
16/04/2025
ঠাকুরগাঁওয়ে হওয়াটা জরুরী!
বাংলাদেশে চীন সরকার ১,০০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি আধুনিক সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল করার প্রস্তাব দিয়েছে।
এটা দেশের জন্য বিশাল সুযোগ।
এই হাসপাতালের জন্য স্থান নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলছে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা জানিয়েছেন, নীলফামারীতে করার চিন্তা রয়েছে অথচ নীলফামারি মেডিক্যাল কলেজ আছেই।
তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে,ঠাকুরগাঁওয়ের কথা কেউ ভাবছে না কেন?
ঠাকুরগাঁও একটি সীমান্তবর্তী জেলা।
এখানে রয়েছে প্রায় ১৫ লক্ষের বেশি মানুষ।
এই জেলার মানুষ আধুনিক চিকিৎসা থেকে বছরের পর বছর বঞ্চিত।
এখানে আইসিইউ নেই,
সিসিইউ নেই,
নেই কোনো উন্নত নিউরো বা কার্ডিয়াক ইউনিট।
একটি সাধারণ হার্ট অ্যাটাক, ব্রেইন স্ট্রোক কিংবা সাপের কামড়েও মানুষকে রংপুর (১০৩ কিমি) বা দিনাজপুরে (৮০+ কিমি) ছুটতে হয়।
পথেই ঝরে যায় প্রাণ।
এভাবেই এক্সিডেন্টের শিকার যুবক, হঠাৎ অসুস্থ বৃদ্ধ সবাই এক অমানবিক বাস্তবতায় পড়ে।
পঞ্চগড় থেকেও মানুষ রংপুরে চিকিৎসা নিতে যায়,দূরত্ব ১৪৭ কিমি।
এই অঞ্চলের কোটি মানুষ চিকিৎসার বঞ্চনার শিকার।
অথচ নীলফামারীতে ইতোমধ্যেই সরকারি মেডিকেল কলেজ আছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ সেখানে থেকে মাত্র ৬০ কিমি দূরে।
তাদের চিকিৎসা কাঠামো তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো।
তাহলে ঠাকুরগাঁও কেন নয়?
কেন এই জনপদ বছরের পর বছর অবহেলার বোঝা বয়ে বেড়াবে?
ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর ,তিন জেলার মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে।
পুরো উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে অপ্রতুল চিকিৎসা অঞ্চলে একটা বিপ্লব হবে।
প্রতি বছর হাজার হাজার প্রাণ নতুনভাবে বাঁচবে।
এই হাসপাতাল ঠাকুরগাঁওয়ের হোক,এটা আমাদের দাবি, আমাদের অধিকার।
এটা কোনো অনুরোধ না।
এটা মানুষের জীবন-মৃত্যুর প্রশ্ন।
আমরা উন্নত চিকিৎসা চাই,
আমরা আধুনিক হাসপাতাল চাই,
আমরা বাঁচতে চাই।
১ হাজার শয্যার হাসপাতাল চাই ,ঠাকুরগাঁওয়ে চাই।