Jahid Hasan Ahad

  • Home
  • Jahid Hasan Ahad

Jahid Hasan Ahad আসসালামু আলাইকুম। সবাইকে ওয়েলকাম করছি আমার পেজে ' Jahid Hasan Ahad' যাবতীয় ইসলামীক তথ্য পেতে লাইক ফলো দিয়ে পাশে থাকবেন ইনশাআল্লাহ।

10/09/2024

২০২৪ সালে এসেও মেয়েদের বোরকা পরতে হবে কেন?

সদ্য নিয়োগ পাওয়া শিল্পকলা একাডেমির নতুন মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদের প্রশ্ন।

#কেন

জবাব?

১.
সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় জন্মিত শিশুকে চাদরে জড়ানো হয়, আবার সম্পূর্ণ নগ্ন মৃতকেও জড়ানো হয় কাফনে।
জন্ম থেকে মৃত্যু কিংবা সৃষ্টি থেকে কিয়ামাত মহান আল্লাহ আমাদের শালীন, আবৃত ও সতর ঢাকতে আদেশ করেছেন। তাই সালটা ০০০১ হউক বা ২০২৪ নারীদের সর্বদাই আবশ্যিকভাবে পর্দা করতেই হবে।

২.
আর আমাদের প্রতিটি নারীই আমাদের রাজকুমারী, আমাদের মণিমুক্তা! আর প্রতিটি মুক্তাই নিরাপদ প্রাচীরে বেষ্টিত থাকে।

৩.
আমরা আমাদের নারীদের দেহ বেশ্যাখানার পতিতাদের ন্যায় প্রদর্শন করি না। কারণ তারাই আমাদের পোষাক, আর আমরা তাদের!

আরও শিখতে ও বুঝতে চাইলে আপনাকে পবিত্র হয়ে, জুতা খুলে, হাঁটু গেরে, মাথা নিচু করে আহলে ইলমদের মাজলিসে বসতে হবে। কারণ জ্ঞানের কাছে আসতে হয়,জ্ঞান কারো কাছে যায়না!

~ আবু ত্বাহা আদনান হাফি

শাইখুল ইসলাম  আল্লামা তাকি উসমানী হাফিজাহুল্লাহ যদি আসেন,  সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার ইনশাআল্লাহ
08/09/2024

শাইখুল ইসলাম আল্লামা তাকি উসমানী হাফিজাহুল্লাহ যদি আসেন, সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার ইনশাআল্লাহ

কারামুক্তির পর প্রথম রংপুর সফরে স্বাগতম |হাফিজাহুল্লাহ 🤍
05/09/2024

কারামুক্তির পর প্রথম রংপুর সফরে স্বাগতম |
হাফিজাহুল্লাহ 🤍

05/09/2024

ইলিশ মাছ না পেলেও ভারতবাসীর কোনো সমস্যা হবেনা।
কারণ, তাদের দেশে এখন বাংলাদেশের বিখ্যাত এমন এক রাঁধুনি শিল্পী রয়েছেন। যিনি ইলিশের বিকল্প অনেক রেসিপি তৈরি করে দিবেন।
যেমন- আমাদেরকে দিয়েছিলেন কাঠালের বারগার রেসিপি, মিষ্টি কুমড়া দিয়ে বেগুনি, পেয়াজ ছাড়া রান্না, ইত্যাদি ইত্যাদি।

মুফতি Arif Bin Habib ভাই মিরপুর স্টাফ কোয়াটার মসজিদ থেকে বিদায় নিলেন৷কমিটির কিছু মানুষ পুনরায় ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলেও ...
05/09/2024

মুফতি Arif Bin Habib ভাই মিরপুর স্টাফ কোয়াটার মসজিদ থেকে বিদায় নিলেন৷
কমিটির কিছু মানুষ পুনরায় ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলেও অনেকগুলো যৌক্তিক কারণে তিনি আর স্টাফ কোয়াটার মসজিদে ফিরে যাননি৷
বিদায় নেয়ার পর থেকে ঢাকার বিভিন্ন মসজিদ থেকে আরিফ বিন হাবিব ভাইকে নেয়ার জন্য যোগাযোগ এবং চেষ্টা করতে ছিলেন৷

আরিফ বিন হাবিব ভাইর উস্তাদদের মধ্যস্থতায়, পরিচিতজনদের মাধ্যমে সবাই তাদের আগ্রহ ও হাদিয়া এবং সুযোগ সুবিধার কথা উল্লেখ করতে ছিলেন৷ বাড্ডা এক মসজিদ থেকে এমনও বলেছেন যে, আপনি আমাদের এখানে আসলে দুই জুমায় ৫০ হাজার টাকা হাদিয়া দিবো৷

কিন্তু আরিফ বিন হাবিব ভাইর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্পষ্ট জানালেন যে, আমার যাওয়ার কারণে কোনো খতীব সাহেবের যদি চাকরি চলে যায় তাহলে আমি সে মসজিদে যাবো না৷ প্রয়োজনে আমি দীর্ঘ দিন জুমা পড়াবো না৷ তবুও এমন কোনো মসজিদেই যাবো না যে আমার কারণে একজন আলেম তাঁর দায়িত্ব থেকে অব্যহতি পাবেন৷

ঢাকার বড় বড় সব মসজিদেই খতীব আছেন৷ এজন্য অনেক জায়গা থেকে আবেদন আসলেও তিনি রাজি হননি৷ আরিফ বিন হাবিব ভাই যোগ্য, পরিচিত সব দিক বিবেচনায় তিনি অন্যকে সরিয়ে নিজে বসে যেতে পারতেন৷ কেউ আপত্তিও করতো না৷ তবুও তিনি কোনো আলেমকে সরিয়ে দায়িত্ব নিতে চাননি৷

প্রায় এক মাস তিনি কোথাও জুমা পড়াননি৷ মিরপুরের বিভিন্ন মসজিদে গিয়ে জুমা পড়েছেন৷ মসজিদের আশ পাশে গিয়ে দেরি করতেন, খুতবা শুরু হওয়ার আগ মুহূর্তে পিছনের কাতারে কিংবা রাস্তায় দাড়িয়ে নামাজ আদায় করে বাসায় চলে এসেছেন৷

দীর্ঘ দশ বছর নিয়মিত জুমার দায়িত্ব পালন করার পর নিশ্চয় এরকম সময় পার করাটা সহজ নয়৷

এক জুমায় এমন হলো যে, মিরপুর বিহারি পট্টির এক মসজিদে বারান্দার শেষ কাতারে রুমাল পরে মাস্ক পরে বসে গেলেন৷ তারপরও কোনো একজন চিনে ফেললেন৷
বয়ান শেষে সবাই সুন্নত পড়লেন৷ হঠাত খতীব সাহেব মাইকে এ'লান করলেন আমাদের মধ্যে উপস্থিত আছেন সারা বাংলায় পরিচিত, আমাদের অত্যান্ত মুহাব্বতের মানুষ মুফতি আরিফ বিন হাবিব দা:বা:৷
আমরা হযরতের কাছে আশা করবো এবং অনুরোধ করবো আপনি সামনে এসে আমাদেরকে খুতবা দিবেন এবং নামাজের ইমামত করবেন৷

পুরো মসজিদের সবাই এদিক সেদিক তাঁকাচ্ছিলেন৷ পরে তিনি সামনে যান এবং খুতবা দিয়ে নামাজ পড়ান৷

দীর্ঘ দেড় মাস পর তিনি দুই মসজিদে চারটি জুমার দায়িত্ব নিয়েছেন৷

মিরপুর রুপনগর- ১৪ নম্বর রোড-
১ম ও ৩য় জুমা পড়াবেন৷ এখানে ইতিপূর্বে ইমাম সাহেবই জুমা পড়াতেন৷ এখন আরিফ বিন হাবিব সাহেব এবং ইমাম সাহেব দুনোজন মিলে চার জুমা পড়াবেন৷

দ্বিত্বীয় মসজিদ হলো: মুহাম্মাদপুর নুর জাহান রোড- বাইতুল ফজল জামে মসজিদ
এই মসজিদে হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী সাহেব খতীব ছিলেন, তিনি ইকবাল রোডে আগের মসজিদে চলে গেছেন এজন্য আরিফ বিন হাবিব ভাই এখানে দায়িত্ব নিয়েছেন৷

দুঃখজনক বাস্তবতা হলো আজকে যদি আরিফ বিন হাবিব ভাইর সাবেক মসজিদে খতীব নিয়োগের ঘোষণা দেয়, দেখবেন চব্বিশ ঘন্টার আগেই শতাধিক সিভি জমা হয়ে যাবে৷
আমাদের অঙ্গনে কোনো মিম্বর খালি হওয়া মাত্রই শত শত আবেদন জমা হয়৷
আগে কে ছিলেন? কবে চলে গেছেন? কেন চলে গেছেন? এসব আমরা দেখি না৷ এবং দেখার প্রয়োজনও মনে করি না৷

আবার কমিটির যারা দায়িত্বে আছেন ভালো কাউকে পেলে পুরাতন খতীব সাহেব বা ইমাম সাহেবকে হুট করে বিদায় করে দেয়া এটাও অনুচিত এবং অসম্মানজনক৷

প্রিয় আলেম, দাঈ ও খতীব ভাইয়েরা কোথাও খেদমত নেয়ার আগে সেখানে আলেমদের মর্যাদা আছে কি না সেটা দেখা উচিত৷

আমরা আলেম উলামাগণ একে অপরকে সম্মান করা ভুলে গেছি, এজন্য সমাজে দিন দিন আমাদের কদর কমে যাচ্ছে৷

আমার মনে হয় অন্যকে সরিয়ে নিজে বসে যাওয়ার মানসিকতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা উচিত……

কার্টেসি,
মাওলানা আরিফ বিন জব্বার।

27/08/2024

আগামী ২১ সেপ্টেম্বর হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবার সিরাত মাহফিল, প্রধান অতিথি থাকবেন আ ফ ম খালেদ হোসেন, এবং বিশেষ অতিথি শায়েখ আহমেদুল্লাহ।

22/08/2024

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ৫০এর বেশি বোট এতক্ষণে ফেনী নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। সারাদিনে আরও ২০০ বোট যাবে ইনশাআল্লাহ।
এরসাথে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম মহোদয় বন্যা কবলিত এলাকায় ইন্টারনেট ফ্রী রাখবেন বলেছেন।
আজ সারাদিন টিএসসিতে গণত্রাণ সংগ্রহ চলবে। শুকনা খাবার (মুড়ি, চিড়া, বিস্কিট), স্যালাইন বা অন্যান্য জরুরি জিনিস কেউ দিতে চাইলে সেসব নিয়ে আসতে পারেন।
সারাদেশ এক কাতারে এসে দাঁড়িয়েছে। এক থাকলেই মুক্তি!
Tarequl Islam
কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

05/08/2024

গনভবন থেকে কে কি কি নিলেন?

05/08/2024

স্বাধীন বাংলাদেশ ❤

25/06/2024

how are you guys?

05/04/2024

লেখাটি সবাইকে জানিয়ে দেওয়ার অনুরোধ রইল।

লা*ই*লা*তুল ক*দ*র কবে?
উত্তর-১
প্রত্যেক বেজোড় রজনীর যে কোন রজনী লাইলাতুল কদর হতে পারে।

، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْوِتْرِ مِنَ الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ ‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা রমযানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে লাইলাতুল ক্বদ্‌রের অনুসন্ধান কর।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২০১৭

উত্তর-২
একুশতম রজনী

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ الْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ فِي تَاسِعَةٍ تَبْقَى وَفِي سَابِعَةٍ تَبْقَى وَفِي خَامِسَةٍ تَبْقَى ‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা রমাযানের শেষ দশকে ‘লাইলাতুল ক্বদর’ অন্বেষণ করো। রমাযানের নয় দিন বাকী থাকতে(একুশতম রজনী), সাত দিন বাকী থাকতে(তেইশতম রজনী) এবং পাঁচদিন বাকী থাকতে(পচিশতম রজনী)।

সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১৩৮১
كِتَابُ الصَّلَاةِ | بَابٌ : تَفْرِيعُ أَبْوَابِ شَهْرِ رَمَضَانَ | بَابٌ : فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ

উত্তর-৩
তেইশতম রজনী

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُنَيْسٍ، رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ أُرِيتُ لَيْلَةَ الْقَدْرِ ثُمَّ أُنْسِيتُهَا وَأَرَانِي صُبْحَهَا أَسْجُدُ فِي مَاءٍ وَطِينٍ ‏
আবদুল্লাহ ইবনু উনায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আমাকে ক্বদ্রের রাত দেখানো হয়েছিল। অতঃপর তা ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। আমাকে ঐ রাতের ভোর সম্পর্কে স্বপ্ন আরও দেখানো হয়েছে যে, আমি পানি ও কাদার মধ্যে সাজ্দাহ্ করছি।

قَالَ فَمُطِرْنَا لَيْلَةَ ثَلاَثٍ وَعِشْرِينَ فَصَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَانْصَرَفَ وَإِنَّ أَثَرَ الْمَاءِ وَالطِّينِ عَلَى جَبْهَتِهِ وَأَنْفِهِ ‏‏ قَالَ وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُنَيْسٍ يَقُولُ ثَلاَثٍ وَعِشْرِينَ ‏

রাবী বলেন, অতএব ২৩ তম রাতে বৃষ্টি হ’ল এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সাথে (ফজরের) সলাত আদায় করে যখন ফিরলেন, তখন আমরা তাঁর কপাল ও নাকের ডগায় কাদা ও পানির চিহ্ন দেখতে পেলাম। রাবী ‘আবদুল্লাহ ইবনু উনায়স (রাঃ) বলতেন, তা ছিল ২৩ তম।

সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৬৬৫
(১১৬৮ মাদ্রাসা পাঠ্যপুস্তক অনুসারে/আন্তর্জাতিক নাম্বার)
كِتَابٌ : الصِّيَامُ. | بَابٌ : فَضْلُ لَيْلَةِ الْقَدْرِ

উত্তর-৪
চব্বিশ, সাতাইশ, উনত্রিশতম রাত।

قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ هِيَ فِي الْعَشْرِ، هِيَ فِي تِسْعٍ يَمْضِينَ أَوْ فِي سَبْعٍ يَبْقَيْنَ ‏"‏‏.‏ يَعْنِي لَيْلَةَ الْقَدْرِ‏.‏ قَالَ عَبْدُ الْوَهَّابِ عَنْ أَيُّوبَ‏.‏ وَعَنْ خَالِدٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ الْتَمِسُوا فِي أَرْبَعٍ وَعِشْرِينَ‏

ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তা শেষ দশকে, তা অতিবাহিত নবম রাতে অথবা অবশিষ্ট সপ্তম রাতে অর্থাৎ লাইলাতুল ক্বাদর। ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে অন্য সূত্রে বর্ণিত যে, তোমরা ২৪তম রাতে তালাশ কর।

সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২০২২
كِتَابٌ : فَضْلُ لَيْلَةِ الْقَدْرِ | بَابُ تَحَرِّي لَيْلَةِ الْقَدْرِ فِي الْوِتْرِ

উত্তর-৫
পচিশ, সাতাইশ ও উনত্রিশতম রাত।

عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِيُخْبِرَنَا بِلَيْلَةِ الْقَدْرِ، فَتَلاَحَى رَجُلاَنِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فَقَالَ ‏ خَرَجْتُ لأُخْبِرَكُمْ بِلَيْلَةِ الْقَدْرِ، فَتَلاَحَى فُلاَنٌ وَفُلاَنٌ، فَرُفِعَتْ، وَعَسَى أَنْ يَكُونَ خَيْرًا لَكُمْ، فَالْتَمِسُوهَا فِي التَّاسِعَةِ وَالسَّابِعَةِ وَالْخَامِسَةِ ‏

উবাদা ইবনুস সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে লাইলাতুল ক্বাদ্‌রের (নির্দিষ্ট তারিখ) অবহিত করার জন্য বের হয়েছিলেন। তখন দু’জন মুসলমান ঝগড়া করছিল। তা দেখে তিনি বললেনঃ আমি তোমাদেরকে লাইলাতুল ক্বাদ্‌রের সংবাদ দিবার জন্য বের হয়েছিলাম, তখন অমুক অমুক ঝগড়া করছিল, ফলে তার (নির্দিষ্ট তারিখের) পরিচয় হারিয়ে যায়। সম্ভবতঃ এর মধ্যে তোমাদের জন্য কল্যাণ নিহিত রয়েছে। তোমরা নবম, সপ্তম ও পঞ্চম রাতে তা তালাশ কর।

সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২০২৩
كِتَابٌ : فَضْلُ لَيْلَةِ الْقَدْرِ | بَابُ رَفْعِ مَعْرِفَةِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ

উত্তর-৬
সাতাইশ ও উনত্রিশতম রাত,

عن أبي هريرة
ليلةُ القدْرِ ليلةٌ سابعةٌ، أو تاسِعةٌ وعِشرِينَ، إنَّ الملائِكةَ تلْكَ الليلةَ في الأرْضِ أكثَرُ من عدَدِ الحَصى
লাইলাতুল কদর সাতাইশ অথবা উনত্রিশতম রজনী।
أخرجه أحمد
(١٠٧٣٤)
মুসনাদে আহমদ-১০৭৩৪

উত্তর- ৭
সাতাশতম রজনীর গুরুত্ব,

দৃষ্টান্ত-১

عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ أُبَىٌّ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَاللَّهِ إِنِّي لأَعْلَمُهَا وَأَكْثَرُ عِلْمِي هِيَ اللَّيْلَةُ الَّتِي أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِقِيَامِهَا هِيَ لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ ‏

উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ‘লাইলাতুল ক্বদ্‌র’ বা ক্বদ্‌রের রাত সম্পর্কে বলেনঃ আল্লাহর ক্বসম! আমি রাতটি সম্পর্কে জানি এবং এ ব্যাপারে আমি যা জানি তা হচ্ছে, যে রাতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সলাত আদায় করতে আদেশ করেছেন সেটিই অর্থাৎ সাতাশ তারিখের রাতই ক্বদ্‌রের রাত। হাদীসটির ঐ অংশ সম্পর্কে যে রাতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে সলাত আদায় করতে আদেশ করেছেন।

সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৬৭১
(৭৬২ মাদ্রাসা পাঠ্যপুস্তক অনুসারে/আন্তর্জাতিক নাম্বার) كِتَابٌ : الصِّيَامُ | بَابٌ : فَضْلُ لَيْلَةِ الْقَدْرِ

দৃষ্টান্ত-২

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ- رضى الله عنه - قَالَ تَذَاكَرْنَا لَيْلَةَ الْقَدْرِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে ক্বদরের রাত সম্পর্কে আলাপ আলোচনা করছিলাম। তিনি বললেন,

أَيُّكُمْ يَذْكُرُ حِينَ طَلَعَ الْقَمَرُ وَهُوَ مِثْلُ شِقِّ جَفْنَةٍ ‏

তোমাদের মধ্যে কে সে (রাত) স্মরণ রাখবে, যখন চাঁদ উদিত হবে থালার একটি টুকরার ন্যায়।
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৬৬৯
( ১১৭০ মাদ্রাসা পাঠ্যপুস্তক অনুসারে/আন্তর্জাতিক নাম্বার)
كِتَابٌ : الصِّيَامُ. | بَابٌ : فَضْلُ لَيْلَةِ الْقَدْرِ

টিকা,
شِقِّ جَفْنَةٍ: أيْ: نِصف قَصعةٍ؛ قال أبو الحُسَينِ الفارسيُّ: أيْ: ليلة سَبْع وعِشرين؛ فإنَّ القَمَر يطلُع فيها بتلك الصِّفة.
আবুল হাসান আল ফার্সি বলেন, চাদ সাতাশতম রজনীতে এই গুন নিয়ে উদিত হয়।

ছয়,
শেষ নয় রাতের গুরুত্ব,

عَنِ ابْنِ عُمَرَ، - رضى الله عنهما - قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ تَحَيَّنُوا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ ‏"‏
أَوْ قَالَ ‏"‏ فِي التِّسْعِ الأَوَاخِرِ ‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা (রমাযানের) শেষ দশকে ক্বদ্রের রাত অনুসন্ধান কর অথবা তিনি বলেছেন, শেষের সাত রাতে।

সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৬৫৭
(১১৬৫ মাদ্রাসা পাঠ্যপুস্তক অনুসারে/আন্তর্জাতিক নাম্বার)
كِتَابٌ : الصِّيَامُ| بَابٌ : فَضْلُ لَيْلَةِ الْقَدْرِ

সাত,
শেষ সাত রাতের গুরুত্ব

উদাহরণ- ১

عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ رِجَالاً، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أُرُوا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْمَنَامِ فِي السَّبْعِ الأَوَاخِرِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أَرَى رُؤْيَاكُمْ قَدْ تَوَاطَأَتْ فِي السَّبْعِ الأَوَاخِرِ، فَمَنْ كَانَ مُتَحَرِّيَهَا فَلْيَتَحَرَّهَا فِي السَّبْعِ الأَوَاخِرِ ‏

ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর কতিপয় সাহাবীকে স্বপ্নের মাধ্যমে রমযানের শেষের সাত রাত্রে লাইলাতুল কদর দেখানো হয়। (এ শুনে) আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমাকেও তোমাদের স্বপ্নের অনুরূপ দেখানো হয়েছে। (তোমাদের দেখা ও আমার দেখা) শেষ সাত দিনের ক্ষেত্রে মিলে গেছে। অতএব যে ব্যক্তি এর সন্ধান প্রত্যাশী, সে যেন শেষ সাত রাতে সন্ধান করে।

সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২০১৫
كِتَابٌ : فَضْلُ لَيْلَةِ الْقَدْرِ | بَابٌ : الْتِمَاسِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ

উদাহরণ- ২

قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، - رضى الله عنهما - يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏

উক্ববাহ্ ইবনু হুরায়স (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ

‏ الْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ - يَعْنِي لَيْلَةَ الْقَدْرِ - فَإِنْ ضَعُفَ أَحَدُكُمْ أَوْ عَجَزَ فَلاَ يُغْلَبَنَّ عَلَى السَّبْعِ الْبَوَاقِي ‏

তোমরা (রমাযানের) শেষ দশ দিনে ক্বদ্‌রের রাত অনুসন্ধান কর। তোমাদের কেউ যদি দূর্বল অথবা অপরাগ হয়ে পড়ে, তবে সে যেন শেষের সাত রাতে অলসতা না করে।

সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৬৫৫
(১১৬৫ মাদ্রাসা পাঠ্যপুস্তক অনুসারে)
كِتَابٌ : الصِّيَامُ. | بَابٌ : فَضْلُ لَيْلَةِ الْقَدْرِ

আট,
লাইলাতুল কদরের আলামত,

এক,
ليلةُ القدرِ ليلةٌ بَلْجَةٌ، لا حارَّةٌ ولا بارِدَةٌ
নাতিশীতোষ্ণ
রাতটা বেশি গরম নয়, আবার ঠান্ডা ও নয়।
الجامع الصغير ٧٧٠٨
আল জামিউস সাগীর- ৭৭০৮

দুই,
সকালের সূর্যের আলো কিছু টা নিষ্প্রভ হবে।

وَأَمَارَتُهَا أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ فِي صَبِيحَةِ يَوْمِهَا بَيْضَاءَ لاَ
شُعَاعَ لَهَا ‏

আবদুল্লাহ ইবনু মাস'উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
....ঐ রাতের আলামাত বা লক্ষন হ'ল-সে রাত শেষে সকালে সূর্য উদিত হবে তা উজ্জ্বল হবে কিন্তু সে সময় (উদয়ের সময়) তার কোন তীব্র আলোকরশ্মি থাকবে না (অর্থাৎ দিনের তুলনায় কিছুটা নিষ্প্রভ হবে)।
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৬৭০
(৭৬২ মাদ্রাসা পাঠ্যপুস্তক অনুসারে)
كِتَابٌ : الصِّيَامُ.| بَابٌ : فَضْلُ لَيْلَةِ الْقَدْرِ

নয়,
লাইলাতুল কাদরের দূআ,

عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ إِنْ عَلِمْتُ أَىُّ لَيْلَةٍ لَيْلَةُ الْقَدْرِ مَا أَقُولُ فِيهَا قَالَ ‏

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! যদি আমি “লাইলাতুল ক্বদর’’ জানতে পারি তাহলে সে রাতে কি বলব? তিনি বললেনঃ

‏ قُولِي اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي

তুমি বল হে আল্লাহ! তুমি সম্মানিত ক্ষমাকারী, তুমি মাফ করতেই পছন্দ কর, অতএব তুমি আমাকে মাফ করে দাও”।

জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩৫১৩
أَبْوَابُ الدَّعَوَاتِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم

লেখা মুফতি Arif Bin Habib হাফিজাহুলাহ

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Jahid Hasan Ahad posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Jahid Hasan Ahad:

  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share