17/10/2023
রংপুর মহানগরীতে অচেনা প্রাণী মানুষকে আক্রমন করে আহত করছে! বর্তমানে এরকম একটা আতংক বিরাজ করছে জনমনে(মুলত ২/৩টি ঘটনাকে কেন্দ্র করে অধিক পরিমানে সোসালমিডিয়ায় পোষ্ট ও নিউজের কারনে ব্যাপারটা আতংকের পর্যায়ে চলেগেছে) যায়হোক আসলে ঘটনা কি? বা কি হতেপারে সেই প্রাণীটি এটা একটু জানার চেষ্টা করি।
রংপুরে আদতে অচেনা কোন প্রাণী কি আছে বা তার থাকার মত বনজঙ্গল কি রয়েছে? বিভিন্য পোষ্ট এবং নিউজে প্রতক্ষ্যদর্শি দের ভাষ্য ও প্রাণীটির যে ছবি পোকাশ করা হয়েছে, সেটি দেখে পাতিশিয়াল ছারা কিছু মনে হয়নি আমার।
আর বছরের এই সময়টায় শেয়ালের উপদ্রপ এমনিতেই বেশি থাকে। খাদ্য সংকট এবং কুকুরের প্রজনন মৌসুম চলায়(কুকুর তারা করে বেশি) শেয়াল'রা একটু বিপাকে থাকে। তাই খাদ্যের সন্ধানে মানব বসতির আসেপাসে এসে কুকুরের তারা খেয়ে অনেক সময় মানুষের বাড়িতে পর্যন্ত ঢুকে পরে শেয়াল।
এক্সিডেন্টলি মানুষের সামনাসামনি পরে বন্যপ্রাণী শেয়াল কামর বসাতেই পারে, যা স্বাভাবিক বিষয়।
তবে পুর্বে কিছু অঞ্চলের এরকম ঘটনায় দেখা গেছে যে' রেবিস আক্রান্ত শেয়াল রাতের বেলায় মানুষ কে আক্রমন করে কামরে দিয়েছে। যা আসলেই কিছুটা আতংকের বিষয়। এমনটা যদি রংপুরের কোন শেয়ালের হয়ে থাকে তাহলে আতংকিত না হয়ে, সাবধানতা অবলম্বন করে চলা উচিৎ।
আপাতত যে এলাকায় শেয়াল কামরে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে সেই এলাকা সহ তার আসেপাসের এলাকার লোকজন যারা রাতে বেলা একাকি চলাচল করেন' তারা সাবধানতা অবলম্বন করে চলবেন।
এবং অবশ্যই টর্চলাইট ব্যাবহার করবেন।
যে কোন ভাবেই যোদি শেয়াল অথবা এ জাতীয় অন্যকোন বন্যপ্রাণীর কামরের শিকার হন তাহলে খুব দ্রুত ক্ষতস্থান সাবানপানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন এরপর কাছের কোন চিকিৎসা কেন্দ্রে গিয়ে পটাশিয়াম ফারম্যাংগানেট দ্রবন দিয়ে পরিস্কার করবেন। অত:পর ক্লোরহেক্সিডিন অথবা পভিডোন আয়োডিন ক্ষতস্থানে লাগিয়ে ভালো ভাবে ক্লিন করে নিবেন। এতে করে অর্ধেক পরিমান রেবিস ভাইরাস বিনষ্ট হয়ে যাবে। তারপর রংপুর সিটিকর্পারেশনে গিয়ে রেবিস ভাইরাস নাষোক টিকা গ্রহন করবেন।
আতংকিত হয়ে গুজব না ছরিয়ে,
জনসচেতনতা ও সাবধানতা ছরান।
Founder: Snake Rescue & Wildlife Awareness Organization Rangpur
ছবিঃ পাতি শিয়াল (সংগ্রহিত)