Rumi's Reflection

Rumi's Reflection Cooking, Writing, Crafting

08/02/2025

❝"হঠাৎ করে কখনো কারো কথা মনে পড়লে তার জন্য দো'আ করুন।" হয়তো বা সেই মূহুর্তে আপনার দোয়া তার খুব প্রয়োজন!"

❝"যে ব্যাক্তি অন্যের জন্য দোয়া করে
ফেরশতারা তার জন্য দোয়া করেন।"❞

[আবু দাউদ-১৫৩৪]

11/09/2024

একজন মুমিনা নারীর ব্যক্তিত্বের প্রথম ধাপেই আসে আল্লাহর সাথে সম্পর্কের বিষয়টা।
আল্লাহর সাথে সম্পর্কের মূল কথা দুইটা,
১. গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা
২. আমলের সাথে ইশক রাখা।

আল্লামা তাকী উসমানী হাফি. এক বয়ানে বলেছিলেন, শয়তান আলেম ছিলো, আবেদ ছিলো, কিন্তু আশেক ছিলো না।

ইশক জরুরী।
ঘুমানোর আগে যদি ভাবি, এই ঘুমের উসীলায় সুস্থ শরীরে ও ঝরঝরে মন নিয়ে ফজর সালাত পড়তে পারবো, তো আমার আরামের কাজ আল্লাহর জন্য হয়ে গেলো।

যদি বাচ্চাদের সাথে দুষ্টুমি করতে গিয়ে ভাবি, এরা আল্লাহর আমানত, আমি শুধু তাদের হেফাজতের চেষ্টা করছি, তো আমার আনন্দের কাজ আল্লাহর জন্য হয়ে গেলো।

এইভাবে সব কাজে আল্লাহর মোহাব্বত পয়দা করা নিতান্তই সহজ।

কখনো আমাদের এমন হয়, সালাতে মনোযোগ থাকে না, তিলাওয়াতে প্রাণ আসে না; আমরা হতাশ হয়ে পড়ি। না, সমুদ্দুরে যেমন জোয়ার-ভাটা থাকে, ইশকের দরিয়ায়ও তেমন উঠা-নামা থাকে। এটা মেনে নিয়েই কলব প্রশান্ত রাখার প্রচেষ্টা জিইয়ে রাখতে হবে হারপল। ইশক এক ইহসাসের নাম, যা কখনো ম্লান হয়, কখনো প্রবল।
ইশকের উঠা-নামা না থাকলে তো মানুষ মজনূন হয়ে যায়, কিন্তু আমরা তো সুস্থ আছি। তবে দুশ্চিন্তা কেন?

সমস্ত দুশ্চিন্তা, পেরেশানি স্রেফ এক জায়গায় জমায়েত করে উচ্চারণ করি - হাসবুনাল্লাহু নি'মাল ওয়াকীল। ব্যস, সব বোঝা লাঘব। ইন শা আল্লাহ।©️

11/09/2024

আসলেই আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ।
এমন এমন জায়গা থেকে আল্লাহ রিজিক এনে দিবেন যে আমরা খুশি হয়ে যাবো।

☘️ রিজিক কিভাবে বাড়বে?
-শামসুল আরেফীন শক্তি

১.আত্মিয়তার হক
২.জীবিকা
৩.তাওয়াক্কুল
৪.দাওয়াত
৫.তাকওয়া
৬.স্বালাত
৭. বিবাহ

̇slam

10/09/2024

ও আল্লাহ! তোমাকে প্রান খুলে ডাকার বিনিময়ে হলে ও আমাদের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দাও।
যে কোন একটা ছোট আমলের বিনিময়ে নাজাত লিখে দাও।
দুনিয়ায় ও আখেরাতের সকল বিপদ থেকে রক্ষা করো।
Julaikha farhana

09/09/2024

হাজার হাজার হাজত পূরণের জন্য দুরুদ এবং ইস্তেগফারই যথেষ্ট!
যে ব্যক্তি এ দুটি জিনিস দ্বারা নিজের জবানকে সুসজ্জিত রাখবে সে কখনোই পেরেশান হবেনা ইনশাআল্লাহ।।❤️

07/09/2024

সবচেয়ে বিশ্রী অ'হংকার হলো "ইবাদতের অহংকার"।

পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আর এক খতম কোরআন পড়ে যদি নিজের মধ্যে কিঞ্চিৎ সুপিরিয়র ভাব চলে আসে এবং দুই টা লেকচার শুনে যদি হুট করেই সবাইকে জাহেল মনে হয়!!

তাহলে ধরে নিবেন আপনি ইসলামের সবচেয়ে প্রাচীন পাপের পথে হাটছেন!
যে পথে হেটেছিল বিতাড়িত শ'য়'তান।

সংগ্রহিত@
এমন দীনদারের সংস্পর্শেও রেখো না ইয়া রব। আমিন।

07/09/2024

হে আল্লাহ,
আমাদের সকলকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করুন।
আমীন

06/09/2024

★★ বিপদ আসলেই ভেঙ্গে পড়বেন না।

বিভিন্ন রকমের বিপদের মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে পরীক্ষা করেন। "হযরত আইয়ুব (আ:)" এর জীবনী থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। তিনি জীবনের প্রথম দিকে অনেক ধনসম্পদ এবং সম্মানের অধিকারী ছিলেন। কিন্তু শয়তান আল্লাহকে চ্যালেঞ্জ করে এবং বলে,আইয়ুব (আ:) এই ধন সম্পদ ও সম্মানের জন্য তার ইবাদত করে। শয়তান আল্লাহর কাছ থেকে আইয়ুব (আ:) কে বিপদে ফেলার এবং বিভিন্নভাবে পরীক্ষা নেওয়ার শক্তি বা ক্ষমতা চেয়ে নেন। শয়তান তার ধন সম্পদ নষ্ট করে দেন, তার সন্তানদেরকে মেরে ফেলেন, এবং তাকে রোগাগ্রস্থ করে দেন। আইয়ুব (আ:) দীর্ঘ ১৮ বছর কঠিন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এত কিছুর পরেও আইয়ুব (আ:) আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস হারাননি। সবাই তাকে ছেড়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত তার স্ত্রী বিবি রহিমা তার সঙ্গ ছাড়েনি। বিবি রহিমা তার স্বামী আইয়ুব (আ:) কে দীর্ঘ ১৮ বছর সেবা যত্ন করেন। অবশেষে আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আইয়ুব (আ:) আবার আগের জীবন ফিরে পান।

তাই আমাদের সকলের উচিত বিপদে ভেঙ্গে না পরা। দুনিয়াতে আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করতে পারেন। আমরা যেন বিশ্বাসের সাথে আল্লাহ তায়ালার সেই পরীক্ষা শেষ করতে পারি। হে আল্লাহ সেই তৌফিক আমাদেরকে দাও।

© Forhad Zoarder.

06/09/2024

ফযিলত তো অনেক শুনলেন। এবার শুনুন বিশুদ্ধ হাদিসের আলোকে দরুদ না পড়লে ভয়াবহ ৬ টি ক্ষতি:

১. জান্নাতের পথ ভুলিয়ে দেয়া হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : যে ব্যক্তি আমার উপর দরূদ পাঠ করতে ভুল করল, সে আসলে জান্নাতের পথ ভুল করল।
[ ইবনু মাজাহ: ৯০৮ ]

২. দরুদহীন বৈঠক আফসোসের কারণ হবে কিয়ামতের দিন। এমনকি ওই ব্যক্তি জান্নাতে গেলেও। [ মুসনাদে আহমদ: ৯৯৬৬ ]

৩. দরুদহীন বৈঠক মানুষকে বিপদগ্রস্ত ও আশাহত করে তোলে। আল্লাহ চাইলে শাস্তি দিতে পারেন আবার চাইলে মাফও করতে পারেন।
[ জামে তিরমিজি: ৩৬৮০ ]

৪. যে দু’য়ার মধ্যে দুরুদ নেই, সেই দু’য়া ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। তা কবুল হয় না।
[ সিলসিলাহ সহিহাহ: ২০৩৫ ]

৫. স্বয়ং আল্লাহর রাসূল বদ-দুয়া করেছেন, ওই ব্যক্তির জন্য, যে তাঁর নাম শোনার পর রুদ পড়ে না।
[ জামে তিরমিজি:৩৫৪৫ ]

৬. সবচেয়ে বড় কৃপণ হলো ওই ব্যক্তি, যে আল্লাহর রাসূলের নাম শোনার পর দরুদ পড়ে না।
[ তিরমিজি: ৩৫৪৬ ]

উল্লেখ্য, জুমার দিন বেশিবেশি দরুদ পড়ার আদেশ দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। আসুন, শুরু করি। আল্লাহ তাওফিক দিন। আমিন।

Abdullah Al Monsur

03/09/2024

সূরা মারইয়ামের দুটি মিরাকেল, যা আপনার ইমান বাড়াবে:

১. যখন জাকারিয়্যা আ. গোপনে আল্লাহর কাছে একটি সন্তান চাইলেন! তিনি তার রবকে বললেন, "আপনাকে ডেকে আমি কখনো ব্যর্থ হইনি"
অথচ তিনি পুরোপুরি বিশ্বাসই করেননি যে তার দোয়া কবুল হয়ে যাবে।

অতঃপর আল্লাহর সুসংবাদ এলো,
‘হে জাকারিয়্যা, আমি তোমাকে একটি পুত্র সন্তানের সুসংবাদ দিচ্ছি, তার নাম ইয়াহইয়া’

জাকারিয়্যা আ., যিনি আল্লাহর নবী, তিনি নিজেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে তার এই অবিশ্বাস্য দোয়া কবুল হবে কীভাবে। তিনি বারবার প্রশ্ন করছিলেন এটা কি আদৌ বাস্তব?
বৃদ্ধ জাকারিয়্যা আ. আল্লাহকে বললেন,
"হে আমার রব, কিভাবে আমার পুত্র সন্তান হবে, আমার স্ত্রী তো বন্ধ্যা, আর আমিও তো বার্ধক্যের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছি"

অতঃপর ফেরেশতারা বলল, ‘এভাবেই’। তোমার রব বলেছেন, ‘এটা আমার জন্য সহজ’

২. যখন মারইয়াম আ. কে একটি পুত্র সন্তানের [ঈসা আ. এর] সংবাদ দেওয়া হলো, অথচ তিনি ছিলেন অবিবাহিত! মারইয়াম আ. বললেন,
" কিভাবে আমার পুত্র সন্তান হবে? অথচ কোন পুরুষ আমাকে স্পর্শ করেনি। আর আমি তো ব্যভিচারিণীও নই"

অতঃপর ফেরেশতারা বলল,
" তোমার রব বলেছেন, এটা আমার জন্য সহজ"

সুবহানাল্লাহ একই সূরায় দুইবার আপনার রব বললেন "এটা আমার জন্য সহজ"
তবুও আপনার মনে হয় আপনার বিপদ থেকে আপনাকে উদ্ধার করা আল্লাহর জন্য কঠিন?

যিনি ইউসুফ আ. কে কূপ থেকে তুলে নিয়ে মিশরের আজিজ বানাতে পারেন তিনি কি আপনার পরিস্থিতি বদলাতে পারবেন না?
এই বিশ্বজাহানের একমাত্র অধিপতি যিনি, তিনি সবই পারেন! আপনি কেবল আপনার রবের কাছে ফিরে আসুন, আর সুসংবাদ গ্রহন করুন!

এই সূরা দিয়ে আল্লাহ আমাদের মনে করিয়ে দেন যে পরিস্থিতি যেমনই হোক, আর আমাদের চাওয়াটা যতো বিশালই হোক, সেটা কবুল করা আল্লাহর কাছে একদমই কঠিন নয়।
বরং তিনি যখন কোনো কিছু করার ইচ্ছা করেন তিনি কেবল বলেন "হও এবং তা হয়ে যায়"
সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ💗

©

03/09/2024

বেতন (টাকা) কে মাসের শেষ পর্যন্ত অবশিষ্ট রাখার
কৌশল


ঘটনাটি এক সৌদি-যুবকের। সে তার জীবনের প্রতি মোটেও সন্তুষ্ট ছিল না। তার বেতন ছিল মাত্র চার হাজার রিয়াল। বিবাহিত হওয়ায় তার সাংসারিক খরচ বেতনের চেয়ে অনেক বেশি ছিল। মাস শেষ হওয়ার আগেই তার বেতনের টাকা শেষ হয়ে যেত, তাই প্রয়োজনের তাগিদে তাকে ঋণ নিতে হত। এভাবে সে আস্তে আস্তে ঋণের চোরাবালিতে আটকে যাচ্ছিল। আর তার বেতনে এমন বিশ্বাস জন্ম নিচ্ছিল যে, তার জীবন এই অভাবেই কাটবে। অবশ্য তার স্ত্রী তার এ-অবস্থার প্রতি খেয়াল রাখত। কিন্তু ঋণের বোঝা এত ভারী হয়েছিল, যেন নিঃশ্বাস নেওয়াও দুষ্কর ছিলো।

একদিন সে তার বন্ধুদের এক মজলিসে গেল। সেদিন এমন একজন বন্ধু সেখানে উপস্থিত ছিল, যে অত্যন্ত বুদ্ধিমান এবং বিচক্ষণ ব্যক্তি। যুবকের বক্তব্য এমন ছিল যে, আমার ওই বন্ধুর সকল পরামর্শকে আমি খুব গুরুত্ব দিতাম।

কথায় কথায় যুবক তার সকল অবস্থা বন্ধুকে বলল। বিশেষত আর্থিক সমস্যাটা তার সামনে তুলে ধরল। তার বন্ধু মনোযোগ সহকারে কথাগুলো শুনল এবং বলল, আমার পরামর্শ হল- তুমি তোমার বেতন থেকে কিছু টাকা সাদাকার জন্য নির্ধারণ কর। যুবক আশ্চর্য হয়ে বলল, জনাব! সাংসারিক প্রয়োজন পুরনেই ঋণ নিতে হয়; আর আপনি আমাকে সাদাকাহ'র জন্য টাকা নির্ধারণ করতে বলেছেন? যাইহোক, যুবক বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি স্ত্রীকে জানাল। তার স্ত্রী বলল, পরিক্ষা করতে সমস্যা কী? হতে পারে আল্লাহ্ তা’আলা তোমার জন্য রিযিকের দরজা খুলে দিবেন। যুবক বেতনের চার হাজার রিয়াল থেকে ত্রিশ রিয়াল সাদাকাহ এর জন্য নির্ধারণের ইচ্ছা করল এবং মাসশেষে তা আদায় করতে শুরু করল। সুবহানাল্লাহ! কসম করে বললে মোটেও ভুল হবে না, তার (আর্থিক) অবস্থা সম্পূর্ণ বদলে গেল। সে তো সবসময় টাকা-পয়সার চিন্তা টেনশনেই পড়ে থাকত; আর এখন তার জীবন যেন ফুলের মতো হয়ে গেছে। এত ঋণ থাকা সত্ত্বেও নিজেকে স্বাধীন মনে হত। মনের মধ্যে এমন এক অনাবিল শান্তি হচ্ছিল, যা বলে বুঝানো সম্ভব নয়।

কয়েক মাস পর থেকে সে নিজের জীবনকে সাজাতে শুরু করল। নিজের আয়কৃত টাকা কয়েক ভাগে ভাগ করল, আর তাতে এমন বরকত হল, যা পূর্বে কখনও হয়নি। সে হিসাব করে একটা আন্দাজ করল, কত দিনে ঋণের বোঝাটা মাথা থেকে নামাতে পারবে ইন শা আল্লাহ।

কিছুদিন পর আল্লাহ তা’লা তার সামনে আরও একটি পথ খুলে দিলেন। সে তার এক বন্ধুর সাথে প্রপাটি-ডিলিং এর কাজে অংশ নিতে শুরু করে। সে বন্ধুকে গ্রাহক/ক্রেতা এনে দিত, তাতে ন্যায্য প্রফিট পেত।
আলহামদুলিল্লাহ! সে যখনই কোনো গ্রাহকের কাছে যেত, গ্রাহক অবশ্যই তাকে অন্য গ্রাহক পর্যন্ত পৌঁছনোর রাস্তা দেখিয়ে দিত। এখানেও সে ঐ আমলের পুনরাবৃত্তি করত। অর্থাৎ প্রফিটের টাকা হাতে আসলে (আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য) অবশ্যই তা থেকে সাদাকাহ নির্ধারণ করত।

আল্লাহর কসম! ‘সাদাকাহ কী’ তা কেউ জানে না; ঐ ব্যক্তি ব্যতিত যে তা পরিক্ষা করেছে। সাদাকাহ কর এবং সবরের সাথে চল- আল্লাহর ফজলে খায়ের বরকত নাযিল হবে, যা নিজ চোখে দেখতে পাবে।

নোট:- যদি আপনি কোনো মুসলমানকে তার উপার্জনের একটি অংশ সাদাকাহ জন্য নির্ধারণ করতে বলেন এবং এর উপর আমল করে, আপনিও ঐ পরিমাণ ছাওয়াব পাবেন যে পরিমাণ সাদাকাহ কারী পেয়েছে। আর সাদাকাহ কারীর ছাওয়াবে কোনো কমতি হবে না।

আপনি/ আমি দুনিয়া থেকে চলে যাবো আর আপনার অবর্তমানে কেউ আপনার কারণে সাদাকাহ করতে থাকবে। আপনি ছাওয়াব পেতে থাকবেন।

যদি আপনি তালিবে ইলমও হন এবং আপনার আয় একেবারে সীমিত ও নির্ধরিতও হয়। তবুও কম-বেশি, যতদূর সম্ভব (সামান্য কিছু হলেও) সাদকাহ র জন্য নির্ধারণ করুন।

যদি সাদাকাহকারী জানতে ও বুঝতে পারে যে, তার সাদাকাহ গ্রহীতার হাতে যাওয়ার আগে আল্লাহর হাতে চলে যায়। তাহলে অবশ্যই সাদাকাহ গ্রহণকারীর তুলনায় সাদাকাহদানকারী অনেক গুণ বেশি আত্মিক প্রশান্তি লাভ করবে।

সাদাকাহ দানের উপকারিতা:-

সাদাকাহ দানকারী এবং যে তার কারণ হবে সেও এ সকল ফায়েদার অন্তর্ভুক্ত।

১. সাদাকাহ জান্নাতের দরজাসমূহের একটি।

২. সব আমলের মধ্যে উত্তম আমল।

৩. সাদাকাহ কেয়ামতের দিন ছাঁয়া হবে এবং সাদাকাহ আদায়কারীকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করবে।

৪. সাদাকাহ আল্লাহ তা‘লার ক্রোধকে ঠান্ডা করে এবং কবরের উত্তপ্ততায় শীতলতার উপকরণ হবে।

৫. মৃতব্যক্তির জন্য উত্তম বদলা এবং সবচে’ উপকারী বস্তু হল সদকা। আর ছদকার ছওয়াবকে আল্লাহ তা‘আলা ক্রমাগত বৃদ্ধি করতে থাকেন।

৬. সাদাকাহ পবিত্রতার আসবাব, আত্মশুদ্ধির মাধ্যম ও সৎকাজের প্রতি রাহবারি করে।

৭. সাদাকাহ কেয়ামতের দিন সাদাকাহ কারীর চেহারার আনন্দ ও প্রফুল্লতার কারণ হবে।

৮. সাদাকাহ কেয়ামতের ভয়াবহ অবস্থায় নিরাপত্তার কারণ হবে। অতীতের জন্য আফসোস করা থেকে বিরত রাখবে।

৯. সাদাকাহ গুনাহের ক্ষমা এবং খারাপ কাজের কাফফারা।

১০. সাদাকাহ উত্তম মৃত্যুর সুসংবাদ এবং ফেরেস্তাদের দোয়ার কারণ।

১১. সাদাকাহ দানকারী সর্বোত্তম বান্দাগণের অন্তর্ভুক্ত এবং সাদাকাহ এর ছাওয়াব প্রত্যেক ঐ ব্যক্তি পায় যে কোনো না কোনোভাবে অংশিদার হয়।

১২. সাদাকাহ দানকারীর সঙ্গে সীমাহীন কল্যাণ ও বিরাট প্রতিদানের ওয়াদা রয়েছে।

১৩. খরচ করা মানুষকে মুত্তাকীদের কাতারে শামিল করে। সাদাকাহ কারীকে সৃষ্টিকূল মুহাব্বত করে।

১৪. সাদাকাহ দয়া-মায়া ও দানশীলতার আলামত।

১৫. সাদাকাহ দোয়া কবুল হতে এবং জটিল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার মাধ্যম।

১৬. সাদাকাহ বালা মসিবত দূর করে দুনিয়াতে সত্তরটা খারাপির দরজা বন্ধ করে।

১৭. সাদাকাহ হায়াত ও মাল বৃদ্ধির মাধ্যম। সফলতা এবং রিজিকের প্রশস্ততার মাধ্যম।

১৮. সাদাকাহ চিকিৎসা, ঔষধ ও সুস্থতা।

১৯. সাদাকাহ আগুনে পোড়া, পানিতে ডোবা ও অপহরণসহ (সকল) অপমৃত্যুর প্রতিবন্ধক।

২০. সাদাকাহ র প্রতিদান পাওয়া যায় চাই তা পশু-পাখিকেই দেওয়া হোক না কেন।

শেষকথা:- এই মুহূর্তে আপনার জন্য সর্বোত্তম সাদাকাহ হল, কথাগুলো সাদাকাহ এর নিয়তে প্রচার ও প্রসার করা।

©

Address

Rongpur
Rangpur
5400

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Rumi's Reflection posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share