06/03/2024
👏🕉️কলিযুগে হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপের ব্যাপারে বিভিন্ন শাস্ত্রীয় প্রমাণঃ।🕉️🕉️
চার যুগের নামঃ
যেমনঃ
১/ সত্যঃ
২/ ত্রেতাঃ
৩/ দ্বাপরঃ
৪/ কলিঃ
এ চার যুগের প্রত্যেকটিতে আত্মোপলব্ধি ও ভগবতুপলব্ধির জন্য নিদিষ্ট প্রস্থা রয়েছে, যাকে বলা হয় যুগধর্ম। বর্তমান কলিযুগের যুগধর্ম হলো ভগবানের দিব্যনাম (হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র) জপ কীর্তন।
শ্রীমদ্ভগবদ (১২/৩/৫২) বলা রয়েছেঃ
কৃতে যদ্ধ্যায়তো বিষ্ণুং ত্রেতায়াং যজমো মখৈঃ।
দ্বাপরে পরিচর্যায়াং কলৌ তদ্ধরিকীর্তনাৎ।।
অর্থাৎঃ সত্য যুগে শ্রীবিষ্ণুর ধ্যান কর, ত্রেতাতে যজ্ঞের মাধ্যমে যজন করে এবং দ্বাপর যুগে অর্চনাদি করে যে ফল লাভ হয়, কলিকালে কেবল হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্তন করেই সে সকল ফল লাভ হয়।
বিষ্ণুপুরানেও (৬/২/১৭) এর সত্যতা প্রতিপন্ন করে বলা হয়েছেঃ
অ্যায়ন কৃতে যজন যজ্ঞৈস্ত্রেতায়াম দ্বাপরে অর্চয়ন
যদাপ্নোতি তদাপ্নোতি কলৌ সংকীর্ত্য কেশবম।।
অর্থাৎঃ এ কলিযুগে ধ্যান, যজ্ঞ বা মন্দিরে অর্চনা কোন প্রয়োজন নেই। কেবল শ্রীকৃষ্ণের দিব্যনামঃ
হরেকৃষ্ণ হরেকৃষ্ণ, কৃৃষ্ণকৃষ্ণ হরেহরে।
হরেরাম হরেরাম, রামরাম হরেহরে।।
কীর্তন করার মাধ্যমেই পূর্ণ আত্মোপলব্ধি সম্ভব।
পিতা যেমন তাঁর সবচেয়ে অযোগ্য, অক্ষম পুত্রের জন্য সবচেয়ে মুল্যবান সম্পদটি রেখে যান, তেমনি মহাপ্রভুও কলিহত অযোগ্য জীবের জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী ও মুল্যবান হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র (হরিনাম) রেখে গেছেন। শুধু তাই নয়, অন্যান্য যুগে পাপকর্মের কথা চিন্তা করেই মানুষের পাপ হত, কিন্তু এ যুগে পাপকর্মে লিপ্ত হলেই কেবল পাপ হবে। আবার পূণ্যকর্মের কথা শুধু চিন্তা করলেও পুণ্য অর্জিত হবে।
কলিসন্তরন উপনিষদে (২/৭) বলা হয়েছেঃ
ইতি ষোড়শকম নাম্নাং কলিকল্মষনাশনম,
নাতঃ পরতরোপায় সর্ববেদেষু দৃশ্যতে।।
অর্থাৎঃ ষোলনাম বিশিষ্ট হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্রঃ
হরেকৃষ্ণ হরেকৃষ্ণ, কৃৃষ্ণকৃষ্ণ হরেহরে।
হরেরাম হরেরাম, রামরাম হরেহরে।।
কলিযুগের সমস্ত পাপ ও অশুভ বিদূরিত করে দিব। ভগবৎ, নাম কীর্তন ব্যতিত কলিযুগের মানুষের কলুষ মুক্ত হওয়ার আর কোন উপায় নেই, সর্ব বেদে এ সিদ্ধান্তই ঘোষিত হয়েছে।
শুকদেব গোস্বামী মহারাজ পরিক্ষিৎকে বলেছেন যে ভগবানের দিব্য নাম কীর্তনই এ যুগের একমাত্রঃ সদবৈশিষ্ট্যঃ
কলের্দোষনিধে রাজন্নস্তি হ্যোকো মহান গুণঃ।
কীর্তনাদেব কৃষ্ণস্য মুক্তসঙ্গঃ পরং ব্রজেৎ।।
(১২/৩/৫১)
অর্থাৎঃ হে রাজন দোষের নিধি এই কলিযুগের মহৎ গুণ একটিই।