Animals lover

01/07/2025

ফানি গল্প: গফুর চাচার শহর ভ্রমণ

গফুর চাচা ছিলেন গ্রামের সবচেয়ে বিচিত্র লোক। সারাজীবন গ্রামে কাটিয়ে এবার হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিলেন শহর ঘুরতে যাবেন। বললেন,
"এতদিন শুধু সিনেমায় শহর দেখছি, এবার নিজের চোখে দেখে আসি!"

তাই এক সকালে পাটি-বেঁধে, পাঞ্জাবি-লুঙ্গি পরে, একখানা বিশাল হ্যান্ডব্যাগ নিয়ে উঠলেন বাসে।

🚌 শহরে আগমন

শহরে পৌঁছে গফুর চাচার প্রথম অভিজ্ঞতা ছিল—এটিএম বুথ!
একজন মানুষ বুথে ঢুকে টাকা বের করে আসছে দেখে চাচার চোখ কপালে!
তিনি ভাবলেন, “এই বাক্সে ঢুকলে কি মানুষ টাকা দেয়?”
তখনই এক লোক বুথ থেকে বের হচ্ছিল। গফুর চাচা দৌড়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,
— "ভাইরে, এই যন্ত্রটা কীভাবে টাকা দেয়? আমিও ঢুকতে চাই!"
লোকটা হেসে বলল, "কার্ড লাগে চাচা।"
চাচা হাঁ করে বললেন, "আমি তো বিজয়ী ক্লাবের মেম্বার কার্ড রাখি, ওটা চলবে?"

🍔 ফাস্ট ফুড বিভ্রাট

চাচা এরপর গেলেন এক ফাস্ট ফুড দোকানে। অর্ডার দিলেন,
— "ভাই, এক প্লেট গরুর ভুনা আর ভাত দাও!"
ওয়েটার হাসতে হাসতে বলল, "চাচা, এটা বুরগার দোকান!"
চাচা রেগে গিয়ে বললেন, "তুমি কি ভাবো, আমি বোকা? এই যে গরুর মতো গন্ধ আসছে, ওটা কী?"
শেষমেশ তাকে একটা বার্গার খেতে দেওয়া হলো। এক কামড় দিয়ে চাচা চিৎকার,
— "হায় হায়! এইটা কি সেমাইয়ের রুটি? মাংস কোথায় গেলো?"

🏙️ লিফটের ভয়

হোটেলে উঠে গফুর চাচাকে বলা হলো, “চাচা, লিফট দিয়ে ৫তলায় যান।”
চাচা ঢুকে লিফট বন্ধ হতেই চিৎকার করে উঠলেন,
— "আল্লাহ! এইটা কই নিয়া যায়! আমি তো এখনো বিয়া করি নাই!"
লিফট থেমে গেলে দরজা খুলে চাচা বের হয়ে বললেন,
— "এই যন্ত্রটা কুয়োর মতো, ঢুকলে উঠে পড়ে—নামার রাস্তা নাই!"

📱 মোবাইল বিভ্রাট

চাচা শহরে এক দোকানে গিয়ে বললেন, “আমার একটা মোবাইল চাই, যেটা মুখে বললে চালু হয়।”
দোকানদার একটা স্মার্টফোন দিলো। চাচা বললেন,
— “ওকে ফোন, চালু হ!”
ফোন নিশ্চুপ।
— “ওরে বেটা ফোন! চালু হ বলতেছি!”
শেষে ফোন ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে চিৎকার করলেন,
— “এই যন্ত্র আমার কথা শোনে না, যেন আমার বউয়ের মতো!”

🤣 উপসংহার

সবশেষে গফুর চাচা বাড়ি ফিরে সবাইকে বললেন,
— “শহরটা বড় ভয়ানক জায়গা রে ভাই! মানুষ টাকার জন্য বাক্সে ঢোকে, খাবার নামে বিস্কুট দেয়, আর লিফট বলে একজায়গায় ঢুকলে হঠাৎ অন্য জায়গায় পৌঁছায়! আল্লাহর দোহাই, আমি আবার গ্রামেই ভাল!”

পাঠ: গফুর চাচা যেখানেই যান, হাসির খোরাক সেখানেই! 😂

আরো ফানি গল্প চাইলে বলো, গফুর চাচার গল্পের খনি রেডি আছে!

01/07/2025

নিচে একটা বড় ফানি গল্প দিলাম — গ্রামের এক "বুদ্ধিমান" লোক আর তার শহরের ভ্রমণের কাহিনী:😄😄😄

গল্প: শহরে বুদ্ধিমান গফুর চাচা

গফুর চাচা গ্রামের বিখ্যাত "বুদ্ধিমান" মানুষ। তিনি নিজেই বলেন, “আমার মাথা আইনের বই, শুধু আদালতের জজ ছাড়া কেউ খুলে পড়ে নাই!”
একদিন তিনি ঠিক করলেন শহরে যাবেন। কারণ তিনি শুনেছেন শহরে "বড় বড় মেশিন", "টিভিতে মানুষ নাচে", আর সবচেয়ে বড় কথা—ওখানে শৌচাগারেও পানি আসে!

গ্রামের সবাই তাকে বিদায় জানাল, কেউ বলল — “চাচা, শহরে সাবধানে থাকবেন”, কেউ বলল — “চাচা, ফ্রিজে ঢুকবেন না, ওটা খাবার রাখে, মানুষ না!”

শহরে গিয়ে গফুর চাচা উঠলেন তার ভাগ্নের বাসায়। ভাগ্নে অফিসে, চাচা একা বাসায়। এক সময় চাচা ভাবলেন—“এই শহরের কিছু বুঝে দেখার দরকার আছে।”

প্রথম মিশন: ইলিভেটর!
তিনি একটা শপিং মলে ঢুকে দেখলেন একটা ঘর, দরজা খুলে মানুষ ঢুকে, দরজা বন্ধ হয়, আবার দরজা খুলে বের হয় — কিন্তু মানুষ বদলে যায়!
এক বৃদ্ধা ঢুকল, দরজা বন্ধ হলো, কিছুক্ষণ পর দরজা খুলে এক সুন্দরী তরুণী বের হলো!

গফুর চাচা ফিসফিস করে বললেন,
“আহা, শহর অনেক উন্নত! এক বুড়ি ঢুকলো, তরুণী বাইর হইল? এইটা হইল আসল জাদু!”
তিনি দৌড়ে এক দোকানদারকে ধরলেন, “ভাই, আমার বউরে পাঠাইলে এই মেশিনে ঢুকাইতে পারুম?”

দ্বিতীয় মিশন: ফ্লাশ টয়লেট
গফুর চাচা প্রথমবার শহরের ফ্লাশ টয়লেট ব্যবহার করলেন। কাজ শেষে বুঝলেন না কীভাবে পানি ছাড়বে। চাপ দিলেন হ্যান্ড শাওয়ারে, ঝাঁপিয়ে সব কাপড় ভিজে গেল।
চাচা চিৎকার করে বললেন,
“এই শৌচাগারে যমের হাত আছে, আমায় গোসল করায়া ছাড়ছে!”

তৃতীয় মিশন: রেস্টুরেন্টের মেন্যু কার্ড
গফুর চাচা এক রেস্টুরেন্টে ঢুকে বললেন, “ভাত, ডাল, আর একটা ইলিশ ভাজি দেন।”
ওরা মেন্যু কার্ড দিল। চাচা তাকিয়ে বললেন,
“এই যে ভাই, আমি খাইতে চাইছি, পড়তে না!”
ওয়েটার জোর করে কিছু আইটেম সাজেস্ট করল। শেষে গফুর চাচার প্লেটে এল—পাস্তা আর স্যালাড।
গফুর চাচা এক চামচ খেয়ে বললেন,
“এইটা কইর‌্যা কুকুরেও খায় না, আর তোমরা শহরে এইটা দিয়া প্রেম করো?!”

শেষে চাচা গ্রামে ফিরে বললেন:
“শহরে বুদ্ধি বেশি, কিন্তু পেটের শান্তি নাই! আমি গ্রামের হাঁড়ি, খাটিয়া, আর লঞ্চের হুঁকা ছাড়া চলতে পারি না!”

😄 যদি ভালো লাগে, আরেকটা মজার গল্প দিতে পারি। বলেন, চাচার পরের মিশন কি হবে?

01/07/2025

নিশ্চয়ই! নিচে একটা বড় ও ফানি গল্প দিচ্ছি — একেবারে গ্রাম্য হাস্যরসের মিশেলে:

গল্প: বউ দেখার মিশনে বিপত্তি

চর কালাচাঁদপুর গ্রামের হারাধন মিয়া অনেক কষ্টে টাকা জমিয়ে ঢাকায় একটা ভালো চাকরি পেয়েছে। এখন সে পাকা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবার বিয়ে করবে। তার মা-বাবাও বেশ খুশি — “পোলা কামাই করে, এখন একটা সুন্দর বউ আনলেই হয়।”

বউ দেখা প্রোগ্রাম

একদিন হারাধনের খালা ফোন দিলো,
— “বাবা হারাধন, একটা মেয়ে আছে, দেখলে প্রেমে পড়বা। মুখে এমন আলো যে বিদ্যুৎ বিল কমে যাবে!”

হারাধন সাথে সাথে ব্যাগ গুছিয়ে গ্রামে গেল। নতুন প্যান্ট, কড়া গন্ধওয়ালা পারফিউম আর মোবাইলে সেলফি প্র্যাকটিস করে সে প্রস্তুত!

বউ দেখার দিনে হারাধন যখন মেয়ের বাড়ি গেল, তখন সে এত নার্ভাস ছিল যে গেটেই দাঁড়িয়ে বলল,
— “আসসালামু আলাইকুম, আমি বউ দেখতে আসছি!”

ঘরে সবাই হেসে কুটিকুটি। হারাধনের বাবা ধমকে বললেন,
— “চুপ! আগে পানি খা, পরে বউ দ্যাখ!”

হারাধন বসে, তখনই ঢুকল মেয়েটি— পরনে হালকা লাল শাড়ি, মাথায় ঘোমটা। হারাধন তো তাকিয়ে থাকতে থাকতে গ্লাসের পানি মুখে না দিয়ে কানে ঢেলে দিলো।

বিপত্তি শুরু

মেয়ের বাবা বললেন,
— “বাবা, কিছু জিজ্ঞেস করতে চাও?”

হারাধন এক গাল হেসে বলল,
— “জ্বি, আপনে কি TikTok করেন?”

ঘরের সবাই থ। মেয়েটা মুখে একটু হাসি চাপল, কিন্তু হারাধন বলে চলেছে,
— “কারণ আমার স্বপ্নের বউ একটা ভালো কনটেন্ট ক্রিয়েটর হবে!”

এবার মেয়েটির ছোট ভাই পাশে বসে কড়া গলায় বলে উঠল,
— “ভাইয়া, আপনে TikTok বানাইছেন ‘চা বানাইতেছি, কিন্তু তোমারে মিস করছি’? এইডা কি বিয়ের জন্য কনটেন্ট?”

হারাধন ঘেমে গেছে। মা চুপি চুপি বলল,
— “এই ব্যাটা ঢাকায় গিয়া পাগল হইছে।”

শেষ চমক

শেষে সবাই যখন বিদায় দিচ্ছে, তখন হারাধন আস্তে করে মেয়েটাকে বলল,
— “আপনার চেহারা খুব চেনা চেনা লাগতেছে, আপনি কি ডিশ লাইনে নাটক করেন?”

মেয়েটা বলল,
— “না, আমি ইমনের পুরান প্রেমিকা। ওর বিয়েতে এইবার কেক কাটতে গেছি।”

হারাধন ব্যাগ হাতে দৌড় দিলো।

সেই ঘটনার পর থেকে হারাধন চাকরি ছেড়ে আবার গ্রামে ফিরে এসেছে। এখন সে বলে—

“বউ দেখা মানে যুদ্ধ। আর মেয়ে পক্ষের ভাই মানে ড্রাগন!”

আপনাদের পছন্দ হলে আরও বড় বা ধারাবাহিক ফানি গল্প বানিয়ে দিতে পারি। বলেন , স্কুল লাইফ, অফিস, প্রেম, নাকি গ্রামের কোনো বিশেষ চরিত্র নিয়ে গল্প চাই? 😄

30/06/2025

নিশ্চয়ই! নিচে একটা মজার বড় গল্প দিচ্ছি – গ্রামের পটভূমিতে, হাস্যরস ও মজার চরিত্রে ভরপুর:

গল্প: হরেক রকমের বুদ্ধি

স্থান: হাসিরডাঙ্গা গ্রাম
চরিত্র:

গদাই – চিরকালীন বেকার, বড় বড় স্বপ্ন দেখে

বদাই – গদাইয়ের বেস্ট ফ্রেন্ড, তার থেকেও বড় 'বুদ্ধিমান'

মধু কাকা – গ্রামের প্রবীণ, সব কিছু জানেন বলে দাবি করেন

পটল সরকার – গ্রামের চেয়ারম্যান

একদিন হাসিরডাঙ্গা গ্রামের মাঠে গদাই আর বদাই বসে বসে আলু ভাজি খাচ্ছে। হঠাৎ গদাই বলল,
“দোস্ত, আর ভালো লাগছে না... চল কোনো বড় কিছু করি!”

বদাই বলল, “ঠিক বলেছিস। আমি ভাবছি—আমরা যদি একটা বুদ্ধিমান গরু বানাতে পারি, তাহলে টিভিতে আসব!”

গদাই: “তোর মাথায় গরু ঢুকেছে? গরু আবার বুদ্ধিমান হয় নাকি!”

বদাই গম্ভীর মুখে বলল, “এই জন্যই তুই কিছু হতে পারিস না! গরুকে যদি মোবাইল ইউজ করতে শেখাই, টিকটকে ফেমাস করে দেব!”

দুজনেই প্ল্যান করল তারা "টিকটক গরু" বানাবে। শুরু হল গরুর প্রশিক্ষণ। তারা মধু কাকার গরু 'রাধাকে' নিয়ে এল।

মধু কাকা চিৎকার করে উঠলেন, “ওই! আমার রাধাকে কোথায় নিচ্ছিস?”

গদাই বলল, “কাকা, গরুটা শুধু না, একদিন তার সাথে আপনি টিভিতেও যাবেন!”

মধু কাকা একটু ভেবে বললেন, “ঠিক আছে, কিন্তু আমার গরু যেন ইউটিউবও শিখে!”

তারা রাধাকে মোবাইল দেখাতে লাগল, ভিডিও চালিয়ে খাইয়ে দিল, গান শোনাল। তিন দিন পরে দেখা গেল—রাধা গরুটা কেবল মোবাইল চিবিয়ে ফেলেছে আর চিপস খেতে শিখেছে।

এদিকে খবর ছড়িয়ে পড়ল, “হাসিরডাঙ্গার গরু টিকটক করে!”

পটল সরকার এসে বললেন, “এ গরুকে নিয়ে আমরা ইউনিয়ন পরিষদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করব! গরু দিয়ে পরিস্কার গ্রাম, সবুজ গ্রাম প্রচার করব!”

শেষ পর্যন্ত, রাধাকে নিয়ে বড় করে একটা অনুষ্ঠান হল। রাধার মাথায় সোনালি মালা, মোবাইলের কাভার, আর গলায় লেখা—
"আমি ডিজিটাল গরু!"

হাসিরডাঙ্গার সবাই হেসে কুটি কুটি!
গদাই আর বদাই এখন গ্রামের সেলিব্রিটি—সবাই বলে,
"ওদের মাথায় পাগলামি না থাকলে, এই দিন আমরা দেখতাম?"

শিক্ষা: সব বুদ্ধি কাজে লাগে না, কিছু শুধু হাসানোর জন্য!

পছন্দ হলে আরও ফানি গল্প দিতে পারি! 😄

23/06/2025

জীবনে এমন কাউকে পাইনি যে আমাকে আমার মত করে বসবে,,! 😭❤️‍🩹

30/10/2024

আমার নতুন ফলোয়ারদের স্বাগত জানাই! আপনাদের ফলোয়ার হিসাবে পেয়ে আমি খুবই খুশি! MD Jahanggir Alom Akash, Md Delowar

05/10/2024

অসাধারন ছবি❤️🫶🫶🫶❤️

12/08/2024

গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ

19/06/2024

আমার নতুন ফলোয়ারদের স্বাগত জানাই! আপনাদের ফলোয়ার হিসাবে পেয়ে আমি খুবই খুশি! Md Jahaggir Allow, Sonu Saini, Rohit Hhj

15/06/2024

আমার নতুন ফলোয়ারদের স্বাগত জানাই! আপনাদের ফলোয়ার হিসাবে পেয়ে আমি খুবই খুশি! Kaosar Hossain, Sanni Kumar, MD Hobeber, Jakkala Sayana, MD Arman, Modu Ali, Pradeep Mahere, Haroon Gazi, Asraful Shvo, বরিশালের দুষ্ট নানা ভাই, Sandeep Kashyap, Satendra Kumar, Taposh Ray Barmon, Shaalom Islam, Md Sai Saimon, Billal Hossain, Mannat Khan, Md Sakib, Lahssen Loukili, Md Firuj, Altab Altab

01/06/2024

01/06/2024

আমি প্রথম নিজের ভয়েস দিয়ে ভিডিও বানিয়েছি। কেমন হয়েছে বলে যাবেন।❤️❤️❤️