05/08/2025
তাজহাট জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা, যা রংপুর জেলায় অবস্থিত। এটি একটি দৃষ্টিনন্দন রাজপ্রাসাদ যা বর্তমানে একটি প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘর হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে।
🔷 সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
নাম: তাজহাট জমিদার বাড়ি / তাজহাট রাজবাড়ি
অবস্থান: তাজহাট, রংপুর শহরের দক্ষিণ প্রান্তে (প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে)
প্রতিষ্ঠাতা: হজী মুহাম্মদ সওদাগর (১৯ শতকের শেষ দিকে)
বর্তমান ব্যবহার: প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘর (Archaeological Museum)
🏰 স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য:
ভবনটি ইউরোপীয় রীতিতে নির্মিত, মিশ্র রেনেসাঁ ও মোঘল স্থাপত্যশৈলী দেখা যায়।
সাদা পাথর, মার্বেল এবং ইটের মিশ্রণে তৈরি।
রাজপ্রাসাদের সামনের অংশে রয়েছে বিশাল সিঁড়ি ও খোলা উঠোন।
ভবনের সামনে একটি মনোরম বাগান এবং জলাশয় রয়েছে।
🕰 ইতিহাস:
জমিদার হজী মোহাম্মদ সওদাগর তাজ ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন, তাই এলাকা ও বাড়ির নাম হয় "তাজহাট"।
১৯০০ সালের দিকে নির্মিত হয় এই রাজবাড়ি।
জমিদারী প্রথা বিলুপ্তির পর এটি পরিত্যক্ত ছিল কিছু সময়।
১৯৮৪ সালে এটিকে রংপুর হাইকোর্ট বেঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
পরে ২০০৫ সাল থেকে এটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
🏛️ জাদুঘর সম্পর্কিত তথ্য:
তাজহাট রাজবাড়িতে এখন প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘর রয়েছে, যেখানে দেখা যায়—
পাল, সেন ও মোঘল আমলের বিভিন্ন নিদর্শন
প্রাচীন শিলালিপি, মূর্তি, পোড়ামাটির ফলক
তাম্রপত্র, প্রাচীন কাগজে লেখা পুঁথি ইত্যাদি
🧭 কিভাবে যাবেন:
রংপুর শহর থেকে: রিকশা, অটো বা ব্যক্তিগত গাড়িতে ১৫–২০ মিনিটে যাওয়া যায়।
ঢাকা থেকে: বাসে বা ট্রেনে রংপুর, তারপর স্থানীয় পরিবহনে।
🕒 সময়সূচি ও টিকিট:
সময়: প্রতিদিন সকাল ১০টা – বিকাল ৫টা (সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যতিক্রম হতে পারে)
প্রবেশ মূল্য: বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য সামান্য টিকিট ফি, বিদেশিদের জন্য আলাদা।
✨ দর্শনার্থীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ:
ঐতিহাসিক প্রাসাদের স্থাপত্য
জাদুঘরের প্রাচীন নিদর্শন
ছবি তোলার মনোরম পরিবেশ
শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণার সুযোগ