S O J I B

⚡চা বেচে অমুক দিনে ১০ হাজার কামাচ্ছে""বেগুনের খেত করে মাসে ২ লাখ টাকা ইনকাম""চাকরি ছেড়ে গোবর ছেনে কোটিপতি"এসব গল্প এখন অ...
15/06/2025

⚡চা বেচে অমুক দিনে ১০ হাজার কামাচ্ছে"
"বেগুনের খেত করে মাসে ২ লাখ টাকা ইনকাম"
"চাকরি ছেড়ে গোবর ছেনে কোটিপতি"
এসব গল্প এখন অনেকেই শোনায়।

তরুণদের জন্য পরামর্শ, এই ফাঁদে পড়বেন না। একদম নিজের চোখে দেখা অভিজ্ঞতা — আমাদের বয়সী একজন — ওয়েল পেইড জব ছেড়ে এইসব কুইক ক্যাশের নেশায় পড়ে গেল, এখন হাউমাউ করে মরছে।

আপনি যাই করেন, সেটার এক্সপান্ডিবিলিটি থাকতে হবে। ধরুন, একজন রিকশাওয়ালা, সে ডিসেন্ট আয় করে, এন্ট্রি লেভেল চাকরিজীবীর চেয়ে বেশি। রিকশাওয়ালারা মাসে ৩০ হাজার কামায় আর জবে নতুন হলে স্যালারি মাত্র ১৫ হাজার — ভিউ শিকারীরা আপনাকে এটুকুই বলবে।

এবার পরের হিসাবটা! ভাবুন, ওই রিকশাওয়ালা তার ইনকাম ডাবল করতে চায় বা নিদেনপক্ষে আর একটু বাড়াতে চায়। তার জন্য একমাত্র অপশন রিকশা চালানোর সময় বাড়িয়ে দেওয়া। ডাবল করতে চাইলে তাকে ১০ ঘন্টার জায়গায় ২০ ঘণ্টা রিকশা চালাতে হবে। এটা কী ফিজিক্যালি পসিবল? রোদ, বৃষ্টি তো আছেই, ছুটির দিনে কাজে না গেলে আয় নেই।

কিন্তু এন্ট্রি লেভেলের জবে ৪/৫ বছরে বেতন ডাবল হয়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক, কোনো অতিরিক্ত ঘন্টা না বাড়িয়েই।

আপনি যে কাজটা করতে চান সেটা তো আগে ভালো লাগতে হবে। ফেসবুকের এক লাইকখোরের লেখা পড়ে আপনি সিদ্ধান্ত নিলেন বাজারে বসে চা বেচবেন, চাকরির ডাবল ইনকাম। ভেবে দেখুন, আগামী ৩০ বছর আপনি কাপ পিরিচ আর চুলা নিয়ে চা বানাতে রাজি আছেন কিনা।

লাইফস্টাইলের ব্যাপার তো আছেই। আপনার যখন তেমন ইনকাম ছিল না, তখন আপনি বাইক চালাতেন। সামনে টাকা হবে, গাড়ি কিনবেন। কিন্তু এসব কাজে গাড়ির ভূমিকা কি? গাড়ি চালিয়ে কি আপনি ঝালমুড়ি বেচতে যাবেন?

চাকরিজীবি বা ডিসেন্ট লেভেলের উদ্যোক্তা হলে আপনি তার সাথে একটা লাইফস্টাইল আর নেটওয়ার্ক বাই ডিফল্ট পাবেন। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ধরুন, আপনি একটা স্টেশনারি কোম্পানির মার্কেটিংয়ে জব করেন। আপনি আজ এই ভার্সিটিতে, কাল ওই ঝকঝকে অফিসে বি-টু-বি ডিল করতে যাবেন। কত হাই স্কিল লোকের সাথে পরিচিতি হবে, কন্টাক্ট বিনিময় হবে।

কিন্তু আপনি টাকা দেখে রাস্তায় বাদামের ঝুড়ি নিয়ে দাঁড়ালেন। আপনার নেটওয়ার্ক হবে পাশের ফুচকাওয়ালা, আইসক্রিম বিক্রেতা ইত্যাদি। ওই ফুচকাওয়ালার ওই মুহূর্তের সবচেয়ে বড় চিন্তা সে কতক্ষণে তার সব মাল বিক্রি করে ঘরে যাবে। আগামীকালও সে একই কাজ করবে। আপনার মতো তার অ্যাম্বিশন নেই, বড় কিছু করার ইচ্ছে নেই, দেশের মানুষের উপকারে আসার খায়েশ নেই।

মনে রাখবেন, Your network is your net-worth. আর ওই সমস্ত পেশায় যে খুব বেশি ইনকাম হয় তাও কিন্তু না। খবরের শিরোনামে লেখা "চাকরি ছেড়ে বেগুন চাষে লাখপতি", ভিতরে থাকে ১ বছরে আয় সর্বসাকুল্যে ৩ লাখ টাকা। মানে ওই লোক মাসে মাত্র ২৫ হাজার টাকা কামায়, এটা নিয়ে আবার নিউজও হয়!

তাই এইসব ভুয়া মোটিভেশনের ফাঁদে পড়বেন না। প্রতি বছর মিডিয়াগুলো নিজেদের স্বার্থেই এসব নিউজ করে। গত ৫ বছরে নিউজ তো কম দেখেননি, আইফোন হাতে চানাচুরওয়ালা, ডিএসএলআর হাতে চটপটি বিক্রেতা, আরো কত কি! প্রশ্ন হলো তারা এখন কোথায়? তারা এখনও কেন সেই রাস্তায় বসছে না আর ওরকম আয় করছে না? তাহলে এগুলো রিলায়েবল পেশা হয় কিভাবে?

কোনো কাজই ছোট নয়। কিন্তু সব কাজই যে আপনার ফিল্ড, তা-ও নয়। আপনার কাছে খুব ভালো একটা প্ল্যান আছে, কিন্তু পঞ্চাশ হাজার টাকার জন্য আপনি এগোতে পারছেন না। এখন আপনি যদি মাছ কুটে, চানাচুর বেচে ওই ৫০ হাজার টাকা জোগাড় করে ফেলতে পারেন, তাহলে সেটা ঠিক আছে। কিন্তু যেভাবে এসব পেশাকে সরাসরি একটা ওয়েল পেইড জবের বিকল্প হিসেবে দেখানো হচ্ছে, তা মোটেও রিয়েলিস্টিক নয়।

13/06/2025
13/06/2025

❏ জীবনের শেষ মেকাপটা কিন্তু সুরমা আর আতর দিয়েই হবে, তাই রূপচর্চা ছেড়ে আমল চর্চা করুন

13/05/2025

যার লজ্জা যত বেশি তাঁর দৃষ্টি ততো নিচু হয়ে থাকে।

আশিক চৌধুরীকে নিয়োগ দেয়া হয় ড. ইউনুসের ব্যক্তিগত চয়েজে। নভেম্বরের ৬ তারিখ এক পোস্টে আশিক চৌধুরী বলেছিলেন- "দিনে প্রায় ১৮...
10/04/2025

আশিক চৌধুরীকে নিয়োগ দেয়া হয় ড. ইউনুসের ব্যক্তিগত চয়েজে। নভেম্বরের ৬ তারিখ এক পোস্টে আশিক চৌধুরী বলেছিলেন- "দিনে প্রায় ১৮ ঘন্টা তিনি কাজ করতেছেন। ব্যবসায়ী, সিইও-সবার সাথে কথা বলতেছেন, সবকিছু বুঝার চেষ্টা করতেছেন- নতুন ইনভেস্টমেন্ট আনার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেছেন....." মন থেকে চাইলে কোনকিছুই অসম্ভব নয়। মাত্র ৫ মাসের মাথায় প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ইনভেস্টমেন্ট তিনি বাংলাদেশের জন্য গেইন করেছেন!!!...

শুধু তাই নয়- বঙ্গোসাগরীয় অঞ্চলে কিভাবে বিজনেস ডেভেলপ করা যায়, ইনভেস্টমেন্ট বাড়ানো যায় তার একটা দূর্দান্ত প্রেজেন্টেশন এবং রূপরেখা তিনি উপস্থাপন করেছে।
নেক্সট বছর গুলাতে এটা ফলো করলে দারুণ কিছু করা সম্ভব।

আশিক চৌধুরী শুরু একজন সফল বিজনেস গ্রেজুয়েট নন, তিনি একজন প্রফেশনাল স্কাইডাইভার। দেশের পতাকা বুকে নিয়ে ৪১,০০০ ফুট উপর থেকে জাম্প দিয়ে যিনি গিনেস বুকে নাম লিখিয়েছিলেন, তার পক্ষে দেশের জন্য যেকোনো কিছুই করা সম্ভব!

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই আশিক চৌধুরীদের কাজে লাগাবে কে? ড. ইউনুস আশিক চৌধুরীকে চিনেছিলেন। বাকিরাও কি চিনবে ? নাকি হ্যালির ধুমকেতুর মত আবির্ভাব হওয়া আশিক চৌধুরীরা ধুমকেতুর মতই হারিয়ে যাবেন?!

Address

Nilphamari
Rangpur
5350

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when S O J I B posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share