17/07/2025
অভাব থাকলে পড়াশোনা মাথায় ঢুকে না। একটু বেশি পড়তেই গেলে নিজেকে পাগল মনে হয়। খালি পেটে কখনো জ্ঞানী হওয়া যায় না। আপনি লক্ষ করে দেখবেন, ১০০০ জন বিসিএস ক্যাডারের মধ্যে প্রায় ৯৯৯.৫০ জন ক্যাডারের ফ্যামিলি ব্র্যাকগ্রাউন্ড ভালো। তাঁরা জমিদার পরিবারের সন্তান। অন্ততপক্ষে জমিদার না হলেও আর্থিক চিন্তাটা তাঁদের মাথায় নেই। তাঁদের মাথায় শুধু পড়া আর পড়া। তাঁদের পড়ার টেবিলে শুধু বই থাকে না; আরো থাকে প্রোটিন ও শর্করা সমৃদ্ধ খাবার(ডিম, পাউরুটি, ফলমূল, দুধ ও হরলিকস ইত্যাদি ইত্যাদি)। আপনার মনে এখন প্রশ্ন জেগেছে, তাহলে পত্রিকায় বা ফেসবুকে যে দেখলাম; রিকশাচালকের ছেলে বিসিএস হয়ছে, চা/বাদাম বিক্রি করে বিসিএস হয়ছে। আরে! এটা হাজারে বা দুই হাজারে একজন। এখানেও দেখবেন তাঁর মধ্যেও আর্থিক চিন্তাটা মাথায় ছিলো না। কিন্তু কেনো? কারণ, তাঁকে হয়তো কেউ না কেউ আর্থিকভাবে সাহায্য করেছে। হতে পারে এলাকার কোনো জমিদার, মেম্বার, চেয়ারম্যান, সাংসদ বা দেশের কোনো রাজনৈতিক দানশীল ব্যক্তি। হয়তো কোনো কোচিং সেন্টারে সে ফ্রিতে পড়ছে। আমাদের দেশের পত্রিকা বা অনলাইন নিউজপোর্টালে এক হাজার নয়শতো নিরানব্বই জনকে বাদ দিয়ে ঐ একজনকে মানুষের কাছে হিরো বানিয়ে দেয়। আসল কথা হলো রবীন্দ্রনাথরা প্রতিদিন জন্মায় না। এবার আসুন অন্য কথায়। আপনি গরিব। আপনার স্বল্প বেতনের চাকরি আছে। টিউশন করান। প্রাইভেট পড়ান। তারপর আপনি ক্লান্ত। সবশেষে আপনি একটু বিশ্রাম নেয়ার জন্য শুয়ে পড়েছেন। এখন আর শুয়ে পড়া অবস্থা থেকে টেবিলে বসে পড়তে ইচ্ছে করছে না। মনে মনে টিক করে ফেলেছেন, আগামীকাল ভালো করে পড়বো। নিত্যদিনের মতো আগামীকালই একই অবস্থা হবে। কিন্তু আপনি যে চাকরি,টিউশন, প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে দেনিক ১০ ঘন্টা মতো সময় ব্যয় করতেছেন; সেই ১০ ঘন্টা কিন্তু আপনার শহুরে বন্ধু দিব্যি মনোযোগ দিয়ে পড়তেছে। তার মধ্যে অন্য কোনো চিন্তা নেই। তার চিন্তা শুধু বিসিএস/ব্যাংকার বা উচ্চপদে চাকরি করা। আর পড়ার মাঝে হালকা বিরতি নিয়ে সিদ্ধ ডিম খাচ্ছে, হরলিকস খাচ্ছে...। কারণ, শরীরে শর্করা বা প্রোটিন পরিমাণ মতো না খেলে ব্রেইন তো সঠিকভাবে কাজ করবে না। সে ক্যাডার না হয়ে, আপনি টিউশনে বেলা বিস্কুট আর রঙ চা খে*য়ে ক্যাডার হবেন?