মনশ্রী: Manosree

মনশ্রী: Manosree অপবিত্র মনে পড়তে এসে
মুখস্থ করতে না পেরে
অসুস্থ মনে ফুরিয়ে গেছো 📝

04/10/2024

প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই কুড়িগ্রাম সাহিত্যসভা কুড়িগ্রাম জেলাভুক্ত ৯টি উপজেলার লেখকদের সমন্বিত প্লাটফর্ম হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে৷ অনেকদিন থেকেই সদর ব্যতীত অন্যান্য উপজেলার কোন কোন লেখক প্রস্তাব দিচ্ছিলেন নিজ নিজ উপজেলায় সাহিত্যসভার কার্যক্রম বিশদ পরিসরে পরিচালনা করার৷ আপনারদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে কুড়িগ্রাম সাহিত্যসভা এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপজেলাগুলোতেও উপজেলাভিত্তিক সাহিত্যসভা গড়ে তোলার৷
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: 01783116260, 01748929570

সাম্য রাইয়ানের কবিতা প্রথমদিকে বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি পড়েছিলাম লিটলম্যাগে৷ তখন দুর্বোধ্য ঠেকতো৷ এর প্রধান কারন ছিল আমার অ...
19/08/2023

সাম্য রাইয়ানের কবিতা প্রথমদিকে বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি পড়েছিলাম লিটলম্যাগে৷ তখন দুর্বোধ্য ঠেকতো৷ এর প্রধান কারন ছিল আমার অপরাপর কবিতাপাঠের অভিজ্ঞতা দিয়ে তাকে বুঝতে চেয়েছিলাম৷ পরে একদিন কোন এক অনলাইন ম্যাগাজিনে তাঁর ‘হাসতে হাসতে মরে যাবো’ কবিতাটি পড়ার পর প্রথমবার তাঁর প্রতি আমার অত্যন্ত কৌতুহল জন্মায়৷ আমি পূর্বের অভিজ্ঞতার সাথে মিলাতে পারি না৷ এরপর তাঁর বই খুঁজতে থাকি৷ অনলাইনে ‘লিখিত রাত্রি’, ‘বিগত রাইফেলের প্রতি সমবেদনা’ বইগুলোর পিডিএফ পেয়ে যাই। প্রথম পড়ি ‘লিখিত রাত্রি’৷ এক বৃষ্টির সন্ধ্যায় পড়তে শুরু করেছিলাম৷ একটানা দুইবার পড়ে ফেলি বইয়ের কবিতাগুলো৷ সেইদিন আমরা সহজেই সহজ হয়ে গিয়েছিলাম। নতুন কবিতার কৌতূহল নিয়ে কবিমহলে যে কনফিউশন বিদ্যমান, সেইগুলো নিয়া কোনো ভড়ং বা আঁতলামি ছাড়াই এ কবি যেন নিজেকেই আশ্চর্য ফর্মেটে মেলে ধরছিলেন৷ উনার সহজ অভিব্যক্তিগুলো আমার ভালো লাগছিল৷ নৈকট্য অনুভব করছিলাম। তার লিখিত রাত্রির কবিতাগুলো অস্বাভাবিক ভাল লেগে গেল আমার। এই ভালো লাগা রহস্যের কারন হতে পারে ‘মোহ’। মোহ থেকে তৈরী হয় পক্ষপাতিত্ব। তবে পাঠকের ভিতর লেখককে নিয়া যখন পক্ষপাতিত্ব তৈরি হয়, তখন বুঝতে হবে ওই লেখকের লেখায় ওই পাঠকের উপযুক্ত উপাদান রয়েছে৷ যার কারণে তিনি পাঠককে আক্রান্ত করতে, নিজের দিকে টানতে পারছেন। এ বই পাঠের পর সাম্য রাইয়ানের প্রতি পক্ষপাতিত্ব অনুভব করছিলাম৷ ফলে অচিরেই তাঁর অন্যান্য বইসহ সবগুলোর হার্ড কপি সংগ্রহের চেষ্টা করি৷ কিন্তু পুরো সফল হয়নি কারন তাঁর কিছু বই আর পাওয়া যায় না৷ আর যেগুলো পাওয়া যায়, জনপ্রিয় ধারার লেখক না হওয়ায় সেগুলো ভারত পর্যন্ত পৌঁছনো কষ্টসাধ্য৷ তবুও কয়েকটি বই সংগ্রহ করেছি: ‘লোকাল ট্রেনের জার্নাল’, ‘উৎপলকুমার বসু’, ‘হালকা রোদের দুপুর’, ‘লিখিত রাত্রি’। পড়ছি তাকে। পড়তে গিয়ে ভালোলাগা তৈরি হচ্ছে তার লেখার প্রতি। বে‌শির ভাগ ক‌বিতা লেখক‌দেরই প্রথম বই আর শেষ বইয়ের তেমন কোন পার্থক্য নাই। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে সাম্য রাইয়ানের কবিতা পড়ে একটি বিষয় খুব ভালভাবে বুঝলাম, তাঁর শুধু কয়েকটি কবিতা তো দূর কি বাৎ, এমনকি তার একটি আস্ত কাব্যগ্রন্থ পড়েও ভেবে নেয়ার সুযোগ নেই যে তিনি এমন করে লিখেন, বা লিখছেন…৷ কেননা আপনি যখন ‘হলুদ পাহাড়’ পড়ে তাঁর কবিতা সম্পর্কে ধারণা করছেন, তখন দেখা যাবে তিনি ‘হলুদ পাহাড়’ ফর্ম ছেড়ে ‘লিখিক রাত্রি’ লিখে ফেলেছেন৷ আবার যখন ‘লিখিত রাত্রি’ পড়ে আপনি তাঁর কবিতা সম্পর্কে ধারণা করছেন, তখন দেখা যাবে তিনি ‘হালকা রোদের দুপুর’ লিখে ফেলেছেন৷ এত বৈচিত্র তাঁর কবিতায় যে, তাকে নির্দিষ্ট ছকে আটকানো অসম্ভব৷ প্রতিটি কাব্যগ্রন্থেই তিনি নিরীক্ষাপ্রবণ৷ যা সকলেই নয়, কেউ কেউ করতে পারেন৷ আর সেজন্যই জীবনানন্দ বলেছিলেন, ‘কেউ কেউ কবি’৷

“চারদিকে রোজ ঘন হয়ে ফোটা অন্ধকার পেরিয়ে
আমাকে বাড়ি ফিরতে হয়। আর এর মাঝে যদি
এরকম হতো, বাড়িটাই আসতো আমার দিকে
তাহলে এর অধিক, ঝড়-বাদলের রাতও
কী সুসজ্জিত শোভন প্রেমে কাটিয়ে দেয়া যেত!”
(আট নম্বর কবিতা/ লিখিত রাত্রি)

দ্বিতীয় দশকের কবি সাম্য রাইয়ান দারুণ চিত্রকর—কবিতায় চিত্রকর। সাম্য রাইয়ানের কবিতা পড়ছি ২০১৯ সাল থেকে। বাংলাদেশ ও ভারতের কিছু লিটলম্যাগ ও অনলাইন ম্যাগের সংখ্যাগুলোতে নিয়মিত উপস্থিতি তাঁর। তবে তাঁর কাব্যভাষায় বদল ঘেটেছে নিয়মিত। ‘লিখিত রাত্রি’ (২০১৯) কবিতার বইয়ে তিনি ছোট ছোট কথা দিয়ে, ভাষা দিয়ে কবিতায় চিত্রকল্প তৈরি করেছেন; চিত্রের ফুল দিয়ে দিয়ে কবিতার মালা গেঁথেছেন। কবিতায় একটির পর একটি ছবি গড়ে তুলেছেন। সেসব ছবির বন্ধনের মধ্য দিয়ে কবিতা নির্মাণ করেছেন। যা আমাদের বিরক্তি উৎপাদন করে না৷ আগ্রহী করে, ঘোরাচ্ছন্ন করে৷ তাঁর কবিতার চিত্রকলা কখনো কখনো কল্পনার পথে যাত্রার, কখনো বা নিসর্গ সৌন্দর্যের। আবার কখনো সুখ-দুঃখ মিশ্রিত আনন্দ-বেদনার। তার কবিতায় সমুদ্রের ঢেউয়ের মৃদু সঙ্গীত বাজে।

“ঘর গোছানো সেরে মাছপরীদের সাথে হাঁটতে
বেরিয়ে মনভালো অনুভূতি হলে নিজেকে আমার
আনন্দ প্রক্রিয়াজাতকরণ যন্ত্র মনে হয়।
মনে হয় গভীর থেকে বেরিয়ে আসে বুঝি অজস্র
শিশুদের স্বতস্ফুর্ত কুলধ্বনি; সদ্য প্রকাশিত।”
(সাতচল্লিশ নম্বর কবিতা/ লিখিত রাত্রি)

এ বইয়ের কবিতাগুলো নারকেলের মত, বাইরে শক্ত হলেও ভেতরে নরম ও সুস্বাদু। রসাস্বাদন করে তৃষ্ণা মিটানোর পাশাপাশি পুষ্টিও গ্রহণ করা যায়। বাংলার রমণীর আটপৌরে শাড়ির ব্যবহারের মতো সাম্যের কবিতা সবসময় পড়া যায়।

“ছাপোষা মধ্যরাতে পুরোনো প্রেমিকাকে মনে পড়া
দোষের কিছু নয়। যখন তা ছিলো বৃক্ষের নতুন
পাতাদের মতো। ওরা সুউচ্চ জিরাফের গ্রীবা থেকে
নেমে এলে যে উজ্জ্বল পাখিঘুম আমার দিকে
তাকিয়ে থাকে, ওর কোনও ভাবনারেখা নেই!”
(চার নম্বর কবিতা/ লিখিত রাত্রি)

তাঁর কবিতাগুলো যেন দিগন্ত-বিস্তৃত রাতের টুকরো টুকরো ছবি-কোথাও ছাপোষা মধ্যরাত, কোথাও বা আধারি শরীরের দিকে তাক করা ভালোবাসা, ডাহুকের ডাক। বিভিন্ন পটভূমির মনস্তাত্ত্বিক দৃশ্যগুলো পাঠকের মস্তিষ্কে স্থায়ীরূপ দিতে সক্ষম। এভাবেই কথা বলে সাম্য রাইয়ানের কবিতা। নান্দনিক ও কমনীয়তায় মুগ্ধ করে পাঠককে। তার কবিতা পড়লে মনে হয় ‘শেষ হয়েও হয় না শেষ’। মস্তিষ্কে অনেকক্ষণ খেলা করে, আলোড়ন তোলে। এসব কারণেই তার কবিতা পাঠকের হৃদয়ে স্থায়ী আসন নিতে সক্ষম। হৃদয়ের মুক্তিপিয়াসি এ কবি শুধু সময় আঁকড়েই থাকেননি, সময়কে ভবিষ্যতের সঙ্গে সেতু নির্মাণ করে দিতে সক্ষম হয়েছেন। ব্রায়ান লারার ধ্রুপদী টেস্ট-ইনিংসে ক্ষণে ক্ষণে কব্জির মোচড় দিয়ে সীমানা ছাড়া করার মতো নান্দনিক সাম্য রাইয়ানের কবিতার আবেদন। তাই তার কবিতা পাঠে আলাদা একটা আবেদন আছে, আনন্দ-বিষাদ একই মুদ্রার মতো মিশে থাকে।

সর্বপ্রাণবাদী এক জীবনদর্শনের রূপ ফুটে ওঠে সাম্যের কবিতায়। সর্বপ্রাণবাদ উত্তর-আধুনিক কবিতার প্রধান একটি বৈশিষ্ট্য৷ জগতে বিদ্যমান সকল প্রাণের প্রতি তাই তাঁর প্রেমময় সুর হচ্ছে:

“জ্ঞানমুখি বৃক্ষকে শোনো, ওর কাছে যাও, ওকে
আলিঙ্গন করো প্রগাঢ় শ্রদ্ধায়। বিভিন্ন আকাশে
তার একই রূপ; একই রকম যথার্থ ডানা।
কেন সে হলো মিলনকাতর, প্রবল বিপদেও
এতো নিরুত্তাপ কেনো, তাকে জিজ্ঞেস করো, ভালোবাসো।”
(তিরিশ নম্বর কবিতা/ লিখিত রাত্রি)

তার কবিতার বিশেষত্ব হলো- সহজ-সরল জলের মতো পাঠকের অন্তর গহনে তির তির করে ঢেউ তোলে-কি শব্দচয়নে, কি ছন্দ বা চিত্রকল্পে, এমনকি বিষয় নির্বাচনে। তিনি নতুন শাড়ির পাড় ভাঙার মতো যা দেখান-তা হলো বাস্তব জীবনবোধের নকশা। এ কারণে তার কবিতা বড় বেশি হৃদয়স্পর্শী। তার কবিতায় পাওয়া যায় সংবেদনশীল মনের গভীর পরিচয়।

“কিছুটা আঁধারে রূপালী গাছ প্রাচীন উটপাখি
হয়ে ঝুলে আছে মেঘের কলোনীতে। আমি দেখলাম
তাকে, হৃদয়ের চশমা খুলে। আমার খুব মন
চায় ওই পাখিটার পিঠে উঠি। সাদরে সে গ্রহণ
করুক আমাকে; আমার সকল বৃথালাপায়োজন।”
(ছেচল্লিশ নম্বর কবিতা/ লিখিত রাত্রি)

সাম্য রাইয়ানের প্রধান কয়েকটি গুণের মধ্যে একটি হচ্ছে, সমসাময়িক বিষয়কে এড়িয়ে না গিয়ে নিপুণতার সাথে কবিতায় উপস্থাপন করা। সমকাল চেতনার কবি তিনি। সময়ের সংকটকে তুলে ধরেছেন। যুগ সংকটের কাল বা ছবি স্পষ্ট করেছেন, ছবি এঁকেছেন কবিতার মাধ্যমে। যেমন:

“এই যে প্রতিদিন কতোবার দিনেদুপুরে খুন
হয়ে যাচ্ছি; কেউ টের পাচ্ছে না, কিছু বলছে না।
এই যে ঘুমের মধ্যে ওঙ্কারধ্বণি শুনতে পাচ্ছি
এর মধ্যে একবিন্দু মিথ্যে নেই জানেন! বরং
যে বাজার আমাকে নির্মাণ করে, ওটা মিথ্যায় ভরা।”
(উনিশ নং কবিতা/ লিখিত রাত্রি)

নান্দনিকতার অপার ভুবন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন সাম্য রাইয়ান। প্রকৃতির অপরূপ নৈসর্গিকতা কবিকে মুগ্ধতার পরশে আচ্ছন্ন করেছে। তবে হতাশায় নিজেকে প্রকৃতির কাছে সমর্পণ করেননি তিনি, বরং প্রকৃতিকেই প্রকৃত বন্ধু বলে জেনেছেন।

“ওরা চায় আমি পাগল হয়ে যাই, একা হয়ে যাই
শহরে ঘুরিফিরি নিঃসঙ্গ মানুষ; আমার মৃত্যু হোক
জলের অভাবে নির্মম: বর্ণনাতীত। অথচ কতো
পাখি ফুল নদী বন্ধু হচ্ছে অকপটে; কী তুমুল
আড্ডা দিচ্ছি আমরা। সুযোগ নেই, হবো: একলা-পাগল।”
(কুড়ি নম্বর কবিতা/ লিখিত রাত্রি)

কবি সাম্য রাইয়ানের অপার রাত্রির গাঁথা পড়তে পড়তে আমি ভ্রমণের অনুভূতি পাই৷ কবিতায় তিনি নতুন কল্পলোকের চাবি পাঠকের হাতে ধরিয়ে দেন৷ যেখানে পাঠক স্বাধীন, নদীর ছবির মতো ফ্রেমবন্দী নয়৷ কবি জানেন জীবনপুরাণ, “সাঁতারু নামে না কোনো ফ্রেমবন্দী নদীতে”৷ তাই পাঠককে ফ্রেমবন্দী আকাশের ছবি দেখানোর পরিবর্তে মুক্ত আকাশে ডানা মেলে উড়ে বেড়ানোর স্বাধীনতা দেন তিনি কবিতায়৷
__________________________
#বইরিভিউ
সাম্য রাইয়ানের ‘লিখিত রাত্রি’: বহুমাত্রিক রাতের টুকরো টুকরো ছবি
লিখেছেন: অবন্তিকা সেন
__________________________

বই: লিখিত রাত্রি
ধরন: কবিতা
কবি: সাম্য রাইয়ান
প্রকাশক: ঘাসফুল
বইটি কিনুন রকমারী, বইবাজার বা বইফেরী থেকে৷

একদিন রোহান হাসানের কাছে আরাফ নামে একজন রোগী আসে যার ভবিষ্যৎ বলার অদ্ভুত একটা ক্ষমতা আছে। যার নিজস্ব একটা জগৎ আছে। যে জগ...
17/08/2023

একদিন রোহান হাসানের কাছে আরাফ নামে একজন রোগী আসে যার ভবিষ্যৎ বলার অদ্ভুত একটা ক্ষমতা আছে। যার নিজস্ব একটা জগৎ আছে। যে জগতে গেলে সে তার মায়ের দেখা পায়। রোহান হাসান সেই রোগীর রোগ সাারিয়ে তুলতে তার অতীতের সন্ধানে বের হয়ে পড়ে। একের পর এক সামনে আসে নতুন নতুন রহস্য। যখনই মনে হবে এই বুঝি সব রহস্যের সমাধান হয়ে গেল ঠিক তখনই যেন রহস্যের শুরু হয়। রোহান হাসান আরাফের অতীতের সন্ধান করতে করতে একটা ভিন্ন জগতে গিয়ে উপস্থিত হয়।
অন্যদিকে রহস্যময়ী এক চরিত্র জয়ী। জয়ী একসময় রোহান হাসানের খুবই বিশ্বস্ত একজন মানুষ হয়ে ওঠে। যার কারণে ধীরে ধীরে সামনে আসতে থাকে রোহান হাসানের অতীত। রোহান হাসানের বাড়িতে বিশেষ একটা রুম আছে যেখানে বিভিন্ন দেশের বিখ্যাত সব আর্ট রয়েছে। তার মধ্যে রোহান হাসানের নিজের আঁকা একটা আর্ট রয়েছে যেটা শুধু একটা মেয়ের অবয়ব আঁকা হয়েছে। টিয়া রঙের শাড়ি, চুলগুলো এতটা লম্বা যেন কোমরের উপরে এসে পড়েছে। অথচ অবাক করা বিষয় হলো, মেয়েটির মুখ আঁকা হয়নি। ঠিক পুরো মুখমন্ডল জুড়ে একটা ফুলের ছবি আঁকা। মনে হচ্ছে কোনো ফুটন্ত কাঠগোলাপ।
এরকমই এক কাহিনি লিখেছেন মানজুলুল হক তার ‘ছদ্মছায়া’ উপন্যাসে৷ লেখকের জন্ম ২৮ অক্টোবর পিরোজপুর জেলায়। বর্তমানে তিনি ঢাকায় থাকেন। বাবা (মৃত) সিরাজুল হক। মা সৈয়দা হোসনেয়ারা। মানজুলুল হকের শৈশবের পুরো সময় কাটে পিরোজপুরে। শৈশবের এই শহরটা তার ভীষণ প্রিয়। সময় পেলেই তিনি ছুটে যান তার নিজ শহরে যেখানে তার শৈশবের সকল স্মৃতি দৃশ্যমান। তিনি সরকারি তিতুমীর কলেজে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়লেও কাজ করছেন বাংলা সাহিত্য নিয়ে।
নিজেকে খুবই সামান্য একজন মানুষ হিসেবে পরিচয় দেয়া মানজুলুল গল্প বলতে পছন্দ করেন। তার মতে, গল্পের মাঝেই জীবনের সবকিছু খুঁজে পাওয়া যায়। ‘ছদ্মছায়া’ মানজুলুল হকের দ্বিতীয় উপন্যাস। ঘাসফুল প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত তার প্রথম উপন্যাস ‘তবুও সন্ধ্যা’ পাঠকমহলে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এছাড়াও তার একক গল্পের বই ‘এবং একটি চন্দ্র’ পাঠকপ্রিয়তা লাভ করেছে।

ছদ্মছায়া
মানজুলুল হক
প্রচ্ছদ: পৌলমী গুহ
মুদ্রিত মূল্য: ৩৩০ টাকা
প্রকাশক: ঘাসফুল, ঢাকা

একইসাথে ভিন্ন ভিন্ন লেখকগণের লেখার কেতা এবং চিন্তার বৈচিত্র্যময়তার সাথে পরিচিত হবার যে অনন্য সুযোগ পাঠকেরা পেয়ে থাকে, তা...
15/08/2023

একইসাথে ভিন্ন ভিন্ন লেখকগণের লেখার কেতা এবং চিন্তার বৈচিত্র্যময়তার সাথে পরিচিত হবার যে অনন্য সুযোগ পাঠকেরা পেয়ে থাকে, তা অনবদ্য।
‘নিয়তি নিরন্তর’ নামের এই ছোটগল্প সংকলনটায় ঘাসফুল সম্পাদক প্যানেল একটা নিরীক্ষা করেছিল। সাতজন ভিন্ন লেখককে কোনো জনরাই নির্দিষ্ট করে দেয়নি। লেখকেরা একজন আরেকজনের সাথে পরিচিতও ছিলেন না। যখন সবগুলো গল্প নিয়ে সম্পাদক প্যানেল বসলেন, তখন বোঝা গেল, তাদের নিরীক্ষা সফল হয়েছে।
আশানুরূপভাবেই, সবার দেওয়া গল্পেই বিষাদের উপস্থিতি প্রবল। প্রত্যেকটি গল্পই মানুষের একদম ভেতরকার হাহাকারের অনুরণন তোলে। অবশ্যই প্রত্যেকটা গল্পের উপস্থাপন ভীষণই আলাদা। একেক হাহাকারের উৎস একেক রকম। চলুন পাঠক, মানুষ এবং তার নিয়তির জগতে।

সম্পাদক পরিচিতিঃ
সত্যজিৎ চল্লিশের পর লেখা প্রকাশ করেছিলেন। সে হিসেবে এই বইয়ের সম্পাদক আটত্রিশেই কাগজের মাঝে কালি দিয়ে নিজের চিন্তাকে বুনে দিতে শুরু করেছেন। ঠাট্টাচ্ছলেই কথাটা বলা হলো। না হলে কোথায় সত্যজিৎ আর কোথায় আদনান রাফী! আর বড় ভাইয়ের বইয়ের ফ্ল্যাপ, লেখক পরিচিতি কিংবা ভূমিকা লেখাটাকে তো সে অর্থে লেখালেখি বলা সমীচীনও হবে না।
আদনান রাফীকে অনেকটা সময় পর্যন্ত ‘কী করেন’ জিজ্ঞেস করা হলে জবাব স্থির থেকেছে, ‘বই পড়ি’। বাংলা ভাষার ফিকশনের ক্ষেত্রে তার পড়ার ব্যাপ্তি অবাক করার মতো। বর্তমানে পেশাগত ব্যাংক কর্মী হবার কারণে বই পড়ায় খানিকটা ভাটার টান এসেছে, তবে বই পড়লে যে ভীষণ আনন্দ হয় সেটা তিনি ভোলেননি।
মানুষের মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়ার অভ্যাস তার বেশ পুরোনোই আর তা যদি হয় বই পড়ানোর মাধ্যমে, তা হলে তো একেবারে সোনায় সোহাগা। তাই আদনান রাফীর জীবনের এখনকার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য, মানুষকে দিয়ে বই পড়ানো।
বই পড়া ছাড়াও তার পছন্দের কাজের মাঝে যেগুলো উল্লেখযোগ্য তা হলো, আড্ডাবাজি, ট্র্যাভেলিং, মুভি এবং ওয়েব সিরিজ এক্সপ্লোর, ক্রিটিক্যাল রিজনিং এবং এনালাইসিস শেখা, গান শোনা এবং জীবনের অর্থ বা অর্থহীনতা সংক্রান্ত ভাবনায় বুঁদ হয়ে থাকা।
আদনান রাফীর মেডিটেশন ছবি তোলা। ক্যামেরার শাটার খট করে পরার শব্দ তার জন্য এক সমান্তরাল জগত।

বইঃ নিয়তি নিরন্তর
ধরনঃ গল্প
প্রচ্ছদঃ সানজিনা জামান
বিক্রয় মূল্যঃ ২০০
প্রকাশকঃ ঘাসফুল, ঢাকা

বইয়ের নামখানা এমনই তাৎপর্য ও রহস্যময়, পাঠককে অবিশ্বাস্য ভঙ্গিতে কাছে টানে৷ তারুণ্যের প্রথম উচ্ছ্বাস, প্রথম কবিতার বই৷ চৌ...
14/08/2023

বইয়ের নামখানা এমনই তাৎপর্য ও রহস্যময়, পাঠককে অবিশ্বাস্য ভঙ্গিতে কাছে টানে৷ তারুণ্যের প্রথম উচ্ছ্বাস, প্রথম কবিতার বই৷ চৌষট্টি ডানায় উড্ডয়নের স্বপ্ন দেখার শুরু হলো প্রিয় মোকলেছুর রহমানের; ‘সব বৃক্ষ মহোদয় হয় না’ বইখানা দিয়ে৷ প্রথম এ বইতে তিনি সম্ভাবনা দেখিয়েছেন; আলোর বুদবুদ দেখিয়েছেন, নিকট জোনাকির মতো৷

‘আমি পাখি হতে চাই/ তুমি শামুক অথবা ব্যাঙ৷/ ডানা মেলি—/ উড়ে-উড়ে/ ঘুরে ঘুরে/ আনন্দ জাগাই৷’
(উল্টো)

মানুষমাত্রই কখনো প্রেমিক কখনো বিদ্রোহী, কখনো স্বার্থপর, কখনো উদার৷ কখনোবা অবচেতনে হিংসুটে, আহাম্মক৷ কবিও মানুষ, না কি নামানুষ! কবি কখনো প্রেমের কথা বলেন কখনো বিদ্রোহী৷ সময়টা এমনই৷ দিকে দিকে অদৃশ্য আগুন জ্বলছে মগজে-মননে, দেখা যাবে না ছোঁয়াও যাবে না৷ এ আগুন নেভানোর জন্য নেই কোনো দমকল, নেই আয়োজন৷ কবি জানেন এই পোড়খাওয়া জীবনের ব্যথা৷ কেঁদে ওঠে তার মন৷ এ সমাজ তো এমনই; মতলববাজেরা আগুন লাগিয়ে ফায়ার ব্রিগেডে খবর দিতে ছুটে যায়৷ এসব ভণ্ড-প্রতারকের থেকে নিজেকে রক্ষাই যে সময়ে বড় চ্যালেঞ্জ, সে সময়ে বসে কবি লিখেন—
‘আমাদের মাথাগুলো/ আমাদের অজান্তে নিলামে ওঠে/ খুচরা ও পাইকারি বেচাকেনা হয়৷/ আমরা মাথা মাথা করে/ মাথাপাগল হয়ে যাই–’
(আমাদের মাথাগুলো)

এমন সমাজ থেকে পালিয়ে বেড়ানোর প্রত্যয় যেন ‘কাঠঠোকরা’ কবিতায় প্রকাশ পায়—
‘তোমার হৃদয় খুঁড়ে বাসা বানাতে/ পারলে হয়তো/ ঝড়ে ভিজতে হতো না আমায়৷’
(কাঠঠোকরা)

এছাড়া উপায় কী? একা কবি, যেন সত্যশিশু এক— হেঁটে যায় বর্শামণ্ডপে৷ কবির অবস্থা বোঝা যায় ফসল ফলানোর কিছু শব্দে— ‘গহ্বরে অসংখ্য নৃশংসতা, অকস্মাৎ পড়েছি সেই গর্তে৷’

কবির কিছু প্রেমানুভূতি সুন্দর, নির্মল৷ যেমন ‘দেখা হয় বায়ুর ঘ্রাণে’ কবিতায় কবি লিখেছেন— ‘আর দেখা হয় না আমাদের/ তবু বায়ুর ঘ্রাণে যেন,/ দেখা হয়ে যায়৷’

‘নূপুর’ কবিতায় লিখেছেন— ‘সারাটি দুপুর/ তোমার নুপুর/ হৃদযন্ত্রে বাজে!/ চোখের তারায়/ নিজেকে হারাই/ দেহের ভাঁজে ভাঁজে৷’

প্রেমে ডুবে কবি হারিয়ে যাননি, তিনি সমাজের অর্থনীতির রক্ত মুদ্রাকে দেখেছেন আপন আলোয়— ‘ক্রমাগত মুদ্রাযন্ত্রে বন্দী হয়ে যাচ্ছি/ মুদ্রার মতো৷/ এক হাত থেকে/ অন্য হাতে;/ পৌঁছে যাই/ ঘুরে-ঘুরে/ বিনিময় রোডে/ ব্যক্তিত্ব-বিবেক-চিন্তা ও মন৷’
(মুদ্রাযন্ত্র)

সময়ের প্রেষণা কবির হৃদয়ে দাগ কাটে, মুগুঢ়ের মতো আঘাত করে, বেরিয়ে আসে শব্দ, কবিতা… মোকলেছুর রহমান দেখেন করোনা মহামারী, লিখেন— ‘অন্ধকার গিলেছে/ পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত অব্দি,/ যেন একই সঙ্গীতের ধারাপাত,/ মহামারী! অণুজীব! মৃত্যু!’
(অন্ধকার গিলেছে)

কবি সচেতন, কবি প্রতিবাদী, কবি নিঃশঙ্কচিত্তে লিখেন ধর্মকে ব্যবহার করে ভণ্ডামীর রূপ৷ উন্মোচন করে দেন কবিতায়৷ মানিক বন্দোপাধ্যায়ের সেই অমর বাণী ‘ইশ্বর থাকেন ঐ ভদ্রপল্লীতে’ মনে পড়ে যায় মোকলেছুর রহমানের ‘ডট ডট ডট’ কবিতা পড়তে গিয়ে৷ মানিক যা লিখেছেন কথাসাহিত্যে মোকলেছ তা লিখেছেন কবিতায়৷ কবি মেনে নিতে পারেন না এসব নোংরামী৷ তাই তার ‘চোখ ফেটে রক্ত ঝরে,/ মগজ গলে তরল!/ … ভাবতেই সমস্ত দেহরস টগবগ করে ওঠে/ আর বিস্ফোরিত হয়ে যাই!’
কবি রাগান্বিত৷ কবি উত্তেজিত৷ কবি ক্ষুব্ধ৷ নবারুন ভট্টাচার্য যেমন লিখেছিলেন, ‘এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না/ এই জল্লাদের উল্লাসমঞ্চ আমার দেশ না’ তেমনই, এতদিন পর, আরেক নবীন কবি মোকলেছুর রহমান লিখলেন, ‘এ দেশ রক্তের দেশ/ এ দেশ মৃত্যুর দেশ/ এ দেশ আত্মঘাতি দালালের/ মীর জাফরের দেশ/ এ দেশ ধর্ষিত দেশ৷’
(বিস্ফোরিত হই)

৫৪টি কবিতা নিয়ে ৬৪ পৃষ্ঠার বইটির যথোপযুক্ত প্রচ্ছদ এঁকেছেন রাজীব দত্ত৷ ছাপা-বাঁধাই মনোরম৷ সব মিলিয়ে সুন্দর৷ যেহেতু প্রথম কবিতার বই, থাকুক দুর্বল কবিতা; ভাষায়, পোশাকে ছন্দপতন; সেসব বলার সময় আসেনি এখনো৷ কবির জন্য এখন শুধুই শুভকামনা৷

[] লিখেছেন: সাম্য রাইয়ান
(কবি, গদ্যকার ও সম্পাদক— ‘বিন্দু’)

_______________________
কবি পরিচিতি: মোকলেছুর রহমানের জন্ম ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দের ২২ জুন কুড়িগ্রাম শহরে। কৈশোরে কবিতার সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে। সম্প্রতি নবরূপে সাহিত্যপত্র 'শ্বেতপত্র’ সম্পাদনা শুরু করেছেন৷
_______________________
বই: সব বৃক্ষ মহোদয় হয় না
ধরন: কবিতা
লেখক: মোকলেছুর রহমান
প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২০২৩
প্রচ্ছদ: রাজীব দত্ত
দাম: ১৯৫ টাকা
প্রকাশক: ঘাসফুল, ঢাকা

‘বৈরি সংসারও যখন আটকাতে পারে না মেয়েটিকে’, ‘জেবুন্নেসার একজীবন’, ‘রোজিনারা নারী দিবসের অর্থ জানে না’- শিরোনামই বলে দিচ্ছ...
12/08/2023

‘বৈরি সংসারও যখন আটকাতে পারে না মেয়েটিকে’, ‘জেবুন্নেসার একজীবন’, ‘রোজিনারা নারী দিবসের অর্থ জানে না’- শিরোনামই বলে দিচ্ছে যে নারী জীবনের নানান দিক নিয়ে এগুলো লেখা। শুধুই কি নারী জীবন? ভঙ্গুর, বৈষম্যপূর্ণ সমাজব্যবস্থা, হেঁশেল থেকে সমাজের উপরিস্তর পর্যন্ত নারীর নিয়ত বাস্তবতা, দুঃখ দহন, মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন তো আছেই। আবার আছে এ বলয় থেকে উত্তরণের জন্য নারীর আজন্ম স্বপ্ন ও লড়াই। সেখানে কখনও সফলতা, পরাধীনতার শেকল ভেঙে স্বাধীনতার নিঃশ্বাস ফেলতে সক্ষম হওয়া, কখনওবা অধরাই রয়ে যাচ্ছে লালিত, কাক্সিক্ষত সেই স্বপ্ন। আমার, আমাদের সবার কথাই ও লিখে যায় অনায়াসে- ফুলেশ্বরী প্রিয়নন্দিনীর লেখার বিশেষত্ব এখানেই। কেবল সমাজে বিদ্যমান নারী-পুরুষ বৈষম্য বা কোনো একটা সংঘটিত ঘটনার প্রতিবাদমাত্র নয়, একটি সূক্ষ্ম বার্তা থেকে যায় ওর লেখায় যা নারীকে সব প্রতিবন্ধকতা, প্রতিকূলতা পেরিয়ে সামনে এগোনোর সাহস ও শক্তি জোগায়।
নৈর্ব্যক্তিক একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে ভাষা ও বুননের জাদুকরী শৈলীতে গল্পগুলো বলে যায় ফুলেশ্বরী। গল্পই’বা বলছি কেন! নিছক প্রেমের গল্প তো এগুলো নয় বরং বলা ভালো, প্রতিবাদী গল্প। তা গল্পই হোক বা নারীবাদী লেখাই হোক, লিখনের গুণেই তা হয়ে ওঠে মহার্ঘ্য। সেদিক বিবেচনায় পাঠককে ধরে রাখতে জানে ফুলেশ্বরী। প্রকাশনী সংস্থা ‘ঘাসফুল’ থেকে বের হচ্ছে ওর লেখাগুলোর সংকলন।
‘যদি দরকার হয় আগুন জ্বালাবো’, মল্লিকা সেনগুপ্তের কবিতা থেকে এ নামকরণেই লেখার সার্থকতা খুঁজে পাবে পাঠকমাত্রই। ওর উত্তরোত্তর মঙ্গল কামনা করি।

সুপ্রীতি ধর
প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, উইমেন চ্যাপ্টার

লেখক পরিচিতিঃ
ফুলেশ্বরী প্রিয়নন্দিনী।
সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। আন্তর্জাতিক সংস্থার অভ্যর্থনা ডেস্কের চাকরি এবং পরবর্তীতে ব্যাংকিং পেশা ছেড়ে বর্তমানে শিল্পকর্ম এবং স্বাধীন লেখালেখিতে নিবেদিত। স্বচ্ছন্দ গল্প, কবিতা, উপন্যাস, চিত্রনাট্য ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কলাম লেখায়। মিশ্র মাধ্যমে শিল্পকর্মের বিষয় হিসেবে জানালার গল্পের আড়ালে আসলে ফেলে আসা সময়, স্মৃতির সঞ্চয় অথবা জীবনের কোনো চেনা গল্প রয়ে যায়। জীবনের ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতায় নানা ঘাতপ্রতিঘাত পেরিয়ে যে বিষয়গুলো বিশেষভাবে ভাবায়- নারী-পুরুষের সমতা, সম্পর্কের টানাপোড়ন ও জটিলতা। পারিবারিক-সামাজিক নির্যাতন ও বৈষম্য। শিশুর নিরাপত্তা এবং সর্বোপরি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আড়াই লক্ষাধিক বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ ও যুদ্ধ পরবর্তী জীবন সংগ্রামের ইতিহাস।

বইঃ যদি দরকার হয় আগুন জ্বালাব
ধরনঃ সমকালীন গল্প
প্রচ্ছদঃ মাইশা তাবাসসুম
বিক্রয় মূল্যঃ ১৯০
প্রকাশকঃ ঘাসফুল, ঢাকা

কিরণ আকরামুল হক-এর কবিতার সাথে আমার দীর্ঘদিনের পরিচয়। তার কবিতা আমার ভালো লাগে। কখনো মুগ্ধ হই, কখনো হই না। তাঁর কবিতার ব...
11/08/2023

কিরণ আকরামুল হক-এর কবিতার সাথে আমার দীর্ঘদিনের পরিচয়। তার কবিতা আমার ভালো লাগে। কখনো মুগ্ধ হই, কখনো হই না। তাঁর কবিতার বিষয়-ভাবনায় নতুনত্ব আছে। যা কিছু বলার নিজের মতো বলতে পারে অবলীলায়- এখানেই তাঁর কৃতিত্ব। উপমা, চিত্রকল্প চমৎকার। সমাজ ও মানুষের নিকটবর্তী সমস্যা ও সংকট তাঁর কবিতার উপজীব্য বিষয। পড়তে পড়তে আপাত সরল মনে হলেও, মোটেই সরল নয় কিরণ আকরামুল হক-এর কবিতা বরং এক রহস্যময় জগতের দিকে অনবরত টানতে থাকে। এরকম কবিতা, এই সময়ে বড় বেশি প্রয়োজন।

- সিদ্দিক প্রামাণিক

লেখক পরিচিতি: কিরণ আকরামুল হক, জন্মঃ ১৩ নভেম্বর, ১৯৮৯, কুমারখালী, কুষ্টিয়া। মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অপরাধতত্ত্ব ও পুলিশ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর শেষ করে বর্তমানে সরকারি চাকরিতে কর্মরত আছেন।

বইঃ ইশারায় পুলকিত হই
ধরনঃ কবতিা
প্রচ্ছদঃ মাইশা তাবাসসুম
বিক্রয় মূল্যঃ ১২০
প্রকাশকঃ ঘাসফুল, ঢাকা

'আয়নাটা বুড়ো হয়ে যাচ্ছে' মূলত ছয়টা ভিন্ন সিরিজের একটা কবিতা-প্যাকেজ।'হাঁটার রাজনীতি''শারীরিক সাক্ষরতা''ঋতুর রচনাবলী''সংস...
10/08/2023

'আয়নাটা বুড়ো হয়ে যাচ্ছে' মূলত ছয়টা ভিন্ন সিরিজের একটা কবিতা-প্যাকেজ।

'হাঁটার রাজনীতি'
'শারীরিক সাক্ষরতা'
'ঋতুর রচনাবলী'
'সংসারসমগ্র'
'সন্ধ্যার সিগন্যালে' ও
'ইটেন বাই বেয়ার গ্রিলস'

'হাঁটার রাজনীতি'-তে হাঁটা ও থামার মধ্যবর্তী বিরতিগুলোর ফাঁকে ফাঁকে ঢুকে পড়েছে সামসময়িক রাজনীতি ও তার স্বরূপ। শরীর থেকে কর্মকাণ্ডগুলো কিভাবে ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যায় নিখিলের পথে তার একটা শব্দচিত্র দেখা যাবে 'শারীরিক সাক্ষরতা'য়। 'ঋতুর রচনাবলী' যশোরের আঞ্চলিক ভাষায় রচিত আমাদের গ্রামবাংলার প্রেম, কাম, অস্থিরতা ও সৌন্দর্যের এক ঘটমান জাদুঘর। এরপর 'সংসারসমগ্র'-এ এসে প্রকাশ হতে শুরু করে দরিদ্রতা কিংবা বৈভবের যন্ত্রণা এবং তার প্রতিক্রিয়া-প্রসূত সম্পর্কের টানাপোড়েন। 'সন্ধ্যার সিগন্যালে' ঐ অর্থে কোন সিরিজ নয়, মূলত বিভিন্ন সময়ের কিছু বিক্ষিপ্ত উপলব্ধির সন্নিবেশ, চারপাশের দৃশ্যের সাথে একীভূত হওয়ার প্রয়াসমাত্র। সবশেষে 'ইটেন বাই বেয়ার গ্রিলস'-কে ধরে নেয়া যায় আমাদের অস্তিত্বের সংকট এবং তা থেকে উদ্ভূত আগ্রাসনের দলিল হিসেবে। সবমিলিয়ে একটা আয়না, যেখানে মুখ রাখলে প্রতিফলিত হয় মুখোশ।

কবি পরিচিতি:
কবির কল্লোল
শার্শা, যশোর

বইঃ আয়নাটা বুড়ো হয়ে যাচ্ছে
ধরনঃ কবিতা
প্রচ্ছদঃ শামীম আরেফীন
বিক্রয় মূল্যঃ ১৫০
প্রকাশকঃ ঘাসফুল, ঢাকা

‘মেঝেয় পিঁপড়ের চড়ুইভাতি’ উপন্যাসের প্লটের শুরুটা হয়েছে করোনাচলাকালীন সময়ে এক উচ্চবিত্ত জীবন যাপন করা পরিবারের হঠাৎ অর্থক...
09/08/2023

‘মেঝেয় পিঁপড়ের চড়ুইভাতি’ উপন্যাসের প্লটের শুরুটা হয়েছে করোনাচলাকালীন সময়ে এক উচ্চবিত্ত জীবন যাপন করা পরিবারের হঠাৎ অর্থকষ্টে নিম্নবিত্ত শ্রেণিতে আছড়ে পড়ার কাহিনী দিয়ে।
সেঁউতি, উপন্যাসের মূল চরিত্র এই পরিবারের এক মুখ্য সদস্য। জীবনের অভিযোজনের এই খেলায় কোভিড যেমন ক্রমাগত মিউটেশনের মাধ্যমে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে তৎপর থাকে, তেমনি হঠাৎ মাঝনদীতে ডুবতে বসা সেঁউতিও নিজেকে টিকিয়ে রাখতে নিজের সর্বোচ্চ সীমায় যায়। ডায়নোসরের মতো আজীবনের জন্য কেইবা হারিয়ে যেতে চায়? না দারিদ্র্য, না অভাব, না কোভিড, না ডিপ্রেশন, না অসহায়তা, না সেঁউতি কেউই নিজের জায়গা ছাড়তে চায় না।
নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার এই খেলায় হাত বাড়ায় অনেকেই। সেঁউতি বোঝে না কোনটা ফাঁদের হাত, কোনটা কামের আর কোনটা ভালোবাসার। অয়ন আর চর্যাপদ বড়ুয়া ধাঁধায় সে নিজেই আটকে যায়। সময় আরো কঠিন হয়। কী হয়?
সেঁউতি কি টিকতে পারে সেই কঠিন সময়ে? রাফা তার বেছে নেওয়া রামধনু জীবনে কতটা সুখী হয়? প্রিয়ল কেন বদলে যায় পুরোপুরি? শামসুল আলমের কেন একদিন হঠাৎ মরে গিয়ে ধুলোর সাথে মিলেমিশে শূন্য হয়ে যেতে ইচ্ছা হয়? কেন লায়লা বানু কোমরে সোনার চোরাকাটার বদলে বিড়ির বান্ডিল নিয়ে ঘোরে?
এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর আছে এই বইটায়। আমাদের জীবনের কানাগলিতে বারবার ফিরে আসা প্রশ্নগুলোর বাড়িঘর আছে এখানে।

লেখক পরিচিতি:
গত বর্ষায় হঠাৎ একদিন প্রশ্ন জাগলো, পরিচয় কী? সেই কোন ছেলেবেলায় “হাজার বছর ধরে”তে জেনেছিলাম- শুধু গোরখোদকই জানে মাথার খুলির পরিচয়।
প্রতিদিন আয়নাতে আমার যে প্রতিবিম্বটি দেখা যায় তা নিতান্তই নশ্বর। নশ্বর এই পৃথিবীও। পৃথিবীই যেখানে নশ্বর সেখানে কিছু ডিগ্রি, পদক, প্রাপ্তি আর অর্জনের সমন্বয়ে বানানো তালিকাটা কতটা অস্থায়ী তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
নশ্বর কিছু আমার পরিচয় হতে পারে না। আমি অন্ধকারে হাতড়ে ফিরি আমার পরিচয়। কোথা থেকে এসেছি আর যাব কোথায়! শেষমেষ বুঝলাম, এই নশ্বর পৃথিবীতে আমার অবিনশ্বর পরিচয় শুধু আমার নামটুকুই।
- তাসমীম দিশা

বইঃ মেঝেয় পিঁপড়ের চড়ুইভাতি
ধরনঃ উপন্যাস
প্রচ্ছদ: মাইশা তাবাসসুম
বিক্রয়মূল্যঃ ৬০০
প্রকাশকঃ ঘাসফুল, ঢাকা

সিনহা কবিতা লেখে যেরকম শিশুরা ছড়া কাটে। ভাঙা ভাঙা শব্দের ভেতরেও যে নিবিড় আবেদন থাকতে পারে সিনহার কয়েকটি কবিতা পড়ে তা ভাল...
07/08/2023

সিনহা কবিতা লেখে যেরকম শিশুরা ছড়া কাটে। ভাঙা ভাঙা শব্দের ভেতরেও যে নিবিড় আবেদন থাকতে পারে সিনহার কয়েকটি কবিতা পড়ে তা ভালোমতোই টের পেয়েছি।
অসামান্য সাহিত্য করে ফেলেনি সিনহা সেটা ঠিক, তবে যা লিখেছে কিংবা ভাবনার যতখানি গভীরে যাবার তাড়না তার মধ্যে আছে সেটুকু সত্যই।

উদয়ন রাজীব
২১ ডিসেম্বর, ২০২২
পৃথিবী

কবি পরিচিতি:
সিনহা
রংপুর, বাংলাদেশ

বইঃ মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন
ধরনঃ কবিতা
প্রচ্ছদঃ শামীম আরেফীন
বিক্রয় মূল্যঃ ১৪৫
প্রকাশকঃ ঘাসফুল, ঢাকা

তন্দ্রাচ্ছন্ন চোখের পাতায়- যুবতীর ঘুঙুর নৃত্য,শরীর মঞ্চে তার অনবদ্য অভিনয়; গন্ধে মাতোয়ারা-কড়া লিকারের নেশায় আমি বুঁদ!লেখ...
04/08/2023

তন্দ্রাচ্ছন্ন চোখের পাতায়- যুবতীর ঘুঙুর নৃত্য,
শরীর মঞ্চে তার অনবদ্য অভিনয়; গন্ধে মাতোয়ারা-
কড়া লিকারের নেশায় আমি বুঁদ!

লেখক পরিচিতি: বকুল আহমেদ, জন্ম ৫ আগস্ট ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দ।
নূরনগর, চুয়াডাঙ্গা সদর, চুয়াডাঙ্গা।

বইঃ অনাবৃত ফুলের আফিম
ধরনঃ কবিতা
প্রচ্ছদঃ রাজীব দত্ত
বিক্রয় মূল্যঃ ১২০ টাকা
প্রকাশকঃ ঘাসফুল, ঢাকা

‘আমি তোমার মাঝে ঝিরঝিরিয়ে বইতে চেয়েছি’র মতো ‘কবিতা’ ও ‘গান’, ‘নায়ক’, ‘সোনার কিষান’, ‘পিয়াসা’, ‘কি আনন্দ’, ‘দুপুরবেলা মুর...
03/08/2023

‘আমি তোমার মাঝে ঝিরঝিরিয়ে বইতে চেয়েছি’র মতো ‘কবিতা’ ও ‘গান’, ‘নায়ক’, ‘সোনার কিষান’, ‘পিয়াসা’, ‘কি আনন্দ’, ‘দুপুরবেলা মুরগী’, ‘ইয়াসমিন’- তালিকা আরো দীর্ঘ হবে- এমন কিছু গান এই ‘রূপপুর’-এর। ‘গত হন দৃশ্যগণ’, ‘বেগুনীফুল’ সিরিজ কবিতা ও গান, ‘বারোমাস্যা’, ‘আমি ও তুমি’র মতো ‘কবিতা’ এই ‘রূপপুর’ সংকলনের। আরো আছে। পাঠক বেছে নিবেন সেসব।
অস্তিত্ব, জীবন-মরণ, শিল্প, মাধ্যম- ইত্যাদির ধ্যান-ধারণা-চর্চা-প্রতিষ্ঠানের আইল-সীমানা ও কায়েমী জুলুমিয়াত মোকাবেলার এক যাত্রাকাহিনী এই ‘রূপপুর’ সংকলন।
খোদ সংবেদন ব্যবস্থা ও প্রক্রিয়ায় ঔপনিবেশিক-আধুনিকতার চাপ এবং ছাপের প্রকাশ যেমন, তেমনি এর নিগড় ভাঙার এক ধ্যান, ভাব-আলাপ ‘রূপপুর’ সংকলন। এই সংকলন তাই কালাকালিক গুরুত্ববহ।

মোস্তফা জামান
কবি, চিত্রকর, তাত্ত্বিক

লেখক পরিচিতি: ‘কবিতা’, ‘সংগীত’, ‘প্রবন্ধ রচনা’ থেকে শুরু করে আড্ডা, সংগ ও সাংগঠনিক অনুশীলন ইত্যাদি কম-বেশি করেছেন বা করেন বটে, কিন্তু ‘লেখা’ বা একক কোনো মাধ্যম চর্চা তার পদ্ধতি নয়; পশ্চিমা ঔপনিবেশিক আধুনিক মডেলের ‘শিল্পী’, ‘বুদ্ধিজীবী’, ‘দার্শনিক’ বা ‘এক্টিভিস্ট’ হওয়াও অরূপ রাহী’র সাধনা নয়। বিউপনিবেশিক, প্রেম ও ভক্তির সমাজ-দেশ-দুনিয়া কায়েমের জন্যে ভাব-তত্ত্ব-অনুশীলন তার ফকিরির প্রধানতম দিক। ‘শিক্ষাসংগ’ তার জ্ঞান ও শিক্ষাপদ্ধতি সাধনা উদ্যোগ, যেখানে তার অধ্যাপনা ও পর্যালোচনার বিষয়ের মধ্যে আছে উপনিবেশ ও বিউপনিবেশায়ন, আধুনিকতা, সেক্যুলারিজম, যোগ ও জীবনধারা, বাউল-ফকির-সহজিয়া সাধনার ধারা, রাজনীতি ও রাষ্ট্রতত্ত্ব ইত্যাদি। তিনি ‘লোকায়ত বিদ্যালয়’ এবং ‘নিরিখ’-এর সাথে যুক্ত। ‘রূপপুর’ অরূপ রাহী’র ‘কবিতা’ ও ‘গান’-এর প্রথম সংকলন।

বইঃ রূপপুর
ধরনঃ কবিতা
প্রচ্ছদঃ কাজী যুবাইর মাহমুদ
বিক্রয় মূল্যঃ ১৯০ টাকা
প্রকাশকঃ ঘাসফুল, ঢাকা

Address

Rangpur

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মনশ্রী: Manosree posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category