23/05/2025
**"সোনার শহর – এল্ডোরাডোর খোঁজে"**
অনেক, অনেক বছর আগে, আন্দিজ পর্বতমালার গভীরে ছিল এক রহস্যময় রাজ্য—**গুয়াতাভিতা**। এই রাজ্যের শাসক ছিলেন এক মহৎ রাজা, যিনি প্রতি বছর এক পবিত্র অনুষ্ঠানে সোনার গুঁড়া দিয়ে নিজের শরীর আবৃত করতেন। সূর্য ওঠার সময় তিনি এক বিশাল হ্রদের মাঝখানে গিয়ে নিজের শরীর থেকে সেই সোনা ধুয়ে ফেলতেন, এবং হ্রদের জলে প্রচুর সোনা ও রত্ন নিক্ষেপ করতেন দেবতাদের উদ্দেশ্যে।
এই কাহিনী ইউরোপীয় অভিযাত্রীদের কানে পৌঁছাতেই, তাদের মনে জেগে উঠল এক অদম্য লোভ। স্পেন থেকে ইংল্যান্ড, সবাই শুরু করল সেই "El Dorado" নামের সোনার শহর খোঁজা। শত শত অভিযান হলো, কেউ পেরোলো না দুর্বার জঙ্গল, কেউ হারিয়ে গেল নদীর স্রোতে, আবার কেউ স্রেফ পাগল হয়ে ফিরে এল।
তবে এক অভিযাত্রী, যুবক **ডিয়েগো**, ঠিক করল সে হাল ছাড়বে না। সে আন্দিজ পেরিয়ে পৌঁছাল গুয়াতাভিতা হ্রদের পাড়ে। এক রাত গভীর ধ্যানে বসে, সে দেখল জলে প্রতিফলিত এক সোনালী আলো—এমন উজ্জ্বল যেন সূর্য নিজে জলের নিচে বাসা বেঁধেছে। ডিয়েগো হ্রদে ঝাঁপ দিল।
তবুও কেউ আর ডিয়েগোকে দেখেনি।
লোককথা বলে, সে এল্ডোরাডোর সত্যিকারের রত্ন ভান্ডারে পৌঁছেছিল, কিন্তু শহরের দেবতারা তাকে বেছে নিয়েছিল তাদের রক্ষক হিসেবে। সে আর ফিরে আসেনি, কিন্তু আজও হ্রদের জলে সূর্য ডোবার সময় মাঝে মাঝে দেখা যায় এক সোনার ছায়া—এল্ডোরাডোর স্মৃতি।
---
এই গল্পটি সম্পূর্ণরূপে কল্পনাপ্রসূত, কিন্তু এল্ডোরাডোর মতো কিংবদন্তি যুগে যুগে মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছে, সাহস জুগিয়েছে এবং আবিষ্কারের প্রেরণা দিয়েছে।