17/03/2024
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় কোরআন তেলাওয়াতের আয়োজন করা শিক্ষার্থীদের পরিচয় জানতে চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগকে চিঠি দিয়েছেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির। বটতলায় কোরআন তেলাওয়াতের আয়োজন করা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সেটিরও লিখিত উত্তর দিতে বলা হয়েছে কলা অনুষদের সেই চিঠিতে।
‘কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর বাঙালী মুসলমানদের ক্ষোভ ছিল ১৯০৫-এ পূর্ব বাংলা এবং আসাম প্রদেশ গঠনের অনেক আগে থেকেই। ... ক্ষোভের কারণ শুধু হিন্দু প্রাধান্য নয়, শিক্ষাক্রমে হিন্দুধর্ম প্রাধান্য পাওয়ায় মুসলমানদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।’
উদ্ধৃত লেখাটি সৈয়দ আবুল মকসুদের। উক্ত লেখায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন প্রতিষ্ঠা জরুরি ছিল, তার একটি আভাস পাওয়া যায়।
সেই বঙ্গভঙ্গ রদ আর মুসলিমদের অগ্রাধিকার দিয়ে হিন্দু্ত্ব শিক্ষার প্রাধান্য দূর করে যে ঢাবি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল তা কি বর্তমানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে!
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংস্কৃতি বিভাগ সাংস্কৃতিক কর্মশালা করতে পারে, সংগীত বিভাগ গানের আয়োজন করতে পারে, চারুকলা বিভাগ আর্টগ্যালারি দেখাতে পারে, গণিত বিভাগ ম্যাথ অলিম্পিয়ড করতে পারে, বিজ্ঞান অনুষদ সাইন্স এক্সিবিশন করতে পারে, সেই ধারাবাহিকতায় ইসলাম শিক্ষা বিভাগ ইসলামিক আয়োজন করলে, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ ইসলামবিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করলে কিংবা আরবি বিভাগ কুরআনের আসর বসালে আপনাদের এত চুলকানি তৈরি হয় কেন?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রবল বিরোধিতাকারী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সময়ের উপাচার্য স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, রাজনীতিক সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী, ড. রাসবিহারী ঘোষের প্রেতাত্মারা কি সেই সময়ের প্রতিশোধ এই কালের রাসবিহারী গংদের মাধ্যমে নিতে চাচ্ছেন?
ঢাবি ক্যাম্পাসে সব ধর্মের অনুষ্ঠান পালন করা গেলেও সমস্যা কেবল ইসলামের উৎসব আয়োজনে। ইসলামিক উৎসবে 'উৎসব সবার'- ধ্বজাধারীরা তো নয়-ই, সেক্যুবাগীরাও আসে না। তাহলে মূল সমস্যা কোথায় বোঝা যাচ্ছে? উৎসব সবার যারা বলে তাদের কাছে আমাদের সিয়াম ইফতার তিলাওয়াত জুমা ঈদ উৎসব মনে হয়না?
নচেৎ বটতলায় কবিতা-কনসার্ট সহ সংস্কৃতির নামে ভন্ডামি করা গেলেও সেই একই জায়গায় কুরআন তেলাওয়াত হলে আপনাদের গা এত জ্বলে কেন?