
30/05/2025
👉সঠিকভাবে সন্তান প্রতিপালনে মনোবৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত কিছু নির্দেশনা:
✅বাচ্চার সব চাহিদা পূরণ করবেন না।আপনার সামর্থ্য এবং অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে তাকে ধারণা দিন।বাচ্চা আপনার কাছে যা চায় সেটি তার জন্য আদতে অর্থবহ কিনা সে বিষয়টি তাকে বুঝিয়ে বলুন।
✅বাচ্চার সব কথা শুনবেন, কিন্তু সব কথা মানবেন না।
শোনা মানে গুরুত্ব দেওয়া, আর মানা মানে বাচ্চার সিদ্ধান্ত ও স্বেচ্ছাচারিতায় সায় দেওয়া।
✅ কোথায় এবং কোন পরিস্থিতিতে 'না' বলতে হয় সেটা বাচ্চাকে শেখান।মনে রাখবেন 'না' বলতে পারার ব্যপারটি ব্যক্তিত্বের দৃঢ়তা।
✅সন্তানের সামনে নিজের ভুল স্বীকার করুন, কিন্তু নিজের দুর্বলতা বা অতীত জীবনের কোন কালো অধ্যায় তুলে ধরবেন না। মা-বাবার দোষ ও দুর্বলতা জানলে সন্তানেরা সুযোগ নেয়ার উপলক্ষ পায়।
✅শিশুকে শেখান কিভাবে ভাবতে হয়। তার মধ্যে সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা গড়ে তুলুন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিন।
✅ বাচ্চার ছোট সাফল্যগুলোতেও আনন্দ প্রকাশ করুন এবং ব্যর্থতায় খোঁটা দেয়া থেকে বিরত থাকুন।এতে তার আত্মবিশ্বাস এবং ভালো কিছু করার স্পৃহা বাড়ে।
✅বাচ্চাকে স্ক্রিনটাইম নয়, কোয়ালিটি টাইম দিন।মনে রাখবেন ইলেকট্রনিক ডিভাইসে সময় কাটানো বা যেকোনো বস্তুবাদী উপহারের চেয়ে আপনার সঙ্গ শিশুর জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
✅ শিশুকে অন্য কারো সাথে তুলনা করবেন না।
"তুমি তোমার মতো ভালো করছো" – তাকে এই বার্তাটা দিন।
✅সন্তানকে নিঃশর্তভাবে ভালোবাসুন।কোনকিছু দিয়ে পরে সেটি নিয়ে তাকে খোঁটা দিবেন না।পারফরম্যান্স দেখে বা ফিডব্যাকের আশায় সন্তানকে ভালোবাসা উচিত নয়।
✅ গতানুগতিক লেখাপড়ার বাইরেও বাচ্চাকে কোন একটা ফিল্ডে দক্ষ করে তুলুন।অনুসন্ধান করুন বাচ্চা কিসে বেশি আগ্রহী। তার আগ্রহে বাধা সৃষ্টি করবেন না।
সন্তানকে কেন্দ্র করে আপনার প্রতিটি বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপই, তার সুন্দর ও সফল ভবিষ্যত নির্মাণের রসদ।