
31/08/2025
একটা সময় শুধু ফেসবুকের বন্ধুত্ব ছিলো তাদের মাঝে। প্রতিদিন একটু একটু করে কথোপকথন জমে উঠতে লাগলো, হাসি-ঠাট্টা, খুনসুটি—এর মাঝেই জন্ম নিলো অদ্ভুত এক টান। মুনতাহা বুঝতে পারলেন, এ শুধু বন্ধুত্ব নয়, এর গভীরে আছে ভালোবাসার স্রোত।
কিন্তু একদিন হঠাৎ করেই জানতে পারলেন, যাকে তিনি এতটা আপন করে নিয়েছেন, সেই ছেলেটি একজন প্রতিবন্ধী। মুহূর্তের জন্য থমকে গিয়েছিলেন মুনতাহা। সমাজ, পরিবার—সবকিছুই যেন সামনে এসে দাঁড়াল। কিন্তু ভালোবাসা কি কোনো শরীরের বাঁধনে থেমে যায়? মুনতাহা বুঝলেন, তিনি আসলে ভালোবেসেছেন হৃদয়কে, নয় শরীরকে।
যখন তিনি বিয়ের প্রস্তাব দিলেন, পরিবার মানতে চাইল না। শত বাঁধা, শত আপত্তি, অশ্রু আর কান্না—সবকিছু সহ্য করেও মুনতাহা একদিন সিদ্ধান্ত নিলেন। ভালোবাসার হাত ধরে তিনি বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এলেন। প্রতিবন্ধী ছেলেটির হাত ধরে বললেন—
“আমার সুখ তোমার সাথেই, তোমার হাতেই আমার নিরাপত্তা। পৃথিবী যদি না মানে, তবুও আমি মানি।”
আজ তারা দুজনেই সুখে-শান্তিতে সংসার করছেন। চারপাশ হয়তো এখনো হাজার প্রশ্ন তোলে, কিন্তু তাদের ভালোবাসার কাছে কোনো প্রশ্নের উত্তর প্রয়োজন হয় না। মুনতাহা হাসিমুখে বলেন—
“আমি যদি পাগল না হই বা মরে না যাই, তাহলে কোনোদিনও তাকে ছেড়ে যাবো না। এটাই আমার সত্যিকারের ভালোবাসা।”
ভালোবাসা মানে ত্যাগ, সাহস আর অটল প্রতিজ্ঞা—মুনতাহা আর তার প্রিয় মানুষটি সেই গল্পের জীবন্ত প্রমাণ। ❤️