28/11/2025
ইতিহাসে মাঝে মাঝে এমন কিছু মানুষ জন্মায়, যাদের জীবন আর রাজনীতি আলাদা জিনিস নয়।
যারা নিজেরাই একধরনের মানদণ্ড হয়ে দাঁড়ায়।
বেগম খালেদা জিয়া ঠিক সেই শ্রেণির মানুষ। তিনি শুধু নেত্রী নন, তিনি এমন এক দৃঢ়তার অধিকারী, যার সামনে জলও দিশা বদলায়।
যেখানে অন্যরা হাল ছেড়ে দেয়, তিনি সেখানেই ঢাল হয়ে দাঁড়ান।
দেশের সবচেয়ে অস্থির বছরগুলোয়, যখন ভয় ছিল অদৃশ্য ছায়ার মতো,
যখন পরিচিত মুখগুলোও সন্দেহে আচ্ছন্ন , যখন একটার পর একটা আঘাত মানুষের আত্মবিশ্বাসকে ভেঙে দিতে চাইত,
ঠিক সেই সময় একজন মহিলা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, কিছু জিনিস জীবনের চেয়েও মূল্যবান।
মর্যাদা। আস্থা।
দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা।
দেশের প্রতি মানুষের প্রতি সেই দায়বদ্ধতা দেখিয়ে তিনি কারাবরণ করলেন!
চাইলেই আপোষ করে সুখের জীবন বেছে নিতে পারতেন, কিন্তু তিনি তা করেন নাই..
তিনি তখন রাজনীতি দেখাননি, তিনি দেখিয়েছেন অটলতা, দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা।
ওনার এই নীরব অবস্থান পুরো রাজনৈতিক প্রজন্মকে বদলে দিয়েছে।
যখন নেতাদের মধ্যে দ্বিধা ছিল, যখন কর্মীরা ভয়ে দমছিল, এবং যখন পথ না দেখে অনেকেই পিছিয়ে যাবে কি-না সংশয়ে ছিলো
তখন একটাই নাম মানুষের বুকের ভেতর ইটের মতো শক্তি বসিয়ে দিত,
খালেদা জিয়া।
তিনি পিছিয়ে যাননি। দেশের ক্রান্তিলগ্নে হাল ছাড়েননি। এক মুহূর্তও নতি স্বীকার করে দেশের মানুষকে ছেড়ে যাননি।
তিনি শেখিয়েছেন, লড়াই মানে শুধু রাস্তায় নামা নয়, লড়াই মানে নিজের অবস্থানে স্থির থাকা।
এমনভাবে দাঁড়িয়ে থাকা, যে আপনার অটলতা অন্যের ভরসা হয়ে যায়।
তিনি মঞ্চে দাঁড়িয়ে মানুষকে ডাকেননি, মানুষ নিজে থেকেই তাঁর দিকে ছুটে এসেছে। এটাই তাঁর বিজয়।
তিনি এমন এক মহিলা, যিনি প্রতিরোধের স্থপতি।
অনেকেই ভেবেছিল তাকে সরিয়ে দিলে পথ পরিষ্কার হয়ে যাবে। কিন্তু তারা ভুল দেখেছে।
জেল জীবনে, মাঠের রাজনীতিতে অনুপস্থিত থেকেও, তিনি ছিলেন সর্বত্র,
নেতাদের সিদ্ধান্তে, কর্মীদের মনোবলে,
রাস্তার লড়াইয়ে, রাতভর পালিয়ে বেড়ানো ছেলেদের দৃঢ়তায়।
তিনি ছিলেন প্রতিরোধের স্থাপনা একটি মনস্তাত্ত্বিক দুর্গ, যা কোনো ক্ষমতা ভাঙতে পারেনি।