25/05/2025
বিএনপি কেন ড. খলিলুর রহমানের মতো একজন মেধাবী দক্ষ ও চৌকস নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে বাদ দিতে চায়। ড. ইউনূসের নোবেল পুরষ্কারকে যদি বাদ দেওয়া হয় তবে যোগ্যতার বিচারে ড. খলিলুর রহমান বাংলাদেশের একমাত্র উপদেষ্টা যার যোগ্যতা ড. ইউনূসসহ সকল উপদেষ্টার চেয়েও বেশি।
ড.খলিলুর রহমানের উপর বিএনপি ও ওয়াকার কেন এতো ক্ষিপ্ত,? কারণ :
১. ভারত শত চেষ্টা করেও আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কার্ড খেলে মানবাধিকার লংঘনের প্রশ্ন তুলে বাংলাদেশের উপর পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞা ও সরাসরি আক্রমণের যে চেষ্টা করেছিল তাতে সফল হতে পারেনি শুধু মাত্র ড.খলিলুর রহমানের চৌকস পদক্ষেপ ও ড. ইউনূসের ইমেজের কারণে। ফলে পশ্চিমা দুনিয়ায় ভারত অসহায় হয়ে পরে,এতে করে ভারত ও ভারতের নিয়োগকৃত লবিস্টদের অন্যতম প্রধান শত্রুতে পরিনত হয় ড.খলিলুর রহমান।
২. বাংলাদেশের তিন দিকে ভারত, ভারত ছাড়া উল্লেখ করার মতো কোন শত্রু বাংলাদেশের নাই। অথচ বাংলাদেশ আর্মির অধিকাংশ ট্রাক ভারত থেকে কিনতো। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ ভারত থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য যুদ্ধ জাহাজও কিনতো। আরও আছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসাররা যুদ্ধ প্রশিক্ষণও নেয় ভারত থেকে। অবাক হবেন অনেক রকম যুদ্ধাস্ত্র সরঞ্জামও কিনতো ভারত থেকে।
নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড৷ খলিলুর রহমানের প্রশ্ন আপনি ভারত থেকে অস্ত্র কিনেন কি কারনে? প্রশিক্ষণ নেন কি কারণে? কার সাথে যুদ্ধ করার জন্য ? ভারত ছাড়া আমাদের কি আর কোন শত্রু আছে? আপনি ভারত থেকে যেই ট্রাক, যেই নৌযান,ও যুদ্ধাস্ত্র কিনেছেন সেগুলোতে ভারত গোপন ট্রেকার না বসিয়েই কি আপনাকে দিয়েছে? আপনি এটা নিশ্চিত হলেন কি করে? যখন ভারতের সাথে বাংলাদেশের যুদ্ধ বাঁধবে তখন এসব কিছু ফেলে পালাতে হবে নিশ্চিত। কারন এগুলোতে যদি গোপন ট্রেকার লাগানো থাকে এগুলো ধ্বংস করতে ভারতের এক মূহুর্ত সময় লাগবে না।
তাই ড.খলিলুর রহমান ভারত থেকে কিনতে চাওয়া আরও যে ক্রয় আদেশগুলো ছিল তা সব বাতিল করেছে। এতে করে সব মিলিয়ে ভারতের প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে, সর্বশেষ গত বুধবার ২৫৫ কোটি টাকার একটা ক্রয় আদেশ বাতিল করেছে বাংলাদেশ। এতে জ্বলছে ভারত, তাই জ্বলছে ভারতের সুবিধা ভোগী সেবাদাস ওয়াকার আর তার সাথে জ্বলছে ভারতের নব্য দালাল বিএনপি।
তাই ড. খলিলুর রহমানকে বিতর্কিত করার জন্য ড. খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা চালাচ্ছে বিএনপি ও ভারতের হ্যানি টেপে ফেঁসে যাওয়া ওয়াকার। বিএনপি ও ওয়াকার অভিযোগ করছে ড. খলিলুর রহমান আরাকান আর্মিকে করিডর দিচ্ছে। ড. খলিলুর রহমান দৈত নাগরিক অর্থাৎ বিদেশি নাগরিক। সে বাংলাদেশকে বিদেশিদের হতে তুলে দিচ্ছে। এবং বিএনপি এতটাই ক্ষিপ্ত যে ড. খলিলুর রহমানের পদত্যাগ চাচ্ছে। এবং ওয়াকার তার এখতিয়ারের বাহিরে গিয়ে বেয়াদবের মতো ড. ইউনূসকে হুমকি দিচ্ছে। ডিসেম্বরে মধ্যে নির্বাচন চাচ্ছে। করিডর নিয়ে মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা চালাচ্ছে। আর মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা ছড়িয়ে দিতে সাথে নিয়েছে ভারতের নব্য দালাল বিএনপিকে।
বিএনপি ও ওয়াকারকে বলতে চাই, যদি আপনাদের অভিযোগ গুলো সত্যি হয়, তবে আপনাদের উচিত জনসমক্ষে প্রমাণ হাজির করা, সালাউদ্দিন আহমেদ ও ওয়াকার যে মিথ্যা অভিযোগ ও প্রপাগাণ্ডা চালাচ্ছেন তার প্রমাণ কোথায়.? প্রমাণ দেন, আপনারা যে সত্য বলছেন তার প্রমাণ কোথায়?
এটা ইন্টারনেটের যুগ মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা চালিয়ে জনগণকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানানোর দিন শেষ। মিয়ানমারের অংশ কেটে আরাকান আর্মিকে নতুন দেশ স্বাধীন করার ইন্দোন বা করিডর, যদি ড. খলিলুর রহমান দিতো তবে সবার আগে প্রকাশ্যে জাতিসংঘে নালিশ দিতো মিয়ানমার ও চীন।
তারা কেন চুপ, আর ভারতের দালালরা কেন এতো সরব।
(সংগৃহীত)