তু আমি তোকে ঘরে এনেছি, কারণ আমার মা-বাবা কিছু জানে না। আমার মান-ইজ্জতের জন্য তোকে এখন সহ্য করছি।

আমি মাথা নিচু করে রইলাম।তোর মতো মেয়েদের জন্য হাসপাতালে আলাদা বেড থাকা উচিত—যেখানে আগে শুচি করা হয়, তারপর স্বামীকে দেওয়া হয়।

তার কথা শেষ হতে না হতেই সে এক চড় কষাল গালে। আমার কানের পাশে টনটন করতে লাগলো। চোখে ঝাপসা হয়ে এল চারপাশ।

দিনের পর দিন,,রিয়াজ ঘরে ফিরতো গভীর রাতে। চোখ লাল, শরীরে মদের গন্ধ।আমি দরজা খুলে দিলে বলত,
তুই এখনও ঘুমাসনি? খোশামোদ করিস?

তারপর শুরু হতো মারধর। কখনো গলায় চেপে ধরা, কখনো দেয়ালে ঠেলে ফেলা। খিদের যন্ত্রণা, ঘুমহীন রাত, আর অজানা আতঙ্ক—সব মিলিয়ে আমি যেন একটা জীবন্ত লাশ।

একদিন হঠাৎ বমি আসলো। অনেকক্ষণ পরে বুঝলাম—আমি গর্ভবতী।আমি ভয়ে কেঁপে উঠলাম। আমি নিজেই তো জানি না আমার শরীর এখনো কিভাবে টিকে আছে।

বুক কাঁপতে কাঁপতে বললাম,আমি… আমি মা হতে চলেছি।
রিয়াজ থেমে গেল কিছুক্ষণ। তারপর ফুঁ দিয়ে বলল,তুই পাগল? তোকে আমি মা বানাবো? এই নোংরা শরীরে আমার সন্তান?

পরদিন আমাকে হাসপাতালে নিয়ে গেল। কোনো কথা না বলে আমাকে জোর করে ভিতরে পাঠিয়ে দিল।
চোখে চোখ রেখে বলল,এই বাচ্চা নষ্ট করিয়ে বাড়ি ফিরবি, নয়তো ঘর ছাড়বি।

আমি সেদিন নিজের পেটের ভেতরে থাকা নিষ্পাপ প্রাণের কান্না শুনতে পেলাম।কিন্তু আমি কিছুই করতে পারলাম না।

নিরবতার সংসার,,রিয়াজের মা-বাবা দূরে থাকেন, এখনো জানেন না কিছু। রিয়াজ বাইরে মেয়েদের সঙ্গে রাত কাটিয়ে আসে, আর আমি ঘরে বসে থাকি—নির্যাতনের পরিণতি নিয়ে।

একদিন রিয়াজ বলে বসল,তুই আমার কাছে একটা দেহ ছাড়া কিছু না। তোকে রাখছি শুধু লোক দেখানো বউ হিসেবে। কথা বলবি না, ঘর পরিষ্কার রাখবি, আর যা বলি করবি।আমি কিছু বলিনি।এই নীরবতা এখন আমার সঙ্গী।

ভাঙনের শুরু,তিন মাস হয়ে গেল।শরীরে শক্তি নেই। মনেও না। কেবল একটা ইচ্ছে জাগে—পালিয়ে যেতে। কোথাও চলে যেতে, যেখানে কেউ প্রশ্ন করবে না, কেউ অপমান করবে না।

একদিন রাতে নিজের আয়নায় তাকিয়ে দেখলাম, মুখটা চেনা যায় না। কালো দাগ, ফোলা চোখ, শুকনো ঠোঁট।আমার ভেতরে একটা আগুন জ্বলতে শুরু করলো।
এই আমি না। আমি এমন না। আমি মিথিলা।যে অন্যায়ের সামনে মাথা নত করতো না।
(চলবে.?)
#সতিত্বের_কালো_দাগ
কলমে: #মিঃআরিয়ান_নূর
#সূচনা_পর্ব
ভুলত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন, সবাই গল্প পড়ে রেসপন্স করবেন, আপনাদের রেসপন্স না পেলে নিয়মিত চালিয়ে যাবো, না হলে এখানে শেষ, সবাই লাইক কমেন্ট করে রেসপন্স করবেন🤍

Story: 💕💕💕ম্যাম-যখন-বউ 💕💕💕Part 0️⃣1️⃣(((ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে, আমার অবস্থা সেম কেউ কিছু মনে নিয়েন না ওকে আপনারা তো ...
07/07/2025

Story: 💕💕💕ম্যাম-যখন-বউ 💕💕💕
Part 0️⃣1️⃣

(((ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে, আমার অবস্থা সেম কেউ কিছু মনে নিয়েন না ওকে আপনারা তো অনেক ভালো তাই উল্টাপাল্টা কিছু মনে করবেন না ওকে,, আমার নাম দিলাম,,,)))

আনিকা: আব্বু আব্বু টুমি তাঁদথো ত্যানো?

না মামুনি , এমনি।।।(চোখের পানি মুছে)

আনিকা: ও,,,, টুমি কলেদে দাবে না??

হুম মামুনি যাবো তো।।। চলো তোমাকে খাইয়ে দি ,,, তারপর রেড়ি হয়ো বাবা মেয়ে মিলে বেরিয়ে যাবো।।।

আনিকা: হুঁ,,(গালে একটা চুমু দিয়ে)

আমিও দুই টা চুমু দিলাম কপালে,,, তারপর টেবিলে এসে খাবার নিয়ে সোফায় আনিকা কে কোলে নিয়ে বসলাম।। আনিকা কে খাইয়ে দিতে লাগলাম , আনিকা আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে আর খাচ্ছে।।।

তখন কি হয়েছিল বলছি।। তখন আব্বু আম্মুর আর আমার বোন তিশার ছবি দেখছিলাম আর কাঁদছিলাম
আজ তিন বছর ধরে দুরে আছি।। আমাকে ভুল বুঝে বাসা থেকে বের করে দিয়েছিল।।আর আনিকা হচ্ছে আমার মেয়ে ওর বয়স তিন বছর দুই মাস চলছে।।কথা বলতে পটু। কিন্তু স্পষ্ট ভাবে কথা বলতে পারে না।।। আমি এবার অনার্স তৃতীয় বর্ষে।।। আমার নাম আব্দুল আলিম, সবাই আলিম নামেই ডাকে,,,,হয়তো ভাবছেন আমার পড়া লেখার খরচ আমার খাওয়া খরচ কিভাবে চলে।।।
আমি অনলাইনে কাজ করি ওখান থেকে মাসে ৫০০০০ পায় ঔ টাকা দিয়ে আমরা বাবা মেয়ের চলে যায়।। যেগুলো টাকা বাঁচে সেগুলো জমিয়ে রাখছি এটা ভেবে যে কোন একটা বিজনেস করবো।।।

আনিকা কে খাওয়ানো শেষ,,,
মামুনি তুমি টিভিতে কার্টুন দেখো ।। আমি খেয়ে নি।।।

আনিকা: হুঁ।।

খাওয়া দাওয়া শেষ করে কলেজ যাবার জন্য রেডি হলাম।।মামুনি চলো তোমাকে রেডি করে দি।।

আনিকা:হুম।।

উয়াও আমার মামুনি কে তো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে।।।

আনিকা:থত্যি।

হুম,,আয়ানার সামনে ওকে কোলে নিয়ে দাঁড়ালাম ,এই দেখো।।।

আনিকা: হুঁ,,

আনিকা কে একটা কালো স্কাপ আর নীল রঙের জামা।আর নীল রঙের জুতা।।।
অনেক সুন্দর লাগছে,, এমনিতেই দেখতে অনেক সুন্দর। লিপস্টিক পছন্দ না তাই ওগুলো ওকে দিয়ে দেয় না।।।

মামুনি চলো এবার যাওয়া যাক।।

আনিকা: হুঁ,,

আনিকা কোলে নিয়ে কাঁধে ব্যাগ নয় বাসায় তালা দিয়ে হাঁটতে লাগলাম।। এখানে থেকে কলেজ ৭ মিনিট এর রাস্তা হবে।।।

আনিকা আমার গলা জড়িয়ে ধরে আছে,,

আনিকা: আব্বু তকলেট খাবো।।

ওকে,, দোকান গেলাম,,মামা চকলেট দেন তো।।।

দোকানদার: আনিকা মামুনি কে তো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে।।

মুচকি হাসলাম,, এই নেন টাকা। আবার হাঁটতে লাগলাম এসে বন্ধুদের কাছে গেলাম।।।কিরে কি অবস্থা তোদের।।

হুম ভালো।।

আসিক: তুমি কেমন আছো আনিকা??

আনিকা: আলহামদুলিল্লাহ যদিও ভালো করে বলতে পারে না,টুমি তেমন আছো।।।

আসিক: হুম আমিও ভালো,,, (হেসে) তোমার আব্বু তো তোমায় অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে নিয়ে আসছে।।। আমার যে ছেলে যে নাই না হলো তোমাকে আমার ছেলের বউ বানাইতাম।।।

আনিকা: আব্বু বউ কি?

রেগে আসিক এর দিকে তাকালাম।। বড় হবা তখন বুঝবা মামুনি।।।

আনিকা: ও,,

হুম,, এখন পিচ্চি ওর সামনে তোরা এগুলো বলিস না।।।

নাজমুল: আচ্ছা আর বলবো না,,এই হালা তো একটু বেশি বকবক করে।।

আনিকা: আব্বু হালা কি?

রেগে নাজমুল এর দিকে তাকালাম।।

নাজমুল:এটা তেমন কিছু না,,, আচ্ছা তুমি আমার কোলে এসো।।।

আনিকা:না দাবো না।।।

নাজমুল:এসো না,,,

যাও মামুনি ওটা তো তোমার চাচ্চু না ।।

আনিকা: হুঁ,,,

তাহলে যাও।।

আনিকা:হুম।

আসিক:তোকে পিকে স্যার কি জন্য ডেকেছেন।।

নাম টা ভালো করে বল,যতোই হোক উনি আমাদের শিক্ষক ।।

আসিক: হুম,বলবো।। যেদিন শশুর বানায় তে পারবো।।।(হেসে)

কোন দিন পারবি না,,,মামুনি তুমি থাকো আমি একটু আসছি।।।

আনিকা: ওকে,,

একটু এগিয়ে যেতে কারো সাথে ধাক্কা লেগে পড়ে গেলাম।। সামনে তাকিয়ে দেখি একটা মেয়ে, অনেক সুন্দর কিন্তু আজ প্রথম দেখছি আমাদের কলেজ।।।।

কিছু বলার আগেই উঠে এসে কয়েকটা বসিয়ে দিল,,

চারদিকে যেন নিস চুপ হয়ে গেল।।।
আবার আমাকে বলার সুযোগ না দিয়ে।।

মেয়ে:বিয়াদব ছেলে মেয়ে দেখলেই ধাক্কা দিতে মন চায়।।লুচ্চা কোথাকার তোর বাসায় কি মা বোন নেই।।।।

সরি আমি দেখতে পাইনি।।।

মেয়ে:তোর সরি তোর কাছে রাখ, ইচ্ছে করে ধাক্কা দিয়ে আবার সরি বলতে আসছে।। তোদের মত ছেলেদের চরিত্র টাই এমন।।।

সরি, সত্যি আমি আপনাকে দেখি নাই।।।

নাজমুল আসিক আমার কাছে আসলো ,,,

নাজমুল কাছে থেকে আনিকা আমার কাছে এসে কেঁদে দিলো।।।

মামুনি তুমি কাঁদছো কেনো?

আনিকা:এই আন্টি তি অনেত পতা তোমাকে মাললো।।।(কেঁদে কেঁদে)

আরে তেমন কিছু হয়নি, তুমি কান্না থামাও।।।। (চোখ মুছিয়ে দিতে দিতে)

নাজমুল: দেখুন আপনি কে জানি না, কিন্তু এভাবে থাপ্পর মারা ঠিক হয়নি।।। আর চরিত্রের কথা বলছেন।।। আমার তো মনে হয় এই কলেজ খুঁজে এর মত ভালো ছেলে খুঁজে পাবেন না।।।

সবাই অনেক কথা বললো মেয়েটা কে।। সবাই জানে আমি কেমন।।
মেয়েটা মাথা নিচু করে আছে।।

তখনই পিকে স্যার থুক্কু পেন্সিপাল স্যার এলো ।। কেনো যে সবাই পেন্সিপাল স্যার ক পিকে বলে বুঝাতে পারি না,,

পেন্সিপাল:কি হয়েছে এখানে।।
মৌ মা তুই এখানে।।।

সবাই একটু অবাক হলাম, জানি স্যার দুই টা মেয়ে, একটা এবার অনার্স প্রথম বর্ষে ।জানি যে স্যারের আরো একটা মেয়ে আছে, কখনো দেখি নাই, শুনেছিলাম বাইরে পড়াশোনা করে আর শেষ হলে এখানে চাকরি করবেন।‌। কিন্তু এটা ,হয়তো হবে।। না হলে মা বললো কেনো?

না স্যার তেমন কিছু হয়নি।।।
সবাই চলে গেলো।।

আসিক:এটাই তাহলে স্যারের বড় মেয়ে।। (আস্তে আস্তে)

নাজমুল: হয়তো হবে।।।

আনিকা কাঁদছিল, ওকে কোনো ভাবে চুপ করালাম।।

মেয়েটা মানে স্যারের মেয়ে মৌ, স্যারের সাথে অফিসে গেলো ।।।।

স্যার: ওখানে কি হয়েছিল।।।।

মৌ:ছেলেটা সাথে ধাক্কা লেগে ,, তারপর দুজন পড়ে যায়। আমি রেগে কয়েকটা থাপ্পর মারি আর অনেক কথা শুনায়।

স্যার:কোন ছেলেটা??

মৌ:যে বলছিলো না, কিছু হয়নি স্যার,ঔ।।

স্যার: আব্দুল আলিম,,(নিজের নাম দিতে কেমন কেমন লাগছে।। উল্টাপাল্টা ভাবে নিয়েন না,,)

মৌ:নাম জানি না কিন্তু ছেলেটা বাচ্চা কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল।।

স্যার:তাহলে আব্দুল আলিম হবে,, ছেলেটা অনেক ভালো,ওর সাথে তোর এমন করা ঠিক হয়নি।।।

মৌ:সবার ওভাবে ওর পক্ষে সাপোর্ট করাতে বুঝলাম,,, সরি বলে দেবো।।

স্যার: হুম,, কলেজে কি করতে আসা হয়েছে।।।

মৌ:আজ আমার প্রথম দিন কলেজে জানো না।।‌

স্যার:এই রে একদম ভুলে গেছি,,

মৌ: তুমি কখন কোন কিছু মনে রাখো।।। কেমনে যে তুমি এই চাকরি টা পাইছো আল্লাহ জানেন।।।

স্যার: আমাকে অপমান করছিস।।।

মৌ:না তো।।।আর ক্লাস শুরু হয় কখন থেকে।।।

স্যার:আর পাঁচ মিনিট পরে থেকে শুরু হবে,,

মৌ:ওহ্।।

আমরা ক্লাসে চলে এলাম।।

প্রথম ঘন্টা পর হলো, দ্বিতীয় ঘন্টায় পেন্সিপাল স্যার আর মৌ এলো।।

স্যার কে সবাই সালাম দিলাম।।।

স্যার ও উত্তর দিলেন।।।

স্যার: তোমার কেমন আছো?‍

জি স্যার ভালো, আপনি।।(সবাই)

স্যার: আমিও ভালো,,এটা হচ্ছে আমার মেয়ে মৌ,আজ থেকে এই তোমাদের ইংরেজি ক্লাস নিবে।।।

স্যার আর একটু কথা বলে চলে গেলেন।

ম্যাম আমার কাছে এসে বললেন।।।

মৌ ম্যাম:সরি।।। তখন তোমার সাথে এমন করার জন্য।।।

ম্যাম সরি বলার কিছু নেই, আমার ও ভুল ছিল।।না হলে কি ওই রকম করতেন আমার সাথে।।।। আপনার উপর কোন অভিযোগ বা কোন রাগ নেই।।।

ম্যাম আর কিছু বললেন না।। চুপ করে চলে গেলেন ওনার জয়গায় ।। তারপর বললেন,

ম্যাম: আমার সম্পর্কে সবাই জানলে তাও বলছি, এতো দিন বাইরে লেখা পড়া করেছে, অনেক আগে থেকেই ইচ্ছে ছিল এখনে জব করার ,তাই লেখাপড়া শেষ করে এখানে জব নিলাম, আমার নাম মৌ, তোমাদের ইংরেজি ক্লাস নিবো, এবার তোমাদের সবার পরিচয় দাও।।।

একে একে সাবার পরিচয় নেওয়া শুরু হলো,এক সময় আমার পালা এলো।

ম্যাম: তোমার নাম আব্বুর কাছে শুনলাম, কিন্তু এটা কার বাচ্চা?

জী ম্যাম এটা আমার মেয়ে ।।।

ম্যাম: মানে,কি বলছো।।

জা শুনলেন তাই।।।

ম্যাম: ওহ্,তো ওকে নিয়ে আসছো কেনো,ওর মায়ের কাছে রেখে আসতে।।

ওর মা নেই, মানে আমার কেউ নেই।।।

ম্যাম: কেনো কি হয়েছে??

ব্যক্তিগত সম্পর্ক বলতে ইচ্ছুক না,না জানতে চাইলে খুশি হবো।।

ম্যাম:ওকে,

তারপর বাকিদের ও পরিচয় নিয়ে শেষ করলেন,,, তারপর ক্লাস থেকে চলে গেলেন।।।

আনিকা: আব্বু বাইলে তলো।।।

হুম,মামুনি।।। তখন আরেক স্যারের আগমন।।

স্যার: কোথায় যাবে আলিম।।।

স্যার একটু বাইরে যাব, পাঁচ মিনিট পর আসছি।।

স্যার: ওকে যাও।।

হুম,,, পাঁচ মিনিট ঘোরাঘুরি করে আবার ক্লাস গেলাম।।

বিকেলে,,,

মামুনি চলো ঘুরতে যাবো।।

আনিকা: হুঁ,তলো ।।

কাছেই কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে বাসায় ফিরলাম।।। রাতে রান্না শুরু করলাম।।

তানহা:আপু এই আপু।।

মৌ: হুঁ বল।।

তানহা:এতো কি ভাবছো।।।

মৌ:আজ কলেজে কি কি ঘটলো সেগুলো।।

তানহা: ওহ্,,, তোমার কিন্তু আলিম এর সাথে এমন করা ঠিক হয়নি।।

মৌ: হুম,, কিন্তু একটা জিনিস বুঝতে পারছি না।।

তানহা:কি??

মৌ: আলিম বললো ওটা ওর মেয়ে।।

তানহা: হুম,,, কেনো কি হয়েছে??

মৌ:ও কলেজে পড়ছে আবার ওর মেয়ে আছে আবার বলছে ওর পরিবারে কেউ নেই, এমনকি ঔ বাচ্চাটার মাও নাই।।।

তানহা:এটা একসময় সবার প্রশ্ন ছিলো , এখন আর কেউ এ প্রশ্ন করে না।।।

মৌ: কেনো ও কি বলেছে,,,

তানহা:না কাউকে কিছু বলেনি,, হয়তো ওর বন্ধুরা জানে সেই সম্পর্কে,
তবে শুনেছি, মেয়েটা ওর কাছে বড় হয়েছে সেই ছোট থেকে।।তাই সবাই ধরে নিয়েছে ওটা ওর মেয়ে।।।

মৌ: ওহ্,,

তানহা:হুম,,,

আন্টি:এই তোরা খেতে আই।।

মৌ:আসছি আম্মু।।।

চলবে 👈👈👈👈👈
কেমন হয়েছে কমেন্ট করে জানাবেন,, বাকি পর্ব গুলো পরতে চাইলে ফলো করে সাথেই থাকুন, 👉 গল্পের ঝুড়ি

রিক্সা চালাই। বিয়ে করেছিলাম আজ থেকে এক বছর আগে।আমার মতই এক গরীবের মেয়েকে বউ করে এনেছিলাম আমি।অভাবের সংসারটা খুব সুন্দর ক...
07/07/2025

রিক্সা চালাই। বিয়ে করেছিলাম আজ থেকে এক বছর আগে।আমার মতই এক গরীবের মেয়েকে বউ করে এনেছিলাম আমি।

অভাবের সংসারটা খুব সুন্দর করে সাজিয়ে নিয়েছিলো ও।বুঝতে পারি বউ আমায় খুব ভালবাসে।

আমি যখন রিকশা নিয়ে বাড়ি ফিরি,ও আমার জন্য গোছলের পানি তুলে দেয়।মাঝেমাঝে আমিও অবশ্য তুলে দেই।

বাড়িতে কারেন্ট নাই,খেতে বসলে ও পাখা দিয়ে বাতাস করে।

গরমের রাতে দুজনে অদল বদল করে পাখা দিয়ে বাতাস করি,ভবিষ্যৎটাকে সাজানোর গল্প করি দুজনে।

গল্প করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে যেতাম বুঝতে পারতামনা।

রিক্সায় বড়বড় সাহেবরা তাদের বউকে নিয়ে উঠত।

দুজনে মিলে অনেক গল্প করত। সাহেবদের কাছে শুনতাম তারা যেদিন বিয়ে করেছে সেদিন আসলে তারা নাকি অনুষ্ঠান, পার্টি না কি জানি করে,

এই সব আমার জানা নেই। যখন শুনতাম আমারো ইচ্ছে করত বউকে একটা শাড়ী কিনে দিতে।বউকে যে খুব ভালবাসি আমি।

কিন্তু পারিনা।অভাবের সংসার, দিন আনি দিন খাই।তাই একটা মাটির ব্যাংক কিনেছিলাম।

ওটাতে রোজ দুচার টাকা করে ফেলতাম।

দেখতে দেখতে অভাবের সংসারে আজ একটা বছর হয়েগেল।

আজ সকালে রিক্সা নিয়ে বের হবার আগে বউ যখন রান্না ঘরে গেল তখন বউকে না জানিয়ে লুকিয়ে রাখা মাটির ব্যাংকটা বের করে ভেঙ্গে দেখলাম সেখানে প্রায় ৪৮০ টাকা হয়েছে।

বাসা থেকে বের হবার আগে বউকে বলেছিলাম, আজ বাড়িতে ফিরতে দেরী হবে। বউ মাথা নাড়ে,বলে ভালো কইরা থাকবেন।

চলেগেলাম রিকশা নিয়ে। সারাদিন রিক্সা চালিয়ে সন্ধ্যা সাতটায় মার্কেটে গিয়েছিলাম বউয়ের জন্যে একটা শাড়ী কেনার জন্য। আজরাতে বউকে দিব।

ঘুরে ঘুরে অনেক শাড়ীই দেখছিলাম,পছন্দ হয় কিন্তু দামের জন্য বলতে পারিনা।

অবশেষে দোকানীকে বললাম,

ভাই এই কাপড়টার দাম কত

১৫০০ টাকা।

আমার কাছে তো আছে মাত্র ৪৮০ টাকা।তাই ফিরে আসলাম।

মার্কেট থেকে বের হয়ে বাহিরে বসে থাকা দোকানদারদের থেকে ৪৮০ টাকায় একটা শাড়ী কিনে নিয়ে বাড়িতে চলে আসি।

মাঝেমধ্যে ভাবি,এই দোকান গুলো যদি না থাকত,তাহলে কত কষ্ট হত আমাদের মত গরিবদের।

ফুরফুরে মেজাজে বাড়িতে ঢুকলাম। অনেকদিন পর বউকে কিছু একটা দিতে পারব,ভাবতেই বুকটা খুশিতে ভরে উঠছে বারবার।

রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পরার ভান করে শুয়ে আছি।

বারটা বাজার অপেক্ষায় চোখ বন্ধ করে আছি। কল্পনার জগতে ভাসছিলাম,বউকে দেবার পর বউ কি বলবে
কতটা খুশি হবে

রাত বারটা বেজে গেল।বউকে ডেকে তুললাম। ডেকে তুলে বউয়ের হাতে শাড়ীটা তুলে দিয়ে বললাম, বউ আজ আমাদের বিবাহ বার্ষিকী।

আজকের তারিখে তুমি আমার এই কুড়ে ঘরটাতে এসেছিলে।

আমার পক্ষথেকে তোমার জন্য এই ছোট্ট উপহার।

বউ শাড়িটা বুকে জড়ায়,চোখ দিয়ে পানি ঝরতে থাকে ওর।

তারপর উঠে গিয়ে ট্রাঙ্কটা খুলে শাড়িটা রেখে দেয়।

তারপর কি যেন বের করে।উঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করেও দেখতে পাইনা।

বউ ট্রাঙ্কটা বন্ধ করে আমার হাতে একটা লুঙ্গি দিল।কিছুটা অবাক হয়ে গেলাম আমি।

কারন টাকা পেল কোথায়
জিজ্ঞাসা করলাম,

টাকা পেলে কোথায় তুমি

অনেকদিন আগে থেকে প্রত্যেকদিন একমুঠ করে চাল খাবারের চাল থেকে আলাদা করে জমিয়ে রাখতাম।জমিয়ে জমিয়ে কিছুদিন আগে পাশের বাসার ভাবির কাছে বিক্রি করে দিছি।

সেই টাকা দিয়ে লুঙ্গি কিনছি।ভাবছিলাম আজকে দিব, আপনি তো এসেই ঘুমিয়ে পরলেন।তাই ঠিক করছিলাম কাল সকালে দিবো।

আমি কিছু বলতে পারলামনা।শুধু লুঙ্গিটা উল্টিয়েপাল্টিয়ে দেখছিলাম।

তারপর বললাম,শুনছি বড় সাহেবরা নাকি বিয়ের দিন তারিখে কেক কাটে।

বউ বলে,আমাদের কি অত টাকা আছে

বাসায় মুড়ি আছে।

আছে।

যাও সরিষার তেল দিয়ে মুড়ি নিয়ে এসো।সাথে একটা কাঁচামরিচ আর একটা পিয়াজ আনিও।

আচ্ছা দাড়ান আনতেছি। টিনের ফাক আর জানালা দিয়ে চাঁদের আলো আসতেছে।দুজন জানালার পাশে বসে মুড়ি খাচ্ছি,

আমাদের প্রথম বিবাহ বার্ষিকী পালন করছি ছোট ছোট গিফট আর অফুরন্ত ভালবাসায় বেঁচে থাকুক আমাদের মত রিকশা ওয়ালাদের জীবন।
-কালেক্টেড

সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আপনারা যারা গল্প পড়তে, বা পোস্ট করতে পছন্দ করেন তারা আমাদের গ্রুপে জয়েন হয়ে গল্প পড়তে বা পোস্ট করতে পারেন ধন্যবাদ 😊,👇👇

👉👉 মিষ্টি ভালোবাসার রোমান্টিক গল্প 💙

◆একটি শিক্ষামূলক গল্প ◆একটি মেয়ে বিবাহিত জীবনে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলো এবং তার স্বামীকে হত্যা করতে চাচ্ছিলো। একদিন সকালে ...
07/07/2025

◆একটি শিক্ষামূলক গল্প ◆

একটি মেয়ে বিবাহিত জীবনে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলো এবং তার স্বামীকে হত্যা করতে চাচ্ছিলো। একদিন সকালে সে তার মায়ের কাছে দৌড়ে গিয়ে বললো- “আমি আমার স্বামীকে নিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি, আমি আর তার বাজে কথা সমর্থন করতে পারছি না। আমি তাকে হত্যা করতে চাই, তবে আমি ভয়‌ও পাচ্ছি যে দেশের আইন আমাকে দায়ী করবে। তুমি কি দয়া করে এ বিষয়ে সাহায্য করতে পারো, মা?”

মা উত্তর দিলেন- “হ্যাঁ, আমি তোমাকে সাহায্য করতে পারি। তবে তার আগে কয়েকটি কাজ আছে যা তোমাকে করতে হবে।”

মেয়ে জিজ্ঞাসা করলো- “কি কাজ মা? আমি তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য যে কোনো কাজ করতে প্রস্তুত আছি।”

মা বললেন- “ঠিক আছে, তাহলে শোনো:-

১. তোমাকে প্রথমেই তার সাথে শান্তি স্থাপন করতে হবে, যাতে সে মারা যাওয়ার পর কেউ তোমাকে সন্দেহ করতে না পারে।

২. তার কাছে তরুণ এবং আকর্ষণীয়া দেখাবার জন্য তোমাকে সুন্দর করে সেজে থাকতে হবে।

৩. ভালো করে যত্ন নিতে হবে এবং তার প্রতি সদয় ও কৃতজ্ঞ হতে হবে।

৪. তোমাকে হিংসা কমিয়ে ধৈর্য ধরতে হবে; বেশি মনোযোগী হতে হবে, আরও শ্রদ্ধাশীল এবং বাধ্য হতে হবে।

৫. প্রয়োজনে নিজের টাকা তার জন্য ব্যয় করবে এবং রাগ করা যাবে না, এমনকি সে যদি তোমাকে কিছু দিতে অস্বীকৃতি জানায়, তবুও।

৬. তার সাথে উচ্চস্বরে কথা বলা যাবে না, সবসময় শান্তি এবং ভালবাসা বজায় রাখতে হবে। যাতে সে মারা গেলেও তোমাকে কেউ সন্দেহ করতে না পারে।

৭. তার কোন চাওয়া পাওয়া অপূর্ণ রাখবে না। সে যেভাবে পছন্দ করে সেভাবে চলবে এবং তার পছন্দের খাবার বানিয়ে দিবে।”

এরপর মা জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি এগুলো সব করতে পারবে?”

মেয়ে জবাব দিল, “হ্যা, আমি পারবো।”

মা বললেন, “ঠিক আছে, তাহলে এই পাউডারটা নিয়ে যাও এবং প্রতিদিন তার খাবারের সাথে খানিকটা করে মিশিয়ে দিবে; এটাই ধীরে ধীরে তাকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাবে।”

৩০ দিন পর মেয়েটি তার মায়ের কাছে ফিরে এসে অত্যন্ত দুঃখের সুরে মিনতি করে বললো “মা, এখন আর স্বামীকে হত্যার কোনও ইচ্ছা আমার নেই। আমি এখন তাকে ভালোবাসতে পেরেছি কারণ সে পুরোপুরি বদলে গেছে। সে এখন আমার কল্পনার চেয়েও খুব ভালো স্বামী। এখন তাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে আমি কী করতে পারি? আমাকে সাহায্য কর!”

মা উত্তরে বললেন- “ভয়ের কিছু নেই, তুমি চিন্তা করো না। ঐদিন আমি যে পাউডার তোমাকে দিয়েছিলাম তা ছিলো হলুদের গুঁড়া। যা কখনই তার মৃত্যুর কারণ হবে না। সত্যি কথা বলতে কি- তুমি নিজেই ছিলে এমন একটি বিষ যা ধীরে ধীরে তোমার স্বামীকে উত্তেজিত এবং হতাশাগ্রস্থ করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছিলো।”

শিক্ষা:- সর্বপ্রথম নিজের ভুল বা দোষগুলো চিহ্নিত করে সংশোধন করা।

সংগৃহীত

 #হিম_শীতল   পর্ব_২  #অনামিকা_আহমেদ- স্যার, আপনি এখন আমাকে অপ*মান করছেন। আমি মানছি আমার হাত থেকে কফি পড়ে আপনার শার্টে ল...
07/07/2025

#হিম_শীতল পর্ব_২ #অনামিকা_আহমেদ

- স্যার, আপনি এখন আমাকে অপ*মান করছেন। আমি মানছি আমার হাত থেকে কফি পড়ে আপনার শার্টে লেগেছে। কিন্তু এখানে দোষ*টা কি শুধুই আমার? আমি অন্য দিকে তাকিয়ে ছিলাম, তাই আপনাকে দেখতে পাইনি। কিন্তু আপনি তো এদিকে সোজা হাঁটছিলেন। তবে আপনার তো আমাকে দেখার কথা। তাহলে সম্পূর্ণ দোষ*টা আমার ঘাড়ে চাপানো ঠিক হচ্ছে বলে আমার মনে হচ্ছে না। তবুও আমি আপনার কাছে ক্ষ*মা চেয়েছি ভদ্রতার খাতিরে। কিন্তু আপনি সেই থেকে আমাকে কথা শুনিয়েই যাচ্ছেন।

শীতলের জোরালো যুক্তির মুখে নতুন প্রফেসরের অভি*যোগগুলো টিকে না। এতগুলো স্টুডেন্টদের সামনে এক হাঁটুর বয়সি মেয়ে কাছে হেরে যাবে সে, না এ কিছুতেই হতে পারে না। হোক সে ভু*ল কিন্তু মানুষকে দমিয়ে রাখার স্বভাব তার শিরা উপশিরায় বহমান। আজ শীতলের সামনে মাথা নত করে মানে সারা জীবনের জন্য তার কাছে ছোট হয়ে হওয়া। ভু*ল তার হলেও সে নিজের ভুল স্বীকার করবে না।

- বেয়াদ*বির একটা সীমা থাকা উচিত। টিচারের সামনে কি করে কথা বলতে হয় জানো না দেখছি। আর জানবেই বা কি করে? গ্রামে তো এসব আদব কায়দা শিখানো হয়না। যত্তসব অশি*ক্ষিত, গেঁয়ো ভূত।

এতক্ষণ শীতল মাথা নিচু করে থাকলেও এবার আর পারে না। মেরুদণ্ড সোজা করে প্রফেসরের চোখে চোখ রেখে তাকায় সে। তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটা কতটা নিচু মন মানসি*কতার সেটা বোঝার বাকি নেই তার। ফিটফাট পোশাক পরলেই যে মানুষ সভ্য হয় না সেটা এই চরিত্রকে না দেখলে শীতল জানতে পারত না।

শীতল বড় একটা শ্বাস ছেড়ে একটা বাকা হাসি দিয়ে বলে ,

- ঠিক বলেছেন স্যার। গ্রামের মানুষ মূ*র্খ, তাই তারা শহরের মানুষের মতো চাটুকা*রিতা করতে পারে না, মি*থ্যা অভিনয় করতে পারে না। গ্রামে আমাদের শেখানো হয় যেনো আমরা অন্যা*য়কে কখনও প্রশ্র*য় না দেই। তাই হয়তো আপনার কাছে আমার যুক্তিযুক্ত কথাগুলো বেয়া*দপি সদৃশ। আমিও ভেবে পাই না, ঢাকা মেডিকেলের মত প্রতিষ্ঠানে আপনার মত অহং*কারী ও দা*ম্ভিক মানুষ শিক্ষকতা করার সুযোগ পায় কি করে?

শীতলের বলা প্রতিটা কথা যেনো নতুন প্রফেসরের গায়ে এসি*ডের মত লাগে। রা*গে যে তার শরীরটা জ্ব*লে যাচ্ছে সেটা তার চোখ মুখ দেখে খানিক আন্দাজ করা যায়। ছেলে মানুষের এমন ভ*য়াল রূপ সাধারণত মেয়েদের ভ*য়ের কারণ হলেও শীতল বিন্দু মাত্র ভ*য় পাচ্ছে না। পূর্বের ন্যায় শক্ত চোখে সে তার স্যারের আপাদমস্তক খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে।

নতুন স্যার এবার শীতলের দিকে কয়েক কদম এগিয়ে গিয়ে তার গলায় ঝোলানো আইডি কার্ডটা হাতে নেয়। তারপর সেটার দিকে তাকিয়ে এক অদ্ভু*ত কিন্তু ভয়ং*কর হাসি দিয়ে আবারও শীতলের দিকে তাকায়।

- নাইস, আমার ডিপার্টমেন্ট। কালকের এনাটমির ক্লাসটা আমার। So be prepared Miss Sh*tol. আমিও দেখব তুমি কি করে এনাটমির ক্লাসটা শান্তিতে করতে পারো।

কথাটা শেষ করে স্যার আবারো নিজ গন্তব্যের দিকে পা বাড়ায়। শীতল কিছুক্ষণ স্যারের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। তারপর তার আশেপাশের ভিড়ের দিকে চেয়ে সে বলে,

- রঙ্গ দেখা শেষ হলে যে যার কাজে যাও।

শীতলের কন্ঠটা ঠান্ডা কিন্তু জোরালো। তাই হয়তো কেও তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করার কিন্তু কথা শোনানোর ফুরসৎ পায় না। নিজেদের মত আজেবা*জে কথা বলাবলি করতে করতে তারা সরে যায় সেখান থেকে।

ভিড় কমলে একটু দূরে দাঁড়ানো সাদা সালোয়ার পরা একটা মেয়ে শীতলের কাছে আসে। মেয়েটার নাম কুহু। শ্যামলা, ছিমছাম শরীর,মুখের গড়ন মন্দ নয়। তার ঘনও কালো চুল গুলো দুর থেকে সকলের দৃষ্টি কাড়ে।

কয়েকদিন হলো ফার্স্ট ইয়ারের ক্লাস শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই শীতলের সাথে কুহুর দেখা হয়েছে, কথাও হয় মাঝে মাঝে। কুহু মেয়েটা একটু চুপচাপ, বই পড়েই কাটিয়ে দেয় তার সারা দিন। তবুও বই পড়ার ফাঁকে ফাঁকে শীতলের সাথে হালকা আলাপচারিতা তার ম*ন্দ লাগে না।

- শীতল, এই স্যার টা মনে হয় অনেক রা*গী। তোমার বোধয় ওনার সাথে তর্ক করাটা ঠিক হয়নি। ছেলে মানুষ , রে*গে গেছেন অনেক। এখন যদি প্রিন্সিপাল স্যারের কাছে বিচার দেন তাহলে?

কুহুর ভয়া*র্ত কন্ঠ শুনে শীতলের চুখ ছোট ছোট হয়ে যায়। নাকটা একবার টেনে সে বলে,

- ওনার দিতে মন চাইলে দিবেন। আমি এসব ভ*য় পাই না।

- তুমি ভয় পাচ্ছো না? যদি তোমায় রাষ্ট্রিগেট করে দেয়, তখন?

- আর মেয়ে তুমি এত ভী*তু কেনো? যা হবার হবে। তুমি তোমার কফি শেষ করে, ঠান্ডা হয়ে গেছে মনে হয়। আমায় তো আবার নতুন আরেক কাপ কফি কিনতে হবে। আগেরটা তো জলে গেলো।

___________________________________________

বিশালাকায় অন্ধকার রুমটা আসবাবশূন্য। চারিদিকে তাকালে অন্ধকারের মাঝে শুধু একটা বক্সিং পিলো দেখা যায়। তার পাশে মেঝেতে পড়ে আছে এক জোড়া বক্সিং গ্লাভস। রুমটায় আলোর এতটাই অভাব যে এখানে দাঁড়িয়ে কেও আন্দাজ করতে পারবে না যে এখন কি দিন নাকি রাত, অনেকটা আয়না ঘরের মতো। কেবল একটা অনুজ্জ্বল আলোর বাল্ব জ্বলছে ঠিক বক্সিং পিলোর কাছে।

নিস্তব্ধতার ভিড় থেকে দরজা খোলার আওয়াজ শোনা যায়। এমনিতে এই আওয়াজ তেমন কিছু না, তবে অতিরিক্ত শব্দহীনতায় তা বিকট আকার লাভ করে। দরজা খুলে এক মানুষরুপী অবয়ব সাউন্ডপ্রুফ রুমে ঢুকে পড়ে। তারপর ধীরে ধীরে এগোয় বক্সিং রিং এর দিকে। মেঝেতে থাকা গ্লাভস গুলো পড়ে সজোরে এক ঘু*ষি বসায় পিলোর গায়ে। তারপর একের পর এক পা*ঞ্চ, যেনো তার গায়ের সব রা*গ ঝাড়ছে পিলোর ওপর। প্রায় আধঘন্টা নিরবিচ্ছিন্ন বক্সিং প্রেকটিস শেষে ঘর্মা*ক্ত শরীরে সে মেঝেতে বসে পড়ে। খালি গায়ে বিন্দু বিন্দু জমা ঘামগুলো হালকা আলোয় চকচক করছে।

ডান হাতটা দিয়ে কপালের ঘাম মুছে সে চিত হয়ে মেঝেতে শুয়ে পড়ে। তারপর আধখোলা চোখে ওপরের দিকে তাকিয়ে সে অদ্ভুতভাবে হাসতে থাকে।

- শীতল হোসেন ইন্টারেস্টিং। মিস শীতল, আমিও দেখব হার জিতের এই খেলায় কে বিজয়ী হয়। তুমি নাকি আমি?

চলবে...................

রিয়েক্ট দিয়ে পাশে থাকবেন।

সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আপনারা যারা গল্প পড়তে, বা পোস্ট করতে পছন্দ করেন তারা আমাদের গ্রুপে জয়েন হয়ে গল্প পড়তে বা পোস্ট করতে পারেন ধন্যবাদ 😊,👇👇

👉👉 মিষ্টি ভালোবাসার রোমান্টিক গল্প 💙

আমার স্ত্রী আমার পাশে ঘুমাচ্ছিল।ক্লান্তিকর এক দিনের শেষে, নির্ভার ঘুমে ঢলে পড়েছে।ঠিক তখনই ফোনে একটা নোটিফিকেশন —একজন মহ...
07/07/2025

আমার স্ত্রী আমার পাশে ঘুমাচ্ছিল।
ক্লান্তিকর এক দিনের শেষে, নির্ভার ঘুমে ঢলে পড়েছে।
ঠিক তখনই ফোনে একটা নোটিফিকেশন —
একজন মহিলা আমাকে ফেসবুকে অ্যাড করতে চেয়েছেন।
আমি রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করলাম এবং লিখলাম:
"আমরা কি একে অপরকে চিনি?"

উত্তরে সে লিখল:
"আমি জানি আপনি বিবাহিত, তবুও... আমি এখনো আপনাকে ভালোবাসি।"
সে আমার পুরনো এক বন্ধু ছিল।
ছবিতে যেন সময় থেমে আছে —
চেনা মুখ, অচেনা রঙে রাঙানো।

আমি ফোনটা নামিয়ে স্ত্রীর দিকে তাকালাম।
সে নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে, যেন পৃথিবীর সবটুকু শান্তি তার চোখে মেখে আছে।
এই নতুন ঘর, নতুন জীবন...
নিজের পরিচিত জগৎ থেকে এতটা দূরে এসে,
সে নিজেকে এতো নিরাপদ বোধ করছে কিভাবে আমার পাশে!!

আমি ভাবতে লাগলাম...
যখন সে কাঁদত, তার মা’র কোল ছিল,
ভাইবোন ছিল যারা তাকে হাসাত,
বাবা ছিলেন যিনি তার পছন্দের জিনিস আনতেন।
আজ সে সেসব ছেড়ে এসে আমাকে বেছে নিয়েছে,
আমার উপর নির্ভর করেছে — নিঃশর্তভাবে।

এতটা বিশ্বাস... এতটা ভালোবাসা...
আমি কি তার সেই নিরাপদ আশ্রয় হতে পারবো?
আমার মনে একটাই উত্তর ভেসে উঠল।

আমি ফোনটা হাতে নিলাম,
চোখ বন্ধ করে "BLOCK" বাটনে চাপ দিলাম।
তারপর ফিরে গিয়ে স্ত্রীর পাশে শুয়ে পড়লাম।
চুপচাপ, নিঃশব্দে।

আমি একজন মানুষ, শিশু নই।
আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি — তাকে ভালোবাসার, তাকে সম্মান করার,
তার বিশ্বাস রক্ষার।
আমি এমন একজন মানুষ হতে চাই
যে কখনো নিজের স্ত্রীর আস্থার মূল্য ভুলে যাবে না,
যে কোনো পরিস্থিতিতেও পরিবার ভাঙার পথে পা বাড়াবে না।

ভালোবাসা শুধু অনুভূতি নয়,
এটা প্রতিদিনের একটি সিদ্ধান্ত।
আর আজ, আমি সেই সিদ্ধান্তেই আবার সিল মেরে দিলাম।

সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আপনারা যারা গল্প পড়তে, বা পোস্ট করতে পছন্দ করেন তারা আমাদের গ্রুপে জয়েন হয়ে গল্প পড়তে বা পোস্ট করতে পারেন ধন্যবাদ 😊,👇👇

👉👉 মিষ্টি ভালোবাসার রোমান্টিক গল্প 💙

মাঝরাতে ইভার মোবাইলে মেসেজ আসলো- 'জানু, তোমার জামাই ঘরে আছে, না আমি আসব?'আতিক মোবাইলটা খুব স্বাভাবিক ভ*ঙ্গি*তেই হাতে নিয়...
07/07/2025

মাঝরাতে ইভার মোবাইলে মেসেজ আসলো- 'জানু, তোমার জামাই ঘরে আছে, না আমি আসব?'

আতিক মোবাইলটা খুব স্বাভাবিক ভ*ঙ্গি*তেই হাতে নিয়ে বসে আছে। যথেষ্ট ঠান্ডা গ৬লায় ইভাকে ডাকলো। ইভা ঘুমের ঘোরে বলল, কী হয়েছে?

: তোমার রোমিও মেসেজ পাঠিয়েছে। ও আসতে চায়।

- কই আসতে চায়?

: কই আবার? তোমার কাছে! আরেকটু সুন্দর করে বললে বলতে হয় তোমার বিছানায়।

ইভার ঘুম কে>টে গেল ম্যাজিকের মতো। সোজা হয়ে বসে টেবিল লাইটটা জ্বালিয়ে তীক্ষ্ণ চোখে আতিকের দিকে চেয়ে রইল কিছুক্ষণ।

আতিক কিছু না বলে মোবাইলটা ইভার হাতে দিয়ে বের হয়ে গেলো ঘর থেকে। এমন ঘটনা আজ প্রথম না। প্রায় রাতেই ইভার মোবাইলে কল আসে। আতিক হ্যালো বলা মাত্রই লাইন কেটে যায়। গত সপ্তাহে একবার ঝামেলা হয়েছিল এটা নিয়ে। রাত তখন তিনটা। ইভা বারান্দায় দাঁড়িয়ে কথা বলছিল ফোনে। আতিক পাশে গিয়ে দাঁড়াতেই ইভা লাইন কেটে দেয়। চার বছরের সংসারে একটা মানুষকে যথেষ্ট ভালোভাবে চেনা যায়। আতিক স্পষ্ট দেখলো ইভার চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ। আতিক শুধু একবার জিজ্ঞেস করেছিল, কার সাথে কথা বলছিলে?

: তুমি কি আমাকে সন্দেহ করো?

- আমি জিজ্ঞেস করছি কার সাথে কথা বলছিলে?

: একটা নাম্বার থেকে প্রায়ই অদ্ভুত সব মেসেজ আসে। আমি কথা বলে জানতে চাচ্ছিলাম ইনি কে?

- ইভা, তুমি কি নাটক সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছ?

: কী বলতে চাও তুমি?

- বলতে চাই তোমার কী মনে হয় আমি ফিডার খাই?

: আতিক, তুমি যা ভাবছো তেমন কিছু নয়।

- আমি যা ভাবছি তেমন নয়। যা দেখছি তেমনও নয়?

: কী দেখছ?

- আজ রাতে আমি অফিস থেকে ফেরার সময় কার গাড়ি বেরিয়ে গিয়েছিল গেটের সামনে থেকে? কে এসেছিল?

: অদ্ভুত প্রশ্ন! এই বাড়িতে কী আমরা একাই থাকি না কি! কে কার কাছে কখন এসেছে, কার গাড়ি কখন বের হয়ে গেছে সেটা আমি কী জানি!

- আমার আসার সময়ই কেন গাড়িটাকে দেখি বারবার? একদিন নয়, বরং বলতে গেলে প্রত্যেক দিন।

এ পর্যায়ে ইভা প্রচণ্ড রেগে গিয়ে রুমে এসে জিনসপত্র ভাঙচুর শুরু করে। চোর ধরা খাওয়ার পর বৃথা যে চেষ্টা চালায় নিজেকে ছাড়ানোর জন্য, ইভার অক্ষম রাগের আস্ফালনও ঠিক তেমনটাই দেখাচ্ছিল।

বিয়েটা ওদের প্রেমেরই ছিল। কিন্তু মাত্র চারটা বছরে একটা মানুষ কতটা বদলে যায়! আতিক না হয় অফিস নিয়ে ব্যস্তই থাকে একটু। হ্যাঁ, মাঝেমাঝেই অফিসের কাজে কয়েকদিনের জন্য বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। আর এই সুযোগে! ছিঃ!

শেষ পর্যন্ত আর টেকা গেলো না। আজ ওদের চার বছরের সংসারের সমাপ্তি। ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। ইভা নিজের সব জিনিসপত্র নিয়ে বাসা ছেড়ে যাচ্ছে। অনেকদিন সহ্য করেছে আতিক। কিন্তু সেদিন অফিস থেকে ফিরে বেডরুমে সিগারেটের ফিল্টার পাওয়ার পর ঘটনা আর কথা কা>টাকা>টির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। আতিক সিগারেট খায় না। বেডরুমে কে এসেছিল জিজ্ঞেস করতেই ইভা স্বভাবতই অস্বীকার করে। রাগারাগির এক পর্যায়ে গায়ে হাতও উঠে যায় এবং তখনি ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত। এত তাড়াতাড়ি সবকিছু হয়ে গেল যা বলার মতো না!

ইভা সবকিছু নিয়ে গাড়িতে উঠে যাবার পরে আতিক ধীর পায়ে সোফাতে এসে বসলো। অফিসের সুন্দরী পিএ চৈতিকে ফোন দিয়ে বলল, সব ঠিকঠাক। এবার তুমি চলে আসতে পারো পার্মানেন্ট ভাবে।

: হা হা হা, প্ল্যানটা কিন্তু আমারই ছিল। ক্রেডিট দিবে না?

- আরে, হ্যাঁ! মাঝরাতে যদি তুমি ওইসব মেসেজ না পাঠাতে, ওভাবে ফোন না করতে আর সিগারেট ফিল্টারের ইস্যু তুলে ওর গায়ে হাত না তোলাতে তাহলে বাপু কিছুতেই এত সহজে ছাড়তো না আমায়। বুদ্ধি আছে তোমার মাথায়। হা হা হা!

সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আপনারা যারা গল্প পড়তে, বা পোস্ট করতে পছন্দ করেন তারা আমাদের গ্রুপে জয়েন হয়ে গল্প পড়তে বা পোস্ট করতে পারেন ধন্যবাদ 😊,👇👇

👉👉 মিষ্টি ভালোবাসার রোমান্টিক গল্প 💙

গল্প_ধোঁকা
ইরতিজা_আহমেদ_শ্রাবণ
সমাপ্তি

Address

Rangpur

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Md Nayon Ali Naim posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share