Shafin's Gallery

Shafin's Gallery "Interested in self-development"

27/08/2025

"বৈচিত্র্যের পথে, এককরণের নয়।"

সব পড়াশুনা এক কেন্দ্রীকরণের পক্ষে আমি নই। কারণ এর যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে, তা আমাদের কল্পনারও বাইরে। এতে হয়তো ব্যক্তিগত লাভ হবে, কিন্তু রাষ্ট্র বা জাতির সামগ্রিক উন্নয়নে এর প্রভাব নেগেটিভ হবে।

শিক্ষা হওয়া উচিত স্বাধীন ও বৈচিত্র্যময়। কেউ এসএসসির পর এইচএসসি করবে, কেউ ডিপ্লোমা ইন কৃষি, ইঞ্জিনিয়ারিং, মেরিন, লাইভস্টক,ফিশারিজে পড়বে,কেউ মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্টে পড়বে কেউবা টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে পড়বে—আবার কেউ হয়তো পড়াশোনায় আগ্রহীই হবে না। এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। শিক্ষা একক কোনো পথে সীমাবদ্ধ হলে এই বৈচিত্র্য নষ্ট হয়ে যাবে।

একটি সহজ উদাহরণ দিই। আপনি যদি ট্রেনে প্রথম শ্রেণীর টিকিট কেটে থাকেন, তবে কি দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণীতে গিয়ে বসতে পারবেন? পারবেন না। যদিও দাঁড়িয়ে যাওয়া সম্ভব, কিন্তু সিট পাবেন না। আবার যদি বলেন—“আমার কাছে প্রথম শ্রেণীর টিকিট আছে, তাই আমি সব শ্রেণীতে ভ্রমণ করতে পারবো”—তাহলে কথাটি কতটা যৌক্তিক শোনায়? শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রেও বিষয়টি একেবারেই এমন।

এইচএসসি + বিএসসি প্রকৌশলীদের হাতে প্রথম ও তৃতীয় শ্রেণীর চাকুরীর টিকিট রয়েছে। তারা প্রকৌশল পদে তো আবেদন করতে পারেনই প্লাস চাইলে অন্যান্য দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর চাকরির পদে আবেদন করে প্রবেশ করতে পারেন। কেবল একটি পদ—উপসহকারী প্রকৌশল এই পদে শুধু আবেদন করতে পারেন না—এটি শুধুমাত্র ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য সংরক্ষিত।

অন্যদিকে, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা এই একটিমাত্র পদেই আবেদন করতে পারেন, এর বাইরে নয়। ফলে দেখা যায়, বিএসসি প্রকৌশলীদের সুযোগ অনেক বিস্তৃত, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের সীমিত।

তাহলে প্রশ্ন ওঠে—যারা প্রায় সব পদেই আবেদন করার যোগ্যতা রাখে, তারা কেন এই একটিমাত্র পদ নিয়ে দাবি তোলে? এটি প্রকৃতপক্ষে ন্যায্য দাবি নয়, বরং লোভ ও হিংসা। যদি তারা ছোটবেলা থেকে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে পড়াশোনা করে, ডিপ্লোমা শেষ করে বিএসসি করতেন, তবে একাধারে টেকনিশিয়ান, উপসহকারী প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলী—সব পদের যোগ্যতা অর্জন করতেন।

অতএব, এতো যোগ্যতা থাকার পরও যদি তারা উপসহকারী প্রকৌশলীর মতো পদে চাকরির জন্য প্রতিযোগিতা করে, তবে সেটা জ্ঞানার্জনের প্রয়োজনে নয়, বরং কেবল বিলাসিতা কিংবা একটি মর্যাদার ট্যাগ অর্জনের জন্য প্রকৌশল পড়া।

আমি বলতে চাই উপসহকারী পদ শুধু মাত্র দের জন্য,সে যে বিষয়ে ডিপ্লোমা করুক।সবার নিজস্ব স্বাধীনতা আছে।যার যে বিষয় ভালো লাগবে সে সেই বিষয়ে পড়াশুনা করবে। কারো তো এতে কোন বাধাধরা নেই। শিক্ষার প্রতিটি ধাপের নিজস্ব মর্যাদা আছে। এক ধাপ এড়িয়ে অন্য ধাপের অধিকার দাবি করা কখনোই ন্যায্য নয়।
শিক্ষা হোক উন্মুক্ত শিক্ষা হোক স্বাধীন।

-মুতাসিম বিল্লাহ শাফিন
সাবেক শিক্ষার্থী
রংপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

24/08/2025

"শিল্প সাহিত্য দিয়ে আপনি রাস্তা বানাতে পারবেন না, সেতু বানাতে পারবেন না এমনকী উচু উচু বিল্ডিংও বানাতে পারবেন না কিন্তু এই শিল্প সাহিত্য দিয়ে আপনি মানুষকে গড়তে পারবেন। আর সে মানুষ জনই এসব বড় বড় জিনিসপত্র করার সিদ্ধান্তটা নেয়।"
- জাকির খান

20/08/2025

“জীবন কেবল একটি ছায়ার মতো,
এক খারাপ অভিনেতার মতো,
যে মঞ্চে অল্প সময়ের জন্য ওঠে, ফিটফাট করে, ব্যথিত হয়,
এবং তারপর আর কেউ তাকে শোনে না।”

-[Macbeth]

18/08/2025

আমাদের হয়তো সত্যজিৎ ছিলো না কিন্তু একজন জহির রায়হান ছিল।১৯৭২ এর ৩০ জানুয়ারীর পরে জহির রায়হানকে দেখেনি আর কোন বাঙালী । হারিয়ে যাওয়া একটি নক্ষত্র।
"শুভ জন্মদিন "

  ঐ দূরের আকাশটাকে বলতে চাই আমি.........।
18/08/2025



ঐ দূরের আকাশটাকে বলতে চাই আমি.........।

18/08/2025

সৃষ্টিকর্তা মানুষকে যে দান দিয়েছেন, তা সম্পূর্ণ শারীরিক নয়। কেউ পুরো হাত পায়নি, কেউ পূর্ণাঙ্গ পা পায়নি,কেউ আবার চোখ পায়নি,কেউ হয়তো একটা করে পেয়েছে ; কেউ আবার লিঙ্গও পুরোপুরি পায়নি। অথচ সবাইকে তিনি মুখ এবং নাক দিয়েছেন। এর সাথে দিয়েছেন কুমড়োর মতো একটা পেট। মাঝে মাঝে ভাবতাম এই দুনিয়া টা বুঝি পেট ও চ্যাট এর জন্যে। আজ সকালে ভাত খাওয়ার সময় মনে হলো ধারনা টা ভুল।
মানুষের মৌলিক সত্তা শারীরিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যে নিহিত নয়, বরং মৌলিক অভিজ্ঞতা, প্রকাশ এবং সংযোগের ক্ষমতায় নিহিত।
স্রষ্টার সৃষ্টি বড়ই রহস্য।সব আল্লাহ পাকের লীলা খেলা।

15/08/2025



"যুদ্ধই ধর্ম" (War is Religion / Religion as War)

🛡️ যুদ্ধই ধর্ম – ধর্ম কি যুদ্ধ শেখায়, নাকি যুদ্ধই এক ধর্ম?

❝ যুদ্ধ কখনও মানুষের রক্তে জাগে, কখনও বিশ্বাসে দগ্ধ হয়। আর ধর্ম? সেটি কখনও যুদ্ধে জ্বলে ওঠে, কখনও যুদ্ধকেই নিজের নাম দেয়। ❞

🔥 প্রস্তাবনা:

"যুদ্ধই ধর্ম" — এ বাক্যটি শুনতে অদ্ভুত, কঠিন কিংবা রূঢ় লাগতে পারে। কিন্তু ইতিহাস ও মানবসমাজের পরিক্রমায় বহুবার প্রমাণ হয়েছে যে, যুদ্ধ কেবল অস্ত্রের লড়াই নয়, এটি বিশ্বাসের, মূল্যবোধের এবং কখনও কখনও ধর্মীয় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার সংগ্রামও।
ধর্ম ও যুদ্ধ একে অপরকে পুষ্ট করেছে, আবার যুদ্ধ নিজেই একধরনের ধর্মে পরিণত হয়েছে।

⛩️ ধর্মের নামে যুদ্ধ – এক চিরায়ত ইতিহাস

প্রতিটি ধর্ম মানুষকে শান্তির বাণী শেখায় — তবুও ইতিহাস যুদ্ধগাঁথায় রক্তমাখা। প্রশ্ন জাগে, ধর্ম কি কখনও যুদ্ধ চায়?
নিচে কিছু ঐতিহাসিক ধর্মীয় যুদ্ধের সংক্ষিপ্ত চিত্র:

✡️ ক্রুসেড (Crusades) – খ্রিস্টান বনাম মুসলমান

খ্রিস্টানরা বাইজেন্টাইন সম্রাটের অনুরোধে জেরুজালেম উদ্ধার করতে গিয়ে শুরু করে ১১টি ধর্মযুদ্ধ (১১তম – ১৩শ শতক)।

ধর্মীয় অনুভূতিকে হাতিয়ার করে, হাজার হাজার মানুষ হত্যা হয়। অথচ যুদ্ধ ছিল রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ভূখণ্ডগত।

☪️ জিহাদ ধারণা – আত্মরক্ষা না আক্রমণ?

ইসলামে ‘জিহাদ’ মানে আত্মসংযম, আত্মোন্নতি ও ধর্মরক্ষা।

কিন্তু বহু জায়গায় রাজনীতিকরণ হয়েছে এই ধর্মীয় ধারণার। আফগান যুদ্ধ, ইসলামিক স্টেট – এসব প্রমাণ।

🕉️ কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ (মহাভারত) – ধর্ম যুদ্ধের আদর্শ?

ভগবদগীতায় কৃষ্ণ বলেন, “ধর্ম রক্ষায় যুদ্ধ অপরিহার্য।”

পাণ্ডবদের যুদ্ধ ন্যায়ের, ধর্মের; অথচ সেটিও রক্তাক্ত, বিভাজনকারী।

🔱 যুদ্ধই এক নতুন ধর্ম?

যখন যুদ্ধ কেবল ভূখণ্ড বা সম্পদের জন্য হয় না — বরং আদর্শ, জাতি, ভাষা, ধর্ম ও সংস্কৃতির উপর আধিপত্য বিস্তারের জন্য হয় — তখন যুদ্ধ নিজেই এক ধর্মে রূপ নেয়।

🧠 যুদ্ধের ধর্মীয় বৈশিষ্ট্য:

অন্ধ বিশ্বাস ~শত্রুকে বিনাশ করাই একমাত্র পথ।
বলিদান ~যোদ্ধা নিজের প্রাণ বিলিয়ে দেয়, যেমন ভক্ত নিজেকে উৎসর্গ করে।
রীতি ও নিয়ম~ যুদ্ধেও "code of conduct", যেমন ধর্মে নিয়মাবলী।
অনুসারী তৈরি ~যুদ্ধেও আদর্শবাদী সেনা তৈরি হয়, যারা নেতা বা মতবাদে বিশ্বাসী।
স্বর্গ/মুক্তির প্রতিশ্রুতি~ শহীদরা স্বর্গ পাবে – এমন বিশ্বাসে যুদ্ধ চালায়।

🎭 যুদ্ধ কি ধর্মের অপব্যাখ্যা নাকি রাজনৈতিক সুযোগ?

ধর্ম নিজে যুদ্ধ চায় না — চায় মানুষকে নিয়ন্ত্রণহীন হিংসা থেকে দূরে রাখতে। কিন্তু মানুষই ধর্মকে ব্যবহার করে যুদ্ধকে বৈধতা দেয়।
একটি ছোট উদাহরণ:

ধর্মীয় যুদ্ধের প্রচারঃ “তুমি যদি আমাদের ধর্মে বিশ্বাস না করো, তুমি শত্রু।”

রাজনৈতিক লাভ: শত্রু তৈরি করা মানে সমর্থক একত্র করা।

অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য: যুদ্ধ মানেই অস্ত্র বিক্রি, তেল দখল, এলাকা দখল।

📜 বুদ্ধ, যিশু ও মুহাম্মদের পথ কি যুদ্ধ ছিল?

🧘 গৌতম বুদ্ধ:

যুদ্ধ নয়, আত্মজয়ের কথা বলেন।

“ক্রোধ কখনও ক্রোধ নিবারণ করে না।”

✝️ যিশু খ্রিস্ট:

"If someone slaps you on the right cheek, turn to them the other cheek also."

ক্ষমার কথা বলেন, প্রতিশোধের নয়।

☪️ মুহাম্মদ (সা.):

“তোমার কলম ও চরিত্র দিয়ে দাওয়াত দাও, তরবারি দিয়ে নয়।”

আত্মরক্ষা ছাড়া আক্রমণের অনুমতি নেই।

👉 কিন্তু পরবর্তীতে অনুসারীরা এই বার্তাগুলোকে নানা রূপে ব্যাখ্যা করে নিয়েছেন।

📣 আধুনিক সমাজে "যুদ্ধের ধর্ম" কোথায়?

🛑 সাম্প্রদায়িক সহিংসতা

– ধর্মের নামে পুড়িয়ে দেওয়া হয় মসজিদ, মন্দির, গির্জা।

🛰️ তথ্যযুদ্ধ (Information Warfare)

– সাইবার স্পেসেও এখন আদর্শিক যুদ্ধ চলছে।

🧠 মস্তিষ্কধোলাই (Brainwashing)

– শিশুদেরও শেখানো হয়, “তোমার ধর্ম সেরা – বাকিরা দুশমন।”

🔚 উপসংহার:

যুদ্ধ কখনোই স্থায়ী শান্তি এনে দিতে পারে না, যেমন ঘৃণা কখনও ভালোবাসা জন্মাতে পারে না।
ধর্ম আমাদের আত্মা নির্মল করে — যুদ্ধ তা রক্তাক্ত করে। কিন্তু যখন যুদ্ধকেই আমরা ধর্মে পরিণত করি, তখন আমরা নিজেরই ধ্বংস ডেকে আনে।

"যে যুদ্ধ নিজেকে বদলায়, সে সত্যিকারের ধর্মযোদ্ধা। বাকিরা শুধু রক্তপাতকারী।"

15/08/2025

"ভালো মন্দ বলে কিছু নেই। মনই তা সৃষ্টি করে। "
-HAMLET

05/08/2025



সৃষ্টিকর্তা একদিন জীবজগতের জন্য দায়িত্ব ভাগ করছিলেন।
প্রত্যেক প্রাণী এলো তাঁর কাছে—কে কেমন জীবন পাবে, সেই সিদ্ধান্ত নিতে।

🐴 প্রথমে এল গাধা।

সৃষ্টিকর্তা বললেন—
“তোর কাঁধে থাকবে পরিশ্রমের ভার। তুই টানবি সংসারের হাল,
কখনো ফসলের মাঠে, কখনো শহরের ইটপাথরে। তোকে দিলাম ৫০ বছরের আয়ু।”

গাধা কিছুক্ষণ চুপ করে থাকল। তারপর নম্র স্বরে বলল—
“প্রভু, আমি কষ্টে ক্লান্ত হবো, কিন্তু ক্লান্তি যেন দীর্ঘ না হয়।
আমার জীবন ২০ বছরেই শেষ হোক।”

সৃষ্টিকর্তা হাসলেন, বললেন—“তুই বুঝেছিস কষ্টের ওজন, তাই দিলাম আয়ু কম।”

🐶 এরপর এল কুকুর।

সৃষ্টিকর্তা বললেন—
“তুই হবি মানুষের ছায়া, তার আনন্দে দৌড়াবি, দুঃখে পাশে বসে থাকবি। তোর জীবন হবে ৩০ বছরের।”

কুকুর বলল—
“আমি ভালোবাসা চাই, কিন্তু অনেক দীর্ঘকাল নয়। ১৫ বছর হলেই চলবে।”

সৃষ্টিকর্তা মৃদু হেসে বললেন—“তোর জীবন ছোট হবে, কিন্তু বিশ্বস্ততায় হবে মহান।”

🐒 এবার এল বানর।

সৃষ্টিকর্তা বললেন—
“তুই আনন্দের প্রতীক হবি। মানুষের ক্লান্ত মুখে তুই হাসির রেখা আনবি। তোর আয়ু ২০ বছর।”

বানর বলল—
“হাসানো সহজ নয়, প্রভু। আমি পারি, তবে অল্প সময়ের জন্য। ১০ বছর যথেষ্ট।”

সৃষ্টিকর্তা সম্মত হলেন। বললেন—“তোর ছোট জীবনেও আনন্দ থাকবে সবার জন্য।”

👤 সব শেষে এল মানুষ।

সৃষ্টিকর্তা বললেন—
“তুই হবি জ্ঞানের ধারক, স্বপ্নের গড়নকারী। তোর চোখে থাকবে দৃষ্টি, হৃদয়ে থাকবে দায়িত্ব। তোর জীবন হবে ২০ বছর।”

মানুষ মাথা নত করে বলল—
“এত বড় বোঝা, এত বড় স্বপ্ন, আর এত কম সময়?
আমাকে গাধার বাকি ৩০ বছর, কুকুরের ১৫ আর বানরের ১০ বছর দিয়ে দিন। আমি সব বইব, তবে নিজের গল্পটা অসম্পূর্ণ রেখে এ দুনিয়া ছাড়তে চাই না।”

সৃষ্টিকর্তা একটু থেমে বললেন—
“তুই চাইছিস অনেকটা জীবন? -যাহ, দিলাম। কিন্তু মনে রাখ—এই অতিরিক্ত বছরগুলো শুধু আয়ু নয়, এগুলো হবে তোর পরীক্ষা।”

তারপর শুরু হয় মানুষের আসল জীবন:

🔹 প্রথম ২০ বছর — মানুষ থাকে সত্যিকার মানুষ।

স্বপ্ন দেখে, শেখে, ভুল করে আবার উঠে দাঁড়ায়।
এই সময় তার চোখে আগুন, হৃদয়ে নির্ভীকতা।

🔹 পরের ৩০ বছর — গাধার জীবন।

পরিশ্রম করে পরিবার গড়ে,
অজান্তেই তার ঘাড়ে চেপে বসে দায়িত্বের পাহাড়।
নিজের কথা ভুলে গিয়ে সে হয়ে ওঠে একজন রক্ষক।

🔹 তার পরের ১৫ বছর — কুকুরের জীবন।

সে তখন অবসরপ্রাপ্ত।
ঘরে বসে যা পায়, তাই খায়।
ভালোবাসা পায়, কিন্তু শর্তসাপেক্ষে।
কখনো দাম পায়, কখনো পায় না।

🔹 আর শেষে ১০ বছর — বানরের জীবন।

কখনো এক সন্তানের বাড়ি তো কখনো আরেক সন্তানের বাড়ি ঘোরে আর নাতি নাতনিদের বিনোদন দেওয়াই হয় তাদের প্রধান দায়িত্ব, তাদের হাসায়, গল্প বলে, নিজের গল্প আর কেউ শোনে না।
তবু সে ভালোবাসে, কারণ সেটাই তার আসল পরিচয়।

✨ এখান থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।

● জীবন কখনোই একরকম থাকে না। তাকে বুঝে, মেনে নিয়ে, গভীর ভালোবাসা দিয়ে যিনি যাপন করেন — তিনিই আসলে সফল।

● দায়িত্ব মানেই দুর্ভাগ্য নয়। গাধার জীবন যত কষ্টের, ততই তা গৌরবের।

● স্বার্থহীন ভালোবাসা কখনো অপচয় নয়। কুকুরের মতো যদি ভালোবাসা দিতে পারো, তাহলে উত্তরাধিকার শুধু সম্পত্তি নয়, হৃদয়ের স্থানও পাবে।

● শেষ বয়স মানেই অবহেলা নয়। বানরের জীবন তখনই অর্থহীন, যদি সে নিজেকে বোঝে “বিরক্তিকর”। তুমি হাসি দিলে, তোমার শেষ জীবনও হবে আশীর্বাদে পূর্ণ।

এই হলো মানুষের জীবনচক্র।

05/08/2025



এক কেজি মধু! শুনতে যত সহজ, বানাতে ততটাই কঠিন। প্রায় ৪০ লক্ষ ফুলের পরাগ স্পর্শ করতে হয় এই মধুর জন্য। তাতে প্রয়োজন পড়ে প্রায় ১১০০ মৌমাছির অক্লান্ত পরিশ্রম। তারা সবাই মিলে ঘুরে বেড়ায় প্রায় ৯০ হাজার মাইল—যা কিনা পৃথিবী থেকে চাঁদের কক্ষপথের চেয়েও তিনগুণ বেশি!

এই পথে বহু মৌমাছি জীবনও হারায়। কিন্তু তারা থামে না। প্রতিদিনের কাজ ঠিকঠাক চালিয়ে যায়। যেন কর্মই তাদের ধর্ম।

📌 একটি মৌচাকে থাকে মাত্র একজন রাণী মৌমাছি। তার কাজ—শুধু খাওয়া আর ডিম পাড়া। আর সেটা সে করে রাজকীয় হিসেবেই—প্রতিদিন ১৫০০ থেকে ২৫০০ ডিম।

রাণী নিজে কিছুই খুঁজে খায় না। তাকে সারাক্ষণ পরিবেশন করে কর্মী মৌমাছিরা। তার আশপাশের পরিবেশও পুরোপুরি সুরক্ষিত, পরিষ্কার ও আরামদায়ক রাখা হয়।

কিন্তু এই রাজনীতির ভেতরে রয়েছে নিষ্ঠুর সত্য। যদি কোন ডিম থেকে আরেকজন রাণীর জন্ম হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে সেই শিশু স্ত্রী মৌমাছিকে লুকিয়ে রাখে কর্মীরা। কারণ রাণীর নজরে পড়লেই তার মৃত্যু নিশ্চিত।

যদি সে শিশু বড় হয়ে ওঠে, তবে এক ভয়ানক যুদ্ধ অনিবার্য। তখন হয় একে অপরকে হত্যা করে একজন রাণী হিসেবে টিকে থাকে, না হয় কেউ একজন মৌচাক ছেড়ে চলে গিয়ে নতুন এক সাম্রাজ্য গড়ে তোলে।

📌 পুরুষ মৌমাছির জীবন এককথায় আলস্যময়। তারা কোনও কাজ করে না। এমনকি নিজের খাবার পর্যন্ত মুখে তুলে খেতে হয় কর্মী মৌমাছিদের কাছ থেকে।

তাদের জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য—রাণী মৌমাছির সঙ্গে মিলন। এই মিলনের জন্যই তারা বাঁচে, এবং মিলনের সাথেই তাদের মৃত্যু ঘটে।

এই ঘটনা ঘটে এক বিশেষ ঋতুতে, এক নাটকীয় পরিবেশে। একে বলা হয় “দি মিটিং ফ্লাইট”। রাণী উড়ে আসে পুরুষ ধর্মসভা এলাকায়। সেখানে শত শত পুরুষ মৌমাছি অপেক্ষা করে তার জন্য। রাণীর শরীর থেকে ছড়ানো গন্ধে উত্তেজিত হয়ে তারা তার পেছনে ধাওয়া করে।

রাণী একে একে ১৮-২০ জন পুরুষ মৌমাছির সঙ্গে মিলিত হয়। কিন্তু প্রতিবার মিলনের পর পুরুষ মৌমাছির যৌনাঙ্গ ভেঙে যায়, এবং সে সঙ্গে সঙ্গে মারা যায়। তাই এই মিলনকে বলা হয় “দি ড্রামাটিক সেক্সুয়াল সুইসাইড”—এক ধরনের যৌন আত্মহত্যা।

📌 রাণী মারা গেলে মৌচাকে মুহূর্তেই নেমে আসে এক অদ্ভুত শূন্যতা। কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্য, মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে সব কর্মী মৌমাছি এ খবর জেনে যায় এবং তারা সক্রিয়ভাবে উদ্যোগ নেয় একটি নতুন রাণী তৈরি করার।

এই সংকট মুহূর্তে তাদের সংগঠন, দায়িত্ববোধ আর সময়ানুবর্তিতা অবিশ্বাস্যভাবে চোখে পড়ে।

📌 আপনি যে এক চামচ মধু মুখে দিচ্ছেন, জানেন কি তা বানাতে একটি মৌমাছির পুরো জীবনের সমপরিমাণ শ্রম লাগে? এক একটি কর্মী মৌমাছি তার সারাজীবনে মাত্র আধা চা চামচ মধু উৎপাদন করতে পারে।

আরও বিস্ময়ের কথা? মধু কখনও পচে না। এটি পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক খাদ্য যেটি হাজার বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।

✅ মৌমাছিদের জীবন আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়—পরিশ্রম মানে কেবল কাজ নয়, তা হলো ত্যাগ, দায়িত্ব, সংগঠন আর জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা।

মানুষ হিসেবে আমরা অনেক কিছু দাবি করি, কিন্তু মৌমাছিদের সমাজ আমাদের শেখায় বিনা অহংকারে কাজ করে যাওয়া কতটা মহৎ হতে পারে।

মধুর স্বাদ যেমন মিষ্টি, তাদের জীবনও তেমনই গাঁথা এক বিস্ময়কর ইতিহাসে।

02/08/2025

“একজন মানুষের সবকিছু কেড়ে নেওয়া যায়, শুধু একটা জিনিস নয়—সেটা হলো যেভাবে সে পরিস্থিতিকে দেখবে ও গ্রহণ করবে, সেই স্বাধীনতা। দেখার ভঙ্গিই শেষ স্বাধীনতা, এই স্বাধীনতা কেউ কেড়ে নিতে পারে না। "

-Viktor Frankl.

31/07/2025

গণিত বই আসলে একটা থ্রিলার উপন্যাস।

এখানে শ্রমিক হুট করে কাজ ছেড়ে চলে যায়, চৌবাচ্চা আচমকা ফুটা হয়ে যায়, মেসে হঠাৎ করে নতুন অনেক ছাত্র এসে হাজির হয়—কে আসলো, কেন আসলো, কেউ জানে না।
হঠাৎ একটা গাছের অর্ধেক ভেঙে পড়ে,
আর এত গাছ থাকতে বানর গিয়ে উঠে ঠিক সেই তৈলাক্ত বাঁশেই!
কোথাও কোণের ছায়া রহস্য তৈরি করে,
আর ধরা-ধরির খেলা তো অনেক আগেই শুরু হয়ে গেছে।

এসব অনিশ্চিত রহস্যের সমাধানে ব্যোমকেশ, ফেলুদা, কাকাবাবু আর মি. হোমস—এই চারজনকে নিয়ে এক বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রমান করা বা দেখানো উচিত।

Address

Saghata
5750

Telephone

+8801755328957

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Shafin's Gallery posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Shafin's Gallery:

Share