GolpoGram

GolpoGram Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from GolpoGram, Digital creator, Saidpur.

📚 গল্পগ্রাম | Golpogram
কল্পনার কলমে আঁকা বাস্তব ও অবাস্তবের গল্প।
🕯️ প্রেম, ভয়, আশা, প্রতিশোধ—সব গল্প এখানে বলে উঠে।
🎭 প্রতিদিন নতুন গল্পে হারিয়ে যাও।
✍️ লিখি হৃদয় দিয়ে, ছুঁয়ে যাই অনুভবে।
📥 ইনবক্সে পাঠাও তোমার গল্প!

ভালোবাসা থেকে যায়… শুধু মানুষটাই আর থাকে না…"পর্ব – "শেষ চিঠি, শেষ ভালোবাসা"🕯️ আরশির মা’র স্বীকারোক্তিমাটি দেওয়ার শেষ মু...
26/07/2025

ভালোবাসা থেকে যায়… শুধু মানুষটাই আর থাকে না…"

পর্ব – "শেষ চিঠি, শেষ ভালোবাসা"

🕯️ আরশির মা’র স্বীকারোক্তি

মাটি দেওয়ার শেষ মুহূর্তে, চোখভেজা কণ্ঠে আরশির মা এগিয়ে এসে বললেন—

> “নাফিজ, তুই তো জানতিস না...
ওর বাবা জোর করছিল ওকে ওই ছেলের সাথে বিয়ে দিতে—
কারণ সেই পরিবারটা প্রভাবশালী, বিদেশে সেটেল্ড, আর রাজনৈতিকভাবে আমাদের বড় সহায় হতে পারত।
ও জানত, যদি বিয়ে না করে—ওর বাবার ভয়ংকর রূপ দেখতে হতো।”

“ও ভয় পেয়ে গিয়েছিল...
তাই তোকে আঘাত করেছিল, কথা কাটাকাটি করেছিল,
শুধু যাতে তুই দূরে চলে যাস… আর ওর বাবার হুমকির মুখে ওর প্রিয় মানুষটা বেঁচে থাকে।”

> “খুব দুঃখিত নাফিজ… আমরা দুজনের জীবনই শেষ করে দিলাম… মাফ করে দিস বাবা…”

এই বলে আরশির মা ওর হাতে একটা খামে মোড়া চিঠি দিয়ে দিয়ে বললেন—

> “এটাই ওর শেষ চিঠি… তোকে দেওয়ার জন্য আমার হাতেই দিয়ে গিয়েছিল।”

---

📬 চিঠির শুরু – হাতের লেখা, কাঁপা কাঁপা অক্ষর

হোস্টেলে ফিরে এসে, নাফিজ চুপচাপ বসে চিঠিটা খুলল।
খাম খুলতেই পড়ল একটা পুরনো মুহূর্তের ছবি—
তাদের হাসিমুখে তোলা সেই মুহূর্ত, যেদিন বৃষ্টিতে ভিজে কাঁদা মাখা শরীরে দুজন একে অপরকে জড়িয়ে ধরেছিল।

ছবির পেছনে শুধু একটা লাইন:

> “ভুলে যাস না, এই দিনটাই ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর দিন…”

চিঠি শুরু হয়েছিল এমন—

---

✍️ আরশির শেষ চিঠি

প্রিয় নাফিজ,
আসসালামু আলাইকুম…

তুমি এখন যখন এই চিঠিটা পড়ছো, তখন আমি হয়তো এই পৃথিবীতে নেই।

তোমার মনে হচ্ছে হয়তো—আমি কিভাবে পারলাম?
তুমি ভাবছো, আমি কেন তোমার সাথে এমন ব্যবহার করলাম।
কিন্তু তোমাকে আঘাত করা আমার ইচ্ছা ছিল না, আমি শুধু চেয়েছিলাম… তুমি বেঁচে থাকো।

তুমি জানো না, বাবা আমাকে হুমকি দিয়েছিল—
তোমার ক্ষতি করার।
আমি… আমি কিভাবে মানতাম যে, আমার কারণে তোমার জীবন বিপন্ন হবে?

তাই আমি চুপ করে সব মেনে নিয়েছিলাম।

তোমার চোখে চোখ রেখে আমি "না" বলতে পারিনি।
তোমার সামনে কাঁদতেও পারিনি।

আমি শুধু ভেবেছিলাম, তুমি ঘৃণা করে দূরে সরে গেলে, হয়তো আমার থেকে ভালো থাকবে…

কিন্তু… তুমি ছাড়া আমি কিছুই নই।
আমার কাছে তোমাকে ছাড়া জীবন মানেই শূন্য।

তোমাকে ভালোবাসি…
ভালোবাসতাম…
ভালোবাসবো…

আমার এই ভুলগুলো মাফ করে দিও, নাফিজ।

আমি জানি না পরকালে মোবাইল থাকে কি না,
কিন্তু যদি থাকে, আমি তোমার সব কল রিসিভ করব,
আর যদি না থাকে…
তাহলে আমার কবরের পাশে এসে একটু কথা বলো, একটু দোয়া করো…

আর হ্যাঁ…
ভালো কোনো মেয়ে পেলে বিয়ে করো। সুখে থেকো।
আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, পরকাল থেকে তোমার অপেক্ষায় থাকবো।

খুব মিস করব।

– তোমার আরশি 🌸

---

💧শেষ দৃশ্য

চিঠি পড়া শেষ হতেই, নাফিজ আর নিজেকে ধরে রাখতে পারল না।
হাত কাঁপতে লাগল, চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ল অশ্রু।
সে সেই ছবিটা বুকে চেপে ধরে কাঁদতে লাগল—

> “তুই… তুই এমন করতে পারলি?
তুই যদি একবার বলতি… আমি সব ফেলে আসতাম তোর জন্য…”

follow for more story

আগের পর্ব কমেন্টে দেয়া আছে

#শেষচিঠি #শেষভালোবাসা #ভালোবাসারগল্প #চিরদিনেরআরশি #ভাঙাহৃদয় #বাংলাগল্প

22/07/2025

নিউ গল্প আসতেছে সবাই ফলো দাও পেজটিকে বন্ধুরা 💚

"ভালোবাসা যখন বাধার কাছে হার মানে, তখন কিছু ছবি, কিছু শব্দই হয়ে ওঠে শেষ চিহ্ন..."❝সীমা এক মেয়ে এক যুদ্ধ ❞পর্ব – "শেষ ছবি...
25/06/2025

"ভালোবাসা যখন বাধার কাছে হার মানে, তখন কিছু ছবি, কিছু শব্দই হয়ে ওঠে শেষ চিহ্ন..."

❝সীমা এক মেয়ে এক যুদ্ধ ❞

পর্ব – "শেষ ছবি, শেষ শব্দ, শেষ নিশ্বাস"

🌃 বিয়ের রাত – বাইরে আলো ঝলমলে, ভেতরে অন্ধকার

বিয়ের সাজে আরশিকে দেখে যেন রাজকন্যা মনে হচ্ছিল।
মাথায় সোনালি টিকলি, কপালে ছোট্ট টিপ, ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক, চোখে বিষাদের ছায়া।
সবার সামনে হাসছিল সে—কিন্তু সে হাসি ছিল কাঁচ। যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারত।

বিয়ের মঞ্চে যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে হঠাৎ সে নিজের রুমে একা যায়।
আস্তে করে দরজা বন্ধ করে দেয়। তারপর…

📸 একটা ছবি তোলে।
সে ছবিতে তার চোখে পানি, ঠোঁটে এক চিলতে হাসি আর গলার মালার ঠিক নিচে লেখা—

> "I'm sorry, Nafiz."

এই ছবি আর ছোট্ট একটা মেসেজ পাঠায় নাফিজকে।

---

🍷 নাফিজ – অন্য জগতে

সেই রাতেই নাফিজ ছিল অন্য এক জগতে।
নেশায় ডুবে… চোখে লাল ভাব, বুকে চাপা কান্না।
ওর মোবাইল পাশে শুয়ে ছিল, কিন্তু সে খেয়াল করেনি।
জগতের সব শব্দ যেন ওর জন্য থেমে গিয়েছিল।

---

🌅 সকাল – এক ধাক্কা বাস্তবতার

ভোরবেলা মোবাইল হাতে নিয়ে ঘুমচোখে হঠাৎ একটা মেসেজ দেখে ওর গা কাঁপে।
আরশির পাঠানো ছবি আর সেই একটি শব্দ —

> “I’m sorry.”

নাফিজ মুহূর্তেই নেশা কাটিয়ে উঠে বসে।

> “ও... ও এই মেসেজ কেন পাঠাবে? কাল তো ওর বিয়ে ছিল!”

দ্রুত সে ফেসবুকে ঢোকে—আর ঢুকতেই দেখে টপ নিউজ:

📢 “বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীর কন্যা আত্মহত্যা করেছেন বিয়ের রাতে।”

পোস্টে আরশির ছবির নিচে লেখা:

> “পরিবারের চাপে বিয়ে মেনে নিতে না পেরে নিজের জীবন শেষ করে দিলেন...”

---

🧨 ভেঙে পড়া এক হৃদয়

নাফিজ কিছুক্ষণের জন্য নিথর।
তারপর চিৎকার করে বলে উঠলো:

> “নাআআআআআআআআ!!”

হাত থেকে মোবাইল পড়ে গেল, বুক ফেটে কান্না শুরু হলো।
তার চিৎকারে পাশের রুমের বন্ধুরা দৌড়ে এল।
একজন তাকে জড়িয়ে ধরলো, কিন্তু নাফিজ তখন হাহাকার করে কাঁদছে।

> “ও আমায় ভালোবাসত... আমি বুঝতে পারিনি... আমি... আমি কিছুই করতে পারিনি...”
“ও আমাকে ক্ষমা করে দে আরশি... আমি তোকে বাঁচাতে পারিনি…”

কান্নার মধ্যে কখন যেন সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়।

---

⚰️ শেষ বিদায়

পরদিন, মিডিয়ার চোখ এড়িয়ে নাফিজ গিয়েছিল আরশির শেষ বিদায় দেখতে।
চোখে অশ্রু, হাতে ফুল।
চোখ বন্ধ করে একটা শব্দ বলেছিল:

> “আরশি... আমি এখনও ভালোবাসি তোকে।
মাফ করে দে আমাকে…”

---

🕯️ শেষ বাণী – আরশির মা

সবকিছু শেষে আরশির মা সামনে এগিয়ে এসে কাঁদতে কাঁদতে নাফিজকে জড়িয়ে ধরলেন।

> “তুই ওকে সত্যিকারের ভালোবাসিস। আমি জানি।
ওর বাবা যা করেছিল… আমরা যা করতে দিইনি... সেই মূল্য তোকে দিতে হল।
তোমাকে কিছু সত্যি কথা বলার ছিলো আরশি তোমায় ধোকা দেয় নি …

(চলবে)…

👉follow for more Story.
👉 আগের পর্ব ১ম কমেন্টে দেয়া আছে।
#শেষচিঠি #ভাঙাহৃদয় #নিঃশব্দভালোবাসা #অপ্রকাশিতভালোবাসা #চিরঅন্তর্ধান

"ভালোবাসার শেষ দাওয়াত — যেখানে স্মৃতি থাকে, কিন্তু মানুষ আর থাকেনা…"❝সীমা এক মেয়ে এক যুদ্ধ ❞💔 (গল্পের পর্ব – মোড় ঘোরানো...
23/06/2025

"ভালোবাসার শেষ দাওয়াত — যেখানে স্মৃতি থাকে, কিন্তু মানুষ আর থাকেনা…"

❝সীমা এক মেয়ে এক যুদ্ধ ❞

💔

(গল্পের পর্ব – মোড় ঘোরানো একটা রাত, দুঃখ আর দূরত্ব")

বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে আজ অদ্ভুত সাজসজ্জা।
ফুলে ফুলে ভরা রাস্তা, ক্যাম্পাসের ভেতরকার একটা পার্টি হল আলোয় ঝলমল করছে।
আরশি আজ একদম অন্যরকম। সাদা-সোনালি গাউনে ঝলমলে চোখ, কপালে টিপ, আর ঠোঁটে হাসি—যেটা হয়তো সত্যিকারের নয়।

কারণ আজ...
আজ তার বিয়ে উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের জন্য দাওয়াত।

তার বাবা, সদ্য অর্থমন্ত্রী হওয়া একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
তার একটাই চাওয়া—“একটা বড়, মর্যাদাপূর্ণ, পাওয়ারফুল পরিবারে মেয়ের বিয়ে”।

সে জন্যই ঠিক হয়েছে এক ছেলের সাথে বিয়ে—
ছেলে বিদেশে গুগলে চাকরি করে, উচ্চপদস্থ, রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম, নাম-ডাক আছে।

কিন্তু...

---

🎭 ক্যাম্পাসের প্রতিক্রিয়া

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেমিক প্রেমিকার রোল মডেল—আরশি ও নাফিজ।
আজকের এই দাওয়াত যেন তাদের প্রেমকে ধূলায় মিশিয়ে দিল।

> “ওরা তো প্রেম করতো!”
“নাফিজকে ছেড়ে চলে গেল! এত সহজে?”
“পাওয়ার আসলে সব বদলে দেয়…”

সবাই ফিসফাস করে, কিন্তু নাফিজ চুপ।

---

🖤 নাফিজের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ

নাফিজ কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছে না এই দৃশ্য।
সে ভাবছিল, হয়তো ঝগড়ার পর কিছু একটা ভুল হয়েছে।
হয়তো সে কিছু না বুঝেই ভেঙে ফেলেছে সম্পর্কটা।

তাই সে সাহস করে ক্যাম্পাসে গিয়ে আরশির কাছে যায়।
তাকে একটু থামিয়ে জিজ্ঞেস করতে চায়—

> “আচ্ছা, আরশি… এটা সত্যি?
তুমি কি সত্যিই… আমাকে ছেড়ে অন্য কারো সঙ্গে যাচ্ছো?”

কিন্তু…

---

💥 অপমানের মুহূর্ত

নাফিজ আরশির দিকে এগোতেই তার পাশে থাকা বডিগার্ড সামনে এসে দাঁড়ায়।

আরশি ঠান্ডা গলায় বলে:

> “দয়া করে, ওকে সরিয়ে দিন।

আর হা নাফিজ,
আমার বিয়ের ২ দিন পরে, দেখতে আসিস আমাকে আমার বিয়ের সাজে।

নাফিজ স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
চারপাশে সবাই থেমে গেছে, এক অদ্ভুত নিরবতা।

আরশি আর তাকায়ও না।
তার গাড়ি স্টার্ট হয়, সে চলে যায়...

---

🌧️ কষ্টের রাত

সেই রাতে—
নাফিজ তার রুমে একা।
টেবিলে একটা পুরোনো ছবি—আরশি আর তার একসাথে।
সে সেই ছবিটা দেখে, কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে, তারপর চুপচাপ একটা বারে চলে যায়।

> “এই কষ্ট… আমি আর নিতে পারছি না…”

সে প্রথমবারের মতো নিজেকে হারাতে চায়।
অ্যালকোহলের নেশায় জড়িয়ে পড়ে—কারণ বাস্তবের জ্বালা সইতে পারছে না।
চোখ দিয়ে বারবার অশ্রু গড়িয়ে পড়ে, মুখে একটাই কথা—

> “তুই এমন করলি কেন আরশি?”
“ভালোবাসলে—এভাবে ফেলে যাওয়া যায়?”

---
👉Follow for more story 🥰

👉 আগের পর্ব ১ম কমেন্টে দেয়া আছে।
#ভাঙাচোখ #অপ্রাপ্তভালোবাসা #ক্যাম্পাসগল্প #বাংলাগল্প #হারানোরকষ্ট
#নাফিজআরআরশি #অভিমানেররাত #টুকরোটুকরোস্মৃতি #প্রেমআররাজনীতি
#চোখেরপানি #কষ্টেরগল্প #বাংলাঅভিনয় #দুঃখেরশেষরাত #মনে_রেখো #সীমাএকমেয়েএকযুদ্ধ

22/06/2025

🔍 একবার খুললে, আর ফেরা যায় না... ৭১০ নম্বর রুমের দরজা কি ওদের আসল চেহারা দেখাবে, না আরও এক গভীর ফাঁদে ফেলবে রাহাত ও শায়লাকে?

#সাসপেনশন #নোরিটার্ন #৭১০নম্বররহস্য #রাহাতওশায়লা #তাহসিনারনোটবুক #অদৃশ্যমান #বাংলারহস্য #গল্পচলছে #হোটেলসানরাইজ #চেকইননোবেসী #ফিরেনাফিরে #গোপনপ্রকল্প #পরবর্তীপর্ব #মৃত্যুরগন্ধ #রহস্যঘেরা

"চাঁদের আলোয় ভেজা এক নিঃশব্দ রাত...যেখানে ভালোবাসা আর ভুল বোঝাবুঝির মাঝে হারিয়ে যায় একটি সম্পর্কের গল্প।সে চেয়েছিল শ...
22/06/2025

"চাঁদের আলোয় ভেজা এক নিঃশব্দ রাত...
যেখানে ভালোবাসা আর ভুল বোঝাবুঝির মাঝে হারিয়ে যায় একটি সম্পর্কের গল্প।
সে চেয়েছিল শুধু একটু বোঝা, আর পেয়েছিল অতিরিক্ত আগলে রাখা।
নিঃশব্দে বসে থাকে, সেই শেষ কথাগুলো মনে করে—যা আর কখনো ফেরত আসবে না..."

১৫.🌙 গল্পের পর্বঃ “সময়ের ছায়া”

(সমার ভ্যাকেশনের শেষ দিনগুলো)

আরশি ফিরে এসেছে ইউনিভার্সিটিতে, তবে মনটা আজকাল কেমন যেন শূন্য শূন্য লাগছে।
সীমার সঙ্গে সময় কাটিয়ে মাথাটা একটু হালকা হয়েছিল, কিন্তু ভেতরে ভেতরে সে কেমন অস্থির।
নাফিজ বুঝলেও, পুরোটা ধরতে পারছিল না।

আরশির কথাবার্তায় ক্লান্তি, মেসেজের জবাব দেরিতে দেওয়া, আর হাসির মাঝে চেপে রাখা দীর্ঘশ্বাস—সব মিলিয়ে নাফিজের মন খারাপ হতে লাগল।

এক বিকেলের দেখা – ক্যান্টিনের পিছনের বেঞ্চে

নাফিজ:
“আরশি, তুমি আজকাল আগের মতো কথা বলো না। আমি কী কিছু ভুল করছি?”

আরশি (চোখ সরিয়ে):
“তুমি সব কিছু বুঝতে চাও, অথচ কখনো বুঝতে চাও না আমি ঠিক কী অনুভব করি।”

নাফিজ:
“আমি তো সবসময় পাশে থাকার চেষ্টা করছি! কিন্তু তুমি নিজেই দূরে সরে যাচ্ছো।”

আরশি হঠাৎ গলা চড়িয়ে বলে ওঠে:

---

💥 তাদের তীব্র ঝগড়া (লাইভ সংলাপ আকারে)

> আরশি: “তোমার বুঝতে পারা আর পাশে থাকা মাঝে আকাশ-পাতাল পার্থক্য, নাফিজ!”
নাফিজ: “তুমি কি বলছো? সাত মাস ধরে এতটা আগলে রেখেছি তোমাকে, তাও তুমি বলছো আমি দূরে?”
আরশি: “হ্যাঁ! তুমি আমায় আগলে রাখোনি, আমাকে শ্বাস নিতে দাওনি! সবকিছুতেই তোমার জবাবদিহি চাই—কার সঙ্গে কথা বলছি, কোথায় যাচ্ছি, কেন হাসছি! আমি কি তোমার প্রপার্টি?”
নাফিজ: “কার সঙ্গে দেখা করছো, কার মেসেজে তুমি হাসো—এগুলো প্রশ্ন করাটা কি অপরাধ?”
আরশি (চোখে অশ্রু): “তুমি আমার অতীত জানতে চাও, অথচ আমার বর্তমান বিশ্বাস করো না! আমার প্রতিটা দম নেওয়ার হিসেব চাও! আমি ক্লান্ত, নাফিজ... সত্যি ক্লান্ত!”
নাফিজ: “তাহলে যাও। যাকে বিশ্বাস করো, তার কাছে যাও। আমি আর ধরে রাখবো না!”
আরশি (একটা দাঁত চেপে): “বাহ! অবশেষে তুমি নিজে থেকেই বললে। আমিও তো এই কথাটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। হয়তো আমরাই ভুল ছিলাম—এই সম্পর্কটাই ভুল ছিল।”
নাফিজ (চোখ নামিয়ে): “ভুল ছিল? তাহলে ৭ মাসের প্রতিটা মুহূর্ত অভিনয় ছিল, তাই তো?”
আরশি: “সব সময় তো ভালোবাসাই যথেষ্ট না, নাফিজ। কিছু সম্পর্ক ভাঙে না বোঝার অভাবে, ভেঙে যায় বোঝাতে গিয়ে!”
নাফিজ: “তুমি চাইলে তুমি থাকতে পারতে। কিন্তু তুমি চাইলে না।”
আরশি (চোখ সরিয়ে): “হয়তো তাই...”

---

🌧️ কষ্টের রাত

ঝগড়ার পরের রাতে, নাফিজ ঘরের অন্ধকারে বসে কাঁপা কাঁপা হাতে মোবাইলটা তুলে নেয়।
হোয়াটসঅ্যাপে আরশির প্রোফাইল খোলা—অফলাইন।
তার মুখে জ্বলছে আগুনের মতো অভিমান।
কিন্তু চোখে জমেছে ঠান্ডা কষ্টের জল।

সেই রাতের কিছু শব্দ ছিল নাফিজের ডায়েরিতে:

> “তাকে আমি ভালোবেসেছিলাম, সেভাবেই আগলে রাখতে চেয়েছিলাম।
কিন্তু হয়তো আমি তাকে শ্বাস নিতে দিইনি।
আর সে—সে হয়তো কাউকে চায়, যে তাকে শুধু ভালোবাসবে না, বুঝবেও।
আমি হয়তো শুধু ভালোবাসতে জানি—বোঝাতে না।”

---

⏳ To be continued...

👉 Follow for more story.

#সময়েরছায়া #চাঁদেররাত #ভালোবাসারগল্প #বিচ্ছেদেরগল্প #আবেগঘন #চাঁদেরআলো #শেষকথা #ভুলবোঝাবুঝি #রাতেরনিঃশব্দতা

21/06/2025

"৫ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া এক কণ্ঠ আবার ফিরে এলো… কক্ষ ৭০৭ কি শুধু একটা রুম, নাকি এক জীবন্ত ফাঁদ?"

#সাসপেনশন #তাহসিনারনোটবুক #বাংলাগল্প #বাংলাথ্রিলার #গল্পপোস্ট #আয়নারগল্প #রহস্যগল্প #রুম৭০৭ #ভৌতিকগল্প #সাসপেন্সগল্প #গল্পগ্রাম #বাংলা_গল্প_সিরিজ

❝ কখনো কি অন্ধকারেরও প্রাণ থাকে? সারা খুঁজে পেল সেই অদৃশ্য ছায়ার রাজ্য, যেখানে আত্মা বন্দী আর মুক্তির নামে চলে প্রতারণা...
21/06/2025

❝ কখনো কি অন্ধকারেরও প্রাণ থাকে? সারা খুঁজে পেল সেই অদৃশ্য ছায়ার রাজ্য, যেখানে আত্মা বন্দী আর মুক্তির নামে চলে প্রতারণা…
'অন্ধকারের ছায়া – Season 2' এখন আরও গভীর, আরও ভয়ংকর!
শেষ পর্যন্ত কে জিতবে — আলো, নাকি ছায়া? ❞
📖 পড়ুন পুরো সিরিজটি এখনই!

অন্ধকারের ছায়া

🩸 Season 2: ছায়ার গহ্বরে

---

পর্ব ১: নিঃশ্বাসহীন জাগরণ

সারার চোখ খুলল, কিন্তু চারপাশে শুধু অন্ধকার। সে বুঝতে পারলো না, বেঁচে আছে নাকি মৃত্যু পেরিয়ে গেছে। তার শরীর ঠান্ডা, নিশ্বাস নেই, তবুও সে অনুভব করতে পারছে — কিছু একটা বদলে গেছে।

আস্তে আস্তে আলো ফুটে উঠল, কিন্তু সেই আলোটা ছিলো গাঢ় নীলচে... যেন স্বপ্ন আর দুঃস্বপ্নের মাঝের জগৎ।

একটা কণ্ঠ ভেসে এল —

> “তুমি এখন ছায়ার ঘরে, যেখানে সময় থেমে যায়, আত্মা বন্দী থাকে।”

সারা চারপাশে তাকিয়ে দেখল, কুয়াশার মধ্যে বহু ছায়া দাঁড়িয়ে আছে। তাদের চোখে আত্মার ব্যথা, মুখে কোনো শব্দ নেই। হঠাৎ সেখানেই সে রাকিবকে দেখল — অচেনা, অথচ পরিচিত।

রাকিব তাকিয়ে বলল, “তুই এখন ওদের একজন হবি না... ওদের মুক্ত করতে এসেছিস।”

সারা কিছুই বুঝে উঠতে পারলো না, কিন্তু বুঝে গেলো — এখানে কিছু ভয়ঙ্কর চলছে। আর তাকে কিছু একটা করতে হবে।

---

পর্ব ২: ছায়ার পাপের বই

সারা ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলো রাকিবের কাছে। তার মুখ বিষন্ন, চোখ মৃতপ্রায়।

“তুই আমাকে এখন যা দেখছিস, এটা আমি না। আমি ভিতর থেকে আটকে আছি। ছায়া আমাকে চালায়,” রাকিব ফিসফিস করে বলল।

তারপর সে একটি পুরনো বই এগিয়ে দিল — পাতা পাতা রক্তে ভেজা।
এই ছিল “ছায়ার পাপের বই” — যার প্রতিটি পাতায় লেখা আছে ছায়ার যাত্রা, যাদের তারা গ্রাস করেছে।

“এই বই পড়ে শেষ করতে পারলে, তুই সত্যিকারের মুক্তির পথ খুঁজে পাবি,” রাকিব বলল।

কিন্তু হঠাৎ বইয়ের পৃষ্ঠা থেকে এক কালো ধোঁয়া বেরিয়ে সারার চোখে ঢুকে গেল। সে চিৎকার করতে পারল না, কেবল ভিতর থেকে একটা শব্দ ভাঙতে লাগলো —

> “তুমি এখন আমাদের কাছে লিখে দিয়েছো আত্মা…”

---

পর্ব ৩: ছায়ার চুক্তি

সারা জেগে উঠল এক মাটির গুহার মতো জায়গায়। বুকের ওপর বইটা, কিন্তু হাত-পা বাঁধা। একটা ছায়ামূর্তি সামনে দাঁড়িয়ে।

“তুমি এখন আমাদের শর্ত মানবে, অথবা এই জগতে চিরতরে হারিয়ে যাবে,” বলল ছায়াটি।

চুক্তিটা ছিল সহজ — অথবা ভয়ানক:

> “তোমাকে তিনটি আত্মা মুক্ত করতে হবে, যারা নিজের দোষে এখানে বন্দী। না পারলে, তুমিও তাদের একজন হয়ে যাবে।”

সারা ভয় পেলেও সাহস করল।
“আমি চেষ্টা করবো,” সে বলল।

ছায়া ফিসফিস করে হাসল।

---

পর্ব ৪: প্রথম আত্মা – প্রহসনের কন্ঠ

প্রথম ছায়াটি ছিল এক গায়িকা, লীনা। যার কন্ঠে জাদু ছিল, কিন্তু সে প্রতিযোগীদের অভিশাপ দিয়ে খুন করত, কন্ঠ চুরি করত। মৃত্যুর পর সেই গানের অভিশাপে সে বন্দী হয়ে যায়।

সারাকে তার কন্ঠ ফেরত দিতে হবে।

সারা এক পুরনো মঞ্চে পৌঁছালো। মঞ্চে গানের আওয়াজ, কিন্তু সব গলা কাঁপা, ভাঙা — যেন ছায়ার আর্তনাদ।

সারা গিয়ে বলল, “তোমার আসল কণ্ঠ আমি তোমাকে ফেরাতে এসেছি।”

লীনার ছায়া ধীরে ধীরে গলে পড়ল। এক সোনালী শব্দ বাতাসে মিশে গেল।

> “১ম আত্মা মুক্ত।”

---

পর্ব ৫: দ্বিতীয় আত্মা – ছায়ার ডাক্তার

এই আত্মাটি ছিল এক সার্জন — ডা. ইশতিয়াক, যে জীবিত রোগীদের অঙ্গ চুরি করত গবেষণার নামে।

তার প্রেতাত্মা এখন ছায়া ঘরে বন্দী, এক হাসপাতাল আকৃতির বিভীষিকায়।

সারা সেখানে ঢুকে গিয়ে দেখল, মৃতদের শরীর ছড়িয়ে ছিটিয়ে। ডাক্তার দাঁড়িয়ে, হাতে ছুরি।

“তুমি এসেছো? চল তবে, আজ তোমার হৃদপিণ্ড নিয়ে কাজ করি,” বলে সে এগিয়ে এল।

সারা কাঁপতে কাঁপতে বলল, “তুমি যা করেছো তা ক্ষমার নয়, কিন্তু মুক্তি চাও তো?”

সে একটা আয়না এগিয়ে দিলো — যাতে ডাক্তার নিজের মুখ দেখল। মুহূর্তেই ছায়া ভেঙে গেল।

> “২য় আত্মা মুক্ত।”

---

পর্ব ৬: তৃতীয় আত্মা – শিশুর কান্না

এই আত্মাটি ছিল একটি ছোট মেয়ে — অনু। তাকে তার বাবা-মা জলাঞ্জলি দিয়েছিলো কুসংস্কারের কারণে।

তার কান্না এখনও ছায়া জগতে গুমরে ওঠে।

সারা পৌঁছাল এক পাথরের ঘরে। সেখানে ছোট একটা মেয়ে একা বসে কাঁদছে।

সে বলল, “তারা বলেছিল আমি অপবিত্র… তুমি কি আমায় ছুঁবে?”

সারা তাকে জড়িয়ে ধরলো।

সেই স্পর্শেই পুরো ঘর আলোয় ভরে গেল।

> “৩য় আত্মা মুক্ত। চুক্তি সম্পূর্ণ।”

---

পর্ব ৭: ছায়ার প্রতিশোধ

চুক্তি শেষ হলেও ছায়া তার কথা রাখেনি।

“তুমি ভেবেছিলে আমরা মুক্তি দিই? না… তুমি শুধু আমাদের নতুন বাহক।”

সারাকে অন্ধকার গিলে নিতে লাগলো।

কিন্তু তখনই — রাকিব ছুটে এসে বলল, “না! আমি নিজেই ওর জন্য শেষ হই।”

সে নিজেকে ছায়ার সামনে উৎসর্গ করল।

অন্ধকার থেমে গেল। এক ঝলক আলো, আর রাকিব ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে গেল।

---

পর্ব ৮: শেষ যুদ্ধ

সারা এবার বুঝলো, একমাত্র উপায় — ছায়ার মূল হৃদয় ধ্বংস করা।

বইয়ের পাতা খুলে সে ছায়ার জন্মস্থল খুঁজে পেল — একটি পুরনো কুয়ো।

সেখানে সে পৌঁছালো, ভিতরে লাফ দিলো।

কুয়োর তলায় ছায়া বিশাল এক রাক্ষসের মতো রূপ নিয়েছে।

এক হাতে ছায়ার বই, অন্য হাতে রাকিবের আত্মা।

সারা ছুটে গিয়ে বইটা ছিঁড়ে ফেলল — তখনই বিকট চিৎকার আর আলোয় ছায়া ভেঙে চুরমার।

---

পর্ব ৯: মুক্তি

সারা চোখ খুলল — এবার সে তার নিজের বিছানায়।

ঘরের চারদিকে আলো। জানালার বাইরে পাখির ডাক।

রাকিবের ছবি তাকিয়ে আছে, কিন্তু এবার তার চোখে শান্তি।

সারা বুঝলো — সব শেষ। সে বেঁচে আছে, আর অন্ধকার জয় করেছে।

---

পর্ব ১০: ছায়ার চিঠি (শেষ পর্ব)

রাতে তার টেবিলে একটা চিঠি — অজানা হাতে লেখা।

> “তুমি ভেবেছিলে ছায়া মরে গেছে? না, আমরা শুধু ঘুমিয়েছি।
আবার দেখা হবে। অন্য কেউ, অন্য হৃদয়…
ছায়া সবখানেই ছড়িয়ে আছে।
— ছায়ার পাতা”

সারা মুচকি হাসল। দরজা বন্ধ করল।

কিন্তু ক্যামেরার এক কোণে — ছায়া আবার নড়ে উঠল।

শেষ।

---
👉ফলো করো আরো মজার গল্প পড়ার জন্য।

#অন্ধকারের_ছায়া #ছায়ার_গহ্বরে #ভয়ংকরগল্প #বাংলা_হরর #বাংলা_গল্প

"গ্রীষ্মের ছুটিতে ছিল না শুধু রোদ আর হাসি—ছিল একটু ভালোবাসা, একটু দুষ্টুমি, আর কিছু চিরকাল মনে রাখার মতো মুহূর্ত…" ☀️💛❝স...
21/06/2025

"গ্রীষ্মের ছুটিতে ছিল না শুধু রোদ আর হাসি—ছিল একটু ভালোবাসা, একটু দুষ্টুমি, আর কিছু চিরকাল মনে রাখার মতো মুহূর্ত…" ☀️💛

❝সীমা এক মেয়ে এক যুদ্ধ ❞

১৪. 🌞 পর্ব – গ্রীষ্মের ছুটিতে ভালোবাসা

গ্রীষ্মের ছুটিতে আরশি প্রথমবার নাফিজদের বাড়িতে আসে দুই দিনের জন্য।
সীমা যেন মনের আনন্দে মেয়ের মতো করে তাকে বরণ করে নেয়।
আরশি রান্নাঘরে গিয়ে সাহায্য করতে চাইলে সীমা বলেন,
👉 “মেয়ে, তুই রাঁধিস না ভালবাসিস—তাও এই ঘরটা তোকে পেয়ে আলোকিত হয়ে গেছে।”

নাফিজ পাশে দাঁড়িয়ে বলে,
👉 “তুমি তো বলছিলে বাসনও ধুতে পারো না! এখন দেখি মা’কে ছায়ার মতো সাহায্য করছো?”

আরশি চোখ রাঙিয়ে বলে,
👉 “মা’র সামনে এসব বলো না! ব্যথা পাবে তুমি।”

সবার মুখে হাসি।

---

🍲 রান্নাঘরের রসায়ন

আরশি লুচি বেলছিল, আর নাফিজ আলু ভাজা করছিল। মাঝে মাঝে হাত ছোঁয়া, ময়দা-মাখা হাতে একে অপরের গায়ে টোকা—একদম যেন নতুন প্রেমের ব্যাকুলতা।

সীমা রান্নাঘরে ঢুকে দেখেন দুজনেই আঙুলে আঙুল ছুঁয়ে কী যেন বলছে।

👉 “এই যে! বাসা কি সিনেমার সেট বানাইছো? কাজ করো!”

দুজনেই হেসে ওঠে।

---

🧸 খুদে তুষি এসে হাজির

পরদিন সকালে সীমা আর ছোট খালা তৃষা বাজার করতে যায়, রেখে যায় ছোট খালার পাঁচ বছরের দুষ্টু বাচ্চা, তুষি।
তুষি? যেন ছোট আকারে ঝড়।

দেখামাত্রই চিৎকার, দৌড়াদৌড়ি, খেলনার ঝুড়ি উল্টে ফেলে।
আরশি বলে,
👉 “এইটা মানুষ না প্যাডেল দেওয়া পাখি।”

নাফিজ হাঁপাতে হাঁপাতে বলে,
👉 “তাকে সামলাতে গিয়ে আমিও বাচ্চা হয়ে যাচ্ছি!”

তুষি হঠাৎ ঘর থেকে বেরিয়ে যায়… আরশি আর নাফিজ তাড়া করে বের হয়।

---

💞 ধাক্কা আর চোখে চোখ

তুষিকে ধরতে গিয়ে আরশি হঠাৎ পিছলে পড়ে, নাফিজ ধরে ফেলতে গিয়েই তার ওপর এসে পড়ে।
দুজনেই মাটিতে—আর তুষি ওদিকে দাঁড়িয়ে হেসে বলে,
👉 “এইটা কি নতুন খেলা?”

নাফিজ আর আরশির চোখে চোখ পড়ে।
এক মুহূর্ত—একদম চুপ।
আরশির চুল নাফিজের মুখ ছুঁয়ে গেছে, নিঃশ্বাস প্রায় লেগে যাচ্ছে।

আরশি ফিসফিস করে বলে,
👉 “সব দোষ তোমার, তুমি থামাতে জানো না…”
নাফিজ জবাব দেয়,
👉 “তোমাকে ছুঁয়ে দিলে থামার ইচ্ছেই হয় না।”

আর দুজনেই হেসে ফেলে, কিন্তু শরীরের সেই লজ্জার উত্তাপ ঠোঁটের কোণে রয়ে যায়।

---

😄 Funny মুহূর্ত – তুষির দুষ্টুমি

তুষিকে ঘুম পাড়াতে গিয়ে হঠাৎ সে বলে,
👉 “তোমরা বিয়ে করে ফেলো না কেন? তাহলে আমি থাকতাম ভাইয়ার বাড়িতে!”

আরশি লজ্জায় লাল, নাফিজ তো চুপ।
আরশি বলল,
👉 “তুই এসব কোথা থেকে শিখিস?”
তুষি জবাব দিল,
👉 “টিভিতে দেখি, বিয়ে করলেই কেক কাটে। আমিও খেতে চাই!”

তাদের হাসি থামে না।

---

🌇 দিন শেষে

রাত হয়ে গেছে। সীমা ফিরে এসে দেখে ঘর গোছানো, রান্না করা, বাচ্চা ঘুমিয়ে।
বলে,
👉 “তোমাদের দিয়ে ঘর চলে যাবে! এখন শুধু আশীর্বাদ বাকী।”

নাফিজ আর আরশি একে অপরের দিকে তাকায়, চোখে সেই চেনা নরম আলো।
বলে না কিছু, কিন্তু মনের ভিতর একটা কথা বাজে—
"এই ঘরেই, এমন হোক ভবিষ্যতের প্রতিটা দিন।"

---

সে কাঁদে না, ভাঙে না, শুধু চুপচাপ সহ্য করে।কারণ সে একজন ছেলে—একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের নীরব যোদ্ধা।গল্পের নাম: "নীরব সৈনিক...
20/06/2025

সে কাঁদে না, ভাঙে না, শুধু চুপচাপ সহ্য করে।

কারণ সে একজন ছেলে—একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের নীরব যোদ্ধা।

গল্পের নাম: "নীরব সৈনিক"

সবাই দেখে দায়িত্বটা, কেউ দেখে না কষ্টটা...

একজন ছেলের জীবন যেন নদীর মত—চুপচাপ বয়ে চলে, হাজার ঢেউ সামলেও তার গভীরতা বোঝা যায় না। কেউ ভাবে না, কেউ জানতে চায় না, সেই নদীর নিচে কত পাথর, কত কাঁটা লুকিয়ে আছে। এই গল্পটা এমনই একজন ছেলের, যার নাম আরিয়ান।

ছোটবেলা থেকেই সে শুনে এসেছে, “তুই ছেলে, কাঁদিস না।” কান্না যেন তার জন্য না, চোখের জল যদি আসে, তা ঢেকে ফেলতে শিখেছে আঙুল দিয়ে। স্কুলে পড়ার সময় অন্য ছেলেরা যখন বিকেলে মাঠে খেলত, তখন সে বাবার সঙ্গে দোকানে বসে থাকত। ক্লাসের ফাঁকে বন্ধুদের আড্ডা, গেমস, চিপস খাওয়া—সব কেমন যেন দূরের জগৎ মনে হতো। কারণ তার ঘাড়ে সংসারের প্রথম দায়িত্বটা ছোটবেলাতেই এসে পড়েছিল।

বাবা তাকে দেখিয়ে বলত, “এটাই আমার ভরসা।” আরিয়ান তখন বুঝত না, ‘ভরসা’ শব্দটা এত ভারি হয় কেন।

এসএসসি ভালো রেজাল্ট করল, কলেজে উঠল—কিন্তু পড়াশোনার খরচ চালাতে নিজেই প্রাইভেট পড়াতে শুরু করল। নিজের স্বপ্নগুলো একটু একটু করে কমিয়ে আনল, কারণ বাবার ব্যবসা ততদিনে ভালো যাচ্ছিল না, আর মায়ের চিকিৎসার খরচ বেড়েই চলছিল। ক্লাসের ফাঁকে কেউ কথা বললে হেসে কথা বলত ঠিকই, কিন্তু মাথার ভিতরে চলত হিসাব—“এই মাসে কয়টা ছাত্র পড়াচ্ছি? বোনের কোচিংয়ের ফি কিভাবে দেব?”

বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা ভাবলেও পরিবারের চাহিদা তাকে পেছনে টেনে ধরল। একটা ছোট চাকরি পেল। ঠিক বড় কিছু না—একটা অফিসের হিসাবরক্ষক। মাস শেষে সামান্য বেতন হাতে পেয়ে সে হাসত, যেন এক পাহাড় জয় করেছে। অফিস শেষ করে বাসায় ফিরত হেঁটে, যাতে রিকশাভাড়া বাঁচে। সন্ধ্যায় বাসায় ঢুকতেই মা বলত—“তোর মুখটা এত ক্লান্ত কেন রে?” আর সে হেসে বলত, “না, ভালোই আছি।” ক্লান্তি শব্দটা তার জন্য নয়।

বয়স ২৬ হলে চারপাশে মানুষজন চাপ দিতে শুরু করল—“এখন তো বিয়ে করতেই হবে।” নিজের ইচ্ছা ছিল না, কারণ জানত সংসার মানেই নতুন দায়িত্ব, কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরিবারের ইচ্ছায় বিয়ে করল। স্ত্রীর নাম মেঘলা। খুবই হাসিখুশি, প্রাণবন্ত মেয়ে। বিয়ের শুরুর দিনগুলো ছিল স্বপ্নের মতো। নতুন সম্পর্ক, নতুন আশ্রয়।

কিন্তু সময়ের সাথে সেই স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেল। সংসারের হিসাব-নিকাশ, টানাপোড়েন, অফিসের চাপ—সবকিছু তার মুখের হাসি কেড়ে নিল। মেঘলা অভিযোগ করত—“তুমি আগের মতো নেই।” কিন্তু কেউ বুঝত না, সে সকাল ৭টায় বেরিয়ে ১২ ঘণ্টা কাজ করে ফেরে, কিছুটা নিজের জন্য নয়, বরং স্ত্রী-সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য।

কিছুদিন পর তাদের একটি পুত্র সন্তান হয়—আয়ান। ছেলেকে প্রথম কোলে নিয়ে আরিয়ানের চোখে জল এসে গিয়েছিল। মনে হয়েছিল, পৃথিবীর সব ক্লান্তি ভুলে যাবে এই ছোট্ট হাতের মুঠোয়। কিন্তু বাস্তবতা খুব নির্মম। রাতে আয়ান কাঁদত, আরিয়ান জেগে থাকত, সকালে ঘুম চোখে অফিসে ছুটত। ওষুধ, স্কুলের ভর্তি, টিফিন বক্স, জুতা, জামা—সবই তার মাথায়।

মাঝে মাঝে মেঘলা বলত—“তুমি ছেলেকে সময় দাও না। তুমি তো শুধু অফিস নিয়ে থাকো।” সে কিছু বলত না। মুখে না বলা শত বাক্য জমে থাকত, কিন্তু উচ্চারণ করত না। কারণ জানত—"আমার কথা বলার সময় নেই। আমাকে শুনতে হবে, বোঝাতে নয়।"

বন্ধুরা একসময় দূরে সরে গেল। কেউ আর ফোন করে না। জন্মদিন ভুলে যায় সবাই। সোশ্যাল মিডিয়াতে যখন দেখে কেউ পাহাড়ে ঘুরছে, কেউ পার্টি করছে, কেউ বাইক নিয়ে ছুটছে—তখন মনে হয়, নিজের জীবনটা কি শুধু হিসাব-নিকাশের খাতা হয়ে গেল?

তার জীবন কেবলই “দাও, দাও, দাও”—ভালোবাসা দাও, টাকা দাও, সময় দাও, দায়িত্ব নাও। বিনিময়ে সে পায় না একটা প্রশ্নও—“তুমি কেমন আছো?”

বছর কেটে যায়। মা-বাবা একে একে হারিয়ে যায়। ছেলে বড় হয়ে যায়, নিজের বন্ধু, নিজের ফোন, নিজের জীবনে ব্যস্ত। স্ত্রী তখন তেমন কথাও বলে না, আগের মতো আর অপেক্ষা করে না দরজায় দাঁড়িয়ে।

একদিন সন্ধ্যায়, অফিস থেকে ফিরে এসে চুপচাপ বারান্দায় বসে থাকে আরিয়ান। চারদিকে ছড়ানো শব্দের ভিড়ে তার নিজের ভেতরটা নিঃস্তব্ধ। পায়ের নিচে এক জোড়া স্যান্ডেল। একজোড়া ক্লান্তি। পাশে রাখা চায়ের কাপটাও ঠাণ্ডা হয়ে গেছে।

সে চুপচাপ চোখ বন্ধ করে ভাবে, “আমি কি কাউকে ভালো রাখতে পেরেছি?”
তার উত্তর কেউ দেয় না।

সেই রাতে, বুকে হালকা ব্যথা নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে আরিয়ান। সকালে সে আর উঠে না। তার মুখে একটুকরো শান্তির ছাপ থাকে, অনেকদিন পর।

ছেলের বইয়ের খাতার পেছনে পাওয়া যায় একটা পুরনো কাগজ, যেখানে লেখা—

> “আমি ছিলাম একজন ছেলে।
শুধু একজন ছেলে, যে বাবা হয়েছিল, স্বামী হয়েছিল,
কিন্তু মানুষ হিসেবে কখনো কাউকে বলতে পারেনি—
আমি ক্লান্ত। আমি একা। আমিও বাঁচতে চাই।”

👉👉হয়তো এটা শুধু একটা গল্প, কেবল আরিয়ানের কথা।
কিন্তু একটু থেমে তাকালে দেখবে, এই গল্পটা শুধু তার না—
এটা বাংলাদেশের হাজারো আরিয়ানের গল্প,
যারা একেকজন ছেলে, একেকজন স্বামী, একেকজন বাবা,
আর তার চেয়েও বড় কথা—একজন মানুষ।

এই গল্প সেই মধ্যবিত্ত পরিবারের কথা,
যারা প্রতিদিন টিকে থাকার লড়াই লড়ে—
চোখে স্বপ্ন রাখে, কিন্তু ভাঙার শব্দ কাউকে শুনতে দেয় না।
যাদের ছেলে সন্তানগুলো ছোট থেকে বড় হয়,
নিজের চাওয়া-পাওয়ার চিঠি পোড়াতে পোড়াতে,
দায়িত্ব আর বাধ্যতার এক নিরব গোলকধাঁধায় আটকে পড়ে।

তারা কেউ কাঁদে না, অভিযোগ করে না,
শুধু মাথা নিচু করে সামলে নেয় সংসার, সমাজ, দুনিয়ার সব চাপ।
কারণ তারা তো "ছেলে"—
তাদের কষ্ট, কাঁদা, ভেঙে পড়া... এসবের নাকি অধিকার নেই।

এই গল্প হয়তো কেউ পড়ে ভুলে যাবে।
কিন্তু মনে রেখো, এই সমাজ টিকে আছে
এই নীরব সৈনিকদের কাঁধের উপর দাঁড়িয়ে।

তারা গল্প নয়, বাস্তবতা।
তাদের জীবন, ভালোবাসা, কষ্ট—
সবই সত্য। নিঃশব্দে বলা, "আমি ভালো আছি"—
এই একটাই মিথ্যা দিয়ে গাঁথা তাদের প্রতিদিনের বেঁচে থাকা।

#ছেলেদেরগল্প
#বাংলারছেলে



"সব ভালোবাসা শব্দ চায় না… কিছু ভালোবাসা শুধু একটা চিঠি, দুটো শাড়ি, আর একটা মায়ের চোখের শান্তি।"💌❝সীমা, এক মেয়ে,এক যুদ্ধ ...
20/06/2025

"সব ভালোবাসা শব্দ চায় না… কিছু ভালোবাসা শুধু একটা চিঠি, দুটো শাড়ি, আর একটা মায়ের চোখের শান্তি।"
💌

❝সীমা, এক মেয়ে,এক যুদ্ধ ❞

১৩. একটি চিঠি—ছেলের হৃদয় থেকে মায়ের ঠিকানায়

সকালবেলা দরজায় কড়া নাড়ল একজন অচেনা লোক।
সীমা দরজা খুলতেই সে বলল,
“আপনার নামে একটা পার্সেল এসেছে।”

সীমা কিছুটা অবাক—“পার্সেল? কে পাঠিয়েছে?”

লোকটি হাসল, “ভেতরে নাম লেখা আছে, আমি শুধু ডেলিভারি দিয়েছি।”
সে একটা ছোট প্যাকেট বাড়িয়ে দিল।
সীমা হাতে নিয়ে দেখল—খুব সাধারণ কাগজে মোড়া, তবুও বড় যত্নে প্যাক করা।

ঘরে ফিরে খোলার পর, ভেতর থেকে বেরিয়ে এল—
দুটো শাড়ি, কিছু টাকা আর একটা ভাঁজ করা খামে লেখা চিঠি।

সীমা এক মুহূর্ত চুপ করে রইল।
চিঠিটা ধীরে ধীরে খুলল—

---

চিঠি

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
মা,
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি ভালো আছো। আমিও ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ।

তুমি ভাবছো নিশ্চয় আমি হঠাৎ করে চিঠি লিখছি কেন। ফোন ছিল, মেসেজ দিতে পারতাম, তাই না?
ঠিক বলেছো মা।
কিন্তু জানো, কিছু কথা আছে যেগুলো মুখে বলতে গেলে গলায় আটকে যায়।
তাই লিখে ফেললাম।

মা, ইউনিভার্সিটিতে সব ভালো চলছে। ক্লাস, টিউশন, হোস্টেল—সব। কিন্তু আজ তোমাকে কিছু বলার ছিল।

মা, তুমি তো জানো আমি সবসময় দায়িত্বের কথা ভাবি, সম্পর্ক মানে আমার কাছে শুধু আবেগ না—একটা প্রতিশ্রুতি।
আমি আজ তোমাকে একটা মানুষের কথা বলতে চাই।

তার নাম আরশি।

তুমি তাকে এখনো চেনো না, কিন্তু আমি জানি একদিন তুমি চেনবে।
সে শুধু আমার সহপাঠী না, আমার ভালো বন্ধু, আমার দিনের আলো, আর ভরসার নাম।
মা, সে তোমার ছেলেকে সম্মান করে, যত্ন করে, কখনও ঠকাবে না—এই বিশ্বাস আমি তোমাকে দিতে পারি।

তুমি তো নিজেই বলো, “জীবনসঙ্গী যেন বুঝে নেয় জীবনের মানে।”
আরশি ঠিক তেমনই।
তুমি যদি একদিন ওকে দেখো, কথা বলো—তাহলেই বুঝতে পারবে, আমি ভুল করিনি।

এই পার্সেলের মধ্যে তোমার জন্য দুটো শাড়ি আছে—তোমার পছন্দের নরম রঙ। আর কিছু টাকাও রেখেছি—নিজের কামাই থেকে, তোমার জন্য।

তোমাকে অনেক ভালোবাসি মা।
আরশিকেও।

তোমার ছেলে,
নাফিজ।

---

চিঠির পর...

সীমা চিঠিটা পড়ে শেষ করতেই, চোখে একটু জল এসে গেল।
কিন্তু মুখে এক ধরনের শান্ত হাসি।
সে তখনই ফোনটা হাতে নিল।

কল করল—নাফিজ রিসিভ করল।

— “আসসালামু আলাইকুম মা।”
— “ওয়ালাইকুম সালাম।”
(দুইজনেই কিছুক্ষণের জন্য চুপ...)

সীমা হালকা গলায় বলে,
“তোমার ইউনিভার্সিটিতে তো অনেক কিছু হচ্ছে দেখছি…” (একটা মুচকি হাসির সুরে)

নাফিজ একটু অপ্রস্তুত, কিন্তু হাসে,
“হ্যাঁ মা, অনেক কিছু... কিন্তু সব ঠিকঠাকই চলছে। তোমার দোয়া আছেতো।”

সীমা তখন একটু গম্ভীর গলায় বলে,
“দেখো, জীবনের অনেক পথ থাকে, কিন্তু জীবনসঙ্গী যেন ঠিকভাবে নির্বাচন করো। এমন যেন না হয়, যেভাবে আমি একদিন ভুল করেছিলাম…”

নাফিজ থেমে বলে,
“মা, আরশি অনেক ভালো। সে তোমার মতোই—নরম, শক্ত, নিজের সিদ্ধান্তে বিশ্বাসী। আমি জানি, তুমি যদি তাকে দেখো... তুমি ওকে পছন্দ করবে।”

সীমা আর কিছু বলে না।
শুধু বলে—
“আল্লাহ তোমাদের হিফাজত করুন। আর কখনো যেন ভেঙে না পড়ো, কখনো যেন নিজের উপর বিশ্বাস না হারাও।”

— “আমিন মা। আমি তোমার দোয়া নিয়েই সব করি।”

— “আচ্ছা বাপ, রাখি তাহলে। খেয়াল রাখিস।”
— “আচ্ছা মা। আসসালামু আলাইকুম।”
— “ওয়ালাইকুম সালাম।”

কলটা কেটে যায়।
কিন্তু সীমার চোখে তখন একটা অদ্ভুত স্বস্তি।
চিঠিটা বুকের কাছে ধরে সে জানালার দিকে চেয়ে থাকে।

আর দূরে, ইউনিভার্সিটির একটা করিডোরে, নাফিজ ফোন রেখে পকেটে ভরে, আরশির পাশে গিয়ে দাঁড়ায়।
আরশি জিজ্ঞেস করে—
“কি বললেন তোমার মা?”
নাফিজ হেসে বলে—
“তিনি এখনো বললেন না কিছু... কিন্তু তার চোখে আমি হ্যাঁ দেখেছি।”

---

(চলবে...)

👉 আরো মজার গল্প পড়তে ফলো করো।
👉 আগের পর্ব ১ম কমেন্টে দেয়া আছে।

#একটি_চিঠি #মায়ের_চোখে_ভরসা #ভালোবাসার_পার্সেল #ছেলের_চিঠি #সম্পর্কের_শব্দ #ভালোবাসা_নির্ভরতা_স্বীকৃতি #চিঠির_ভাষায়_ভালোবাসা #মা_আর_ছেলের_বন্ধন #তোমার_জন্য_মা #আরশির_প্রেমে_নাফিজ

সব খোঁজের শেষ কোথায়, যখন যার মুখ তুমি খুঁজছিলে—সেই মুখেই তোমার মৃত্যুর ছায়া লুকানো?পর্ব ৫: "শেষ মুখোমুখি" — এবার পালানোর...
19/06/2025

সব খোঁজের শেষ কোথায়, যখন যার মুখ তুমি খুঁজছিলে—সেই মুখেই তোমার মৃত্যুর ছায়া লুকানো?

পর্ব ৫: "শেষ মুখোমুখি" — এবার পালানোর আর কোনো পথ নেই...

সারা ফিরে ঘুরে দেখলো, সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো তার ভাই রাকিব, কিন্তু তার চোখ কাঁচের মতো ফাঁকা, মুখে এক অদ্ভুত শীতল হাসি।

“তুমি খুঁজেছো, কিন্তু এখন তুমি আমার সাথে যাবে,” সে বলল, হাত বাড়িয়ে সারার গলা চেপে ধরলো।

সারা জোর করে ছুটে পালাতে চাইল, কিন্তু তার পায়ে অদৃশ্য সীমানা বেঁধে রেখেছিলো কেউ। সে তখন বুঝতে পারল, রাকিব আর মানুষের মতো নেই, সে এক ভয়ানক অন্ধকারের বাহক।

ঘরের চারপাশ থেকে অন্ধকার ছড়িয়ে পড়ল, আর সারা অনুভব করল, তার শেষ নিঃশ্বাসই নেবে এই অন্ধকারের ছায়া।

“এবার শেষ,” রাকিবের মুখ থেকে হেসে উঠল অদ্ভুত ফিসফিস।

---

👉১ম সিজন শেষ।

👉আগের পর্ব ১ম কমেন্টে দেয়া আছে।

#শেষমুখোমুখি #ভয়েরশেষ #অদৃশ্যছায়া #শেষলড়াই #ছায়ারমধ্যে

Address

Saidpur

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when GolpoGram posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share